টিভি পর্দায় খেলা দেখার মজা আসলে চায়ের দোকানে বসে। একেকজনের মন্তব্য শুনে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুভূতিই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। আজ যেমন হলো—শুকনো পাতার মতন কিছুক্ষণ পর পর বাংলাদেশের উইকেট ঝরে পড়ে আর একেকজন ফেটে পড়েন রাগে ক্ষোভে।
বোলিংয়ে নেমে ওভারের পর ওভার বোলিং করে গেলেও উইকেটের দেখা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। অথচ এই দলটিই ব্যাটিংয়ে নামলে ধপাস করে ভেঙে পড়ে। এক বার, দুই বার না-এমনটা ঘটছে বারবার। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ধবলধোলাইয়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করছেন, অনেক জায়গায় উন্নতির দরকার বাংলাদেশের।
ফলোঅন এড়ানো দূরে থাক, দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০০ রান করতেই হিমশিম খেতে হলো বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ফিফটিতে টেনেটুনে ১৫৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও খারাপ অবস্থা—১৪৩ রানে অলআউট। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনেই বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে।
চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই উইকেট নেই। এমন পরিস্থিতির কথা বললে অনেকে চোখ বন্ধ করে বাংলাদেশের নাম বলে দেবেন। চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় টেস্টে মারাত্মক ধুঁকছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ‘গেম অ্যাওয়ারনেস’ নিয়ে প্রশ্ন এখন মুশতাক আহমেদেরও।