বর্জ্য

চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পান করে আরও ১২টি মহিষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গবাদিপশুগুলো মারা যায়। 

ঝুঁকি বিবেচনায় এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের স্কুল আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রোববার রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং শিগগির তা নিভে যাবে।

পরিবেশবাদীরা বরাবরই পরিবেশ দূষণে প্লাস্টিকের ভূমিকা নিয়ে সতর্ক করে থাকেন। কেননা প্লাস্টিকের কণা নালা, নদী এবং সাগরে ছড়িয়ে পড়ে খাদ্যশৃঙ্খলে ঢুকে পড়ে। ফলে মানবদেহে মারাত্মক হুমকি তৈরি করে। জাতিসংঘ বলছে, সাগর-মহাসাগরে ব্যাপক মাত্রায় প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর বর্তমান পরিমাণ আনুমানিক ১০ কোটি টন। গ

১০০ শয্যা বিশিষ্ট রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল। মূল ফটক দিয়ে হাসপাতালে ঢুকতেই নাকে ভেসে আসে বর্জ‍্যের দুর্গন্ধ। খাবারের উচ্ছিষ্টসহ হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য ফেলার জন্য ডাস্টবিন থাকলেও সেখানে ফেলা হচ্ছে না। উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলায় হাসপাতাল চত্বরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। 

চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে। হাসপাতালে ক্ষতিকর ও জীবাণুযুক্ত বর্জ্য কোনো রকম ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে পরিবেশদূষণ হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়াচ্ছে।

মাগুরা শহরের বেশির ভাগ ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নবগঙ্গা নদীতে। এর ফলে নাব্যতা কমছে। ছড়াচ্ছে নদীদূষণ। পানির প্রবাহেও বড় ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, মাগুরা জেলা শহরের পাশ ঘেঁষে প্রায় ছয় কিলোমিটারজুড়ে নবগঙ্গা নদী প্রবহমান। শহরের পুরাতন বাজার থেকে নতুন বাজার এলাকায় রয়েছে নদীর বেশ কিছু বাঁক। এসব বাঁ

কিশোরগঞ্জে হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসাবর্জ্য সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে মিশিয়ে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এতে চিকিৎসা বর্জ্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জীবাণুমুক্ত হওয়ার আগেই এসব চিকিৎসাবর্জ্য চলে যাচ্ছে সাধারণ বর্জ্যের ভাগাড়ে। আর পরিশোধন ছাড়াই নালানর্দমা হয়ে ত

দূর থেকে দেখে মনে হবে বিশালাকৃতির ‘দানব’ দাঁড়িয়ে আছে। সবেমাত্র সাগর থেকে কূলে উঠে এসেছে। মূলত পাঁচ টন প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি ৩৪ ফুটের অস্থায়ী ভাস্কর্য এটি। এই দানব দেখতে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্টের মাঝামাঝি সিগাল পয়েন্টে ভিড় করছেন পর্যটকেরা। সাগর ও নদ-নদীর পরিবেশ-প্রতিবেশ প্লাস্টি

চিকিৎসা বর্জ্য বিধিমালা অনুযায়ী বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ছয়টি নির্দিষ্ট রঙের পাত্র রাখার কথা থাকলেও ৬০ শতাংশ হাসপাতালে এমন পাত্র নেই বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক গবেষণা জরিপে উঠে এসেছে।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের সৈকতে ভেসে আসা প্লাস্টিক, কাচের বোতল, পলিথিনসহ নানা বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি)।

কবরস্থান সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। রাস্তার অপর পাশেই মসজিদ। এতে ওই সড়কে যাতায়াত করা মানুষের পাশাপাশি মুসল্লিরাও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। এ অবস্থা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মুক্তিনগরের কবরস্থান মসজিদ এলাকার।

সিলেট নগরীর সুরমা নদীর তীরে কিনব্রিজ ও আলী আমজদের ঘড়িঘর ঘিরে উন্মুক্ত নাগরিক পরিসর। এতে নদীর তীরে প্লাস্টিকের বর্জ্য জমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির নবীন স্থপতিরা। তারা প

সারা বিশ্ব যখন নানা ধরনের বর্জ্য নিয়ে চিন্তিত, এমন সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুখবর দিচ্ছে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভা। তারা কো-কম্পোস্ট প্ল্যান্ট তৈরি করে মানববর্জ্য থেকে তৈরি করছে অরগানিক জৈব সার। ওই প্ল্যান্ট থেকে বছরে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৭২০ টন জৈব সার।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াডিতে ছুড়ে ফেলা বা ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিলেই উপহার দেওয়া হবে। সমুদ্রের দূষণ রোধ ও সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ‘প্লাস্টিকের বিনিময়ে উপহার নিন’ নামের এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে...

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর এলাকায় একটি রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে গোগালীছড়া পাহাড়ি ছড়ায়। ফলে ওই বিষাক্ত বর্জ্য ছড়ার পানির সঙ্গে মিশে হাকালুকি হাওরে গিয়ে পড়ছে। এতে ছড়ার পানিতে থাকা মাছ ও হাঁস মরে দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

টাঙ্গাইলে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী। প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধে নাক চেপে শহরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

দেশে ই-বর্জ্য দূষণ বাড়ছে। ই-বর্জ্য দূষণ থেকে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য নিরাপদ করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপন জরুরি