পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার অনুষ্ঠানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। আজ সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মাওয়ায় পৌঁছান। এর আগে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রীসহ তাঁর কার্যালয়ের পদস্

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের স্বপ্নের যোগসূত্র। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি। খুবই আনন্দিত।’ আজ শনিবার মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আর মাত্র এক ঘণ্টা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন দক্ষিণের মানুষের দীর্ঘ দিনের চাওয়া পদ্মা সেতুর। এ উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন দেশের সব শ্রেণির ব্যক্তিরা। সমাবেশ স্থলে ঢোকার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তাঁরা।

জনতার স্রোত আসতে শুরু করেছে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাট এলাকায়। আজ শনিবার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এখানে জনসভার আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

আলোর ছটায় উদ্ভাসিত পদ্মার পাড়। সকাল ১০টার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধন ঘোষণা করবেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। আজ শনিবার সকাল থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা আসছেন, যোগ দিচ্ছেন সুধী সমাবেশে। টোল প্লাজায় ওঠার আগেই ডানে করা হয়েছে সমাবেশস্থল। এখানেই হবে সুধী সমাবেশ ও উদ্বোধন। তথ্যমন্ত্রী ড. হা

আজ শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। ভোর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ব্যানার, প্ল্যাকার্ডসহ সভায় যোগ দিচ্ছে মিছিল। পদ্মা সেতুর কাঠালবাড়ী সংযোগ সড়কের পর থেকে পায়ে হেঁটে আসছে। কোনো যানবাহনকে আসতে দিচ্ছেন না প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা

ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। শুক্রবার এ নির্দশনা জারি করা হয়। অতিথিদের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাতায়াতের অনুরোধ করেছে ট্রফিক বিভাগ।

সেতু চালু হলে বিভিন্ন এলাকার প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, যাতে নাকি সার্বিক জিডিপিতে ১.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এই প্রবৃদ্ধি অবশ্যই আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে প্রকৃত পরিকল্পনা এবং দূরদর্শীতার কারণেই এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আজ শনিবার যশোরে জমকালো আয়োজন করা হয়েছে। যশোর কালেক্টরেট চত্বরকে সাজানো হয়েছে রঙিন সাজে। সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের মুন্শী মেহেরুল্লাহ ময়দানে (টাউন হল ময়দান) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার উপভোগের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।

অপার সম্ভাবনার পদ্মা সেতু নিয়ে স্বপ্ন বুনছে দেশবাসী। স্বপ্ন দেখছে দুই বিশ্ব ঐতিহ্যের জেলা বাগেরহাটেরে মানুষও। সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে বাগেরহাটের পর্যটনশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই খাতে।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে গতকাল শুক্রবার রাতেই বরিশাল নৌবন্দর থেকে ৯টি বিলাসবহুল লঞ্চ গন্তব্যে গেছে। এই অঞ্চল থেকে এ উপলক্ষে ৪৮টি লঞ্চ ছুটেছে পদ্মার পাড়ে। বিশাল এ নৌবহরে বিভাগের লক্ষাধিক যাত্রী শামিল হচ্ছেন। অবশ্য বরিশালেও দিনভর বর্ণাঢ্য আয়োজন চলছে।

মো. শফিকুল ইসলাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক। সেতু উদ্বোধনের আগে তিনি নির্মাণের গল্প বলেছেন আজকের পত্রিকার মো. তৌফিকুল ইসলামের কাছে।

বাংলাদেশের বহুল কাঙ্ক্ষিত ও স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আজ ২৫ জুন। সকল আয়োজন শেষে আজ এ সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের এত দিনের স্বপ্ন আজ দৃশ্যমান হচ্ছে। এ জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৯৮ সালে প্রথম এই সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্র

২৫ পয়সা দিয়ে নৌকায় করে পদ্মা পারাপার শুরু। এরপর সেটা বেড়ে হয় ৫০ পয়সা। তারও অনেক পরে পদ্মায় নামানো হয় ফেরি। ধীরে ধীরে যুক্ত হলো লঞ্চ ও স্পিডবোট। ৬৫ বছরের জীবনকালে পদ্মা পারাপারের জন্য এর বেশি কল্পনাও করেনি আবদুল জব্বার হাওলাদার।

সুধী সমাবেশের পরে মাওয়া প্রান্তের নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে টোল দিয়ে সেতু পার হবেন তিনি। জাজিরা প্রান্তে এসে পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে শেখ হাসিনা মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ির ইলিয়াস আহমেদ চৌধুর

পদ্মা সেতুতে দেশীয় শুধু দুটি প্রতিষ্ঠানের রড ব্যবহার করা হয়েছে। সেই হিসেবে কেএসআরএম দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। এ ছাড়া কেএসআরএম হচ্ছে সর্বপ্রথম রড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের শর্তহীন রড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও কেএসআরএম। সেই হিসেবে এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গৌরব ও অহংকারের। আর এসবের

প্রথম বিবেচনায় ছিল নদী যেখানে অতিক্রম করতে চাই, সেখানে রাস্তাঘাট আগে থেকেই আছে কি না। থাকলে পুরোপুরি নতুন অ্যালাইনমেন্টে  যেতে হয় না। খরচও কম পড়ে। এ ছাড়া, নদীর বৈশিষ্ট্য কেমন। ভাঙে কেমন।