
ট্যানারিমালিকেরা বকেয়া পরিশোধ করছেন না। সেই সঙ্গে রয়েছে লবণ ও শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির অজুহাত। চীন ছাড়া বিকল্প রপ্তানি বাজার না থাকাও বড় কারণ। নানা পক্ষের এই টানাপোড়েনের মধ্যে সরকার-নির্ধারিত দামে দেশের কোথাও চামড়া বিক্রি হয়নি।

ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা প্রায় তিন কোটি টাকা বিগত ৫ বছরেও আদায় হয়নি। ফলে পুঁজি হারিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। চামড়া কেনার কোনো রকম প্রস্তুতি নিতে পারেননি পুঁজি সংকটে থাকা ব্যবসায়ীরা। বকেয়া টাকা আদায় ও মূলধনের সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক ব্যবসায়ী এ ঈদে চামড়া

এক দশক আগেও কোরবানির ঈদে মৌসুমি ফড়িয়াদের মধ্যে লেগে থাকত চামড়া কেনার প্রতিযোগিতা। তখন মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়া কমবেশি ২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারতেন কোরবানিদাতারা। কিন্তু গত বছর সেই চামড়া বিক্রি হয়েছে বড়জোর ৫০০ টাকা দামে।

চামড়াশিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে ট্যানারি শিল্পের সমস্যা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।