ছোট গল্প

অর্ধবৃত্তাকার এক দ্বীপের তিন পাশ নদীবেষ্টিত। যেন একটা সাপ পেঁচিয়ে আছে আড়াআড়ি দ্বিখণ্ডিত বৃক্ষের কোমরে। নদীটার নাম মধুডাঙা। স্বচ্ছ জলের নদী। তবে বারো মাস ঢেউ থাকে। অমাবস্যার রাতে এই নদীর জল মেঘের মতো কালো

আসমানে উড়ছে একটা নীল বক। আর আসমানটা একেবারে ধবধবে সাদা—যেন এইমাত্র লন্ড্রি থেকে ধুয়ে এনে একটি সাদা চাদর ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে চরাচরজুড়ে। নীল বকটা নিঃশব্দ নয়। উড়ছে তীব্র শো শো শব্দে।

বাইরে থেকে হঠাৎ হাঁক শুনতে পেল চালাকু, ‘চালাকু! ও চালাকু!’ বারান্দায় ছুটে গেল চালাকু। দোতলা থেকে উঁকি মারল রাস্তায়। ছোটমামা! কালো হয়ে গেল চালাকুর মুখ। ছোটমামাকে ও একটুও পছন্দ করে না। কেন? ছোটমামার মতো কিপটে ও দ্বিতীয়টা দেখেনি।

দর্শনের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হাদীর একটাই হবি—ফিশিং। ছুটির দিনে ছিপ ফেলে মাছ ধরাটা বলতে গেলে একমাত্র নেশা মিস্টার হাদীর। মফস্বলের বিখ্যাত কলেজের ততোধিক বিখ্যাত অধ্যাপক মিস্টার হাদীকে শুক্রবারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড়িতে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

চণ্ডীপুর বাজারের এই হাফিজ স্টোরে সিয়ামের বয়সী একটি ছেলেও কাজ করে। ওর নাম জাকির। বাজারের প্রায় সব দোকানেই এ রকম একটি করে ছেলে আছে। সিয়ামের সঙ্গে জাকিরের তেমন ভাব নেই। জাকিরের আদবকেতা সিয়ামের পছন্দ না। জাকির কোনো খদ্দেরকে স্যার ডাকে না। গত ঈদের ছুটিতে নাটোরে মামার বাড়িতে গিয়ে সিয়াম দেখে এসেছে, কেউ জিন

আজ আমি অনেক খুশি। কারণটা কী তোমরা জানো? জানবেই বা কেমন করে? আমি তো তোমাদের বলিইনি। হি হি হি হি! আজকে আমি তুবার সঙ্গে পেট মোটা করে ইশকুলে যাব। ইয়ে! কী মজা! কী মজা! ও হ্যাঁ, আমার পরিচয়টা তো তোমাদের দেওয়াই হলো না।

ভাষায় রূপকের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক রায়হান রাইন ‘এক মুঠো রূপক’ প্রবন্ধে লেখেন, ‘ইতিহাসের একটা পর্যায় পর্যন্ত শিল্পের অঙ্গনে ধর্মীয় রূপক ও আখ্যানের বিচরণই ছিল প্রধান।... তবে পরবর্তীকালে শিল্প-সাহিত্যে কিছু রূপকের তাৎপর্য বদলে গেছে। এমন একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন ধীরে ধীরে ঘটে গেছে যে শিল্প-সা

বলবে এখন আবার রাজা এল কোত্থেকে? আগের সেই দিন আর আছে? ঠাকুরমার গল্পের রাজাদের সঙ্গে তাদের রাজ্যও তো সে কবে উধাও হয়ে গেছে! সে তুমি যাই বলো; এই রাজা কিন্তু দিব্যি রাজ্য পরিচালনা করছেন।

লোকটা চা চাইল। কিন্তু কনুই দিয়ে খাবে কি করে? সেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় বসলাম। চায়ের দোকানদারকে ইশারা দিল গরম চায়ের কাপটা পাশে রাখতে। লোকটা যে বেঞ্চটার শেষ মাথায় বসেছে সেখানে যে কিঞ্চিৎ জায়গা ফাঁকা ছিল ওখানেই কাপটা রাখল চাওয়ালা। আবার শুরু করল কথা।