ঘূর্ণিঝড় মোখা

ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। তবে পিরোজপুরের ৭টি উপজেলার উপকূল এলাকায় নেই বেড়িবাঁধ। ফলে আতঙ্ক রয়েছেন উপকূলের কয়েক লাখ মানুষ। তাঁদের দাবি, এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের আগামী রোববারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রতিদিনের মতো আজও সারা দিন সাগরে মাছ ধরেছেন সুনীল জলদাশ। বিকেলে মাছ নিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। পথে কথা হয় এই জেলের সঙ্গে। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে পারে; এ বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না তিনি। প্রশাসন থেকেও মাইকিং করে জানানো হয়নি বলে জানান সুনীল জলদাশ।

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষার্থে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম কোস্ট গার্ড কর্তৃক গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজশাহীর দুর্গাপুরে চলিত মৌসুমে দুই দফা কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেই আবার ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষতির শঙ্কায় এবার আধা-পাকা ধান কাটছেন উপজেলার কৃষকেরা। বিগত বছরগুলোতে ঝড়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ায় এ বছর আগেভাগেই খেত থেকে ধান কাটতে দেখা গেছে তাঁদের। কৃ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে আঘাত হানলেও বাংলাদেশের সব উপকূলীয় এলাকা জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হতে পারে। উপকূলজুড়ে দুর্বল ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কারণে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়ে অতীতের মতো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে

ঘূর্ণিঝড় মোখা তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখায়। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এরই মধ্যে ৪ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছেন ১২ লাখেরও বেশি নানা বয়সের রোহিঙ্গা নাগরিক।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানার আগেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি আছে সেন্টমার্টিনে। তবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো কাউকে নেওয়া যায়নি। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলজুড়ে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোথায়ও কোনো ঝড়-বাতাস ও বৃষ্টি নেই। গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার ও জেলেরা ইতিমধ্যে নিরাপদে কূলে আসতে শুরু কর

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারেও পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। গত এক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় থাকা ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে এই শূন্যতা বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। অধিকাংশ হোটেল–মোটেলের রুম ফাঁকা। ব্যস্ততা নেই পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ফলে অলস সময় পার করছেন তারা।

ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে উপকূলবাসী আতঙ্কিত হলেও বাগেরহাটে এর কোনো প্রভাব নেই। আজ শুক্রবার সকাল থেকে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। পশুর, বলেশ্বর, ভৈরবসহ জেলার বেশির ভাগ নদ-নদীর অবস্থাও স্বাভাবিক রয়েছে। 

বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে সাগরে মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। আজ শুক্রবার দেখা যায়, উপজেলার ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। সমুদ্রগামী জেলেরা জানান, সাগর ভয়ংকরভাবে উত্তাল হয়ে ওঠায় উপকূলে ফিরে এসেছেন।

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে অবস্থানরত ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। এ জন্য নোয়াখালীতে সংস্থাটির পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি বরগুনার বেতাগীতে। বৃষ্টি কিংবা ঝোড়ো বাতাস নেই কোথাও। উল্টো প্রখর রোদের তাপে অতিষ্ঠ উপকূলবাসী। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে ১১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। এ ছাড়া গত কয়েক দিন ধরে...

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে