সৌগত বসু ও শাহীন শাহ, টেকনাফ থেকে

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে।
আজ শুক্রবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোখা’র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। বিশেষ করে বিস্তীর্ণ দ্বীপ হওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে হাজারো অধিবাসী দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আজকেও হাজারো মানুষ দ্বীপটি ছেড়ে টেকনাফে আসবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দোয়া চাওয়া শুরু করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। যারা দ্বীপে অবস্থান করবেন তাঁদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য ব্যবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৪ তারিখ প্রথম প্রহরে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যার কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি বাংলাদেশ উপকূল অতক্রম করে তবে কক্সবাজার জেলার মহেশখালি, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিনে আঘাত হানবে মোখা। এ সময় বাতাস ও অতিবর্ষণের সঙ্গে হতে পারে ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।
অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়টি প্রকট হতে শুরু করায় দ্বীপ ছাড়ছে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার হাজারো বাসিন্দা ট্রলার ও স্পিডবোটযোগে সেন্ট মার্টিন ছেড়ে টেকনাফ পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্য অসি উল্লাহ ও আবু তালেব জানান, মোখা আতঙ্কে সেন্টমার্টিন ছেড়ে চলে আসা হয়। যেকোনো দুর্যোগে এমনিতে আতঙ্কে উদ্বেগে কাটিয়েছে একাধিকবার। বিভিন্ন মাধ্যমে এবারের ঘূর্ণিঝড় সরাসরি সেন্ট মার্টিনে আঘাত হবে তাই তাঁদের পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে টেকনাফকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন শুভ জানান, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১০ জন। দুজন ব্যতীত সবাই আজ টেকনাফে চলে যাবেন বলে নিশ্চিত করেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্বীপে এখনই বাতাস শুরু হয়েছে। দ্বীপে এখন কোনো পর্যটক নেই। প্রায় ২৩০টি হোটেল ও মোটেল, রিসোর্ট ফাঁকা করা হয়েছে। এখন ওয়ার্ডভিত্তিক মিটিং হচ্ছে। অনেকেই দ্বীপ ছেড়েছেন। যারা আছেন তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠবে। দ্বীপে কিছু জায়গায় বালির বস্তা ফেলা হয়েছে যাতে পানির জোরে ভেঙে না যায়। এখানে যারা আছে তাঁরা সংকেত বাড়লে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সেই পরিস্থিতি এখনো হয়নি। ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখা গেলে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দ্বীপে সিপিপির হাজারো স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিছু লোক দ্বীপ ছেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে সঠিক তথ্য তার জানা নেই।’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দ্বীপটিকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগে স্থানীয়দের জন্য উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন হিসেবে সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনীসহ বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, টেকনাফ উপজেলায় ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে। সেন্টমার্টিনের জন্য আলাদাভাবে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নেভি সবার সঙ্গে সভা করে সেইভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, এখনো দুই নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। তাই এখন অনেকেই আসবে না। সতর্ক সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আগাম প্রস্তুত থাকার জন্য। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন:

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে।
আজ শুক্রবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোখা’র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। বিশেষ করে বিস্তীর্ণ দ্বীপ হওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে হাজারো অধিবাসী দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আজকেও হাজারো মানুষ দ্বীপটি ছেড়ে টেকনাফে আসবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দোয়া চাওয়া শুরু করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। যারা দ্বীপে অবস্থান করবেন তাঁদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য ব্যবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৪ তারিখ প্রথম প্রহরে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যার কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি বাংলাদেশ উপকূল অতক্রম করে তবে কক্সবাজার জেলার মহেশখালি, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিনে আঘাত হানবে মোখা। এ সময় বাতাস ও অতিবর্ষণের সঙ্গে হতে পারে ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।
অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়টি প্রকট হতে শুরু করায় দ্বীপ ছাড়ছে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার হাজারো বাসিন্দা ট্রলার ও স্পিডবোটযোগে সেন্ট মার্টিন ছেড়ে টেকনাফ পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্য অসি উল্লাহ ও আবু তালেব জানান, মোখা আতঙ্কে সেন্টমার্টিন ছেড়ে চলে আসা হয়। যেকোনো দুর্যোগে এমনিতে আতঙ্কে উদ্বেগে কাটিয়েছে একাধিকবার। বিভিন্ন মাধ্যমে এবারের ঘূর্ণিঝড় সরাসরি সেন্ট মার্টিনে আঘাত হবে তাই তাঁদের পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে টেকনাফকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন শুভ জানান, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১০ জন। দুজন ব্যতীত সবাই আজ টেকনাফে চলে যাবেন বলে নিশ্চিত করেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্বীপে এখনই বাতাস শুরু হয়েছে। দ্বীপে এখন কোনো পর্যটক নেই। প্রায় ২৩০টি হোটেল ও মোটেল, রিসোর্ট ফাঁকা করা হয়েছে। এখন ওয়ার্ডভিত্তিক মিটিং হচ্ছে। অনেকেই দ্বীপ ছেড়েছেন। যারা আছেন তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠবে। দ্বীপে কিছু জায়গায় বালির বস্তা ফেলা হয়েছে যাতে পানির জোরে ভেঙে না যায়। এখানে যারা আছে তাঁরা সংকেত বাড়লে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সেই পরিস্থিতি এখনো হয়নি। ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখা গেলে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দ্বীপে সিপিপির হাজারো স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিছু লোক দ্বীপ ছেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে সঠিক তথ্য তার জানা নেই।’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দ্বীপটিকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগে স্থানীয়দের জন্য উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন হিসেবে সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনীসহ বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, টেকনাফ উপজেলায় ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে। সেন্টমার্টিনের জন্য আলাদাভাবে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নেভি সবার সঙ্গে সভা করে সেইভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, এখনো দুই নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। তাই এখন অনেকেই আসবে না। সতর্ক সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আগাম প্রস্তুত থাকার জন্য। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন:
সৌগত বসু ও শাহীন শাহ, টেকনাফ থেকে

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে।
আজ শুক্রবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোখা’র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। বিশেষ করে বিস্তীর্ণ দ্বীপ হওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে হাজারো অধিবাসী দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আজকেও হাজারো মানুষ দ্বীপটি ছেড়ে টেকনাফে আসবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দোয়া চাওয়া শুরু করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। যারা দ্বীপে অবস্থান করবেন তাঁদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য ব্যবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৪ তারিখ প্রথম প্রহরে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যার কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি বাংলাদেশ উপকূল অতক্রম করে তবে কক্সবাজার জেলার মহেশখালি, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিনে আঘাত হানবে মোখা। এ সময় বাতাস ও অতিবর্ষণের সঙ্গে হতে পারে ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।
অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়টি প্রকট হতে শুরু করায় দ্বীপ ছাড়ছে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার হাজারো বাসিন্দা ট্রলার ও স্পিডবোটযোগে সেন্ট মার্টিন ছেড়ে টেকনাফ পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্য অসি উল্লাহ ও আবু তালেব জানান, মোখা আতঙ্কে সেন্টমার্টিন ছেড়ে চলে আসা হয়। যেকোনো দুর্যোগে এমনিতে আতঙ্কে উদ্বেগে কাটিয়েছে একাধিকবার। বিভিন্ন মাধ্যমে এবারের ঘূর্ণিঝড় সরাসরি সেন্ট মার্টিনে আঘাত হবে তাই তাঁদের পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে টেকনাফকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন শুভ জানান, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১০ জন। দুজন ব্যতীত সবাই আজ টেকনাফে চলে যাবেন বলে নিশ্চিত করেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্বীপে এখনই বাতাস শুরু হয়েছে। দ্বীপে এখন কোনো পর্যটক নেই। প্রায় ২৩০টি হোটেল ও মোটেল, রিসোর্ট ফাঁকা করা হয়েছে। এখন ওয়ার্ডভিত্তিক মিটিং হচ্ছে। অনেকেই দ্বীপ ছেড়েছেন। যারা আছেন তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠবে। দ্বীপে কিছু জায়গায় বালির বস্তা ফেলা হয়েছে যাতে পানির জোরে ভেঙে না যায়। এখানে যারা আছে তাঁরা সংকেত বাড়লে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সেই পরিস্থিতি এখনো হয়নি। ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখা গেলে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দ্বীপে সিপিপির হাজারো স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিছু লোক দ্বীপ ছেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে সঠিক তথ্য তার জানা নেই।’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দ্বীপটিকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগে স্থানীয়দের জন্য উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন হিসেবে সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনীসহ বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, টেকনাফ উপজেলায় ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে। সেন্টমার্টিনের জন্য আলাদাভাবে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নেভি সবার সঙ্গে সভা করে সেইভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, এখনো দুই নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। তাই এখন অনেকেই আসবে না। সতর্ক সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আগাম প্রস্তুত থাকার জন্য। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন:

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে।
আজ শুক্রবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোখা’র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। বিশেষ করে বিস্তীর্ণ দ্বীপ হওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে হাজারো অধিবাসী দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আজকেও হাজারো মানুষ দ্বীপটি ছেড়ে টেকনাফে আসবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দোয়া চাওয়া শুরু করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। যারা দ্বীপে অবস্থান করবেন তাঁদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য ব্যবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৪ তারিখ প্রথম প্রহরে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যার কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি বাংলাদেশ উপকূল অতক্রম করে তবে কক্সবাজার জেলার মহেশখালি, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিনে আঘাত হানবে মোখা। এ সময় বাতাস ও অতিবর্ষণের সঙ্গে হতে পারে ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।
অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়টি প্রকট হতে শুরু করায় দ্বীপ ছাড়ছে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার হাজারো বাসিন্দা ট্রলার ও স্পিডবোটযোগে সেন্ট মার্টিন ছেড়ে টেকনাফ পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্য অসি উল্লাহ ও আবু তালেব জানান, মোখা আতঙ্কে সেন্টমার্টিন ছেড়ে চলে আসা হয়। যেকোনো দুর্যোগে এমনিতে আতঙ্কে উদ্বেগে কাটিয়েছে একাধিকবার। বিভিন্ন মাধ্যমে এবারের ঘূর্ণিঝড় সরাসরি সেন্ট মার্টিনে আঘাত হবে তাই তাঁদের পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে টেকনাফকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন শুভ জানান, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১০ জন। দুজন ব্যতীত সবাই আজ টেকনাফে চলে যাবেন বলে নিশ্চিত করেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্বীপে এখনই বাতাস শুরু হয়েছে। দ্বীপে এখন কোনো পর্যটক নেই। প্রায় ২৩০টি হোটেল ও মোটেল, রিসোর্ট ফাঁকা করা হয়েছে। এখন ওয়ার্ডভিত্তিক মিটিং হচ্ছে। অনেকেই দ্বীপ ছেড়েছেন। যারা আছেন তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠবে। দ্বীপে কিছু জায়গায় বালির বস্তা ফেলা হয়েছে যাতে পানির জোরে ভেঙে না যায়। এখানে যারা আছে তাঁরা সংকেত বাড়লে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সেই পরিস্থিতি এখনো হয়নি। ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখা গেলে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দ্বীপে সিপিপির হাজারো স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিছু লোক দ্বীপ ছেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে সঠিক তথ্য তার জানা নেই।’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দ্বীপটিকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগে স্থানীয়দের জন্য উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন হিসেবে সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনীসহ বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, টেকনাফ উপজেলায় ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে। সেন্টমার্টিনের জন্য আলাদাভাবে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নেভি সবার সঙ্গে সভা করে সেইভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, এখনো দুই নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। তাই এখন অনেকেই আসবে না। সতর্ক সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আগাম প্রস্তুত থাকার জন্য। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন:

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৮ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে
১২ মে ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে
১২ মে ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৮ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে
১২ মে ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৮ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানলে সবার আগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তা আছড়ে পড়বে। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটনের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন আট বর্গকিলোমিটার দ্বীপটিকে ঘিরে
১২ মে ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৮ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগে