Ajker Patrika

পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৭০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, তীরে ফিরছে মাছ ধরার ট্রলার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মে ২০২৩, ১৮: ২৪
পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৭০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, তীরে ফিরছে মাছ ধরার ট্রলার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলজুড়ে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোথাও কোনো ঝড়-বাতাস ও বৃষ্টি নেই। গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার ও জেলেরা ইতিমধ্যে নিরাপদে কূলে আসতে শুরু করেছে। তবে উপকূলের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র না থাকা এবং এসব এলাকায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন মানুষ। উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতি কমাতে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করবে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পটুয়াখালী কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রয়েছে ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মির্জাগঞ্জে। আর ঝুঁকিপূর্ণ ১৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে পটুয়াখালী সার্কেলে ১০ ও কলাপাড়া সার্কেলে ৮ কিলোমিটার। আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ৩৪ কিলোমিটার। এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের সময় গ্রাম প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমিসহ হাজারো পরিবারের ঘরবাড়ি। 

জেলার মির্জাগঞ্জ, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার নদী-তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া, গরুভাঙ্গা, চরমোন্তাজ, চরআন্ডা, কলাপাড়ায় নিজামপুর, চাড়িপাড়া, মহাল্লাপাড়া, দেবপুর এবং মির্জাগঞ্জের সন্ধ্যাকালিকাপুর, পিঁপড়াখালী, ভিগাখালী চিংগুরা এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। 

ফলে প্রতিবছরই এসব এলাকা ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবারও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে এরই মধ্যে অনেকে জমি থেকে মুগডাল, বাদাম, মিষ্টি আলুসহ এই মওসুমের ফসল ঘরে তুলে নিয়েছেন। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারাও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। তবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলেও অনেক এলাকা এখনো অরক্ষিত। 

মির্জাগঞ্জ উপজেলার পিঁপড়াখালী এলাকার লাইলি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বইন্যার খবর পাইছি। কিন্তু আমরা কী করমু, কোথায় যামু, আমাদের আশপাশে তো আশ্রয়কেন্দ্রও নাই।’

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই সব বেড়িবাঁধ সংস্কার করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলায় গোলখালী ও পিঁপড়াখালীতে কাজ চলছে

মৎস্য বন্দরে ফিরে আসছে মাছ ধরার ট্রলার 
আজ শুক্রবার পটুয়াখালীর দুটি বড় মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরে ঘুরে দেখা যায়, সমুদ্রে অবস্থান করা অনেক ট্রলার এরই মধ্যে বন্দরে চলে এসেছে। যারা এখনো তীরে আসেনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রলারমালিকেরা। 

এমভি আব্দুল্লাহ ট্রলারের মাঝি মো. নয়া মিয়া বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে সাগরে গিয়েছিলাম। বুধবার হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হবে সংবাদ পেয়ে আমরা তীরের দিকে ফিরতে শুরু করি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তীরে পৌঁছেছি। আরও অনেক ট্রলার রয়েছে যারা আসছে।’ 

আলীপুর-কুয়াকাটা আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ট্রলারগুলো এসেছে সেগুলো পাথরঘাটা, চরদোয়ানী, তুষখালী, পিরোজপুরসহ বেশ কয়েক স্থানের। আবহাওয়া খারাপ হলে নিকটবর্তী স্থানে তারা চলে আসে। তবে যারা এখনো তীরে আসেনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দ্রুত তীরে ফিরে আসতে বলা হচ্ছে।’ 

৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত 
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা হয়। জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া মজুত রাখা হয়েছে নগদ ৮ লাখ ২২ হাজার ৫০০ 
টাকা, ৪০০ টন চাল, ১৪৬ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহ মঞ্জুরি বাবদ ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এ ছাড়াও ওষুধ, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও মজুত রাখা হয়েছে। 

পায়রা বন্দরের নৌযান প্রস্তুত 
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে দুর্গম এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র সরিয়ে নিতে পায়রা বন্দরের নৌযানগুলো সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করবে। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাতেও বন্দরের নৌযান, জনবলসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি

রংপুর প্রতিনিধি
অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি
অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি

রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর হিমাগারের নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন। ডাকাতেরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন এবং সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো অফিস কক্ষের ড্রয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। মেঝেতে কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ভাঙা সিন্দুকটি মেঝেতে পড়ে আছে। সেখানে বাঁশের লাঠি ও লোহার পাইপ দেখা যায়।

হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতেরা হিমাগারের পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায়। ডাকাতদের দিকে তাকানোয় আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর প্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিস কক্ষ নিয়ে আসে ডাকাতেরা। সেখানে সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের মুখ মাংকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।’

এন এন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে জানায় হিমাগারে ডাকাত পড়েছে। খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে ওসি সাহেবও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন।’

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই, জনতার হাতে আটক ২

নীলফামারী প্রতিনিধি
আটক দুজন। ছবি: সংগৃহীত
আটক দুজন। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস।

আটক দুজন হলেন নীলফামারী সদরের কিশামত পঞ্চপুকুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হেদায়াতুল্লাহ সুজন (৩২) এবং একই উপজেলার বেড়াডাঙ্গা ব্রমোতর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে নুর আলম (২৮)।

পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গতকাল বিকেলে পুটিমারীর চৌধুরীবাজার থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন তোহা ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ সময় দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন রাস্তায় তাঁকে পাঁচ-ছয় ব্যক্তি নিজেদের ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে দেহ তল্লাশি করেন। এতে বাধা দিলে তোহাকে তাঁরা মারধর শুরু করেন এবং পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা বের করে নেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ডিবি পরিচয়দানকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী এ সময় দুজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় তোহা ইসলামের ভাই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করেন। দুপুরে ওই মামলায় পুলিশ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য ডাকাতিয়ার পাড়ে অধিগ্রহণ হচ্ছে ৩০ একর জমি

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ করতে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন সহকারী প্রকল্প পরিচালকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ করতে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন সহকারী প্রকল্প পরিচালকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্ব দিকে দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের জমিগুলোর শ্রেণি সঠিক আছে কি না তা পরিদর্শন করা হয়।

এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল সিদ্দিক, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে প্রস্তাবিত জমি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে প্রস্তাবিত জমি। ছবি: আজকের পত্রিকা

একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য এর আগেও জমির শ্রেণি সঠিক আছে কি না, তা দেখা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে এখন আবার অধিকতর যাচাই করা হলো। কারণ, এর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত। যাচাই শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর প্রাক্কলন তৈরি করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে এবং আমরা দুটি মৌজায় মেডিকেলের জন্য এখানে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করব।’

সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২০১৮ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ইতিমধ্যে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়েছেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে বর্তমানে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে জেলা ও আশপাশে অনেক রোগী সেবা নিতে পাচ্ছেন।’

হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে শ্রেণি যাচাই-বাছাই কাজের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নকাজ এগিয়ে চলছে। মেডিকেলের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হলে শিক্ষার্থীদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তৃতীয় দিনের মতো রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

রাবি প্রতিনিধি  
বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণেরও দাবি জানান।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১টার দিকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সমাবেশে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভাগের সভাপতিকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি আমাদের দাবি মেনে নেননি এবং আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলেননি। তিনি আমাদের প্রতি অসহযোগিতা করেছেন।’

বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাইসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা পিএসসিতে চিঠি পাঠানোর জন্য একটি আবেদনপত্র প্রস্তুত করে স্বাক্ষর নিতে গেলে বিভাগের সভাপতি তাতে স্বাক্ষর করেননি। তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকৃতি জানান। এ কারণে আমরা বর্তমান সভাপতির অপসারণ চাই।’

এ বিষয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

এর আগে গত মঙ্গলবার তিন দফা দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের তিন দফা দাবিগুলো হলো–বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করা এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার সংযোজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত