গুলি

কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভারে গুলিবিদ্ধ হয়ে গত ২০ জুলাই নিহত হন রিকশাচালক রনি প্রামাণিক (৩০)। পরদিন তাঁর মরদেহ বগুড়ার শিবগঞ্জের পঞ্চদাশ গ্রামে দাফন করা হয়। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন রনির মৃত্যুতে এখন অথৈ সাগরে ভাসছে পুরো পরিবার। ঘটনার সপ্তাহ পেরোলেও থামেনি স্বজনদের শোক-আহাজারি। 

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপোর্ট স্টাফ আবদুল্লাহ আল আবির (২৩) কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। গত ১৯ জুলাই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দিনভর সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যায় গুলিতে পেটের ভেতরটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে অস্ত্র

আয়েশা আক্তার (২৯), গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নির্বাক। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিতে মারা যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. টিটু হাওলাদারের (৩৬) স্ত্রী তিনি। স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই শোকে পাথর আয়েশা। মুখে কোনো খাবার নিচ্ছেন না ঠিকমতো। মায়ের মতোই শোকে মুষড়ে গেছে ১০ বছরে

আহাদের চাচা মোখলেছুর বলেন, ‘আহাদকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। অপারেশন করার মতোও অবস্থা ছিল না। কারণ, লাইফ সাপোর্ট থেকে সরালেই মারা যেতে পারে। এভাবেই চিকিৎসা চলে। কিন্তু পরদিন রাত আটটার দিকে চিকিৎসক জানায় আহাদ মারা গেছে।’

বাবা–মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখা

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৭ মামলায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আন্দোলনে পুলিশের সামনে অস্ত্র ব্যবহার করা আট অস্ত্রধারীর কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এক শ্রমিক ও পাঁচ ছাত্র

মিনহাজুল ইসলামের (১৭) বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার উত্তর রামশালা গ্রামে। গাজীপুরের বড়বাড়ীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করত সে। থাকত খালার বাসায়। গত কোরবানির ঈদের ছুটিতে মিনহাজ বাড়ি এসে অসুস্থ মাকে খালার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার মায়ের চিকিৎসা চলছিল। গত ২০ জুলাই কারফিউ চলাকালে বন্ধুদের আমন্ত্রণে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতার ঘটনায় চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীসহ আরও দুজন মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ ডালিম (২০) ও বৃহস্পতিবার 

বাবা কাঠমিস্ত্রি। মা হার্টের রোগী হয়েও বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। নিজেদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের টাকায় এ দম্পতি মানুষ করতে চেয়েছিলেন একমাত্র ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়াকে। ছেলেও চেয়েছিলেন একদিন মা-বাবার সব কষ্ট দূর করবেন। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাবেন। ফোন করলেই তাঁদের সেই স্ব

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিক্ষোভ দমাতে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার কথা স্বীকার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)। তবে বাহিনীটির দাবি—তাঁরা হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি চালানো বা আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করেনি

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে রুমা সদর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বগা লেকের উত্তর দিকে অবস্থিত সাইকতপাড়ার পাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকার পাঁচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাঁচজন মারা গেছেন। এই পাঁচজনই গুলিবিদ্ধ ছিলেন। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও এক প্রকৌশলী রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এ পাঁচজন মারা যান। 

চোখে গুলির আঘাত নিয়ে গত শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন মো. অনিক। ২৪ বছরের এই যুবক এখন দুই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। ভবিষ্যতে দেখবেন কি না, সেই আশাও দেখাতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তবে তাঁর চিকিৎসা এখনো চলছে।

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর তিন অস্ত্রধারীকে গুলি করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে দুজন রিভলবার দিয়ে বাকিজন শটগান ব্যবহার করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজন মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আনার পর মৃত্যু হয়। তাঁদের মাথায় গুলি লেগেছে। 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় কোটা আন্দোলনে শটগানের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পথচারীরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলায় ওসিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এ সময় ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটাসহ তিনটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নাগরপুর সরকারি কলেজ গেটের সামনে এই সংঘর্ষ হয়।