কয়েক ছত্র

প্রায় ৪০ বছর বিদেশে কর্মজীবন আমার। তা-ও হাইটেকনোলজির সঙ্গে জড়িত থেকে, একজন ইন্ডাস্ট্রি প্রোভাইডার এবং পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি, দিকনির্দেশনা দিয়েছি।

আমাদের কবি নির্মলেন্দু গুণ একটি কবিতায় লিখেছেন ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা/যুদ্ধ মানে আমার প্রতি/তোমার অবহেলা।’ তিনি ঠিকই বলেছেন, যুদ্ধ মানে মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা, হত্যা, ধ্বংস।

প্রৌঢ়দের নিয়ে এক বিশাল সংকটের সময় যাচ্ছে আমাদের সামাজিক জীবনে। প্রয়োজন আর মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব। মানবিক বোধ সেখানে অসহায়। যে অসহায়ত্বে হাবুডুবু খাচ্ছে আমাদের বৈচিত্র্যময় বিত্তের সমাজ।

এখন ট্রাফিক পুলিশ আমাদের শরীরে দুটি আঘাত করে, বড়লোক যারা গাড়ি চালায়, তারা আইন অমান্য করলে ৫০০ টাকা জরিমানা করে। আমার শরীরে দুটি আঘাতে কিছু আসে যায় না, আমরা অভ্যস্ত। বড়লোক, যার গাড়ি আছে, তার ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে কোনো কষ্ট হয় না, সে ওটায় অভ্যস্ত। আমাদের রাস্তায় এই অভ্যস্ত কাজ অব্যাহত থাকার দরুন, রাস্

এক পরিচিতজন বলেছিলেন, ‘কাছেই একটা জায়গা আছে, সেখানে এক বাড়ির ওপরে দুই দেশের সীমানা, যাবেন দেখতে?’ এ কথা শোনামাত্র শুধু বিস্ময়ের সঙ্গে তাঁর মুখের দিকে তাকাইনি, সঙ্গে ভেবে নিয়েছিলাম, এমন সৃষ্টিছাড়া র‍্যাডক্লিফি-কাণ্ডের কথা শুনেছি, কিন্তু তা দেখার সুযোগ এভাবে আসবে!

আমরা একটা ক্রান্তিকালে আছি! আরও স্পষ্টভাবে বললে, আমরা একটা মনোসামাজিক ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব পার করছি। কি হচ্ছে? আমাদের মস্তিষ্কের ধূসর কোষে কোষে এখনো এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক, মনোসামাজিক, আধ্যাত্মিক, ধর্মীয় ইত্যাদি মূল্যবোধ কাজ করে, যা আমাদের বেড়ে ওঠার ধাপে ধাপে মগজের খাঁজে খাঁজে

ওয়েস্টার্ন ইউরোপ থেকে মারাত্মক প্রাণঘাতী ও সাংঘাতিক ধ্বংসলীলা করতে পারে—এমন সব অস্ত্র ইউক্রেনে সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সব অস্ত্র এখন অবলীলায় চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে। অতি অল্প দামে এসব অস্ত্র কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমগুলো দিচ্ছে এমনই খবর।

সম্প্রতি ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম। গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের মলিন মুখ ও হতাশাগ্রস্ত চেহারা দেখে ভীষণভাবে পীড়িত বোধ করলাম। দরিদ্র পরিবারগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। পরিবারে চার বা পাঁচটি পুত্রসন্তান থাকলেও তারা কেউই বৃদ্ধ মা-বাবার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে রাজি নয়। ফলে এসব পরিবারের বয়োবৃদ্ধ মান

সিলেটের পশ্চিমের জেলা সুনামগঞ্জের অনেক জায়গা তখনো পানির নিচে। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে। সে ছবি দেখলে সিলেট শহরের বাসিন্দাদেরও জীবন খানিক স্থবির হয়। এর কারণ এই শহরের অন্তত ৩০ ভাগ লোকের স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জ। সেখানে প্রত্যেকেরই বাড়িঘর তলিয়েছে। সেই দুর্দশায় এখানকার মহানাগরিক জীবন খানিকটা অচল।

করোনার করাঘাতের সময় ছাপা পত্রিকার জগতে তৈরি হলো এক টালমাটাল অবস্থা। ছাপা পত্রিকা বন্ধ। কয়েকটি পত্রিকা গোপনে-প্রকাশ্যে শুরু করে কর্মী ছাঁটাই। কেউ কেউ ছেড়ে গেছেন পুরোনো কর্মস্থল।

বর্তমান বিশ্বে যে সমস্যাগুলো মানুষের সৃষ্টি তার অবসান সমাধানের মধ্য দিয়ে শেষ হলেও এর ধারাবাহিকতা নতুন সমস্যার বীজ বপন করে চলছে। যুদ্ধের অবসান এক প্রান্তে হলেও শুরু হচ্ছে অন্য প্রান্তে।

নতুন শিক্ষাক্রম-২০২২ নিয়ে কিছু লিখতে মন চাইছে। তবে তার আগে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার না করলে সেই লেখা যেমন পূর্ণতা পাবে না, তেমনি সবার বোধগম্যও হবে না। বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। পৃথিবীর সব দেশেই বিজ্ঞানপড়ুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। ব্যতিক্রম শুধু আমাদের দেশে।

এই ভরা মৌসুমে চালের দাম কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। চালে তো আমরা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঘাটতি হলেও তো তা আগামী ফসল ওঠার কাছাকাছি সময়ে হবে। কিন্তু এখনই কেন মূল্য বৃদ্ধি? তবে কি বিশ্ববাজারের অস্থিরতা দেখে এখনই মজুতদারদের কারসাজি শুরু হয়ে গেছে?

অফিসে যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছিল। তবু পা টিপে টিপে রাস্তাটা পার হচ্ছিলাম। নিমতলীর ম্যানহোলটা দিয়ে প্রায়ই ময়লা পানি উপচে আসে। বাসার সামনে থেকে সহজে রিকশা পাওয়া যায় না বলে সংক্ষিপ্ত রাস্তাটা ব্যবহার করতে হয় প্রধান সড়কে যাওয়ার জন্য। যা-ই হোক, বিছানো ইটের ওপর পা ফেলে ফেলে চলতে হচ্ছিল। হঠাৎ পেছন থেকে এসে সাত-

প্রস্তুতি না নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ পরীক্ষাভীতি—ফেল করার আশঙ্কা। ভয়কে জয় করতে যুগ যুগ ধরে ‘সৃজনশীল পরীক্ষার্থীরা’ আশ্রয় নিয়েছেন অভিনব সব কৌশলের

২০ মে ছিল চুকনগর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। কত মানুষকে সেদিন চুকনগরে ভদ্রা নদীর আশপাশে হত্যা করা হয়েছিল, তার সঠিক পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই। তবে ধারণা করা হয়,

কচা নদীতে ফেরির ওপরে থাকলে ঠিক বোঝা যায় না এই ব্রিজটা কত উঁচু! কিন্তু নদীর পুব অথবা পশ্চিম যেকোনো তীরে দাঁড়ালেই বোঝা যায় এর উচ্চতা। তবে পশ্চিম তীরে ফেরিঘাট থেকে ব্রিজটা অনেকটাই দক্ষিণে নির্মিত হচ্ছে, তাই সেদিকে তাকিয়েও উচ্চতাটা ঠিক বোঝা যায় না। কিন্তু ব্রিজটা পুব পাড়ে ফেরিঘাটের বেশ কাছেই। এই পাড়ে ফে