দিলওয়ার হোসেন
আমাদের কবি নির্মলেন্দু গুণ একটি কবিতায় লিখেছেন ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা/যুদ্ধ মানে আমার প্রতি/তোমার অবহেলা।’ তিনি ঠিকই বলেছেন, যুদ্ধ মানে মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা, হত্যা, ধ্বংস। যুদ্ধ মানুষের মনের গভীরে অন্যের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে। যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ক্ষতি সত্যের তিরোধান, মিথ্যার উপস্থিতি। এতে মানুষের মগজে, হৃদয়ে, কোষে কোষে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তাতে মানুষের বিবেক হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় লাখ লাখ বছরের বিবর্তন ধারায় সৃষ্টি মানুষের মনের ভেতর গড়ে ওঠে ভালোবাসা, সাধুতা, স্বচ্ছতা। যেই মানুষ একদিন একে অপরের প্রতি সহানুভূতি, সহমর্মিতা প্রকাশ করত, তারা এখন পরস্পরকে ঘৃণা করে।
যুদ্ধ অতীতেও হয়েছে। সেই যুদ্ধ আর এখনকার যুদ্ধ এক নয়—বিরাট পার্থক্য। তখন রাজায় রাজায় যুদ্ধ হতো, তাতে সাধারণ-মানুষের ভ্রুক্ষেপ ছিল না। ১৯৫৭ সালে যখন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও রবার্ট ক্লাইভের সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়, তখন পাশেই খেতখামারে কৃষকেরা কাজ করেছেন। এখন যুদ্ধে যেসব যুদ্ধাস্ত্র, গোলাবারুদ ব্যবহৃত হয়, তাতে সংঘটিত হয় অসংখ্য মৃত্যু, ধ্বংস, বাস্তুচ্যুতি। সারা পৃথিবীতে নেমে আসে অর্থনৈতিক বিপর্যয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয় চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে এই যুদ্ধ পাঁচ মাস অতিক্রম করে ছয় মাসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের সামান্য লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। কে এই যুদ্ধে জিতবে, তা কেউ বলতে পারবে না। তবে কেন এই যুদ্ধ? এ যুদ্ধের কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। পূর্বাপর ঘটনা পর্যালোচনা করলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয় যে, এটা আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের অতি লোভের ফল। আমেরিকা পৃথিবীর সর্বত্র তার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর পুঁজিবাদী আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব ইউরোপে তার মিত্র সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিয়ে গঠন করেছিল ‘ওয়ারশ’ নামের সামরিক জোট। তার পাল্টা শক্তি দাঁড় করানোর জন্য আমেরিকা পশ্চিম ইউরোপে তার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে গঠন করেছিল ন্যাটো (নর্থ আমেরিকা ট্রিটি)। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর সমাজতান্ত্রিক পথ পরিত্যাগ করলে ‘ওয়ারশ’ জোট বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো রাখারও কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কিন্তু আমেরিকা ন্যাটো বিলোপ তো দূরের কথা, ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী এবং সম্প্রসারিত করতে থাকে। এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক, সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলোপের পর রাশিয়া বিরাট অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। কালক্রমে রাশিয়া সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে আবার দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়াতে শুরু করে।
রাশিয়ার আছে বিপুল জ্বালানি শক্তি—তেল, গ্যাস, কয়লা। এ ছাড়া আছে তামা, লোহা, নিকেল, দস্তা, সোনাসহ বহুবিধ খনিজ সম্পদ। তেল রপ্তানিতে রাশিয়ার অবস্থান পৃথিবীতে দ্বিতীয়। কয়লা ও গ্যাস রপ্তানিতে দেশটি প্রথম স্থানে। এ ছাড়া খাদ্যশস্য, যেমন গম, ভুট্টা, যব রপ্তানিতে রাশিয়া এক নম্বরে অবস্থান করে। এখন রাশিয়াকে পরাস্ত করা আমেরিকার পক্ষে সহজ নয়।
১৯১৪ সাল থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় রুশ ভাষাভাষীদের প্রাধান্য। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেখানকার রুশ ভাষাভাষীদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিপীড়ন চালায়। রাশিয়া ক্রিমিয়ার পক্ষ নিয়ে ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছে। আমেরিকা জেলেনস্কিকে উসকাতে থাকে। অর্থ-অস্ত্র দিয়ে তাকেও ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে। এরই ফলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাধে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
যুদ্ধের পর আমেরিকা ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা রকম নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ দিতে থাকে, রাশিয়া ও ইউরোপে জ্বালানি রপ্তানি ব্যাপকভাবে হ্রাস করে। এমনকি খাদ্যশস্য রপ্তানিতেও সৃষ্টি হয় বিপর্যয়। এতে সারা পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় অর্থনৈতিক তোলপাড়। বেড়ে যায় খাদ্যদ্রব্যের দাম। বৃদ্ধি পায় মূল্যস্ফীতি। গরিব মানুষের জীবনে নেমে আসে বিভীষিকা।
এই যুদ্ধে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। গোলাবারুদ বিনষ্ট করেছে পৃথিবীর পরিবেশ। এই যুদ্ধ এখন পরিণত হয়েছে টিকে থাকার লড়াইয়ে। যুদ্ধ খুব শিগগির থামার সম্ভাবনা নেই। এর প্রভাব সুদূর বিস্তৃত। এ লড়াইয়ে কেউ জয়ী হবে না। হেরে যাবে পৃথিবী।
লেখক: সাংবাদিক
আমাদের কবি নির্মলেন্দু গুণ একটি কবিতায় লিখেছেন ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা/যুদ্ধ মানে আমার প্রতি/তোমার অবহেলা।’ তিনি ঠিকই বলেছেন, যুদ্ধ মানে মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা, হত্যা, ধ্বংস। যুদ্ধ মানুষের মনের গভীরে অন্যের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে। যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ক্ষতি সত্যের তিরোধান, মিথ্যার উপস্থিতি। এতে মানুষের মগজে, হৃদয়ে, কোষে কোষে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তাতে মানুষের বিবেক হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় লাখ লাখ বছরের বিবর্তন ধারায় সৃষ্টি মানুষের মনের ভেতর গড়ে ওঠে ভালোবাসা, সাধুতা, স্বচ্ছতা। যেই মানুষ একদিন একে অপরের প্রতি সহানুভূতি, সহমর্মিতা প্রকাশ করত, তারা এখন পরস্পরকে ঘৃণা করে।
যুদ্ধ অতীতেও হয়েছে। সেই যুদ্ধ আর এখনকার যুদ্ধ এক নয়—বিরাট পার্থক্য। তখন রাজায় রাজায় যুদ্ধ হতো, তাতে সাধারণ-মানুষের ভ্রুক্ষেপ ছিল না। ১৯৫৭ সালে যখন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও রবার্ট ক্লাইভের সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়, তখন পাশেই খেতখামারে কৃষকেরা কাজ করেছেন। এখন যুদ্ধে যেসব যুদ্ধাস্ত্র, গোলাবারুদ ব্যবহৃত হয়, তাতে সংঘটিত হয় অসংখ্য মৃত্যু, ধ্বংস, বাস্তুচ্যুতি। সারা পৃথিবীতে নেমে আসে অর্থনৈতিক বিপর্যয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয় চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে এই যুদ্ধ পাঁচ মাস অতিক্রম করে ছয় মাসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের সামান্য লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। কে এই যুদ্ধে জিতবে, তা কেউ বলতে পারবে না। তবে কেন এই যুদ্ধ? এ যুদ্ধের কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। পূর্বাপর ঘটনা পর্যালোচনা করলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয় যে, এটা আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের অতি লোভের ফল। আমেরিকা পৃথিবীর সর্বত্র তার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর পুঁজিবাদী আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব ইউরোপে তার মিত্র সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিয়ে গঠন করেছিল ‘ওয়ারশ’ নামের সামরিক জোট। তার পাল্টা শক্তি দাঁড় করানোর জন্য আমেরিকা পশ্চিম ইউরোপে তার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে গঠন করেছিল ন্যাটো (নর্থ আমেরিকা ট্রিটি)। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর সমাজতান্ত্রিক পথ পরিত্যাগ করলে ‘ওয়ারশ’ জোট বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো রাখারও কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কিন্তু আমেরিকা ন্যাটো বিলোপ তো দূরের কথা, ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী এবং সম্প্রসারিত করতে থাকে। এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক, সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলোপের পর রাশিয়া বিরাট অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। কালক্রমে রাশিয়া সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে আবার দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়াতে শুরু করে।
রাশিয়ার আছে বিপুল জ্বালানি শক্তি—তেল, গ্যাস, কয়লা। এ ছাড়া আছে তামা, লোহা, নিকেল, দস্তা, সোনাসহ বহুবিধ খনিজ সম্পদ। তেল রপ্তানিতে রাশিয়ার অবস্থান পৃথিবীতে দ্বিতীয়। কয়লা ও গ্যাস রপ্তানিতে দেশটি প্রথম স্থানে। এ ছাড়া খাদ্যশস্য, যেমন গম, ভুট্টা, যব রপ্তানিতে রাশিয়া এক নম্বরে অবস্থান করে। এখন রাশিয়াকে পরাস্ত করা আমেরিকার পক্ষে সহজ নয়।
১৯১৪ সাল থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় রুশ ভাষাভাষীদের প্রাধান্য। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেখানকার রুশ ভাষাভাষীদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিপীড়ন চালায়। রাশিয়া ক্রিমিয়ার পক্ষ নিয়ে ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছে। আমেরিকা জেলেনস্কিকে উসকাতে থাকে। অর্থ-অস্ত্র দিয়ে তাকেও ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে। এরই ফলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাধে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
যুদ্ধের পর আমেরিকা ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা রকম নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ দিতে থাকে, রাশিয়া ও ইউরোপে জ্বালানি রপ্তানি ব্যাপকভাবে হ্রাস করে। এমনকি খাদ্যশস্য রপ্তানিতেও সৃষ্টি হয় বিপর্যয়। এতে সারা পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় অর্থনৈতিক তোলপাড়। বেড়ে যায় খাদ্যদ্রব্যের দাম। বৃদ্ধি পায় মূল্যস্ফীতি। গরিব মানুষের জীবনে নেমে আসে বিভীষিকা।
এই যুদ্ধে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। গোলাবারুদ বিনষ্ট করেছে পৃথিবীর পরিবেশ। এই যুদ্ধ এখন পরিণত হয়েছে টিকে থাকার লড়াইয়ে। যুদ্ধ খুব শিগগির থামার সম্ভাবনা নেই। এর প্রভাব সুদূর বিস্তৃত। এ লড়াইয়ে কেউ জয়ী হবে না। হেরে যাবে পৃথিবী।
লেখক: সাংবাদিক
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫