ঈদযাত্রা

ঈদের আগের তিন দিনের ছুটিতে ঘরমুখী মানুষের ভিড়ে আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ব্যক্তিগত, যাত্রীবাহী ও মালামাল পরিবহনের যানবাহন চলাচল বেড়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়ায় নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য পৌঁছানো যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। ঢাকা থেকে কুমিল্লা প

শ্রীমঙ্গলগামী যাত্রী সবিনয় ব্যানার্জি বলেন, ‘এবার ঈদে টিকিট পেতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। ঈদের কয়েক দিন আগে যাওয়ার কারণেই হয়তো এই সুবিধা পাচ্ছি। ভাড়াও আগেরটাই রাখছে। ঈদের আগে কোনো ঝক্কিঝামেলা 

জামালপুরের তারাকান্দি অভিমুখী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের যাত্রী হাসান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তির মনে হচ্ছে। অনলাইনে টিকিট কিনেছি। তিনবার চেক হয়েছে টিকিট।’ হাসান আলী জানালেন, টানা ছুটি পাওয়ায় আগেভাগে আজই পরিবারসহ 

স্বজনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় চারটি ঘাট এবং আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে দুটি ঘাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১

ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অগ্রিম টিকিটের যাত্রায় সব ট্রেনই প্রায় সময়মতো কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে। তবে যাত্রীরা বলছেন, প্রতিটি ট্রেনই ১০ থেকে ২০ মিনিট বিলম্বে ছাড়ছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি স্বাভাবিক

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঈদযাত্রা কিছুটা শুরু হবে। কাল পরশু থেকে আরও বাড়বে। ৬,৭ ও ৮ এপ্রিল ঈদযাত্রায় ব্যাপকভাবে ঘরমুখো মানুষ দেখতে পাব। সেই ক্ষেত্রে মনে করি, মহাসড়ক প্রস্তুত আছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সার্বিকভাবে নেওয়া হয়

ঈদযাত্রার প্রথমদিনে আজ বুধবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সবগুলো ট্রেন নির্ধারিত সময়ের আশপাশেই ছেড়ে গেছে। স্টেশনে যাত্রীদের স্বাভাবিক ভীড় রয়েছে। 

ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৯টি এলাকায় যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে পারে যাত্রীরা। এখানে বড় বড় কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কনটেইনার ডিপোর গাড়ি মহাসড়ক দখল করে পার্ক করে রাখা হয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম মিন উল্লাহ নূরী বলেছেন, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকেই ফিটনেস বিহীন গাড়ি মহাসড়কে উঠলেই আটক করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ডাম্পিং স্টেশনে। যেখানে ফিটনেসবিহীন গাড়িটি আটক হবে সেখানেই যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হবে। 

ঈদযাত্রার শেষ দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে পূর্বাঞ্চলের টিকিটের জন্য চাহিদা ছিল তুঙ্গে। বেলা ২টার পর অনলাইনে টিকিট উন্মুক্ত হলে মাত্রা আধা ঘণ্টায় ১ কোটি ৭৬ লাখ হিট হয় সার্ভারে। রেলসেবা অ্যাপ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সহজ ডটকমের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে, যা আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এবং বিশ্বরোড থেকে ধরখার পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে পড়েছে। এই কাজের জন্য প্রতিদিনই ভয়াবহ যানজট হচ্ছে। এ কারণে এবার ঈদযাত্রা ব

ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের চাহিদা এখন তুঙ্গে। সহজের সাইটে একটি টিকিটের বিপরীতে ৫০০ থেকে ৮০০টি হিট পড়ছে। আর সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট উন্মুক্ত হলে প্রথম এক ঘণ্টায় সার্ভারে প্রতি মিনিটে গড়ে ৫০ হাজার টিকিটপ্রত্যাশী সক্রিয় থাকছে। 

ঈদযাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহন বা ট্রেনে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

ঈদযাত্রায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বরাবরই ভোগান্তির কারণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে যাত্রী ও চালকদের নাজেহাল হতে হয়। অবশ্য এত দিন যে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে রেখেছিল, সেটাই এবার কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তারপরও সরু রাস্তা, অবৈধ বাসস্ট্যান্ড, বাজার ও অটোস্ট্যান্ড পথে

ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গত বছর ঈদযাত্রায় যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এবারও তেমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে কাঁচপুর সেতু এবং মেঘনা সেতুতে যানবাহনের ধীরগতি যানজটের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও পুলিশ ও সড়ক বিভাগ ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

ঈদযাত্রায় রাজধানী ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথের যানজটও হতে পারে বাড়িমুখী মানুষের ভোগান্তির বড় কারণ। সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-দোলাইরপাড়, গুলিস্তান, বাবুবাজার, বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী, টেকনিক্যাল থেকে গাবতলীর যানজট বাড়ি ফেরার শুরুতেই মানুষকে দুর্ভোগে ফেলার আশঙ্কা তৈরি করেছে। আবার রাজধানীর সব প্রবেশমুখের যানজটও ব