সুপ্রিয় সিকদার, ঢাকা
ইঞ্জিন চালানোর জন্য যেমন তেলের প্রয়োজন হয়, তেমনি ইঞ্জিনের ভেতরের ছোট ছোট পার্টসকে সচল রাখতে ব্যবহার করা হয় ইঞ্জিন ওয়েল। তবে এই ইঞ্জিন ওয়েল আমাদের দেশে মবিল নামেই বেশি পরিচিত। কেউ কেউ আবার এটিকে ইঞ্জিন লুব্রিকেন্টসও বলে থাকে। মূলত মবিল একটি ব্র্যান্ডের নাম। এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন ওয়েল দেশে বহুল প্রচলিত হওয়ার কারণেই ইঞ্জিন ওয়েল মবিল নামে কিছুটা পরিচিত।
ইঞ্জিন ওয়েল কী
ইঞ্জিন ওয়েল মূলত এক ধরনের তরল লুব্রিকেন্ট, যা ইঞ্জিনের ভেতরের বিভিন্ন ছোট ছোট পার্টসকে চলতে সহায়তা করে। ইঞ্জিন যখন চলে, তখন এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মধ্যে অতিমাত্রায় ঘর্ষণ হয়। ঘর্ষণের ফলে ইঞ্জিনের পার্টসগুলো ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ক্ষয় রোধের জন্যই ব্যবহার করা হয় ইঞ্জিন ওয়েল। পাশাপাশি ইঞ্জিনকে বিভিন্ন অক্সিডেশন এবং ক্ষতিকর পার্টিকেল বা রাসায়নিক কণার হাত থেকে রক্ষা করে। বাইকের ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে। ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতাও অনেকটা নির্ভর করে ইঞ্জিন ওয়েলের ওপর। সে জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করতে হয়।
ইঞ্জিন ওয়েলের প্রকারভেদ
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানিভেদে নানা ধরন ও গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল পাওয়া যায়।
মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল
খনিজ থেকে প্রাপ্ত পেট্রোলিয়াম তেল পরিশোধন করে এই ইঞ্জিন ওয়েল পাওয়া যায়। ভূ-গর্ভ থেকে যে তেল আমরা পাই, সেটিই মূলত মিনারেল ওয়েল। পরিশোধনের সময় এই তেল থেকে ক্ষতিকর হাইড্রোকার্বন সরিয়ে ফেলা হয়। সাধারণত মোটরসাইকেল কোম্পানিগুলো মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহারের পরামর্শই দিয়ে থাকে। তবে এর ব্যবহারে ইঞ্জিনের জ্বালানি চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়।
সিনথেটিক ওয়েল
পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি তেল এটি। অন্য যৌগ থেকে (সিনথেসিস প্রক্রিয়া) বিক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের তেল তৈরি করা হয় বলে এই তেলকে সিনথেটিক তেল বলে। এই ইঞ্জিন ওয়েল ইঞ্জিনের শক্তি বাড়ায়, পাশাপাশি অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা যায়।
সেমি-সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল
মিনারেল ও সিনথেটিক ওয়েলের মিশ্রণকে সেমি-সিনথেটিক ওয়েল বলে।
মোটরসাইকেল ইঞ্জিন ওয়েল বিভিন্ন গ্রেডের হয়ে থাকে। যেমন 5 W-40,10 W-40, 10 W-30,20 W-50 ইত্যাদি। তবে মোটরসাইকেল কোম্পানির নির্দিষ্ট করে দেওয়া গ্রেড অনুযায়ী ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। আপনার মোটরসাইকেলের ভালো পারফরম্যান্স অনেকটাই নির্ভর করে এই গ্রেডের ওপর। আপনি যদি অন্য কোনো গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করেন, তাহলেও মোটরসাইকেল চলবে। তবে সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হবে। পাশাপাশি ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
বাজারে Shell, Mobil, Motul, Castrol, Total, Liqui Moly -সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন ওয়েল পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে আপনার ইঞ্জিনের জন্য নির্ধারিত গ্রেড মিলিয়ে যেকোনো ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন ওয়েল কিনতে পারেন। তবে যে কোম্পানির ইঞ্জিন ওয়েলই ব্যবহার করেন না কেন, সব সময় চেষ্টা করবেন একই ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করার। এখন বিভিন্ন মোটরসাইকেল কোম্পানি তাদের নিজেদের নামেই ইঞ্জিন ওয়েল বাজারজাত শুরু করেছে।
সাধারণত মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েলের দাম কম। চলেও অল্প সময়। ৮০০-১০০০ কিলোমিটারের মধ্যে মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল পাল্টে ফেলা ভালো। সেমি-সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েলের দাম মিনারেলের চেয়ে কিছুটা বেশি, চলেও মিনারেলের চেয়ে বেশি কিলোমিটার। আর সবচেয়ে দামি সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল। এই ইঞ্জিন ওয়েল দিয়ে অনেক বেশি কিলোমিটার মোটরসাইকেল চালানো যায়। তবে কখনোই মিনারেলের সঙ্গে সিনথেটিক অথবা সেমি-সিনথেটিক ওয়েল মেশাবেন না। নিয়ম মেনে ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ওয়েল ফিল্টার থাকে। সেটিও পরিবর্তন করে ফেলা ভালো।
ইঞ্জিন চালানোর জন্য যেমন তেলের প্রয়োজন হয়, তেমনি ইঞ্জিনের ভেতরের ছোট ছোট পার্টসকে সচল রাখতে ব্যবহার করা হয় ইঞ্জিন ওয়েল। তবে এই ইঞ্জিন ওয়েল আমাদের দেশে মবিল নামেই বেশি পরিচিত। কেউ কেউ আবার এটিকে ইঞ্জিন লুব্রিকেন্টসও বলে থাকে। মূলত মবিল একটি ব্র্যান্ডের নাম। এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন ওয়েল দেশে বহুল প্রচলিত হওয়ার কারণেই ইঞ্জিন ওয়েল মবিল নামে কিছুটা পরিচিত।
ইঞ্জিন ওয়েল কী
ইঞ্জিন ওয়েল মূলত এক ধরনের তরল লুব্রিকেন্ট, যা ইঞ্জিনের ভেতরের বিভিন্ন ছোট ছোট পার্টসকে চলতে সহায়তা করে। ইঞ্জিন যখন চলে, তখন এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মধ্যে অতিমাত্রায় ঘর্ষণ হয়। ঘর্ষণের ফলে ইঞ্জিনের পার্টসগুলো ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ক্ষয় রোধের জন্যই ব্যবহার করা হয় ইঞ্জিন ওয়েল। পাশাপাশি ইঞ্জিনকে বিভিন্ন অক্সিডেশন এবং ক্ষতিকর পার্টিকেল বা রাসায়নিক কণার হাত থেকে রক্ষা করে। বাইকের ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে। ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতাও অনেকটা নির্ভর করে ইঞ্জিন ওয়েলের ওপর। সে জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করতে হয়।
ইঞ্জিন ওয়েলের প্রকারভেদ
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানিভেদে নানা ধরন ও গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল পাওয়া যায়।
মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল
খনিজ থেকে প্রাপ্ত পেট্রোলিয়াম তেল পরিশোধন করে এই ইঞ্জিন ওয়েল পাওয়া যায়। ভূ-গর্ভ থেকে যে তেল আমরা পাই, সেটিই মূলত মিনারেল ওয়েল। পরিশোধনের সময় এই তেল থেকে ক্ষতিকর হাইড্রোকার্বন সরিয়ে ফেলা হয়। সাধারণত মোটরসাইকেল কোম্পানিগুলো মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহারের পরামর্শই দিয়ে থাকে। তবে এর ব্যবহারে ইঞ্জিনের জ্বালানি চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়।
সিনথেটিক ওয়েল
পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি তেল এটি। অন্য যৌগ থেকে (সিনথেসিস প্রক্রিয়া) বিক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের তেল তৈরি করা হয় বলে এই তেলকে সিনথেটিক তেল বলে। এই ইঞ্জিন ওয়েল ইঞ্জিনের শক্তি বাড়ায়, পাশাপাশি অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা যায়।
সেমি-সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল
মিনারেল ও সিনথেটিক ওয়েলের মিশ্রণকে সেমি-সিনথেটিক ওয়েল বলে।
মোটরসাইকেল ইঞ্জিন ওয়েল বিভিন্ন গ্রেডের হয়ে থাকে। যেমন 5 W-40,10 W-40, 10 W-30,20 W-50 ইত্যাদি। তবে মোটরসাইকেল কোম্পানির নির্দিষ্ট করে দেওয়া গ্রেড অনুযায়ী ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। আপনার মোটরসাইকেলের ভালো পারফরম্যান্স অনেকটাই নির্ভর করে এই গ্রেডের ওপর। আপনি যদি অন্য কোনো গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করেন, তাহলেও মোটরসাইকেল চলবে। তবে সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হবে। পাশাপাশি ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
বাজারে Shell, Mobil, Motul, Castrol, Total, Liqui Moly -সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন ওয়েল পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে আপনার ইঞ্জিনের জন্য নির্ধারিত গ্রেড মিলিয়ে যেকোনো ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন ওয়েল কিনতে পারেন। তবে যে কোম্পানির ইঞ্জিন ওয়েলই ব্যবহার করেন না কেন, সব সময় চেষ্টা করবেন একই ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করার। এখন বিভিন্ন মোটরসাইকেল কোম্পানি তাদের নিজেদের নামেই ইঞ্জিন ওয়েল বাজারজাত শুরু করেছে।
সাধারণত মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েলের দাম কম। চলেও অল্প সময়। ৮০০-১০০০ কিলোমিটারের মধ্যে মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল পাল্টে ফেলা ভালো। সেমি-সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েলের দাম মিনারেলের চেয়ে কিছুটা বেশি, চলেও মিনারেলের চেয়ে বেশি কিলোমিটার। আর সবচেয়ে দামি সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল। এই ইঞ্জিন ওয়েল দিয়ে অনেক বেশি কিলোমিটার মোটরসাইকেল চালানো যায়। তবে কখনোই মিনারেলের সঙ্গে সিনথেটিক অথবা সেমি-সিনথেটিক ওয়েল মেশাবেন না। নিয়ম মেনে ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ওয়েল ফিল্টার থাকে। সেটিও পরিবর্তন করে ফেলা ভালো।
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহক বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট ডেটা পাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত বুধবার সব অপারেটরকে এই নির্দেশনা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেমহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল শুক্রবার ঢাকায় আসছে।
১৮ ঘণ্টা আগেতবে সমঝোতার নির্দিষ্ট শর্তাবলি আদালতে প্রকাশ করা হয়নি। বিচারকের সামনে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরাও কোনো বক্তব্য দেননি। বিচারক ম্যাককরমিক যখন মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ তিনি মামলাটি মুলতবি ঘোষণা করেন এবং উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানান।
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
২ দিন আগে