ডয়চে ভেলে
নমস্কার, আপনার কি অমুক ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে? আপনার কি অমুক ব্যাংকে দুটি লোন চলছে? আপনি সমস্ত লোন আমাদের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে সরিয়ে নিতে পারেন। তাতে অমুক অমুক সুবিধা হবে।
প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিনটি করে এমন জাংক কল আসে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ফোনে। নম্বর ব্লক করেও লাভ হয় না বিশেষ। অন্য নম্বর থেকে কল আসতে থাকে। সাধারণত আম ভারতীয় এসব কলকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। যখন প্রয়োজন হয়, আগ্রহ দেখান। প্রয়োজন না হলে কল কেটে দেন। কিন্তু কেউ প্রশ্ন করেন না, কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সম্পূর্ণ অচেনা সংস্থার হাতে পৌঁছে গেল। কী করে এক অপরিচিত কলার আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, লোন অ্যাকাউন্ট, চাকরি, বয়সের হদিশ পেয়ে গেলেন!
দীর্ঘদিন ধরে তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন সুমন সেনগুপ্ত। প্রায় ছয়-সাত বছর ধরে আধারের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করছেন। তাঁর বক্তব্য, ভারত সরকার আধার কার্ড চালু করে নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ করেছে।
বস্তুত, সুমন একা নন, ভারতে আরো বেশ কিছু ব্যক্তি আধার নিয়ে আন্দোলন করছেন। শীর্ষ আদালতে এ বিষয়ে মামলাও চলছে। সময়ে সময়ে সরকারি কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, আধার থেকে ব্যক্তির তথ্য ফাঁস হয়েছে।
কীভাবে ঘটছে এ ঘটনা?
সুমনের বক্তব্য, বাধ্যতামূলক না হলেও আধার কার্ডের সঙ্গে সমস্ত অ্যাকাউন্ট লিংক করা এখন ভারতের অঘোষিত নীতি। ফোন থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, গাড়ি থেকে জমি—যেকোনো রেজিস্ট্রেশনেই এখন আধারের নম্বর দিতে হয়। অর্থাৎ, আধারের একটি ইউনিক নম্বর থেকেই ব্যক্তির সমস্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব। এই তথ্য এনক্রিপ্টেড হওয়ার কথা। অর্থাৎ, তথ্য গোপন থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে কি তা থাকছে? এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে ভারতে।
রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেও এখন নিজের ফোন নম্বর দিয়ে বুকিং করতে হয়। কোনো সোসাইটিতে কারও বাড়িতে গেলে সোসাইটির গেটে ছবি তুলে ফোন নম্বর লিখে কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকতে হয়। কুরিয়ার থেকে খাবার ডেলিভারি অ্যাপ—সর্বত্র নিজের ফোন নম্বর দিতে হয়। সবাই জানেন, এই ফোন নম্বর বিক্রি হয়। অর্থাৎ, বিভিন্ন সংস্থা অর্থের বিনিময়ে ব্যক্তির নাম ও ফোন নম্বর ডেটা সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করে। ডেটা সংস্থা সেই ফোন নম্বর পরীক্ষা করে ব্যক্তির আরো গোপন তথ্য জেনে ফেলছে, যা আধার নম্বরের সঙ্গে লিংক করা। তাহলে কি আধার তথ্য হাতে পেয়ে যাচ্ছে ডেটা সংস্থাগুলো? সরকার এ কথা মানতে চায় না। কিন্তু ডেটা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এ ঘটনাই ঘটছে।
ভারতের পার্লামেন্টেও এ নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তথ্য চুরির ঘটনা বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু আধার নয়, ব্যাংক, বিমা সংস্থাগুলো থেকেও তথ্য ফাঁস হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
আরো অভিযোগ
সম্প্রতি মণিপুরে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আধারের নিয়ম হলো, কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো রাজ্যে গিয়ে থাকলে তিনি তাঁর আধারের ঠিকানা বদলে নিতে পারেন।
অভিযোগ উঠেছে, মণিপুরের আশ্রয়প্রার্থীদের নাগাল্যান্ডে আধারের ঠিকানা বদলাতে দেওয়া হচ্ছে না। নাগাল্যান্ডের সরকার প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য খতিয়ে দেখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ উঠেছিল কর্ণাটকের ভোটের সময়।
অভিযোগ ছিল, আধার কার্ড দেখে বেশ কিছু সংখ্যালঘু এলাকায় ভোটার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। কোনো অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু অভিযোগ উঠছে প্রতিদিনই। সমস্যা হলো, ভারতের সাধারণ নাগরিক তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন।
অনেকেই মনে করেন, সরকারের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য থাকা অন্যায় নয়। তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়েও খুব বড় আন্দোলন এখনো গড়ে ওঠেনি ভারতে। ফলে এর সম্পূর্ণ সুযোগ তুলছে ডেটা কোম্পানিগুলো। প্রতিদিন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তির অনুপুঙ্খ তথ্য।
নমস্কার, আপনার কি অমুক ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে? আপনার কি অমুক ব্যাংকে দুটি লোন চলছে? আপনি সমস্ত লোন আমাদের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে সরিয়ে নিতে পারেন। তাতে অমুক অমুক সুবিধা হবে।
প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিনটি করে এমন জাংক কল আসে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ফোনে। নম্বর ব্লক করেও লাভ হয় না বিশেষ। অন্য নম্বর থেকে কল আসতে থাকে। সাধারণত আম ভারতীয় এসব কলকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। যখন প্রয়োজন হয়, আগ্রহ দেখান। প্রয়োজন না হলে কল কেটে দেন। কিন্তু কেউ প্রশ্ন করেন না, কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সম্পূর্ণ অচেনা সংস্থার হাতে পৌঁছে গেল। কী করে এক অপরিচিত কলার আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, লোন অ্যাকাউন্ট, চাকরি, বয়সের হদিশ পেয়ে গেলেন!
দীর্ঘদিন ধরে তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন সুমন সেনগুপ্ত। প্রায় ছয়-সাত বছর ধরে আধারের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করছেন। তাঁর বক্তব্য, ভারত সরকার আধার কার্ড চালু করে নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ করেছে।
বস্তুত, সুমন একা নন, ভারতে আরো বেশ কিছু ব্যক্তি আধার নিয়ে আন্দোলন করছেন। শীর্ষ আদালতে এ বিষয়ে মামলাও চলছে। সময়ে সময়ে সরকারি কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, আধার থেকে ব্যক্তির তথ্য ফাঁস হয়েছে।
কীভাবে ঘটছে এ ঘটনা?
সুমনের বক্তব্য, বাধ্যতামূলক না হলেও আধার কার্ডের সঙ্গে সমস্ত অ্যাকাউন্ট লিংক করা এখন ভারতের অঘোষিত নীতি। ফোন থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, গাড়ি থেকে জমি—যেকোনো রেজিস্ট্রেশনেই এখন আধারের নম্বর দিতে হয়। অর্থাৎ, আধারের একটি ইউনিক নম্বর থেকেই ব্যক্তির সমস্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব। এই তথ্য এনক্রিপ্টেড হওয়ার কথা। অর্থাৎ, তথ্য গোপন থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে কি তা থাকছে? এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে ভারতে।
রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেও এখন নিজের ফোন নম্বর দিয়ে বুকিং করতে হয়। কোনো সোসাইটিতে কারও বাড়িতে গেলে সোসাইটির গেটে ছবি তুলে ফোন নম্বর লিখে কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকতে হয়। কুরিয়ার থেকে খাবার ডেলিভারি অ্যাপ—সর্বত্র নিজের ফোন নম্বর দিতে হয়। সবাই জানেন, এই ফোন নম্বর বিক্রি হয়। অর্থাৎ, বিভিন্ন সংস্থা অর্থের বিনিময়ে ব্যক্তির নাম ও ফোন নম্বর ডেটা সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করে। ডেটা সংস্থা সেই ফোন নম্বর পরীক্ষা করে ব্যক্তির আরো গোপন তথ্য জেনে ফেলছে, যা আধার নম্বরের সঙ্গে লিংক করা। তাহলে কি আধার তথ্য হাতে পেয়ে যাচ্ছে ডেটা সংস্থাগুলো? সরকার এ কথা মানতে চায় না। কিন্তু ডেটা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এ ঘটনাই ঘটছে।
ভারতের পার্লামেন্টেও এ নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তথ্য চুরির ঘটনা বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু আধার নয়, ব্যাংক, বিমা সংস্থাগুলো থেকেও তথ্য ফাঁস হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
আরো অভিযোগ
সম্প্রতি মণিপুরে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আধারের নিয়ম হলো, কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো রাজ্যে গিয়ে থাকলে তিনি তাঁর আধারের ঠিকানা বদলে নিতে পারেন।
অভিযোগ উঠেছে, মণিপুরের আশ্রয়প্রার্থীদের নাগাল্যান্ডে আধারের ঠিকানা বদলাতে দেওয়া হচ্ছে না। নাগাল্যান্ডের সরকার প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য খতিয়ে দেখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ উঠেছিল কর্ণাটকের ভোটের সময়।
অভিযোগ ছিল, আধার কার্ড দেখে বেশ কিছু সংখ্যালঘু এলাকায় ভোটার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। কোনো অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু অভিযোগ উঠছে প্রতিদিনই। সমস্যা হলো, ভারতের সাধারণ নাগরিক তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন।
অনেকেই মনে করেন, সরকারের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য থাকা অন্যায় নয়। তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়েও খুব বড় আন্দোলন এখনো গড়ে ওঠেনি ভারতে। ফলে এর সম্পূর্ণ সুযোগ তুলছে ডেটা কোম্পানিগুলো। প্রতিদিন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তির অনুপুঙ্খ তথ্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) গত পাঁচ মাসে ১ কোটি ১০ লাখ ব্যবহারকারী হারিয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)। এর ফলে ইউরোপে প্ল্যাটফর্মটিতে মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন মাস্কের অধিগ্রহণের আগের সময়ের চেয়ে অনেক কম।
১ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিশেষ করে ফেসবুক মেসেঞ্জারের গ্রুপ চ্যাট আমাদের পরিবার, বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে। তবে মেসেঞ্জার গ্রুপকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করার জন্য একাধিক অ্যাডমিন থাকা প্রয়োজন। অ্যাডমিনরা গ্রুপের সদস্য নিয়ন্ত্রণ, সেটিংস
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
১৭ ঘণ্টা আগে