বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার গিগাফ্যাক্টরি বা বিশালাকার কারখানা নির্মাণের ফলে জার্মানির বার্লিন শহরের কাছে প্রায় ৫ লাখ গাছ কাটা পড়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবিগুলোর মধ্যে তুলনা করে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
টেসলার এই কারখানা নির্মাণের প্রকল্পটি অত্যন্ত বিতর্কিত। এর বিরুদ্ধে জার্মানিতে ব্যাপক প্রতিবাদ করছেন পরিবেশবাদীরা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সবুজ অর্থনীতি নিয়ে আপস করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
স্যাটেলাইট ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে পরিবেশগত বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি কায়রোস। ছবিগুলো তুলনা করে দেখা যায় যে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে ৩২৯ হেক্টর (৮১৩ একর) বন কাটা হয়েছে, যা প্রায় ৫ লাখ গাছের সমান।
মে মাসের পর থেকে পরিবেশবাদীরা কারখানার আশপাশের ক্যাম্পের ট্রি হাউসে (গাছের ওপরে ঘর) অবস্থান নিয়েছেন এবং কারখানায় ঢোকার চেষ্টার করছেন। বৈদ্যুতিক পিলারে আগুন ধরিয়ে কিছুদিনের জন্য কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় পরিবেশবাদীদের একটি দল।
ইলন মাস্ক ‘বামপন্থী প্রতিবাদকারীদের’ ছাড় দেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশের সমালোচনা করেন।
জার্মানিতে টেসলার এই কার্যক্রম বন্ধের জন্য ‘টার্ন অব টেসলাস ট্যাপ’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের প্রচারণা জোটের সদস্য ক্যারোলিনা ড্রজেভো বলেন, বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদন মাধ্যমে স্থানীয় পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি ধাতব উপাদান খননের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রকৃতির ক্ষতি করেছে কোম্পানিটি। টেসলার এই প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বন উজাড় হবে এবং খাবার পানির উৎসের এলাকা ধ্বংস রোধ করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে টেসলার কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।
কায়রোসের প্রধান বিশ্লেষক আন্তোইন হ্যালফ বলেছেন, ‘জার্মানির টেসলা কারখানা নির্মাণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গাছ কাটা পড়েছে। অবশ্যই, এটি ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের সুবিধার সঙ্গে তুলনা করতে হবে।
হ্যালফ আরও বলে, ‘গাছগুলো কেটে ফেলার বিষয়টি ১৩ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের সমান, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ৮০০ ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন গাড়ির বার্ষিক নিঃসারণের সমান। তবে টেসলা প্রতি ত্রৈমাসিকে উৎপাদিত এবং বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিক গাড়ির মাধ্যমে এই নিঃসারণ কমানো সম্ভব। আপস সব সময় থাকে, তাই আপসের শর্তগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।’
গত জুলাইয়ে কারখানার উৎপাদন দ্বিগুণ করে প্রতি বছর ১০ লাখ গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে টেসলা। এই পরিকল্পনা জার্মানি ব্র্যান্ডেনবার্গ রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হয়েছে।
টেসলার কারখানায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। ব্যাটারি কোষ তৈরি করার সময় অনেক তেল, রং ও অ্যালুমিনিয়াম দ্রবণ পড়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল।
সে সময় টেসলা কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পরবর্তীতে কোম্পানিটি বলে, নির্মাণকালে এবং কারখানার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কিছু ঘটনার বিষয়ে তারা অবগত। তবে এসব ঘটনায় কোনো পরিবেশগত ক্ষতি হয়নি এবং প্রয়োজন অনুসারে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার গিগাফ্যাক্টরি বা বিশালাকার কারখানা নির্মাণের ফলে জার্মানির বার্লিন শহরের কাছে প্রায় ৫ লাখ গাছ কাটা পড়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবিগুলোর মধ্যে তুলনা করে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
টেসলার এই কারখানা নির্মাণের প্রকল্পটি অত্যন্ত বিতর্কিত। এর বিরুদ্ধে জার্মানিতে ব্যাপক প্রতিবাদ করছেন পরিবেশবাদীরা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সবুজ অর্থনীতি নিয়ে আপস করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
স্যাটেলাইট ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে পরিবেশগত বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি কায়রোস। ছবিগুলো তুলনা করে দেখা যায় যে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে ৩২৯ হেক্টর (৮১৩ একর) বন কাটা হয়েছে, যা প্রায় ৫ লাখ গাছের সমান।
মে মাসের পর থেকে পরিবেশবাদীরা কারখানার আশপাশের ক্যাম্পের ট্রি হাউসে (গাছের ওপরে ঘর) অবস্থান নিয়েছেন এবং কারখানায় ঢোকার চেষ্টার করছেন। বৈদ্যুতিক পিলারে আগুন ধরিয়ে কিছুদিনের জন্য কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় পরিবেশবাদীদের একটি দল।
ইলন মাস্ক ‘বামপন্থী প্রতিবাদকারীদের’ ছাড় দেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশের সমালোচনা করেন।
জার্মানিতে টেসলার এই কার্যক্রম বন্ধের জন্য ‘টার্ন অব টেসলাস ট্যাপ’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের প্রচারণা জোটের সদস্য ক্যারোলিনা ড্রজেভো বলেন, বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদন মাধ্যমে স্থানীয় পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি ধাতব উপাদান খননের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রকৃতির ক্ষতি করেছে কোম্পানিটি। টেসলার এই প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বন উজাড় হবে এবং খাবার পানির উৎসের এলাকা ধ্বংস রোধ করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে টেসলার কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।
কায়রোসের প্রধান বিশ্লেষক আন্তোইন হ্যালফ বলেছেন, ‘জার্মানির টেসলা কারখানা নির্মাণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গাছ কাটা পড়েছে। অবশ্যই, এটি ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের সুবিধার সঙ্গে তুলনা করতে হবে।
হ্যালফ আরও বলে, ‘গাছগুলো কেটে ফেলার বিষয়টি ১৩ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের সমান, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ৮০০ ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন গাড়ির বার্ষিক নিঃসারণের সমান। তবে টেসলা প্রতি ত্রৈমাসিকে উৎপাদিত এবং বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিক গাড়ির মাধ্যমে এই নিঃসারণ কমানো সম্ভব। আপস সব সময় থাকে, তাই আপসের শর্তগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।’
গত জুলাইয়ে কারখানার উৎপাদন দ্বিগুণ করে প্রতি বছর ১০ লাখ গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে টেসলা। এই পরিকল্পনা জার্মানি ব্র্যান্ডেনবার্গ রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হয়েছে।
টেসলার কারখানায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। ব্যাটারি কোষ তৈরি করার সময় অনেক তেল, রং ও অ্যালুমিনিয়াম দ্রবণ পড়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল।
সে সময় টেসলা কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পরবর্তীতে কোম্পানিটি বলে, নির্মাণকালে এবং কারখানার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কিছু ঘটনার বিষয়ে তারা অবগত। তবে এসব ঘটনায় কোনো পরিবেশগত ক্ষতি হয়নি এবং প্রয়োজন অনুসারে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
১ দিন আগেবিশ্বের ইন্টারনেট গতির নতুন রেকর্ড গড়েছে জাপান। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (এনআইসিটি) গবেষকেরা দাবি করেছে, তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন, যা প্রায় ১ হাজার ১২০ মাইল (১ হাজার ৮০২ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম...
১ দিন আগেমাইক্রোসফট তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সহকারী কোপাইলট ভিশনের নতুন আপডেট চালু করেছে, যা এখন ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের পুরো স্ক্রিন বা পর্দা স্ক্যান করতে পারবে। আগে এই টুলটি একসঙ্গে দুইটি অ্যাপ দেখতে পারত এবং সে অনুযায়ী বিশ্লেষণ করত। তবে নতুন আপডেটের ফলে এটি এখন সম্পূর্ণ ডেস্কটপ কিংবা নির্দিষ্ট
১ দিন আগেডিজিটাল কনটেন্টের যুগে ইউটিউব কেবল একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি এখন এক বড় ক্যারিয়ার অপশন, ব্র্যান্ড তৈরির মাধ্যম, এমনকি অনেকের স্বপ্নপূরণের জায়গা। আপনি যদি ইউটিউবে চ্যানেল খোলার কথা ভাবেন, তবে নিশ্চয়ই অনেক ধরনের আইডিয়া মাথায় ঘুরছে। তবে এতগুলো আইডিয়ার ভিড়ে কোনটা দিয়ে শুরু করবেন, সেটাই সবচেয়ে কঠিন
১ দিন আগে