এক দশক নয়, কয়েক বছরের মধ্যেই তৈরি করা যাবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এমনটাই দাবি করছে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট। তাদের নতুন চিপটির মাধ্যমে এই প্রযুক্তি খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, এটি সেই ধরনের এক বৈপ্লবিক উদ্ভাবন, যা স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই চিপটি পৃথিবীর প্রথম টোপোকন্ডাক্টর এর মাধ্যমে চলবে। এটি নতুন ধরনের পদার্থের অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম। এই পদার্থটি গ্যাস, তরল বা কঠিন কিছুই নয়। এর ফলে এমন একটি কোয়ান্টাম সিস্টেম ডিজাইন করা যাবে যা হাতের তালুর চেয়ে ছোট একটি চিপে এঁটে যাবে এবং আরও নির্ভরযোগ্য হার্ডওয়্যার তৈরিতে সহায়ক হবে।
সারিরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী পল স্টিভেনসন বলেছেন, যদি মাইক্রোসফট এই গবেষণা আরও অগ্রগতি সাধন করতে পারে, তবে তারা কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির প্রতিযোগিতায় ‘গুরুতর প্রতিদ্বন্দ্বী’ হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, ‘নতুন গবেষণাপত্রটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে আরও কাজ করার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
কিংস কলেজ লন্ডনের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী জর্জ বুথও বলেছেন, এই গবেষণা একটি ‘মুগ্ধকর প্রযুক্তিগত অর্জন’ হলেও এর মূল্য পরবর্তীতে সঠিকভাবে উপলব্ধি করা যাবে। তিনি বলেন, ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে ‘বছর’ লাগার কথা বলার দাবি কতটা সঠিক, তা ভবিষ্যতেই বলে দেবে।
মাইক্রোসফটের দাবি, এই টোপোকন্ডাক্টর কোয়ান্টাম সিস্টেম তৈরি করার পথে একটি নতুন ধাপ, যা এক মিলিয়ন কিউবিটের স্কেল তৈরির ক্ষমতা দেবে। এই কিউবিটগুলো হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলোর মৌলিক উপাদান, যা বর্তমানে ব্যবহৃত ডিজিটাল কম্পিউটারগুলোর ১ এবং ০ এর মতো।
এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার তৈরি করা যাবে। এই কম্পিউটারগুলো সম্ভবত নানা জটিল শিল্প ও সামাজিক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে। যেমন: মাইক্রোপ্লাস্টিককে ক্ষতিকর বর্জ্যে ভেঙে ফেলা, স্ব-ভাঙনযোগ্য উপাদান উদ্ভাবন, এবং জটিল সরবরাহ চেইন সমস্যা সমাধান।
এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে মাইক্রোপ্লাস্টিককে উপকারী উপজাতে হিসেবে ভেঙে ফেলা, নির্মাণ, উৎপাদন বা স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্ব-নিরাময় উপাদান উদ্ভাবন, জটিল সরবরাহ চেইন সমস্যার সমাধান, অথবা এনক্রিপশন কোড ভাঙা।
চলতি মাসের শুরুতে, মার্কিন প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা মাইক্রোসফটের টোপোকন্ডাক্টরকে একটি সম্ভাব্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তি হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই সংস্থাটি ২০৩৩ সালের মধ্যে শিল্পে ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। ডিএআরপিএ এর অন্যান্য গবেষণা উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে সাইকোয়ান্টাম, যা সিলিকন ভিত্তিক ফোটোনিক্স ব্যবহার করে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মাইক্রোসফট পূর্বে টোপোলজিক্যাল কিউবিটস তৈরি করার দাবি করেছিল। তবে বৈজ্ঞানিক ত্রুটির কারণে গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহার করে। তবে, বুথ বলেছেন, মাইক্রোসফট সম্ভবত অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ধীর গতিতে এগিয়ে থাকলেও, তারা একটি অধিক টেকসই এবং কম ত্রুটিযুক্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
এই টোপোলজিক্যাল কিউবিটগুলো একটি নতুন ধরনের কণার (মেজোরানা ফার্মিয়ন) বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে তথ্য রক্ষা করে, যার ফলে প্রক্রিয়া করার সময় তথ্য হারানো কঠিন হয়ে যায়। তবে, এই কণাগুলো তৈরি করতে বিশেষ শক্তির চুম্বক ক্ষেত্র এবং সুপারকন্ডাক্টর প্রয়োজন, যা একে আরও জটিল করে তুলে।
পদার্থবিজ্ঞানী জর্জ বুথ মনে করেন, গুগল বা অন্য প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত পদ্ধতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, প্রযুক্তি ব্যবহারে উপযোগী হতে আরও অনেক সময় বাকি।
এক দশক নয়, কয়েক বছরের মধ্যেই তৈরি করা যাবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এমনটাই দাবি করছে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট। তাদের নতুন চিপটির মাধ্যমে এই প্রযুক্তি খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, এটি সেই ধরনের এক বৈপ্লবিক উদ্ভাবন, যা স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই চিপটি পৃথিবীর প্রথম টোপোকন্ডাক্টর এর মাধ্যমে চলবে। এটি নতুন ধরনের পদার্থের অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম। এই পদার্থটি গ্যাস, তরল বা কঠিন কিছুই নয়। এর ফলে এমন একটি কোয়ান্টাম সিস্টেম ডিজাইন করা যাবে যা হাতের তালুর চেয়ে ছোট একটি চিপে এঁটে যাবে এবং আরও নির্ভরযোগ্য হার্ডওয়্যার তৈরিতে সহায়ক হবে।
সারিরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী পল স্টিভেনসন বলেছেন, যদি মাইক্রোসফট এই গবেষণা আরও অগ্রগতি সাধন করতে পারে, তবে তারা কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির প্রতিযোগিতায় ‘গুরুতর প্রতিদ্বন্দ্বী’ হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, ‘নতুন গবেষণাপত্রটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে আরও কাজ করার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
কিংস কলেজ লন্ডনের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী জর্জ বুথও বলেছেন, এই গবেষণা একটি ‘মুগ্ধকর প্রযুক্তিগত অর্জন’ হলেও এর মূল্য পরবর্তীতে সঠিকভাবে উপলব্ধি করা যাবে। তিনি বলেন, ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে ‘বছর’ লাগার কথা বলার দাবি কতটা সঠিক, তা ভবিষ্যতেই বলে দেবে।
মাইক্রোসফটের দাবি, এই টোপোকন্ডাক্টর কোয়ান্টাম সিস্টেম তৈরি করার পথে একটি নতুন ধাপ, যা এক মিলিয়ন কিউবিটের স্কেল তৈরির ক্ষমতা দেবে। এই কিউবিটগুলো হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলোর মৌলিক উপাদান, যা বর্তমানে ব্যবহৃত ডিজিটাল কম্পিউটারগুলোর ১ এবং ০ এর মতো।
এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার তৈরি করা যাবে। এই কম্পিউটারগুলো সম্ভবত নানা জটিল শিল্প ও সামাজিক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে। যেমন: মাইক্রোপ্লাস্টিককে ক্ষতিকর বর্জ্যে ভেঙে ফেলা, স্ব-ভাঙনযোগ্য উপাদান উদ্ভাবন, এবং জটিল সরবরাহ চেইন সমস্যা সমাধান।
এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে মাইক্রোপ্লাস্টিককে উপকারী উপজাতে হিসেবে ভেঙে ফেলা, নির্মাণ, উৎপাদন বা স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্ব-নিরাময় উপাদান উদ্ভাবন, জটিল সরবরাহ চেইন সমস্যার সমাধান, অথবা এনক্রিপশন কোড ভাঙা।
চলতি মাসের শুরুতে, মার্কিন প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা মাইক্রোসফটের টোপোকন্ডাক্টরকে একটি সম্ভাব্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তি হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই সংস্থাটি ২০৩৩ সালের মধ্যে শিল্পে ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। ডিএআরপিএ এর অন্যান্য গবেষণা উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে সাইকোয়ান্টাম, যা সিলিকন ভিত্তিক ফোটোনিক্স ব্যবহার করে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মাইক্রোসফট পূর্বে টোপোলজিক্যাল কিউবিটস তৈরি করার দাবি করেছিল। তবে বৈজ্ঞানিক ত্রুটির কারণে গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহার করে। তবে, বুথ বলেছেন, মাইক্রোসফট সম্ভবত অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ধীর গতিতে এগিয়ে থাকলেও, তারা একটি অধিক টেকসই এবং কম ত্রুটিযুক্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
এই টোপোলজিক্যাল কিউবিটগুলো একটি নতুন ধরনের কণার (মেজোরানা ফার্মিয়ন) বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে তথ্য রক্ষা করে, যার ফলে প্রক্রিয়া করার সময় তথ্য হারানো কঠিন হয়ে যায়। তবে, এই কণাগুলো তৈরি করতে বিশেষ শক্তির চুম্বক ক্ষেত্র এবং সুপারকন্ডাক্টর প্রয়োজন, যা একে আরও জটিল করে তুলে।
পদার্থবিজ্ঞানী জর্জ বুথ মনে করেন, গুগল বা অন্য প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত পদ্ধতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, প্রযুক্তি ব্যবহারে উপযোগী হতে আরও অনেক সময় বাকি।
বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি ডলারের মামলা করেছে যুক্তরাজ্য। অনলাইন সার্চ বাজারে নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে এই মামলা করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোনে স্ক্রলিং, গেম খেলা কিংবা ভিডিও দেখার পর হাতের ফোনটি বেশ গরম অনুভূত হয়। বিষয়টা একটু চিন্তার মনে হতে পারে, এর পেছনে একাধিক যৌক্তিক ও প্রযুক্তিগত কারণ।
৯ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপন জালিয়াতি রোধে গত বছর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন গুগল। ২০২৪ সালে ৩ কোটি ৯২ লাখ বিজ্ঞাপনদাতার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে কোম্পানিটি, যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি। নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে অ্যাকাউন্টগুলো সনাক্ত করেছে এই টেক...
১০ ঘণ্টা আগেবিমানযাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে ইনফ্লাইট ওয়াই-ফাই সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে আমেরিকান এয়ারলাইনস। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই সেবা চালু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। এই উদ্যোগে স্পনসর করছে টেলিকম জায়ান্ট এটিঅ্যান্ডটি। আমেরিকান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, বছরে ২০ লাখের বেশি ফ্লাইটে তারা...
১৩ ঘণ্টা আগে