অনলাইন ডেস্ক
মানুষের আবেগ বুঝতে পারা কোনো সহজ বিষয় নয়। তবে ভবিষ্যতের রোবটগুলো শুধু আপনার ত্বক স্পর্শ করেই আপনার আবেগ শনাক্ত করতে পারবে। এমনই চমকপ্রদ জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। শারীরবৃত্তীয় সংকেত, বিশেষত ঘাম ও ত্বকের পরিবাহিতা বিশ্লেষণ করে রোবটগুলো মানুষের আবেগ বুঝতে পারবে। একদিকে যেমন রোবটের আবেগগত বুদ্ধিমত্তা উন্নত করবে, তেমনি মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও শক্তিশালী করবে এই প্রযুক্তি।
ত্বকের পরিবাহিতা হচ্ছে-ত্বক কতটা ভালোভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে তার পরিমাপ, যা সাধারণত ঘাম নিঃসরণ এবং স্নায়ুর ক্রিয়াকলাপের প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন হয়। এটি মানুষের বিভিন্ন মানসিক অবস্থাকে নির্দেশ করে।
গত ১৫ অক্টোবর ‘আই–ইইই অ্যাকসেস’ জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
এই গবেষণাটি বিশ্লেষণ করেছে কীভাবে ঘামের মাত্রার পরিবর্তন ত্বকের বিদ্যুৎ পরিবহনের মাত্রায় পরিবর্তন ঘটায়। এই তথ্য মানুষের মানসিক অবস্থার প্রতি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। এসব শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া ভয়, হাস্যরস বা পারিবারিক সম্পর্কের মতো আবেগ দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়। ভবিষ্যতে আরও বুদ্ধিমান প্রযুক্তি তৈরির পথ প্রশস্ত করতে পারে এই গবেষণার ফলাফল।
গবেষণাটি টোকিও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা পরিচালনা করেছেন। এই গবেষণার সময়ে ৩৩ জন অংশগ্রহণকারীকে এমন ভিডিও দেখানো হয়েছিল যা নির্দিষ্ট আবেগ উদ্দীপ্ত করতে ডিজাইন করা হয়েছিল। যেমন: ভয়ংকর দৃশ্য থেকে শুরু করে পারিবারিক পুনর্মিলন দৃশ্য পর্যন্ত। সেসময় তাদের আঙুলে প্রোব বা যন্ত্র লাগিয়ে পরিমাপ নেওয়া হয়েছিল। ভিডিও দেখানোর সময় ত্বকের বিদ্যুৎ প্রবাহ কত দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং আবার স্বাভাবিক স্তরে ফিরে আসে, তা রেকর্ড করেছে এই প্রোবগুলো। গবেষণায় স্পষ্টভাবে আলাদা প্যাটার্ন বা ধরন চিহ্নিত করা হয়েছে। এক এক অনুভূতির জন্য তাদের এক এক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, যেখানে ভয়ের প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ছিল, আর হাস্যরস দ্রুত কিন্তু স্বল্পস্থায়ী ছিল।
ভয়ের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া হয়তো জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিবর্তনীয় টিকে থাকার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। পারিবারিক সম্পর্কের মিশ্রিত আবেগগুলো ধীরে ধীরে এবং একে অপরকে প্রভাবিত করে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তারা আরও বলেন, হাস্যরস এবং ভয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ত্বকের পরিবাহিতার বিষয়ে খুবই কম গবেষণা করা হয়েছে।
সম্ভাব্য প্রয়োগ ও চ্যালেঞ্জ
প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ত্বকের পরিবাহিতার তথ্য অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় সংকেত (যেমন: হৃৎস্পন্দন বা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ) সঙ্গে মিলিয়ে আবেগ শনাক্তকরণের পদ্ধতি আরও নির্ভুল করা যেতে পারে।
যদিও এই গবেষণা সরাসরি রোবোটিকসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তবে এর ফলাফলগুলো ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে আবেগ শনাক্তকরণের সক্ষমতা সংযোজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রয়োগের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ বা মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় অভিযোজিত স্মার্ট ডিভাইস বা মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহারকারীর মেজাজ অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
প্রথাগত আবেগ শনাক্তকরণের পদ্ধতিগুলো সাধারণত মুখের অভিব্যক্তি চিহ্নিতকরণ বা কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করে। তবে এভাবে আবেগ শনাক্তে ত্রুটির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে এবং গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। গবেষকেরা ধারণা করেন যে, ত্বকের বিদ্যুৎ পরিবহন একটি আরও নির্ভরযোগ্য এবং কম বিরক্তিকর বিকল্প হতে পারে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও ৩৬০ গ্যাজেটস
মানুষের আবেগ বুঝতে পারা কোনো সহজ বিষয় নয়। তবে ভবিষ্যতের রোবটগুলো শুধু আপনার ত্বক স্পর্শ করেই আপনার আবেগ শনাক্ত করতে পারবে। এমনই চমকপ্রদ জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। শারীরবৃত্তীয় সংকেত, বিশেষত ঘাম ও ত্বকের পরিবাহিতা বিশ্লেষণ করে রোবটগুলো মানুষের আবেগ বুঝতে পারবে। একদিকে যেমন রোবটের আবেগগত বুদ্ধিমত্তা উন্নত করবে, তেমনি মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও শক্তিশালী করবে এই প্রযুক্তি।
ত্বকের পরিবাহিতা হচ্ছে-ত্বক কতটা ভালোভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে তার পরিমাপ, যা সাধারণত ঘাম নিঃসরণ এবং স্নায়ুর ক্রিয়াকলাপের প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন হয়। এটি মানুষের বিভিন্ন মানসিক অবস্থাকে নির্দেশ করে।
গত ১৫ অক্টোবর ‘আই–ইইই অ্যাকসেস’ জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
এই গবেষণাটি বিশ্লেষণ করেছে কীভাবে ঘামের মাত্রার পরিবর্তন ত্বকের বিদ্যুৎ পরিবহনের মাত্রায় পরিবর্তন ঘটায়। এই তথ্য মানুষের মানসিক অবস্থার প্রতি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। এসব শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া ভয়, হাস্যরস বা পারিবারিক সম্পর্কের মতো আবেগ দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়। ভবিষ্যতে আরও বুদ্ধিমান প্রযুক্তি তৈরির পথ প্রশস্ত করতে পারে এই গবেষণার ফলাফল।
গবেষণাটি টোকিও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা পরিচালনা করেছেন। এই গবেষণার সময়ে ৩৩ জন অংশগ্রহণকারীকে এমন ভিডিও দেখানো হয়েছিল যা নির্দিষ্ট আবেগ উদ্দীপ্ত করতে ডিজাইন করা হয়েছিল। যেমন: ভয়ংকর দৃশ্য থেকে শুরু করে পারিবারিক পুনর্মিলন দৃশ্য পর্যন্ত। সেসময় তাদের আঙুলে প্রোব বা যন্ত্র লাগিয়ে পরিমাপ নেওয়া হয়েছিল। ভিডিও দেখানোর সময় ত্বকের বিদ্যুৎ প্রবাহ কত দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং আবার স্বাভাবিক স্তরে ফিরে আসে, তা রেকর্ড করেছে এই প্রোবগুলো। গবেষণায় স্পষ্টভাবে আলাদা প্যাটার্ন বা ধরন চিহ্নিত করা হয়েছে। এক এক অনুভূতির জন্য তাদের এক এক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, যেখানে ভয়ের প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ছিল, আর হাস্যরস দ্রুত কিন্তু স্বল্পস্থায়ী ছিল।
ভয়ের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া হয়তো জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিবর্তনীয় টিকে থাকার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। পারিবারিক সম্পর্কের মিশ্রিত আবেগগুলো ধীরে ধীরে এবং একে অপরকে প্রভাবিত করে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তারা আরও বলেন, হাস্যরস এবং ভয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ত্বকের পরিবাহিতার বিষয়ে খুবই কম গবেষণা করা হয়েছে।
সম্ভাব্য প্রয়োগ ও চ্যালেঞ্জ
প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ত্বকের পরিবাহিতার তথ্য অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় সংকেত (যেমন: হৃৎস্পন্দন বা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ) সঙ্গে মিলিয়ে আবেগ শনাক্তকরণের পদ্ধতি আরও নির্ভুল করা যেতে পারে।
যদিও এই গবেষণা সরাসরি রোবোটিকসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তবে এর ফলাফলগুলো ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে আবেগ শনাক্তকরণের সক্ষমতা সংযোজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রয়োগের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ বা মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় অভিযোজিত স্মার্ট ডিভাইস বা মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহারকারীর মেজাজ অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
প্রথাগত আবেগ শনাক্তকরণের পদ্ধতিগুলো সাধারণত মুখের অভিব্যক্তি চিহ্নিতকরণ বা কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করে। তবে এভাবে আবেগ শনাক্তে ত্রুটির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে এবং গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। গবেষকেরা ধারণা করেন যে, ত্বকের বিদ্যুৎ পরিবহন একটি আরও নির্ভরযোগ্য এবং কম বিরক্তিকর বিকল্প হতে পারে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও ৩৬০ গ্যাজেটস
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১৯ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
২০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
২১ ঘণ্টা আগে