Ajker Patrika

গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয় করতে

মেহরাব মাসাঈদ হাবিব
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০: ০৯
Thumbnail image

গাড়ি কেনার সময় ক্রেতারা যে সব বিষয়ের ওপর নজর দেন তার মধ্যে একটি হলো, যে গাড়িটি তাঁরা কিনছেন, তা দামের দিক থেকে সাশ্রয়ী কি না। গাড়ির সাশ্রয়ী মূল্যের মতো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গাড়িটি কতটুকু জ্বালানি সাশ্রয়ী। জ্বালানি সাশ্রয় অনেকাংশে নির্ভর করে গাড়ির গিয়ার, বিশেষত ম্যানুয়াল গিয়ারের গিয়ার শিফটিংয়ের ওপর। সঠিক সময়ে গিয়ার শিফট করতে পারলে গাড়ির জ্বালানিও অনেকাংশে সাশ্রয় করা যায়।

ম্যানুয়াল গিয়ারের গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করতে একটি বিষয় খেয়াল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ—তা হলো, গাড়ির ইঞ্জিনের আরপিএম বা রেভল্যুশন পার মিনিট যতটা সম্ভব কম রাখা। গাড়ির ইঞ্জিন যত বেশি দ্রুত ঘুরবে, জ্বালানিও তত বেশি ব্যয় হবে। সর্বোচ্চ জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করতে কখন গিয়ার শিফট করা উচিত? সঠিক সময়ে গিয়ার শিফট করা এবং কম আরপিএম নিশ্চিত করা গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয়ের একটি অন্যতম পূর্বশর্ত। প্রশ্ন জাগতে পারে, কোন কারণে কম আরপিএমে জ্বালানি সাশ্রয় বেশি হয়? উত্তর খুব সহজ। কম আরপিএমে কম ফ্রিকশন বা ঘর্ষণ হয়। ধরা যাক, একটি ইঞ্জিন ঘোরার আরপিএম ছয় হাজার। এ ক্ষেত্রে ইঞ্জিনকে অনেক ঘর্ষণ পার করতে হয়। এই ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় যখন ইঞ্জিনের পিস্টন সিলিন্ডারের দেয়ালের সঙ্গে এবং ক্রাংকশাফটের বিয়ারিংয়ের সঙ্গে ঘষা খায়।

আরেকটি বিষয় লক্ষ রাখা দরকার। তা হলো, ইঞ্জিনের লোড কী পরিমাণ থাকছে তার ওপর। ধরা যাক, আপনি হাইওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছেন আর আপনার গাড়িতে ইঞ্জিনের লোড কম। সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিনের মোট থ্রোটলের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। এ রকম ক্ষেত্রে ইঞ্জিনকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়, যার ফলে জ্বালানি বেশি ব্যয় হয়। জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো বেশি লোডে এবং কম আরপিএমে ইঞ্জিন চালু রাখা। ফলে ইঞ্জিনের থ্রোটল অনেকটা খোলা থাকবে এবং গাড়িকে সামনে নিয়ে যেতে ইঞ্জিনকে বেশি কাজ করতে হবে না। এর ফলে জ্বালানি সাশ্রয় হবে। তবে অবশ্যই গিয়ার শিফট করতে হবে সময়মতো।

লেখক: ফাউন্ডার ও সিইও, বাংলা অটোমোবাইল স্কিলস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত