নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ টেলিভিশন দেখার সুযোগ বহাল করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ওটিটি/ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক সচিব ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের মৌলিক অধিকার। তাই ইন্টারনেটে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার। এখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা সমীচীন নয়। সরকারের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে অবশ্যই ইন্টারনেটে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
কেবল সংযোগ না নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিভি চ্যানেল দেখা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তবে ৩ এপ্রিল ওটিটি প্ল্যাটফর্মে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভায় বক্তারা জানান, বিনা নোটিশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া অযৌক্তিক। খুব দ্রুত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি এবং অন্য অংশীজনদের নিয়ে সমস্যার সমাধান করা না হলে দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে বিদেশে টাকা চলে যাবে। বক্তারা সরকার এবং সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।
ইন্টার সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশনে (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘অন্যান্য দেশে আগে পলিসি তৈরি হয়, তারপর গ্রাহক তৈরি হয়। কিন্তু আমাদের দেশে হয় উল্টোটা! এখানে গ্রাহক আগে তৈরি হয়, তারপরে সমস্যা তৈরি হয় লাইসেন্সধারীদের মাঝে, পরবর্তীতে পলিসি তৈরি হয়। এখানে হয়তো দেশের ভেতরে পরিচালনাকারী অপারেটরদের প্ল্যাটফর্মে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নেটফ্লিক্স, আমাজনের মতো প্ল্যাটফর্ম কি আপনি বন্ধ করতে পারবেন?’
আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, ‘কেবল ব্যবসায়ীদের ৭০ ভাগ অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের ইন্টারনেট ব্যবসা করার আইনগত অধিকার নেই অথচ তারা করছে। আমরা তাদের বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু তারা আমাদের ইন্টারনেট ব্যবসার মধ্যে হস্তক্ষেপ করছে, যা মোটেও কাম্য নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই ইন্টারনেট আর কেবল ব্যবসা আলাদা করা নাই; এই সিস্টেম একমাত্র বাংলাদেশে। আর এসব কারণেই অতিরিক্ত তারের জঞ্জাল।’
এ সময় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক মো. খালিদ আবু নাসের বলেন, ‘২০১৯ সালে বিশ্বে ওটিটি ব্যবসা ছিল ১২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ২০২৭ সালে বিশ্বব্যাপী এই বাজার দাঁড়াবে প্রায় ১ হাজার ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশে ২০৩০ সাল নাগাদ ১ হাজার কোটি টাকার বাজার দাঁড়াবে। তাই খুব দ্রুততার সঙ্গে এই সেক্টরে প্রতিবন্ধকতা দূর করে সম্ভাবনা নিয়ে ভাবা জরুরি। আইনবিধি ছাড়া এভাবে প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া বাজার প্রতিযোগিতা আইন ২০১২–এর ২৭ ধারা পরিপন্থী।’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যেখানে সরকার ঘরে ঘরে শতভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে, সে সময় ৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা–বাণিজ্য সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। বিনোদনের অন্যতম উৎস হচ্ছে ইন্টারনেট। এখন আর ডিস কেবলের মাধ্যমে টেলিভিশন গ্রাহক দেখতে চায় না। যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহার করে সবকিছু পরিচালনা করা যায়, তাই দুটি সেবা ক্রয় করতে গ্রাহক আগ্রহী নয়।’
সভায় বক্তারা অবিলম্বে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের প্রতিবন্ধকতা নিরসনের আহ্বান জানান।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ টেলিভিশন দেখার সুযোগ বহাল করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ওটিটি/ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক সচিব ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের মৌলিক অধিকার। তাই ইন্টারনেটে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার। এখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা সমীচীন নয়। সরকারের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে অবশ্যই ইন্টারনেটে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
কেবল সংযোগ না নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিভি চ্যানেল দেখা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তবে ৩ এপ্রিল ওটিটি প্ল্যাটফর্মে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভায় বক্তারা জানান, বিনা নোটিশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া অযৌক্তিক। খুব দ্রুত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি এবং অন্য অংশীজনদের নিয়ে সমস্যার সমাধান করা না হলে দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে বিদেশে টাকা চলে যাবে। বক্তারা সরকার এবং সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।
ইন্টার সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশনে (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘অন্যান্য দেশে আগে পলিসি তৈরি হয়, তারপর গ্রাহক তৈরি হয়। কিন্তু আমাদের দেশে হয় উল্টোটা! এখানে গ্রাহক আগে তৈরি হয়, তারপরে সমস্যা তৈরি হয় লাইসেন্সধারীদের মাঝে, পরবর্তীতে পলিসি তৈরি হয়। এখানে হয়তো দেশের ভেতরে পরিচালনাকারী অপারেটরদের প্ল্যাটফর্মে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নেটফ্লিক্স, আমাজনের মতো প্ল্যাটফর্ম কি আপনি বন্ধ করতে পারবেন?’
আইএসপিএবি সভাপতি বলেন, ‘কেবল ব্যবসায়ীদের ৭০ ভাগ অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের ইন্টারনেট ব্যবসা করার আইনগত অধিকার নেই অথচ তারা করছে। আমরা তাদের বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু তারা আমাদের ইন্টারনেট ব্যবসার মধ্যে হস্তক্ষেপ করছে, যা মোটেও কাম্য নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই ইন্টারনেট আর কেবল ব্যবসা আলাদা করা নাই; এই সিস্টেম একমাত্র বাংলাদেশে। আর এসব কারণেই অতিরিক্ত তারের জঞ্জাল।’
এ সময় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক মো. খালিদ আবু নাসের বলেন, ‘২০১৯ সালে বিশ্বে ওটিটি ব্যবসা ছিল ১২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ২০২৭ সালে বিশ্বব্যাপী এই বাজার দাঁড়াবে প্রায় ১ হাজার ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশে ২০৩০ সাল নাগাদ ১ হাজার কোটি টাকার বাজার দাঁড়াবে। তাই খুব দ্রুততার সঙ্গে এই সেক্টরে প্রতিবন্ধকতা দূর করে সম্ভাবনা নিয়ে ভাবা জরুরি। আইনবিধি ছাড়া এভাবে প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া বাজার প্রতিযোগিতা আইন ২০১২–এর ২৭ ধারা পরিপন্থী।’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যেখানে সরকার ঘরে ঘরে শতভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে, সে সময় ৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা–বাণিজ্য সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। বিনোদনের অন্যতম উৎস হচ্ছে ইন্টারনেট। এখন আর ডিস কেবলের মাধ্যমে টেলিভিশন গ্রাহক দেখতে চায় না। যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহার করে সবকিছু পরিচালনা করা যায়, তাই দুটি সেবা ক্রয় করতে গ্রাহক আগ্রহী নয়।’
সভায় বক্তারা অবিলম্বে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের প্রতিবন্ধকতা নিরসনের আহ্বান জানান।
টেক জায়ান্ট গুগল তার ‘প্ল্যাটফর্মস অ্যান্ড ডিভাইস’ দলে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কর্মীদের জন্য একটি ‘ভলিউন্টারি এক্সিট’ প্রোগ্রাম চালু করছে। অর্থাৎ এই বিভাগে কর্মীরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারবে। পিক্সেল এবং অ্যান্ড্রয়েড প্রকল্পগুলো একত্রিত করে গত বছর এই ডিভিশন তৈরি করে প্ল্যাটফর্মটি।
২৬ মিনিট আগেহোয়াটসঅ্যাপে ১০০ সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ওপর নজরদারি করেছে ইসরায়েলি সংস্থা প্যারাগন সলিউশনস। মেটা-মালিকানাধীন এই ম্যাসেজিং অ্যাপের এক কর্মী জানিয়েছে, কিছু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট ‘সম্ভবত আক্রান্ত’ হয়েছে স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে। তাদের ডিভাইসের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
১৮ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১ দিন আগে