Ajker Patrika

টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা: সময়সীমা বাড়াতে বাইডেনকে সিনেটরদের অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
যুক্তরাষ্ট্রেই টিকটকের ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের টিকটক নিষিদ্ধের আইন কংগ্রেসে পাস হয়েছে গত এপ্রিলে। এই আইনটি টিকটকের সামনে আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে টিকটককে চীনা মালিকানামুক্ত হতে হবে, অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে অ্যাপটিকে। তবে গত বৃহস্পতিবার এই সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়াতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনুরোধ জানিয়েছে ডেমোক্র্যাট সিনেটর এড মার্কি এবং রিপাবলিকান সিনেটর র‍্যান্ড পল।

গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে টিকটক ও বাইটড্যান্স-এর কথা শুনবে বলে জানিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট)। আগামী ১০ জানুয়ারি এই বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সিনেটররা বাইডেনকে বলেন, ‘আইনটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত এবং এর মুক্ত চিন্তার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে, আমরা আপনাকে জানুয়ারি ১৯ তারিখের আগেই সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

হোয়াইট হাউস এবং টিকটক তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি। তবে বিরোধী পক্ষরা নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে, যা আইনকে সমর্থন করেছে। কংগ্রেস এ আইনটি এপ্রিল মাসে পাস করেছিল এবং বাইডেন এটিতে সই করে আইনে পরিণত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছিল, চীনা কোম্পানি হিসেবে টিকটক একটি জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। কারণ এটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের বিশাল পরিমাণ তথ্য অ্যাকসেস করতে পারে, যেমন অবস্থান, ব্যক্তিগত বার্তা এবং এটি গোপনে অ্যাপটির মাধ্যমে যে কনটেন্ট আমেরিকানরা দেখে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

তবে টিকটক বলেছে যে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কোনো তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করে না।

হোয়াইট হাউস এবং টিকটক তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি। চ্যালেঞ্জকারী পক্ষরা নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে, যা আইনটিকে সমর্থন করেছে।

চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্মটির বৈশ্বিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছে ১৭ কোটি ব্যবহারকারী। কংগ্রেস এপ্রিল মাসে এই আইনটি পাস করেছিল এবং বাইডেন, একজন ডেমোক্র্যাট, এটি আইনে পরিণত করেছিলেন।

অপরদিকে সুপ্রিম কোর্টে গত বুধবার একটি সংক্ষিপ্ত রায় দাখিল করেন সিনেট রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল। যেখানে তিনি আদালতকে বলেন যে, টিকটকের নিষে কোনো বিলম্ব করা উচিত নয়। তিনি টিকটককে এক ধরনের অপরাধীর সঙ্গে তুলনা করেন।

রিপাবলিকান সিনেটর জশ হাওলি এবং ডেমোক্র্যাট রিচার্ড ব্লুমেনথাল বলেছেন, বাইটড্যান্সকে আইন মেনে চলতে হবে।

২০২০ সালে টিকটক নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন নবনির্ব্চিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবার তার অবস্থান বদলেছেন এবং এই বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি টিকটক বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ নেবেন।

গত সোমবার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো এস্টেটে টিকটকের সিইও শো জি চিউ-এর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই বৈঠক। আর এই বৈঠকে টিকটকের সিইওকে আশা দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘টিকটকের প্রতি তার হৃদয়ে উষ্ণ অনুভূতি’ রয়েছে এবং তিনি ‘এ বিষয়ে নজর রাখবেন’। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রচারণার জন্য নিজের একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট চালু করে তিনি। এখন পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্টের ১ কোটি ৪৭ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। এতে তিনি নিজেকে টিকটক-বান্ধব প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত