অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে শিশু-কিশোরদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। গত মঙ্গলবার তিনি একটি নতুন আইন স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে অ্যাপল ও গুগলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের নিজেদের অ্যাপ স্টোরে ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই বাধ্যতামূলক করতে হবে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচের কিশোর-কিশোরীদের অ্যাপ ডাউনলোড বা ইন-অ্যাপ পারচেজ করতে হলে অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের প্রথম আইন পাস হয়। ফেডারেল পর্যায়েও একটি বিল প্রস্তাবিত হয়েছে।
টেক্সাস আইনসভায় পাস হওয়া আরও একটি বিল সিনেটে ভোটের অপেক্ষায় রয়েছে, যেখানে ১৮ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পিউ রিসার্চের ২০২৩ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, ৮১ শতাংশ আমেরিকান শিশুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট তৈরিতে অভিভাবক অনুমতির পক্ষে, আর ৭১ শতাংশ বয়স যাচাইয়ের পক্ষে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যার জন্য দায়ী হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্য মেটা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মার্কিন সার্জন জেনারেলও শিশুদের নিরাপত্তায় সতর্কবার্তা জারি করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে ১৬ বছরের নিচে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে, আর নরওয়েসহ আরও কিছু দেশ নতুন নিয়ম বিবেচনা করছে।
তবে বয়স যাচাইয়ের পদ্ধতি নিয়ে মেটা (ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের মালিক) এবং অ্যাপল ও গুগলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
মেটা, স্ন্যাপ ও এক্স—তিনটি সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি—এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছে। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘অভিভাবকেরা চান একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যেখানে তাদের সন্তানদের অ্যাপ ডাউনলোডের অনুমতি ও বয়স যাচাই একসঙ্গে করা যাবে। অ্যাপ স্টোরই তার উপযুক্ত স্থান।’
অন্যদিকে, অ্যাপল ও গুগল এই আইনের সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, এই আইন এমন অ্যাপের জন্যও বয়স যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা তৈরি করছে, যেগুলো তেমন বিতর্কিত নয় যেমন—আবহাওয়া বা খেলার স্কোর দেখার অ্যাপ।
অ্যাপল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই আইন কার্যকর হলে প্রত্যেক টেক্সাসবাসীকে ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্য দিতে হবে কেবল একটি সাধারণ অ্যাপ ডাউনলোড করতে চাইলেও।’
গুগলের পক্ষ থেকে কারিম গনেম জানান, ‘আমরা আইন চাই, তবে সেটা যেন সঠিকভাবে হয়। এই আইন যেন কেবল সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করে, কারণ আসল ক্ষতি ও উদ্বেগ তৈরি করেছে তারাই।’
আইনটি নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিপন্থী সংগঠন প্রগ্রেস চেম্বারের লিগ্যাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথলিন ফারলি। তিনি বলেন, ‘এই আইন প্রাপ্তবয়স্কদের বাক্স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে, কারণ এটি শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সবার ওপর প্রভাব ফেলছে।’
এদিকে শিশু সুরক্ষা সংগঠনগুলো এই আইনকে সমর্থন জানিয়েছে। ডিজিটাল চাইল্ডহুড অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক কেইসি স্টেফানস্কি বলেন, ‘অ্যাপ স্টোরগুলো এখনো মূলত লাভকে গুরুত্ব দিয়েছে, শিশুর নিরাপত্তা ও অধিকার নয়। তাই সরকারকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে শিশু-কিশোরদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। গত মঙ্গলবার তিনি একটি নতুন আইন স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে অ্যাপল ও গুগলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের নিজেদের অ্যাপ স্টোরে ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই বাধ্যতামূলক করতে হবে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচের কিশোর-কিশোরীদের অ্যাপ ডাউনলোড বা ইন-অ্যাপ পারচেজ করতে হলে অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের প্রথম আইন পাস হয়। ফেডারেল পর্যায়েও একটি বিল প্রস্তাবিত হয়েছে।
টেক্সাস আইনসভায় পাস হওয়া আরও একটি বিল সিনেটে ভোটের অপেক্ষায় রয়েছে, যেখানে ১৮ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পিউ রিসার্চের ২০২৩ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, ৮১ শতাংশ আমেরিকান শিশুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট তৈরিতে অভিভাবক অনুমতির পক্ষে, আর ৭১ শতাংশ বয়স যাচাইয়ের পক্ষে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যার জন্য দায়ী হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্য মেটা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মার্কিন সার্জন জেনারেলও শিশুদের নিরাপত্তায় সতর্কবার্তা জারি করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে ১৬ বছরের নিচে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে, আর নরওয়েসহ আরও কিছু দেশ নতুন নিয়ম বিবেচনা করছে।
তবে বয়স যাচাইয়ের পদ্ধতি নিয়ে মেটা (ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের মালিক) এবং অ্যাপল ও গুগলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
মেটা, স্ন্যাপ ও এক্স—তিনটি সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি—এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছে। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘অভিভাবকেরা চান একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যেখানে তাদের সন্তানদের অ্যাপ ডাউনলোডের অনুমতি ও বয়স যাচাই একসঙ্গে করা যাবে। অ্যাপ স্টোরই তার উপযুক্ত স্থান।’
অন্যদিকে, অ্যাপল ও গুগল এই আইনের সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, এই আইন এমন অ্যাপের জন্যও বয়স যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা তৈরি করছে, যেগুলো তেমন বিতর্কিত নয় যেমন—আবহাওয়া বা খেলার স্কোর দেখার অ্যাপ।
অ্যাপল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই আইন কার্যকর হলে প্রত্যেক টেক্সাসবাসীকে ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্য দিতে হবে কেবল একটি সাধারণ অ্যাপ ডাউনলোড করতে চাইলেও।’
গুগলের পক্ষ থেকে কারিম গনেম জানান, ‘আমরা আইন চাই, তবে সেটা যেন সঠিকভাবে হয়। এই আইন যেন কেবল সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করে, কারণ আসল ক্ষতি ও উদ্বেগ তৈরি করেছে তারাই।’
আইনটি নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিপন্থী সংগঠন প্রগ্রেস চেম্বারের লিগ্যাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথলিন ফারলি। তিনি বলেন, ‘এই আইন প্রাপ্তবয়স্কদের বাক্স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে, কারণ এটি শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সবার ওপর প্রভাব ফেলছে।’
এদিকে শিশু সুরক্ষা সংগঠনগুলো এই আইনকে সমর্থন জানিয়েছে। ডিজিটাল চাইল্ডহুড অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক কেইসি স্টেফানস্কি বলেন, ‘অ্যাপ স্টোরগুলো এখনো মূলত লাভকে গুরুত্ব দিয়েছে, শিশুর নিরাপত্তা ও অধিকার নয়। তাই সরকারকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বিক্রির তালিকায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) শীর্ষস্থান দখল করেছে অ্যাপলের আইফোন ১৬। কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সর্বাধিক বিক্রীত ১০টি স্মার্টফোনের তালিকায় অ্যাপলের পাঁচ
৭ ঘণ্টা আগেমেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যাচ্ছে ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রতিষ্ঠান এক্সএআই। এই অংশীদারিত্বের আওতায় ব্যবহারকারীরা টেলিগ্রামেই ব্যবহার করতে পারবেন এআই চ্যাটবট গ্রোক। দসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশি কিশোর শাহরিয়ার শাহনাজ শুভ্র। ১৭ বছর বয়সী এই কিশোর স্বশিক্ষিত হ্যাকার নাসার সিস্টেমে গুরুতর ত্রুটি আবিষ্কার করার পর তাঁকে স্বীকৃতি দেয় নাসা। কাতারের সংবাদমাধ্যম দ্য পেনিনসুলার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেঅ্যাপল তাদের অপারেটিং সিস্টেমগুলোর নামকরণে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার্স কনফারেন্স (ডব্লিউডব্লিউডিসি) -এ অ্যাপল তাদের অপারেটিং সিস্টেমগুলোর সংস্করণ নম্বর বদলে বছরভিত্তিক নামকরণ ঘোষণা করতে
৯ ঘণ্টা আগে