
স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের গবেষকেরা এই মোজা তৈরি করেন। গবেষকদের দাবি, এই মোজা মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন, তাপমাত্রা, ঘামের পরিমাণ ও গতিবিধি সম্পর্কিত ডেটা পাওয়া যায়। তা ডিমেনশিয়ার রোগীদের পড়ে যাওয়া ও অসুস্থতা ঠেকাতে সাহায্য করবে।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদককে মোজাটির অন্যতম প্রস্তুতকারক ডা. জেকে স্টিয়ার বলেন, সেবা প্রদানকারী এক রুমে না থাকলেও রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট মোজার মাধ্যমে অসুস্থতার লক্ষণগুলো শনাক্ত করা হয় যা ডিমেনশিয়ার রোগীরা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে না। এই লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা জরুরি। কারণ, এর ফলে সেবা প্রদানকারী রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সমর্থন দিতে পারবে।
স্টিয়ার আরও বলেন, তিনি এই মোজাটি শুধু ডিমেনশিয়া রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করেননি। তিনি এই মোজাটি অন্যদের ঘরেও ব্যবহার দেখতে চান। ডিমমেনশিয়া ছাড়াও সম্ভাব্য অন্যান্য অবস্থা যেমন অটিজম ও শেখার অক্ষমতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই মোজা ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যাবে। কারণ, এসব সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্যদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে না।
রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা
যুক্তরাজ্যে ব্রিস্টলে অবস্থিত বয়স্কদের সেবা প্রদানকারী সংস্থা দ্য গার্ডেন হাউস কেয়ার হোম এই মোজাটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার হচ্ছে।
সংস্থাটির ম্যানেজার ফ্রান অ্যাশবি বলেন, এই মোজাটি রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করেছে। কারণ, মোজাটির অ্যাপ আগেই সতর্ক করে দেয়। তা দেখে সেবা প্রদানকারীরা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ফলে রোগী ও সেবা প্রদানকারী দুজনের ওপরেই চাপ কমে যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর সংক্রমণ, ব্যথা ও শরীরবৃত্তীয় লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের নিউরো সায়েন্সের সিনিয়র প্রভাষক ও গবেষণা প্রকল্পের দলনেতা ড. বায়রন ক্রিজ বলেন, তাঁরা যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের কেয়ার হোমের (বৃদ্ধাশ্রম) ডেটাগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। গুরুতর ডিমেনশিয়া রোগীদের সঙ্গে কমিউনিকেশন করা কঠিন। তাই এ মোজাটি রোগীদের উদ্বেগ ও যন্ত্রণা পরিমাপ করতে সাহায্য করবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন নাসিং হোমে তাঁদের মোজার পরীক্ষামূলক ব্যবহার বৃদ্ধি করবেন।
প্রযুক্তিটি সেবা প্রদানকারীদেরও সাহায্য করবে
স্মার্ট মোজার আবিষ্কারক মিলবোটিক্স কোম্পানি। কোম্পানির একটি টিম লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ‘দ্য ইউকে ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট কেয়ার রিসার্চ ও টেকনোলজি সেন্টার’-এর সঙ্গে গবেষণা করছেন।
সেখানকার গবেষক ডা. শ্লোমি হার বলেছেন, এই প্রযুক্তিটি কেয়ার হোমের সেবা প্রদানকারীদের সাহায্য করছে। প্রতিটি ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য সব সময় আলাদা আলাদা সেবা প্রদানকারী নিয়োজিত থাকতে পারে না। তাই রোগীদের কোনো সমস্যায় এই প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারীকে আগে থেকেই অবহিত করতে পারে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীদের ভালো ওষুধ ও সেবা প্রদান করা সম্ভব। সেই সঙ্গে চিকিৎসককে ও পরামর্শকদের সঠিক তথ্য দিয়ে প্রযুক্তিটি সাহায্য করে। তারা রোগীর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ফলে চিকিৎসক রোগীর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের গবেষকেরা এই মোজা তৈরি করেন। গবেষকদের দাবি, এই মোজা মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন, তাপমাত্রা, ঘামের পরিমাণ ও গতিবিধি সম্পর্কিত ডেটা পাওয়া যায়। তা ডিমেনশিয়ার রোগীদের পড়ে যাওয়া ও অসুস্থতা ঠেকাতে সাহায্য করবে।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদককে মোজাটির অন্যতম প্রস্তুতকারক ডা. জেকে স্টিয়ার বলেন, সেবা প্রদানকারী এক রুমে না থাকলেও রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট মোজার মাধ্যমে অসুস্থতার লক্ষণগুলো শনাক্ত করা হয় যা ডিমেনশিয়ার রোগীরা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে না। এই লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা জরুরি। কারণ, এর ফলে সেবা প্রদানকারী রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সমর্থন দিতে পারবে।
স্টিয়ার আরও বলেন, তিনি এই মোজাটি শুধু ডিমেনশিয়া রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করেননি। তিনি এই মোজাটি অন্যদের ঘরেও ব্যবহার দেখতে চান। ডিমমেনশিয়া ছাড়াও সম্ভাব্য অন্যান্য অবস্থা যেমন অটিজম ও শেখার অক্ষমতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই মোজা ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যাবে। কারণ, এসব সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্যদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে না।
রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা
যুক্তরাজ্যে ব্রিস্টলে অবস্থিত বয়স্কদের সেবা প্রদানকারী সংস্থা দ্য গার্ডেন হাউস কেয়ার হোম এই মোজাটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার হচ্ছে।
সংস্থাটির ম্যানেজার ফ্রান অ্যাশবি বলেন, এই মোজাটি রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করেছে। কারণ, মোজাটির অ্যাপ আগেই সতর্ক করে দেয়। তা দেখে সেবা প্রদানকারীরা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ফলে রোগী ও সেবা প্রদানকারী দুজনের ওপরেই চাপ কমে যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর সংক্রমণ, ব্যথা ও শরীরবৃত্তীয় লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের নিউরো সায়েন্সের সিনিয়র প্রভাষক ও গবেষণা প্রকল্পের দলনেতা ড. বায়রন ক্রিজ বলেন, তাঁরা যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের কেয়ার হোমের (বৃদ্ধাশ্রম) ডেটাগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। গুরুতর ডিমেনশিয়া রোগীদের সঙ্গে কমিউনিকেশন করা কঠিন। তাই এ মোজাটি রোগীদের উদ্বেগ ও যন্ত্রণা পরিমাপ করতে সাহায্য করবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন নাসিং হোমে তাঁদের মোজার পরীক্ষামূলক ব্যবহার বৃদ্ধি করবেন।
প্রযুক্তিটি সেবা প্রদানকারীদেরও সাহায্য করবে
স্মার্ট মোজার আবিষ্কারক মিলবোটিক্স কোম্পানি। কোম্পানির একটি টিম লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ‘দ্য ইউকে ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট কেয়ার রিসার্চ ও টেকনোলজি সেন্টার’-এর সঙ্গে গবেষণা করছেন।
সেখানকার গবেষক ডা. শ্লোমি হার বলেছেন, এই প্রযুক্তিটি কেয়ার হোমের সেবা প্রদানকারীদের সাহায্য করছে। প্রতিটি ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য সব সময় আলাদা আলাদা সেবা প্রদানকারী নিয়োজিত থাকতে পারে না। তাই রোগীদের কোনো সমস্যায় এই প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারীকে আগে থেকেই অবহিত করতে পারে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীদের ভালো ওষুধ ও সেবা প্রদান করা সম্ভব। সেই সঙ্গে চিকিৎসককে ও পরামর্শকদের সঠিক তথ্য দিয়ে প্রযুক্তিটি সাহায্য করে। তারা রোগীর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ফলে চিকিৎসক রোগীর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের গবেষকেরা এই মোজা তৈরি করেন। গবেষকদের দাবি, এই মোজা মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন, তাপমাত্রা, ঘামের পরিমাণ ও গতিবিধি সম্পর্কিত ডেটা পাওয়া যায়। তা ডিমেনশিয়ার রোগীদের পড়ে যাওয়া ও অসুস্থতা ঠেকাতে সাহায্য করবে।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদককে মোজাটির অন্যতম প্রস্তুতকারক ডা. জেকে স্টিয়ার বলেন, সেবা প্রদানকারী এক রুমে না থাকলেও রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট মোজার মাধ্যমে অসুস্থতার লক্ষণগুলো শনাক্ত করা হয় যা ডিমেনশিয়ার রোগীরা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে না। এই লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা জরুরি। কারণ, এর ফলে সেবা প্রদানকারী রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সমর্থন দিতে পারবে।
স্টিয়ার আরও বলেন, তিনি এই মোজাটি শুধু ডিমেনশিয়া রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করেননি। তিনি এই মোজাটি অন্যদের ঘরেও ব্যবহার দেখতে চান। ডিমমেনশিয়া ছাড়াও সম্ভাব্য অন্যান্য অবস্থা যেমন অটিজম ও শেখার অক্ষমতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই মোজা ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যাবে। কারণ, এসব সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্যদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে না।
রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা
যুক্তরাজ্যে ব্রিস্টলে অবস্থিত বয়স্কদের সেবা প্রদানকারী সংস্থা দ্য গার্ডেন হাউস কেয়ার হোম এই মোজাটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার হচ্ছে।
সংস্থাটির ম্যানেজার ফ্রান অ্যাশবি বলেন, এই মোজাটি রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করেছে। কারণ, মোজাটির অ্যাপ আগেই সতর্ক করে দেয়। তা দেখে সেবা প্রদানকারীরা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ফলে রোগী ও সেবা প্রদানকারী দুজনের ওপরেই চাপ কমে যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর সংক্রমণ, ব্যথা ও শরীরবৃত্তীয় লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের নিউরো সায়েন্সের সিনিয়র প্রভাষক ও গবেষণা প্রকল্পের দলনেতা ড. বায়রন ক্রিজ বলেন, তাঁরা যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের কেয়ার হোমের (বৃদ্ধাশ্রম) ডেটাগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। গুরুতর ডিমেনশিয়া রোগীদের সঙ্গে কমিউনিকেশন করা কঠিন। তাই এ মোজাটি রোগীদের উদ্বেগ ও যন্ত্রণা পরিমাপ করতে সাহায্য করবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন নাসিং হোমে তাঁদের মোজার পরীক্ষামূলক ব্যবহার বৃদ্ধি করবেন।
প্রযুক্তিটি সেবা প্রদানকারীদেরও সাহায্য করবে
স্মার্ট মোজার আবিষ্কারক মিলবোটিক্স কোম্পানি। কোম্পানির একটি টিম লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ‘দ্য ইউকে ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট কেয়ার রিসার্চ ও টেকনোলজি সেন্টার’-এর সঙ্গে গবেষণা করছেন।
সেখানকার গবেষক ডা. শ্লোমি হার বলেছেন, এই প্রযুক্তিটি কেয়ার হোমের সেবা প্রদানকারীদের সাহায্য করছে। প্রতিটি ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য সব সময় আলাদা আলাদা সেবা প্রদানকারী নিয়োজিত থাকতে পারে না। তাই রোগীদের কোনো সমস্যায় এই প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারীকে আগে থেকেই অবহিত করতে পারে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীদের ভালো ওষুধ ও সেবা প্রদান করা সম্ভব। সেই সঙ্গে চিকিৎসককে ও পরামর্শকদের সঠিক তথ্য দিয়ে প্রযুক্তিটি সাহায্য করে। তারা রোগীর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ফলে চিকিৎসক রোগীর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের গবেষকেরা এই মোজা তৈরি করেন। গবেষকদের দাবি, এই মোজা মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন, তাপমাত্রা, ঘামের পরিমাণ ও গতিবিধি সম্পর্কিত ডেটা পাওয়া যায়। তা ডিমেনশিয়ার রোগীদের পড়ে যাওয়া ও অসুস্থতা ঠেকাতে সাহায্য করবে।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদককে মোজাটির অন্যতম প্রস্তুতকারক ডা. জেকে স্টিয়ার বলেন, সেবা প্রদানকারী এক রুমে না থাকলেও রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট মোজার মাধ্যমে অসুস্থতার লক্ষণগুলো শনাক্ত করা হয় যা ডিমেনশিয়ার রোগীরা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে না। এই লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা জরুরি। কারণ, এর ফলে সেবা প্রদানকারী রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সমর্থন দিতে পারবে।
স্টিয়ার আরও বলেন, তিনি এই মোজাটি শুধু ডিমেনশিয়া রোগীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করেননি। তিনি এই মোজাটি অন্যদের ঘরেও ব্যবহার দেখতে চান। ডিমমেনশিয়া ছাড়াও সম্ভাব্য অন্যান্য অবস্থা যেমন অটিজম ও শেখার অক্ষমতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই মোজা ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যাবে। কারণ, এসব সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্যদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে না।
রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা
যুক্তরাজ্যে ব্রিস্টলে অবস্থিত বয়স্কদের সেবা প্রদানকারী সংস্থা দ্য গার্ডেন হাউস কেয়ার হোম এই মোজাটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার হচ্ছে।
সংস্থাটির ম্যানেজার ফ্রান অ্যাশবি বলেন, এই মোজাটি রোগীদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করেছে। কারণ, মোজাটির অ্যাপ আগেই সতর্ক করে দেয়। তা দেখে সেবা প্রদানকারীরা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ফলে রোগী ও সেবা প্রদানকারী দুজনের ওপরেই চাপ কমে যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর সংক্রমণ, ব্যথা ও শরীরবৃত্তীয় লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ইউনিভার্সিটি অব ইক্সটারের নিউরো সায়েন্সের সিনিয়র প্রভাষক ও গবেষণা প্রকল্পের দলনেতা ড. বায়রন ক্রিজ বলেন, তাঁরা যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের কেয়ার হোমের (বৃদ্ধাশ্রম) ডেটাগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। গুরুতর ডিমেনশিয়া রোগীদের সঙ্গে কমিউনিকেশন করা কঠিন। তাই এ মোজাটি রোগীদের উদ্বেগ ও যন্ত্রণা পরিমাপ করতে সাহায্য করবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন নাসিং হোমে তাঁদের মোজার পরীক্ষামূলক ব্যবহার বৃদ্ধি করবেন।
প্রযুক্তিটি সেবা প্রদানকারীদেরও সাহায্য করবে
স্মার্ট মোজার আবিষ্কারক মিলবোটিক্স কোম্পানি। কোম্পানির একটি টিম লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ‘দ্য ইউকে ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট কেয়ার রিসার্চ ও টেকনোলজি সেন্টার’-এর সঙ্গে গবেষণা করছেন।
সেখানকার গবেষক ডা. শ্লোমি হার বলেছেন, এই প্রযুক্তিটি কেয়ার হোমের সেবা প্রদানকারীদের সাহায্য করছে। প্রতিটি ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য সব সময় আলাদা আলাদা সেবা প্রদানকারী নিয়োজিত থাকতে পারে না। তাই রোগীদের কোনো সমস্যায় এই প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারীকে আগে থেকেই অবহিত করতে পারে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীদের ভালো ওষুধ ও সেবা প্রদান করা সম্ভব। সেই সঙ্গে চিকিৎসককে ও পরামর্শকদের সঠিক তথ্য দিয়ে প্রযুক্তিটি সাহায্য করে। তারা রোগীর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ফলে চিকিৎসক রোগীর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কেনাবেচা বন্ধ করতে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার) ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম।
৫ ঘণ্টা আগে
অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কেনাবেচা বন্ধ করতে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার) ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ বলেন, এনইআইআর সিস্টেম আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে। এনইআইআর এমন একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই নম্বরকে ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত করে নিবন্ধিত করবে। ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এই সিস্টেম চালু হলে অবৈধভাবে আমদানি করা বা নকল মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিভিন্ন সংস্থার তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে এনইআইআর কার্যকর করার বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ বা অনিবন্ধিত ডিভাইস থেকে। এনইআইআর চালু হলে নেটওয়ার্কে আর এ ধরনের ডিভাইস কাজ করবে না।
বিটিআরসি ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইকেওয়াইসি জালিয়াতির ৮৫ শতাংশ ঘটেছিল অনিবন্ধিত বা পুনঃপ্রোগ্রাম করা হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় ১ দশমিক ৮ লাখ ফোন চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায়। এনইআইআর চালু হলে এসব ডিভাইস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করা যাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর অনুমান অনুযায়ী, অবৈধ ফোন আমদানির কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। এনইআইআর কার্যকর হলে এই ক্ষতি রোধ সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
তৈয়্যব আশা প্রকাশ করে বলেন, এনইআইআরের মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে। একই সঙ্গে এটি অপরাধ দমনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কারণ, চুরি বা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস সহজেই শনাক্ত ও ব্লক করা সম্ভব হবে।
ফয়েজ আহমদ বলেন, এনইআইআর শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়, এটি নাগরিকের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা এবং টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি জাতীয় অঙ্গীকার।
বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানান, এনইআইআরের মাধ্যমে মোবাইলে যে সিম ব্যবহার করা হবে, তার তথ্যও পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে মোবাইল ট্রেস করা সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কেনাবেচা বন্ধ করতে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার) ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ বলেন, এনইআইআর সিস্টেম আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে। এনইআইআর এমন একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই নম্বরকে ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত করে নিবন্ধিত করবে। ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এই সিস্টেম চালু হলে অবৈধভাবে আমদানি করা বা নকল মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিভিন্ন সংস্থার তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে এনইআইআর কার্যকর করার বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ বা অনিবন্ধিত ডিভাইস থেকে। এনইআইআর চালু হলে নেটওয়ার্কে আর এ ধরনের ডিভাইস কাজ করবে না।
বিটিআরসি ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইকেওয়াইসি জালিয়াতির ৮৫ শতাংশ ঘটেছিল অনিবন্ধিত বা পুনঃপ্রোগ্রাম করা হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় ১ দশমিক ৮ লাখ ফোন চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায়। এনইআইআর চালু হলে এসব ডিভাইস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করা যাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর অনুমান অনুযায়ী, অবৈধ ফোন আমদানির কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। এনইআইআর কার্যকর হলে এই ক্ষতি রোধ সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
তৈয়্যব আশা প্রকাশ করে বলেন, এনইআইআরের মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে। একই সঙ্গে এটি অপরাধ দমনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কারণ, চুরি বা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস সহজেই শনাক্ত ও ব্লক করা সম্ভব হবে।
ফয়েজ আহমদ বলেন, এনইআইআর শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়, এটি নাগরিকের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা এবং টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি জাতীয় অঙ্গীকার।
বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানান, এনইআইআরের মাধ্যমে মোবাইলে যে সিম ব্যবহার করা হবে, তার তথ্যও পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে মোবাইল ট্রেস করা সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প
২৮ আগস্ট ২০২৩
একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম।
৫ ঘণ্টা আগে
অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম। এই নতুন প্রবণতাটি ‘ক্লাউড ফার্মিং’ নামে পরিচিত, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর আগমন এই ধারায় নতুন গতি এনেছে।
মোহান কুমারের মতো কর্মীরা এই পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছেন। তামিলনাড়ুর ছোট শহর টিএন পালায়ামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন।
মোহান কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন। আমি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডেটা সংগ্রহ করি, সেগুলোতে লেবেল লাগাই এবং মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিই, যাতে তারা বস্তুকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মডেলগুলো স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে।’
মেট্রো শহরে না থাকার কারণে কোনো পেশাগত ক্ষতি হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পেশাগতভাবে কোনো পার্থক্য নেই। ছোট শহরে থেকেও আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একই বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করি। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার মানও একই।’
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ডেসিক্রু হলো ক্লাউড ফার্মিং-এর অন্যতম পথিকৃৎ। চেন্নাইয়ে সদর দপ্তর থাকলেও এই প্রতিষ্ঠান প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ ছড়িয়ে দিয়েছে।
ডেসিক্রুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মান্নিভান্নান জে কে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, চাকরির খোঁজে মানুষকে শহরে যেতে বাধ্য করার বদলে, যেখানে মানুষ থাকে সেখানেই কাজ নিয়ে যাওয়া সম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগগুলো কেবল শহরেই কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলে গ্রামের যুবসমাজ পিছিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের লক্ষ্য সব সময়ই ছিল মানুষের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের ক্যারিয়ার তৈরি করা।’
ডেসিক্রুর মোট কাজের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই বর্তমানে এআই সম্পর্কিত। মান্নিভান্নান জে কে আশা করেন, খুব শিগগিরই তা বেড়ে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশে পৌঁছাবে। এই কাজগুলোর একটি বড় অংশ হলো ট্রান্সক্রিপশন বা অডিও থেকে টেক্সটে রূপান্তর, যা মানুষের কথা বলার বৈচিত্র্য বুঝতে এআইকে সহায়তা করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘অনেকেই ধরে নেন যে গ্রাম মানেই অনুন্নত। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রগুলো শহুরে আইটি হাবগুলোর মতোই—সুরক্ষিত ডেটা অ্যাকসেস, নির্ভরযোগ্য সংযোগ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রয়েছে। পার্থক্য কেবল ভৌগোলিক অবস্থানে।’ তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মীই নারী, যাদের জন্য এটি আর্থিক নিরাপত্তা এনে দিয়েছে।
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নেক্সটওয়েলথ ক্লাউড ফার্মিংয়ে আরও একটি অগ্রণী সংস্থা। বেঙ্গালুরুতে সদর দপ্তর থাকা সত্ত্বেও, ভারতের ছোট শহরগুলোতে তাদের ১১টি অফিসে ৫ হাজার কর্মী কাজ করেন।
নেক্সটওয়েলথ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথিলি রমেশের মতে, ‘ভারতের ৬০ শতাংশ স্নাতক ছোট শহর থেকে আসে, অথচ বেশির ভাগ আইটি কোম্পানি শুধু মেট্রো শহর থেকে নিয়োগ করে। এটি বিপুলসংখ্যক স্মার্ট স্নাতকের সম্ভাবনাকে অব্যবহৃত রেখে দেয়।’ তিনি জানান, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অ্যালগরিদমগুলো ভারতের ছোট শহরগুলোতেই প্রশিক্ষণ ও যাচাই করা হচ্ছে।
মিথিলি রমেশের অনুমান, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে এআই এবং জেনারেটিভ এআই প্রশিক্ষণ, যাচাই এবং রিয়েল-টাইম হ্যান্ডলিং-এর ক্ষেত্রে প্রায় ১০ কোটি নতুন কাজের সৃষ্টি করবে। ভারতের ছোট শহরগুলো এই বিশাল কর্মবাহিনীর মেরুদণ্ড হতে পারে। তিনি মনে করেন, এআই আউটসোর্সিংয়ে ভারতের প্রাথমিক সূচনা এবং কাজের বিশাল ব্যাপ্তি দেশটিকে পাঁচ থেকে সাত বছরের সুবিধা দিয়েছে।
এআই-এর জন্য সিলিকন ভ্যালি ইঞ্জিন তৈরি করলেও, সেই ইঞ্জিনকে সচল রাখার দৈনন্দিন কাজ এখন ক্রমবর্ধমানভাবে ভারতের ক্লাউড ফার্মিং শিল্প থেকে আসছে বলে মনে করেন প্রযুক্তি উপদেষ্টা কে এস বিশ্বনাথন। তিনি এটিকে একটি ‘টিপিং পয়েন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তবে এই সাফল্যের পথ চ্যালেঞ্জমুক্ত নয়। ডেসিক্রু ও নেক্সটওয়েলথ নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগের কথা বললেও, বিশ্বনাথন স্বীকার করেন, ভারতের ছোট শহরগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং সুরক্ষিত ডেটা সেন্টারের মান এখনো মেট্রো শহরগুলোর সমতুল্য নয়।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে ছোট শহরগুলো ডেটা সুরক্ষার মান পূরণ করতে পারবে না। এই ধারণা কাটিয়ে ওঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
নেক্সটওয়েলথ-এর কর্মী ধনলক্ষ্মী বিজয়, যিনি এআই ‘ফাইন টিউন’ করার কাজ করেন (যেমন, নীল ডেনিম জ্যাকেট এবং নেভি শার্টের মতো দেখতে দুটি কাছাকাছি বস্তুকে চিনিয়ে দেওয়া), তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনগুলো সিস্টেমে পাঠানো হয়, যা মডেলটিকে আরও নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে। আপনার অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতা সহজ ও ঝামেলামুক্ত করার জন্য পরোক্ষভাবে আমার দলই এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’

একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম। এই নতুন প্রবণতাটি ‘ক্লাউড ফার্মিং’ নামে পরিচিত, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর আগমন এই ধারায় নতুন গতি এনেছে।
মোহান কুমারের মতো কর্মীরা এই পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছেন। তামিলনাড়ুর ছোট শহর টিএন পালায়ামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন।
মোহান কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন। আমি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডেটা সংগ্রহ করি, সেগুলোতে লেবেল লাগাই এবং মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিই, যাতে তারা বস্তুকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মডেলগুলো স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে।’
মেট্রো শহরে না থাকার কারণে কোনো পেশাগত ক্ষতি হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পেশাগতভাবে কোনো পার্থক্য নেই। ছোট শহরে থেকেও আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একই বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করি। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার মানও একই।’
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ডেসিক্রু হলো ক্লাউড ফার্মিং-এর অন্যতম পথিকৃৎ। চেন্নাইয়ে সদর দপ্তর থাকলেও এই প্রতিষ্ঠান প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ ছড়িয়ে দিয়েছে।
ডেসিক্রুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মান্নিভান্নান জে কে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, চাকরির খোঁজে মানুষকে শহরে যেতে বাধ্য করার বদলে, যেখানে মানুষ থাকে সেখানেই কাজ নিয়ে যাওয়া সম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগগুলো কেবল শহরেই কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলে গ্রামের যুবসমাজ পিছিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের লক্ষ্য সব সময়ই ছিল মানুষের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের ক্যারিয়ার তৈরি করা।’
ডেসিক্রুর মোট কাজের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই বর্তমানে এআই সম্পর্কিত। মান্নিভান্নান জে কে আশা করেন, খুব শিগগিরই তা বেড়ে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশে পৌঁছাবে। এই কাজগুলোর একটি বড় অংশ হলো ট্রান্সক্রিপশন বা অডিও থেকে টেক্সটে রূপান্তর, যা মানুষের কথা বলার বৈচিত্র্য বুঝতে এআইকে সহায়তা করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘অনেকেই ধরে নেন যে গ্রাম মানেই অনুন্নত। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রগুলো শহুরে আইটি হাবগুলোর মতোই—সুরক্ষিত ডেটা অ্যাকসেস, নির্ভরযোগ্য সংযোগ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রয়েছে। পার্থক্য কেবল ভৌগোলিক অবস্থানে।’ তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মীই নারী, যাদের জন্য এটি আর্থিক নিরাপত্তা এনে দিয়েছে।
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নেক্সটওয়েলথ ক্লাউড ফার্মিংয়ে আরও একটি অগ্রণী সংস্থা। বেঙ্গালুরুতে সদর দপ্তর থাকা সত্ত্বেও, ভারতের ছোট শহরগুলোতে তাদের ১১টি অফিসে ৫ হাজার কর্মী কাজ করেন।
নেক্সটওয়েলথ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথিলি রমেশের মতে, ‘ভারতের ৬০ শতাংশ স্নাতক ছোট শহর থেকে আসে, অথচ বেশির ভাগ আইটি কোম্পানি শুধু মেট্রো শহর থেকে নিয়োগ করে। এটি বিপুলসংখ্যক স্মার্ট স্নাতকের সম্ভাবনাকে অব্যবহৃত রেখে দেয়।’ তিনি জানান, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অ্যালগরিদমগুলো ভারতের ছোট শহরগুলোতেই প্রশিক্ষণ ও যাচাই করা হচ্ছে।
মিথিলি রমেশের অনুমান, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে এআই এবং জেনারেটিভ এআই প্রশিক্ষণ, যাচাই এবং রিয়েল-টাইম হ্যান্ডলিং-এর ক্ষেত্রে প্রায় ১০ কোটি নতুন কাজের সৃষ্টি করবে। ভারতের ছোট শহরগুলো এই বিশাল কর্মবাহিনীর মেরুদণ্ড হতে পারে। তিনি মনে করেন, এআই আউটসোর্সিংয়ে ভারতের প্রাথমিক সূচনা এবং কাজের বিশাল ব্যাপ্তি দেশটিকে পাঁচ থেকে সাত বছরের সুবিধা দিয়েছে।
এআই-এর জন্য সিলিকন ভ্যালি ইঞ্জিন তৈরি করলেও, সেই ইঞ্জিনকে সচল রাখার দৈনন্দিন কাজ এখন ক্রমবর্ধমানভাবে ভারতের ক্লাউড ফার্মিং শিল্প থেকে আসছে বলে মনে করেন প্রযুক্তি উপদেষ্টা কে এস বিশ্বনাথন। তিনি এটিকে একটি ‘টিপিং পয়েন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তবে এই সাফল্যের পথ চ্যালেঞ্জমুক্ত নয়। ডেসিক্রু ও নেক্সটওয়েলথ নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগের কথা বললেও, বিশ্বনাথন স্বীকার করেন, ভারতের ছোট শহরগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং সুরক্ষিত ডেটা সেন্টারের মান এখনো মেট্রো শহরগুলোর সমতুল্য নয়।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে ছোট শহরগুলো ডেটা সুরক্ষার মান পূরণ করতে পারবে না। এই ধারণা কাটিয়ে ওঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
নেক্সটওয়েলথ-এর কর্মী ধনলক্ষ্মী বিজয়, যিনি এআই ‘ফাইন টিউন’ করার কাজ করেন (যেমন, নীল ডেনিম জ্যাকেট এবং নেভি শার্টের মতো দেখতে দুটি কাছাকাছি বস্তুকে চিনিয়ে দেওয়া), তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনগুলো সিস্টেমে পাঠানো হয়, যা মডেলটিকে আরও নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে। আপনার অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতা সহজ ও ঝামেলামুক্ত করার জন্য পরোক্ষভাবে আমার দলই এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প
২৮ আগস্ট ২০২৩
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কেনাবেচা বন্ধ করতে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার) ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২ ঘণ্টা আগে
অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধী চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় তিনজন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও ৯ জনকে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট জানিয়েছেন, এই নতুন ও উদ্বেগজনক ‘লিঙ্গভিত্তিক’ সহিংসতার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার এক ভাষণে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন তিনি।
টার্গেট করা কিশোরীদের দিয়ে কী ধরনের কাজ করানো হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কমিশনার ব্যারেট বলেছেন, অভিযুক্ত অপরাধীরা সহিংস উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং ‘মজা করার জন্য’ মানুষকে আঘাত করতে চায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিশের ঘরে থাকা তরুণ। যাদের বেশির ভাগ পশ্চিমা পটভূমি থেকে এসেছে। তারা রোবলক্সের মতো গেমিং প্ল্যাটফর্ম বা ডিসকর্ড ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে কিশোরী বা প্রাক্-কিশোরী মেয়েদের টার্গেট করে।
কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট এদের ‘ক্রাইমফ্লুয়েন্সার’ (crimefluencer) বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ব্যক্তিরা নানা ধরনের মতাদর্শে বিশ্বাসী, যার মধ্যে নিহিলিজম (জীবনের অর্থ অস্বীকার), স্যাডিজম (অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাওয়া), নাৎসিবাদ ও শয়তানবাদ অন্তর্ভুক্ত।
ব্যারেট বলেন, এই দলগুলোর সংস্কৃতি অনেকটা মাল্টিপ্লেয়ার বা অনলাইন গেমিং সংস্কৃতির মতো। তারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিকার খোঁজে, অনুসরণ করে এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের টেনে আনে।। তারা হয়তো তাদের আচরণের পরিণতি পুরোপুরি বোঝে না।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই নেটওয়ার্কগুলোর সদস্যদের প্রেরণা অর্থনৈতিক নয়, যৌন তৃপ্তির জন্যও নয়, একেবারেই তাদের বিনোদনের জন্য, মজা করার জন্য কিংবা অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই তারা এসব করছে।’
কমিশনার ব্যারেট জানান, শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৬০ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ ফাইভ আইজ (Five Eyes) জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মিলে এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সময়ে এই ঘোষণা এল। তবে ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বাইরে থাকবে গেমিং ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো।

অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধী চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় তিনজন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও ৯ জনকে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট জানিয়েছেন, এই নতুন ও উদ্বেগজনক ‘লিঙ্গভিত্তিক’ সহিংসতার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার এক ভাষণে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন তিনি।
টার্গেট করা কিশোরীদের দিয়ে কী ধরনের কাজ করানো হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কমিশনার ব্যারেট বলেছেন, অভিযুক্ত অপরাধীরা সহিংস উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং ‘মজা করার জন্য’ মানুষকে আঘাত করতে চায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিশের ঘরে থাকা তরুণ। যাদের বেশির ভাগ পশ্চিমা পটভূমি থেকে এসেছে। তারা রোবলক্সের মতো গেমিং প্ল্যাটফর্ম বা ডিসকর্ড ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে কিশোরী বা প্রাক্-কিশোরী মেয়েদের টার্গেট করে।
কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট এদের ‘ক্রাইমফ্লুয়েন্সার’ (crimefluencer) বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ব্যক্তিরা নানা ধরনের মতাদর্শে বিশ্বাসী, যার মধ্যে নিহিলিজম (জীবনের অর্থ অস্বীকার), স্যাডিজম (অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাওয়া), নাৎসিবাদ ও শয়তানবাদ অন্তর্ভুক্ত।
ব্যারেট বলেন, এই দলগুলোর সংস্কৃতি অনেকটা মাল্টিপ্লেয়ার বা অনলাইন গেমিং সংস্কৃতির মতো। তারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিকার খোঁজে, অনুসরণ করে এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের টেনে আনে।। তারা হয়তো তাদের আচরণের পরিণতি পুরোপুরি বোঝে না।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই নেটওয়ার্কগুলোর সদস্যদের প্রেরণা অর্থনৈতিক নয়, যৌন তৃপ্তির জন্যও নয়, একেবারেই তাদের বিনোদনের জন্য, মজা করার জন্য কিংবা অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই তারা এসব করছে।’
কমিশনার ব্যারেট জানান, শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৬০ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ ফাইভ আইজ (Five Eyes) জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মিলে এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সময়ে এই ঘোষণা এল। তবে ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বাইরে থাকবে গেমিং ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো।

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প
২৮ আগস্ট ২০২৩
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কেনাবেচা বন্ধ করতে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার) ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম।
৫ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে। পাঁচ বছর আগে ৫জি চালু হওয়ার সময় যে গতি, মসৃণ স্ট্রিমিং এবং তাৎক্ষণিক সংযোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, বাস্তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই অধরা।
প্রতীক মানেই গতি নয়
যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা পলিসিট্র্যাকার-এর গবেষণা এবং বিবিসির ‘মর্নিং লাইভ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০ শতাংশ সময় একটি ফোনে যখন নেটওয়ার্ক বারে ৫জি প্রতীক দেখা যায়, তখন ফোনটি আসলে ৪জি সংযোগ ব্যবহার করে।
এর অর্থ হলো, গ্রাহকেরা উচ্চ মূল্যে ৫জি পরিষেবার বিল পরিশোধ করেও নীরবে ধীর গতির ৪জিতেই আটকে থাকছেন। পলিসিট্র্যাকারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর প্রধান কারণ হলো মোবাইল নেটওয়ার্কগুলো ৫ জি-কে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। তাঁদের মতে, স্ক্রিনের প্রতীকটি এলাকায় ৫জি সিগন্যালের ‘উপস্থিতি’ দেখায় মাত্র, কিন্তু ফোনটি প্রকৃতপক্ষে সক্রিয়ভাবে সেই দ্রুততম নেটওয়ার্কে যুক্ত কি না, তা নিশ্চিত করে না।
নীতিগতভাবে, ৫জি-এর সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক ডাউনলোড গতি প্রতি সেকেন্ডে ২০ হাজার মেগাবিটস (এমবিপিএস) পর্যন্ত হতে পারে। এই গতিতে এক মিনিটেরও কম সময়ে ১৮টি এইচডি চলচ্চিত্র ডাউনলোড করা সম্ভব। তবে গ্রাহকদের জন্য এই গতি বহুলাংশে কম দেখা গেছে।
মোবাইল অপারেটর এবং সরকারের বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও,৫জি পরিষেবা বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর মূল কারণ হলো,৫জি প্রযুক্তিতে দ্রুত গতি বজায় রাখতে তুলনামূলকভাবে কম দূরত্বে অনেক বেশি টাওয়ার (mast) স্থাপনের প্রয়োজন হয়।
পলিসিট্র্যাকারের মার্টিন সিমনস জানান, ফোনে ৫জি লোগো দেখানো সত্ত্বেও, ডেটা এখনও পুরোনো ৪জি অবকাঠামো ব্যবহার করে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকেরা যেখানে অতি-দ্রুত নেটওয়ার্কের প্রত্যাশা করেন, সেখানেও ধীর ডাউনলোড বা বাফারিংয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
এই সমস্যার সমাধানে কিছু মোবাইল নেটওয়ার্ক এখন ‘স্ট্যান্ডালোন ৫ জি’ নামে একটি নতুন পরিষেবা চালু করছে। তারা দাবি করছে, এই পরিষেবাটি সব সময় সত্যিকারের ৫জি গতি সরবরাহ করবে।
তবে এই সুবিধা পেতে হলে গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ ফোন প্ল্যান কিনতে হবে, যার খরচ সাধারণত বেশি হয়। কনজিউমার বিশেষজ্ঞ জেসপার গ্রিগসন বিবিসিকে বলেছেন, এই স্ট্যান্ডালোন ৫জি অনেকের জন্য ‘খুব বেশি খরুচে নয়’ কারণ এর চুক্তিগুলো ব্যয়বহুল এবং বড় শহরগুলোতে এখনও কভারেজ অসম্পূর্ণ। যদিও ট্রেন স্টেশন বা ব্যস্ত এলাকায় ভালো পরিষেবা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের স্বচ্ছতা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আপনি একটি জিনিস পাওয়ার আশা করছেন, কিন্তু পাচ্ছেন অন্য কিছু। এখানে নির্ভুলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংস্থা মোবাইল ইউকে অবশ্য নিশ্চিত করেছে,৫জি আইকন মানেই সক্রিয় ৫জি সংযোগ নয়। এটি শুধু ব্যবহারকারী ৫জি এনাবল এলাকায় আছেন তা নির্দেশ করে। তারা জানায়, নেটওয়ার্কগুলো রিয়েল-টাইম সিগন্যাল শক্তির ওপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের গতিশীলভাবে ৪জি বা ৫ জি-এর মধ্যে সেরা সংযোগে পরিচালিত করে।
গ্রাহকেরা কী করবেন?
যদি অপারেটর ৫জি নেটওয়ার্ক দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু আপনি নিয়মিত এবং নির্ভরযোগ্য ৫জি সংকেত পাচ্ছেন না বলে মনে করেন, তাহলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা:
গতি পরীক্ষা করুন: একটি অনলাইন স্পিড টেস্ট ব্যবহার করে আসল ডাউনলোড এবং আপলোড রেট দেখুন।
কভারেজ যাচাই করুন: আপনার এলাকায় কোন নেটওয়ার্ক সেরা ৪জি বা ৫জি সংকেত দিচ্ছে, তা জানতে একটি কভারেজ চেকার ব্যবহার করুন।
প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন: যদি আপনি কভারেজ নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তবে আপনার বর্তমান পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করে সমস্যাটি ব্যাখ্যা করুন এবং তাদের পরামর্শ নিন।
প্রোভাইডার পরিবর্তন করুন: একটি অপারেটরে আবদ্ধ না থেকে, ভালো কভারেজ দেয় এমন অন্য একটি প্রোভাইডারে সুইচ করা যেতে পারে।

মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে। পাঁচ বছর আগে ৫জি চালু হওয়ার সময় যে গতি, মসৃণ স্ট্রিমিং এবং তাৎক্ষণিক সংযোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, বাস্তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই অধরা।
প্রতীক মানেই গতি নয়
যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা পলিসিট্র্যাকার-এর গবেষণা এবং বিবিসির ‘মর্নিং লাইভ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০ শতাংশ সময় একটি ফোনে যখন নেটওয়ার্ক বারে ৫জি প্রতীক দেখা যায়, তখন ফোনটি আসলে ৪জি সংযোগ ব্যবহার করে।
এর অর্থ হলো, গ্রাহকেরা উচ্চ মূল্যে ৫জি পরিষেবার বিল পরিশোধ করেও নীরবে ধীর গতির ৪জিতেই আটকে থাকছেন। পলিসিট্র্যাকারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর প্রধান কারণ হলো মোবাইল নেটওয়ার্কগুলো ৫ জি-কে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। তাঁদের মতে, স্ক্রিনের প্রতীকটি এলাকায় ৫জি সিগন্যালের ‘উপস্থিতি’ দেখায় মাত্র, কিন্তু ফোনটি প্রকৃতপক্ষে সক্রিয়ভাবে সেই দ্রুততম নেটওয়ার্কে যুক্ত কি না, তা নিশ্চিত করে না।
নীতিগতভাবে, ৫জি-এর সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক ডাউনলোড গতি প্রতি সেকেন্ডে ২০ হাজার মেগাবিটস (এমবিপিএস) পর্যন্ত হতে পারে। এই গতিতে এক মিনিটেরও কম সময়ে ১৮টি এইচডি চলচ্চিত্র ডাউনলোড করা সম্ভব। তবে গ্রাহকদের জন্য এই গতি বহুলাংশে কম দেখা গেছে।
মোবাইল অপারেটর এবং সরকারের বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও,৫জি পরিষেবা বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর মূল কারণ হলো,৫জি প্রযুক্তিতে দ্রুত গতি বজায় রাখতে তুলনামূলকভাবে কম দূরত্বে অনেক বেশি টাওয়ার (mast) স্থাপনের প্রয়োজন হয়।
পলিসিট্র্যাকারের মার্টিন সিমনস জানান, ফোনে ৫জি লোগো দেখানো সত্ত্বেও, ডেটা এখনও পুরোনো ৪জি অবকাঠামো ব্যবহার করে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকেরা যেখানে অতি-দ্রুত নেটওয়ার্কের প্রত্যাশা করেন, সেখানেও ধীর ডাউনলোড বা বাফারিংয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
এই সমস্যার সমাধানে কিছু মোবাইল নেটওয়ার্ক এখন ‘স্ট্যান্ডালোন ৫ জি’ নামে একটি নতুন পরিষেবা চালু করছে। তারা দাবি করছে, এই পরিষেবাটি সব সময় সত্যিকারের ৫জি গতি সরবরাহ করবে।
তবে এই সুবিধা পেতে হলে গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ ফোন প্ল্যান কিনতে হবে, যার খরচ সাধারণত বেশি হয়। কনজিউমার বিশেষজ্ঞ জেসপার গ্রিগসন বিবিসিকে বলেছেন, এই স্ট্যান্ডালোন ৫জি অনেকের জন্য ‘খুব বেশি খরুচে নয়’ কারণ এর চুক্তিগুলো ব্যয়বহুল এবং বড় শহরগুলোতে এখনও কভারেজ অসম্পূর্ণ। যদিও ট্রেন স্টেশন বা ব্যস্ত এলাকায় ভালো পরিষেবা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের স্বচ্ছতা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আপনি একটি জিনিস পাওয়ার আশা করছেন, কিন্তু পাচ্ছেন অন্য কিছু। এখানে নির্ভুলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংস্থা মোবাইল ইউকে অবশ্য নিশ্চিত করেছে,৫জি আইকন মানেই সক্রিয় ৫জি সংযোগ নয়। এটি শুধু ব্যবহারকারী ৫জি এনাবল এলাকায় আছেন তা নির্দেশ করে। তারা জানায়, নেটওয়ার্কগুলো রিয়েল-টাইম সিগন্যাল শক্তির ওপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের গতিশীলভাবে ৪জি বা ৫ জি-এর মধ্যে সেরা সংযোগে পরিচালিত করে।
গ্রাহকেরা কী করবেন?
যদি অপারেটর ৫জি নেটওয়ার্ক দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু আপনি নিয়মিত এবং নির্ভরযোগ্য ৫জি সংকেত পাচ্ছেন না বলে মনে করেন, তাহলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা:
গতি পরীক্ষা করুন: একটি অনলাইন স্পিড টেস্ট ব্যবহার করে আসল ডাউনলোড এবং আপলোড রেট দেখুন।
কভারেজ যাচাই করুন: আপনার এলাকায় কোন নেটওয়ার্ক সেরা ৪জি বা ৫জি সংকেত দিচ্ছে, তা জানতে একটি কভারেজ চেকার ব্যবহার করুন।
প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন: যদি আপনি কভারেজ নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তবে আপনার বর্তমান পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করে সমস্যাটি ব্যাখ্যা করুন এবং তাদের পরামর্শ নিন।
প্রোভাইডার পরিবর্তন করুন: একটি অপারেটরে আবদ্ধ না থেকে, ভালো কভারেজ দেয় এমন অন্য একটি প্রোভাইডারে সুইচ করা যেতে পারে।

স্মৃতিভ্রংশে আক্রান্ত রোগীর পতন ও অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে তৈরি হাই-টেক মোজা নিয়ে গবেষণা চলছে। ‘স্মার্ট সক্স’ নামে এই হাই-টেক মোজার সেন্সর ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ আক্রান্ত রোগীদের ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রদানকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপে পাঠাবে। স্কাই নিউজের এক প
২৮ আগস্ট ২০২৩
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কেনাবেচা বন্ধ করতে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার) ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম।
৫ ঘণ্টা আগে
অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে