Ajker Patrika

কাবাডির এই মেয়েরাই গড়ে দিতে পারেন এশিয়াডের স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ২৬
কাবাডির এই মেয়েরাই গড়ে দিতে পারেন এশিয়াডের স্বপ্ন

ফাইনালের নিষ্পত্তি হলো শেষ মিনিটে গিয়ে। ঢাকা টুয়েলভ ও টেকনো মিডিয়ার ফল তখন পর্যন্ত ২২-২২। খেলার যখন ৬ সেকেন্ড বাকি, তখন টেকনোকে চমকে দিয়ে শেষ সময়ে ঢাকাকে এক পয়েন্ট এনে দিলেন দলের আইকন খেলোয়াড় রাত্রি আক্তার। ২৩ পয়েন্টে প্রথম করপোরেট মহিলা কাবাডি লিগের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা টুয়েলভ। 

ছয় দল নিয়ে প্রথম করপোরেট নারী লিগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল ২২ জানুয়ারি। দুই লেগের টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল আরও আগে। তবে টুর্নামেন্টকে ঘিরে তোড়জোড় প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছিল আরও তিন মাস আগে। সারা দেশের বাছাই করা ১০০ নারীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল আবাসিক ক্যাম্প। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা এসব খেলোয়াড়কে ছয় দলে ভাগ করে শুরু হয় প্রথম করপোরেট নারী লিগ। 

টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো স্টেডিয়ামে এসে দেখেছেন বাংলাদেশ কাবাডি জাতীয় দলের ভারতীয় কোচ সাজুরাম গয়াত। আজ জাতীয় কাবাডি স্টেডিয়ামের ফাইনালে তরুণ একঝাঁক খেলোয়াড়ের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখে আশা ভরা কণ্ঠে বললেন, ‘অল্প বয়সী এই মেয়েগুলো কী দারুণ এক লড়াই উপহারই না দিল। প্রায় সবগুলো ম্যাচই রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। এই মেয়েদের লম্বা সময় ক্যাম্পে রাখতে হবে। সেটা সম্ভব হলে আমি লিখে দিতে পারি, এবারের এশিয়া কাপে না হলেও ২০২৬ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের মেয়েরা পদক জিতবেই।’ 

নারী কাবাডিতে আগে খেলোয়াড়দের জন্য আনসার ও পুলিশ দলের ওপর নির্ভর করতে হতো জাতীয় দলকে। করপোরেট লিগের মাধ্যমে এখন প্রতি পজিশনে দুই থেকে তিনজন মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরি হবে বলে জানালেন শিরোপাজয়ী ঢাকা টুয়েলভের কোচ বজলুর রশীদ। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে দীর্ঘ অনুশীলন চাইলেন তিনিও। সঙ্গে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবিও এসেছে তাঁর পক্ষ থেকে, ‘একজন কোচ হিসেবে চাইব এই মেয়েদের পারিশ্রমিকটা যেন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাতে মেয়েরা কাবাডিতে আসতে উৎসাহী হবে।’ 

উপভোগ্য ফাইনালে ঢাকার শিরোপা এসেছে অধিনায়ক রেখা আক্তারের হাত ছুঁয়ে। অথচ একটা সময় শিরোপার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। বললেন, ‘ম্যাচের শেষ দিকে আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমাদের মধ্যে কিছুটা হতাশাও ভর করেছিল। আমাদের চ্যাম্পিয়ন হতে শেষ রেইড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।’ টুর্নামেন্ট খেলে গড়ে ১৫ হাজার টাকার মতো পাচ্ছেন প্রতি খেলোয়াড়। এই পারিশ্রমিকে আপাতত খুশি থাকলেও পরিমাণটা বাড়ানোর আরজি খেলোয়াড়দের। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়া ঢাকা টুয়েলভের স্মৃতি আক্তার বললেন, ‘আমাদের একটা সরকারি চাকরি হলে খুব ভালো হয়। যখন অন্য মেয়েরা দেখবে কাবাডি খেলে চাকরি, কর্মসংস্থান হয় তখন তারাও খেলতে আগ্রহ পাবে।’ 

টুর্নামেন্টের সেরা রেইডার হয়েছেন আনজু আরা রাত্রী এবং টেকনো মিডিয়ার রুপালী আক্তার সেরা ক্যাচার হয়েছেন। মেয়েদের প্রথম করপোরেট লিগে তৃতীয় হয়েছে নরসিংদী লিজেন্ডস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত