২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক তানভীর ইসলামের। এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে অভিষেক। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে এসেছেন পাদপ্রদীপের আলোয়। জাতীয় দলে উঠে আসা, বাদ পড়া, আবার ফিরে আসার পেছনের গল্প আজকের পত্রিকার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
প্রশ্ন: ৩৯ রানে ৫ উইকেট, অভিষেক সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের এই সাফল্য কতটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে আপনাকে?
তানভীর ইসলাম: ভালো খেললে নিজেরই ভালো লাগে। আমার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল, ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচেই খেলার সুযাগ পেয়েছি। এটা আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে।
প্রশ্ন: আগের চেয়ে এখন বলে বেশি টার্ন পাচ্ছেন। টেকনিক্যাল এই পরিবর্তনে কোন বিষয়টা বেশি ভূমিকা রেখেছে?
তানভীর: সালাহ উদ্দীন স্যার (বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ) সিম সোজা করে বল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন তাতে বল স্কিড করবে এবং টার্নও ভালো দেবে। (মেহেদী হাসান) মিরাজ ভাই প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দু-একটা বলে টার্ন পেয়েছিলেন, সব বলে নয়। তবে আমার প্রথম বল থেকেই কিছুটা টার্ন হচ্ছিল। স্যারের কথামতো আমি সিম সোজা রেখে বল করতে শুরু করি। শুরুতে দু-একটা বল টার্ন করে, কিছু আবার করছিল না। এরপর সোজা সিমে বল করার অনুশীলন করি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পাওয়া সেই অনুশীলনের ফল বলতে পারেন।
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারে কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের ভূমিকা বিস্তারিত শুনতে চাই।
তানভীর: বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দলের হয়ে যখন ভরসা একজন ক্রিকেটারকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। যখন যেখানে সুযাগ পেয়েছি, চেষ্টা করেছি ভালো করতে।
প্রশ্ন: এখনো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর দিকে। ক্রিকেট জার্নিটা যদি ফিরে দেখেন, সেখানে কাদের অবদান বেশি?
তানভীর: নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছিলাম ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য। আমাকে সবকিছু শিখিয়েছেন সাইফুল ভাই। তিনি আমাকে খেলাঘরে খেলার ব্যবস্থা করেন। সে সময় সেই ক্লাবের কোচ ছিলেন তিনি। ভাইয়ের কাছে বোলিং শিখেছি। পরে সিসিএস একাডেমিতে দিপু রায় চৌধুরী স্যারের কাছে যাই। প্রগতির হয়ে থার্ড ডিভিশনে খেলি। প্রথমে জানতাম না ক্রিকেট খেলে টাকা পাওয়া যায়। আমাকে টাকা নেওয়ার জন্য যখন ডেকেছিল, আমি নিতে চাইনি। পরে শিখেছি, ক্রিকেট খেলাটা পেশা হতে পারে।
প্রশ্ন: ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে পরিবারের সমর্থন কতটা ছিল?
তানভীর: শুরুতে বাবার সমর্থন ছিল না। তিনি চাইতেন অন্য কিছু করি। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলাম। এরপর বাবা আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন, অনুশীলনের সুযোগ করে দেন। আজ তিনি টিভির সামনে বসে আমার খেলা দেখেন, এই অনুভূতি ভাষায় বোঝানো যায় না।
প্রশ্ন: বাদ পড়ার পর জাতীয় দলে আবার ফিরেছেন। মধ্যবর্তী সময়ে কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন?
তানভীর: আরব আমিরাতের (গত মে মাসে) বিপক্ষে ম্যাচে পারফর্ম করলেও নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি। ৪ ওভার বল করে রান দিয়েছিলাম ৩০-এর বেশি। এরপর পাকিস্তানে একাদশে জায়গা হয়নি। এর মধ্যে বোলিং অ্যাকশনে সামান্য পরিবর্তন। পরে সোহেল স্যারের সঙ্গে মিরপুরে ও চট্টগ্রামে কাজ করে আগের অ্যাকশন ফিরে পেয়েছি। সেখান থেকে ফিরে এসেছি শ্রীলঙ্কা সিরিজে।
প্রশ্ন: অনেকে বলেন, ব্যাটাররা ধারাবাহিক বাজে খেলেও সুযোগ পান; বোলাররা ব্যর্থ হলে বেশি সুযোগ মেলে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?
তানভীর: দলে বেশি পরিবর্তন হয় মূলত বোলিং বিভাগে। ব্যাটাররা যেভাবে ধারাবাহিক সুযোগ পায়, আমরা সেভাবে পাই না। সিরিজে এক ম্যাচে থাকি তো পরেরটায় বাদ। নাসুম ভাই, তাইজুল ভাই কিংবা আমি কেউই জানি না কখন খেলব, বিশেষ করে সাদা বলের সিরিজে। আমাদের মধ্যে এটা চাপ তৈরি করে। আমি মনে করি, যে বোলাররা পারফর্ম করে, তাদের ধারাবাহিক সুযোগ দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যক্তিগতভাবে কোথায় বেশি মনোযোগ দিতে চান?
তানভীর: যেসব সিরিজ সামনে আসবে, সেগুলোয় নিজের সেরাটা দেওয়া। পারফর্ম করলে যেন টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের প্রতি আস্থা রাখে। আমাদেরও সুযোগের প্রয়োজন। কারণ, সুযোগ না পেলে দুর্বলতা কোথায়, সেটি বোঝা যায় না।
প্রশ্ন: ৩৯ রানে ৫ উইকেট, অভিষেক সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের এই সাফল্য কতটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে আপনাকে?
তানভীর ইসলাম: ভালো খেললে নিজেরই ভালো লাগে। আমার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল, ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচেই খেলার সুযাগ পেয়েছি। এটা আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে।
প্রশ্ন: আগের চেয়ে এখন বলে বেশি টার্ন পাচ্ছেন। টেকনিক্যাল এই পরিবর্তনে কোন বিষয়টা বেশি ভূমিকা রেখেছে?
তানভীর: সালাহ উদ্দীন স্যার (বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ) সিম সোজা করে বল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন তাতে বল স্কিড করবে এবং টার্নও ভালো দেবে। (মেহেদী হাসান) মিরাজ ভাই প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দু-একটা বলে টার্ন পেয়েছিলেন, সব বলে নয়। তবে আমার প্রথম বল থেকেই কিছুটা টার্ন হচ্ছিল। স্যারের কথামতো আমি সিম সোজা রেখে বল করতে শুরু করি। শুরুতে দু-একটা বল টার্ন করে, কিছু আবার করছিল না। এরপর সোজা সিমে বল করার অনুশীলন করি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পাওয়া সেই অনুশীলনের ফল বলতে পারেন।
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারে কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের ভূমিকা বিস্তারিত শুনতে চাই।
তানভীর: বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দলের হয়ে যখন ভরসা একজন ক্রিকেটারকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। যখন যেখানে সুযাগ পেয়েছি, চেষ্টা করেছি ভালো করতে।
প্রশ্ন: এখনো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর দিকে। ক্রিকেট জার্নিটা যদি ফিরে দেখেন, সেখানে কাদের অবদান বেশি?
তানভীর: নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছিলাম ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য। আমাকে সবকিছু শিখিয়েছেন সাইফুল ভাই। তিনি আমাকে খেলাঘরে খেলার ব্যবস্থা করেন। সে সময় সেই ক্লাবের কোচ ছিলেন তিনি। ভাইয়ের কাছে বোলিং শিখেছি। পরে সিসিএস একাডেমিতে দিপু রায় চৌধুরী স্যারের কাছে যাই। প্রগতির হয়ে থার্ড ডিভিশনে খেলি। প্রথমে জানতাম না ক্রিকেট খেলে টাকা পাওয়া যায়। আমাকে টাকা নেওয়ার জন্য যখন ডেকেছিল, আমি নিতে চাইনি। পরে শিখেছি, ক্রিকেট খেলাটা পেশা হতে পারে।
প্রশ্ন: ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে পরিবারের সমর্থন কতটা ছিল?
তানভীর: শুরুতে বাবার সমর্থন ছিল না। তিনি চাইতেন অন্য কিছু করি। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলাম। এরপর বাবা আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন, অনুশীলনের সুযোগ করে দেন। আজ তিনি টিভির সামনে বসে আমার খেলা দেখেন, এই অনুভূতি ভাষায় বোঝানো যায় না।
প্রশ্ন: বাদ পড়ার পর জাতীয় দলে আবার ফিরেছেন। মধ্যবর্তী সময়ে কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন?
তানভীর: আরব আমিরাতের (গত মে মাসে) বিপক্ষে ম্যাচে পারফর্ম করলেও নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি। ৪ ওভার বল করে রান দিয়েছিলাম ৩০-এর বেশি। এরপর পাকিস্তানে একাদশে জায়গা হয়নি। এর মধ্যে বোলিং অ্যাকশনে সামান্য পরিবর্তন। পরে সোহেল স্যারের সঙ্গে মিরপুরে ও চট্টগ্রামে কাজ করে আগের অ্যাকশন ফিরে পেয়েছি। সেখান থেকে ফিরে এসেছি শ্রীলঙ্কা সিরিজে।
প্রশ্ন: অনেকে বলেন, ব্যাটাররা ধারাবাহিক বাজে খেলেও সুযোগ পান; বোলাররা ব্যর্থ হলে বেশি সুযোগ মেলে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?
তানভীর: দলে বেশি পরিবর্তন হয় মূলত বোলিং বিভাগে। ব্যাটাররা যেভাবে ধারাবাহিক সুযোগ পায়, আমরা সেভাবে পাই না। সিরিজে এক ম্যাচে থাকি তো পরেরটায় বাদ। নাসুম ভাই, তাইজুল ভাই কিংবা আমি কেউই জানি না কখন খেলব, বিশেষ করে সাদা বলের সিরিজে। আমাদের মধ্যে এটা চাপ তৈরি করে। আমি মনে করি, যে বোলাররা পারফর্ম করে, তাদের ধারাবাহিক সুযোগ দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যক্তিগতভাবে কোথায় বেশি মনোযোগ দিতে চান?
তানভীর: যেসব সিরিজ সামনে আসবে, সেগুলোয় নিজের সেরাটা দেওয়া। পারফর্ম করলে যেন টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের প্রতি আস্থা রাখে। আমাদেরও সুযোগের প্রয়োজন। কারণ, সুযোগ না পেলে দুর্বলতা কোথায়, সেটি বোঝা যায় না।
গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল হারের নজির নেই তাঁর। আগের পাঁচবারের পাঁচটিতেই পেয়েছেন শিরোপার দেখা। ষষ্ঠবারে এসেও রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখলেন ইগা শিয়াতেক৷ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যামান্ডা অ্যানিসিমোভাকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়ে পেলেন উইম্বলডনের নতুন রানির মুকুট।
৫ ঘণ্টা আগে‘২৪ ঘণ্টা আগেও ক্রিকেট নিয়ে ইতালিয়ানদের ধারণা ছিল প্রায় শূন্যের কোটায়। এখন কিছু লোক জানতে শুরু করেছে’—ঠিক এভাবেই বলছিলেন ইতালি ক্রিকেট ফেডারেশনের প্রথম চেয়ারম্যান ও আজীবনের সভাপতি সিমোন গাম্বোনি। ১৫ বছর বয়সে যে স্বপ্নটা তিনি দেখেছিলেন, তা পূর্ণতায় রূপ নিয়েছে গতকাল। ইউরোপিয়ান বাছাই থেকে নেদারল্যান্ডস
৬ ঘণ্টা আগেঅধিনায়ক সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস ওয়ানডে দলেই একাদশে জায়গা পাচ্ছেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। লিটনকে নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ কোচও। ফিল সিমন্স লিটনের আত্মবিশ্বাসে যথেষ্ট ঘাটতি দেখছেন।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে আসেনি কোনো সিদ্ধান্ত। হয়েছে শুধুই আলোচনা। সিদ্ধান্তে আসতে জাতীয় দল কমিটি চার-পাঁচদিন পর বসবে আবারও। ফর্টিসে আজকের এজেন্ডা ছিল জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প নিয়ে।
৮ ঘণ্টা আগে