সাকিব-তামিমদের পরে যাঁরা বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটকে আরেকটি ধাপে নিয়ে যাওয়ার; সৌম্য সরকার তাঁদের একজন। কিন্তু সৌম্যর ক্যারিয়ার হলো উত্থান-পতনে ভরা। কাল বিসিবির একাডেমি ভবনে ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার নিজের ক্যারিয়ারটা যেমন ফিরে দেখলেন, পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রগাঢ় ছায়ায় নিজেদের বড় করতে না পারার বিষয়টিও তুলে ধরলেন। সৌম্যর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস
প্রশ্ন: সম্প্রতি দুজন সিনিয়র ক্রিকেটার অবসর ঘোষণা করেছেন। সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে ধারা তৈরি করেছিলেন, সেটি আরও এক ধাপ ওপরে নেওয়ার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার কিন্তু ১০-১২ বছরে যথেষ্ট এসেছেন দেশের ক্রিকেটে। বিশেষ করে লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান—আপনার মতো ক্রিকেটাররা তাঁদের ব্যাটন কতটা বহন করতে পেরেছেন?
সৌম্য সরকার: আমরা আসলে তাঁদের সঙ্গেই খেলে গেছি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের ধারায় কী ঘটে? এক প্রজন্ম খেলে চলে গেছে, এরপর পরের প্রজন্ম এসে সেটা এগিয়ে নিয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়নি। তাঁদের সঙ্গেই আমরা ১০-১২ বছর খেলে গেছি। আমাদের মধ্যে বিশেষ কিছু তৈরি হয়নি। তাঁরাই সব ছিলেন। ওনারা সিনিয়র, আমরা কখনো সিনিয়র হতে পারিনি। ওনারাই সিনিয়র থেকে গেছেন। যাঁদের নাম বললেন (তাসকিন, সৌম্য, মোস্তাফিজ...), দেখবেন কদিন পর এদেরই অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। এদের কোনো প্রজন্মই তৈরি হবে না। ওনাদের (পাঁচ সিনিয়র) সঙ্গে আমরা যারা এত দিন খেলেছি, আমাদেরই ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। এরা (সৌম্য-তাসকিন-মোস্তাফিজ...) অনেক আগে সিনিয়র হলেও সিনিয়র-তকমা কখনো পায়নি।
প্রশ্ন: তার মানে, তাঁদের ছায়া এতটা প্রগাঢ় ছিল যে ১০-১২ বছর খেলার পরও আপনারা আর সেই ছায়ার মধ্যে আর মহিরুহে রূপ নিতে পারেননি?
সৌম্য: হ্যাঁ, তা বলতে পারেন। যখন তাঁরা শুরু করেছিলেন (সাকিব-তামিমরা), তাঁদের সময়ে যাঁরা সিনিয়র ছিলেন, বেশি দিন জাতীয় দলে ছিলেন না। যেমন—হাবিবুল বাশার সুমন, রফিক ভাইদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন প্রায় শেষ, তখন এঁরা (সাকিব-তামিমরা) দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন, অনেকটা সিনিয়র হয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। যেমন–সাকিব ভাই তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। মুশফিক ভাই পাঁচ বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। তখন কী হয়েছে? তাঁরা সিনিয়রদের সামলেছেন, জুনিয়রদেরও সামলেছেন। আমাদের ক্ষেত্রে এ রকম সুযোগ খুব একটা আসেনি। আমরাও যদি তাঁদের মতো ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েক বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেতাম, তাঁদের (সিনিয়রদের) পরিচালনা করার সুযোগ মিলত, তখন পরিণতবোধ বাড়ত। সবাইকে নিয়ে একটা দল কীভাবে চালাতে হয়, সেটা ভালোভাবে শেখা যেত।
প্রশ্ন: যদি আপনার ক্যারিয়ারের দিকে তাকাই, ২০১৫ সালে আপনার কাছে ছিল সোনার ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার এক বছর। ২০১৫ সালের সৌম্য আর ২০২৫ সালের সৌম্যর মূল পার্থক্য কোথায়?
সৌম্য: যত বেশি খেলি, দিনে দিনে পরিণতবোধ বাড়ে। মানসিকতায় একটা বড় পরিবর্তন তো এসেছেই। আগের চেয়ে খেলাটা ভালো বুঝিও। ২০১৫ সালের পর যে কয় বছর বাংলাদেশ দলে খেলেছি, তখন যদি এখনকার মতো বুঝতাম, আমার অবস্থান আরও ভালো থাকত। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে অনেক কিছু হলেও সেটা নিয়ে কোনো কথা নেই। তবে নিজের কাছে আফসোস হয়, আরও ধারাবাহিক থাকলে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য আরও ভালো হতো।
প্রশ্ন: ৫০ ওভারের ক্রিকেটে কখনো কখনো সেঞ্চুরিকে ১৫০ রানে পরিণত করেছেন, ডাবল সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এ ধরনের ইনিংস দেখা যায় লম্বা বিরতিতে। কেন নিয়মিত হয় না?
সৌম্য: একটা সময় ছিল ৩০-৪০ রানে সেট হয়ে আউট হয়ে যেতাম। এখন এখানে একটু পরিবর্তন এসেছে। ক্রিকেটে ভাগ্যের ছোঁয়া লাগে। চেষ্টা করি আগের ভুল না করতে, সেট হয়ে গেলে ইনিংস বড় করতে। এখানে স্কিল, মনস্তাত্ত্বিক—দুটি বিষয়ই জড়িয়ে।
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিশেষ ভূমিকা আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক থেকে শুরু করে জাতীয় দলে ফেরা—হাথুরুকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
সৌম্য: সব কোচ কিন্তু আপনার জন্য পারফেক্ট হবে না। কোচ হচ্ছে একটা বিশ্বাসের বিষয়। তাঁকে বিশ্বাস করে তাঁর কাছ থেকে কী নিতে পারছেন। বিশ্বাস করে তাঁর কাছ থেকে নিতে পারলে ভুল মনে হলেও আপনার মনে হবে ভালো কাজ করছেন। এখান থেকে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। কোচ তো খেলবেন না। আপনাকে খেলতে হবে। কোচ আর খেলোয়াড়ের রসায়ন যখন ভালো হয়, তখন সাফল্যের হার বেড়ে যাবে। তিনি একটা পরিকল্পনা করেছেন, আপনি তাতে একমত হয়েছেন। দুজনের ভাবনা যখন এক বিন্দুতে মিলে যায়, তখন সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোচ একটা পরিকল্পনা দিল, পছন্দ হলো না। কিন্তু তাঁর কথামতো করতে হচ্ছে, তখন সফল হতে পারবেন না। হাথুরুর সঙ্গে এই জায়গায় আমার বোঝাপড়া খুব ভালো ছিল। আমি যে ধরনের চিন্তাভাবনা করতাম, তিনিও একইভাবে ভাবতেন। এর চেয়ে বড় কথা, তিনি আমার খেলাটা ভালো বুঝতেন যে আমি কোন ধরনের খেলোয়াড়। আমাকে ভালো বোঝাতে পারতেন, আমিও দ্রুত সেটা বুঝতাম। তবে বলব না যে এই কোচ খারাপ, ওই কোচ খারাপ। তবে হ্যাঁ, পরিকল্পনার দিক দিয়ে কোচ হিসেবে তিনি আমার জন্য ভালো ছিল। তবে সবার ক্ষেত্রে একজন কোচ ভালো হবেন, তা তো নয়।
প্রশ্ন: এখনকার প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়া প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে। যদি খারাপ খেলেন একজন খেলোয়াড় নানাভাবে ট্রল হয়। আপনিও অনেক সময় ট্রলের বিষয় হয়ে যান। বিশেষ করে রান না করতে পারলে যে ট্রল হয়, এটা পারিবারিক, সামাজিক ও মনোজগতে কতটা প্রভাব ফেলে?
সৌম্য: সবারই প্রভাব ফেলে। ধরুন, অফিসে আপনি একটা ফাইল ঠিকঠাক তৈরি করতে পারেননি। মানসিকভাবে আপনি একটু ডাউন থাকবেন। তখন যদি আপনার বস কিংবা আশপাশের কেউ নেতিবাচক কিছু বলে বা বকা দেয়, আপনার মেজাজ খারাপ হবে। এক-দুজনের কথা শুনেই আপনার মেজাজ খারাপ হচ্ছে, এরপর বাসায় স্ত্রীর মিষ্টি কথাও ভালো লাগবে না। আর আমাদের ক্ষেত্রে একজন মানুষকে হাজার-হাজার মানুষ ট্রল করছে, পরিবার নিয়ে কথা বলছে। খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে আমাদের কিছু বলার থাকে না। একটাই অপশন: চুপচাপ সহ্য করে যাওয়া। আর এড়িয়ে চলা। এক সময় নিউজ দেখতাম, এখন দেখি না। বন্ধুবৃত্তের কেউ ক্রিকেট নিয়ে নেগেটিভ কথা বললে তাদের সঙ্গে চলি না।
প্রশ্ন: বাসায় আপনার পরিবার বা স্ত্রীর সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কতটা আলাপ হয়?
সৌম্য: এক শতাংশও নয়। আমার স্ত্রী ক্রিকেট খুব একটা বোঝে না। যখন তাকে বিয়ে করেছি, তখন আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিব ভাইকেই সে চিনত, সেটিও টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে দেখে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি দুজন সিনিয়র ক্রিকেটার অবসর ঘোষণা করেছেন। সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে ধারা তৈরি করেছিলেন, সেটি আরও এক ধাপ ওপরে নেওয়ার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার কিন্তু ১০-১২ বছরে যথেষ্ট এসেছেন দেশের ক্রিকেটে। বিশেষ করে লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান—আপনার মতো ক্রিকেটাররা তাঁদের ব্যাটন কতটা বহন করতে পেরেছেন?
সৌম্য সরকার: আমরা আসলে তাঁদের সঙ্গেই খেলে গেছি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের ধারায় কী ঘটে? এক প্রজন্ম খেলে চলে গেছে, এরপর পরের প্রজন্ম এসে সেটা এগিয়ে নিয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়নি। তাঁদের সঙ্গেই আমরা ১০-১২ বছর খেলে গেছি। আমাদের মধ্যে বিশেষ কিছু তৈরি হয়নি। তাঁরাই সব ছিলেন। ওনারা সিনিয়র, আমরা কখনো সিনিয়র হতে পারিনি। ওনারাই সিনিয়র থেকে গেছেন। যাঁদের নাম বললেন (তাসকিন, সৌম্য, মোস্তাফিজ...), দেখবেন কদিন পর এদেরই অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। এদের কোনো প্রজন্মই তৈরি হবে না। ওনাদের (পাঁচ সিনিয়র) সঙ্গে আমরা যারা এত দিন খেলেছি, আমাদেরই ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। এরা (সৌম্য-তাসকিন-মোস্তাফিজ...) অনেক আগে সিনিয়র হলেও সিনিয়র-তকমা কখনো পায়নি।
প্রশ্ন: তার মানে, তাঁদের ছায়া এতটা প্রগাঢ় ছিল যে ১০-১২ বছর খেলার পরও আপনারা আর সেই ছায়ার মধ্যে আর মহিরুহে রূপ নিতে পারেননি?
সৌম্য: হ্যাঁ, তা বলতে পারেন। যখন তাঁরা শুরু করেছিলেন (সাকিব-তামিমরা), তাঁদের সময়ে যাঁরা সিনিয়র ছিলেন, বেশি দিন জাতীয় দলে ছিলেন না। যেমন—হাবিবুল বাশার সুমন, রফিক ভাইদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন প্রায় শেষ, তখন এঁরা (সাকিব-তামিমরা) দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন, অনেকটা সিনিয়র হয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। যেমন–সাকিব ভাই তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। মুশফিক ভাই পাঁচ বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। তখন কী হয়েছে? তাঁরা সিনিয়রদের সামলেছেন, জুনিয়রদেরও সামলেছেন। আমাদের ক্ষেত্রে এ রকম সুযোগ খুব একটা আসেনি। আমরাও যদি তাঁদের মতো ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েক বছরের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেতাম, তাঁদের (সিনিয়রদের) পরিচালনা করার সুযোগ মিলত, তখন পরিণতবোধ বাড়ত। সবাইকে নিয়ে একটা দল কীভাবে চালাতে হয়, সেটা ভালোভাবে শেখা যেত।
প্রশ্ন: যদি আপনার ক্যারিয়ারের দিকে তাকাই, ২০১৫ সালে আপনার কাছে ছিল সোনার ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার এক বছর। ২০১৫ সালের সৌম্য আর ২০২৫ সালের সৌম্যর মূল পার্থক্য কোথায়?
সৌম্য: যত বেশি খেলি, দিনে দিনে পরিণতবোধ বাড়ে। মানসিকতায় একটা বড় পরিবর্তন তো এসেছেই। আগের চেয়ে খেলাটা ভালো বুঝিও। ২০১৫ সালের পর যে কয় বছর বাংলাদেশ দলে খেলেছি, তখন যদি এখনকার মতো বুঝতাম, আমার অবস্থান আরও ভালো থাকত। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে অনেক কিছু হলেও সেটা নিয়ে কোনো কথা নেই। তবে নিজের কাছে আফসোস হয়, আরও ধারাবাহিক থাকলে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য আরও ভালো হতো।
প্রশ্ন: ৫০ ওভারের ক্রিকেটে কখনো কখনো সেঞ্চুরিকে ১৫০ রানে পরিণত করেছেন, ডাবল সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এ ধরনের ইনিংস দেখা যায় লম্বা বিরতিতে। কেন নিয়মিত হয় না?
সৌম্য: একটা সময় ছিল ৩০-৪০ রানে সেট হয়ে আউট হয়ে যেতাম। এখন এখানে একটু পরিবর্তন এসেছে। ক্রিকেটে ভাগ্যের ছোঁয়া লাগে। চেষ্টা করি আগের ভুল না করতে, সেট হয়ে গেলে ইনিংস বড় করতে। এখানে স্কিল, মনস্তাত্ত্বিক—দুটি বিষয়ই জড়িয়ে।
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিশেষ ভূমিকা আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক থেকে শুরু করে জাতীয় দলে ফেরা—হাথুরুকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
সৌম্য: সব কোচ কিন্তু আপনার জন্য পারফেক্ট হবে না। কোচ হচ্ছে একটা বিশ্বাসের বিষয়। তাঁকে বিশ্বাস করে তাঁর কাছ থেকে কী নিতে পারছেন। বিশ্বাস করে তাঁর কাছ থেকে নিতে পারলে ভুল মনে হলেও আপনার মনে হবে ভালো কাজ করছেন। এখান থেকে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। কোচ তো খেলবেন না। আপনাকে খেলতে হবে। কোচ আর খেলোয়াড়ের রসায়ন যখন ভালো হয়, তখন সাফল্যের হার বেড়ে যাবে। তিনি একটা পরিকল্পনা করেছেন, আপনি তাতে একমত হয়েছেন। দুজনের ভাবনা যখন এক বিন্দুতে মিলে যায়, তখন সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোচ একটা পরিকল্পনা দিল, পছন্দ হলো না। কিন্তু তাঁর কথামতো করতে হচ্ছে, তখন সফল হতে পারবেন না। হাথুরুর সঙ্গে এই জায়গায় আমার বোঝাপড়া খুব ভালো ছিল। আমি যে ধরনের চিন্তাভাবনা করতাম, তিনিও একইভাবে ভাবতেন। এর চেয়ে বড় কথা, তিনি আমার খেলাটা ভালো বুঝতেন যে আমি কোন ধরনের খেলোয়াড়। আমাকে ভালো বোঝাতে পারতেন, আমিও দ্রুত সেটা বুঝতাম। তবে বলব না যে এই কোচ খারাপ, ওই কোচ খারাপ। তবে হ্যাঁ, পরিকল্পনার দিক দিয়ে কোচ হিসেবে তিনি আমার জন্য ভালো ছিল। তবে সবার ক্ষেত্রে একজন কোচ ভালো হবেন, তা তো নয়।
প্রশ্ন: এখনকার প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়া প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে। যদি খারাপ খেলেন একজন খেলোয়াড় নানাভাবে ট্রল হয়। আপনিও অনেক সময় ট্রলের বিষয় হয়ে যান। বিশেষ করে রান না করতে পারলে যে ট্রল হয়, এটা পারিবারিক, সামাজিক ও মনোজগতে কতটা প্রভাব ফেলে?
সৌম্য: সবারই প্রভাব ফেলে। ধরুন, অফিসে আপনি একটা ফাইল ঠিকঠাক তৈরি করতে পারেননি। মানসিকভাবে আপনি একটু ডাউন থাকবেন। তখন যদি আপনার বস কিংবা আশপাশের কেউ নেতিবাচক কিছু বলে বা বকা দেয়, আপনার মেজাজ খারাপ হবে। এক-দুজনের কথা শুনেই আপনার মেজাজ খারাপ হচ্ছে, এরপর বাসায় স্ত্রীর মিষ্টি কথাও ভালো লাগবে না। আর আমাদের ক্ষেত্রে একজন মানুষকে হাজার-হাজার মানুষ ট্রল করছে, পরিবার নিয়ে কথা বলছে। খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে আমাদের কিছু বলার থাকে না। একটাই অপশন: চুপচাপ সহ্য করে যাওয়া। আর এড়িয়ে চলা। এক সময় নিউজ দেখতাম, এখন দেখি না। বন্ধুবৃত্তের কেউ ক্রিকেট নিয়ে নেগেটিভ কথা বললে তাদের সঙ্গে চলি না।
প্রশ্ন: বাসায় আপনার পরিবার বা স্ত্রীর সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কতটা আলাপ হয়?
সৌম্য: এক শতাংশও নয়। আমার স্ত্রী ক্রিকেট খুব একটা বোঝে না। যখন তাকে বিয়ে করেছি, তখন আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিব ভাইকেই সে চিনত, সেটিও টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে দেখে।
একের পর এক ব্যর্থতার গল্প লিখে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। অধিনায়ক, কোচ বদলালেও দলের পারফরম্যান্সে উন্নতি নেই খুব একটা। কদিন আগে শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমল ছয়-সাত মাসের পুরোনো এক ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
১৮ মিনিট আগেএবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ক্রিকেটারদের অনেকেই ৩০-৪০ শতাংশ কম পারিশ্রমিকে খেলতে বাধ্য হয়েছেন। এটি অবশ্য নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পারিশ্রমিক বকেয়া থাকার সমস্যাও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
১ ঘণ্টা আগে৬৪ জেলা ক্রিকেট দল নিয়ে আগামীকাল শুরু হচ্ছে ৪৩তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ। এবারের জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ হবে দুই ধাপে। প্রথম পর্ব হবে ওয়ানডে সংস্করণে এবং দ্বিতীয় পর্বে হবে তিন দিনের ম্যাচ।
২ ঘণ্টা আগেআইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলাকালীনও আইপিএল বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন ইনজামাম-উল হক। নতুন করে আবারও বলেছেন, আইপিএলের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর হওয়া উচিত সব ক্রিকেট বোর্ডের। ভারতের এ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ক্রিকেট পাঠানো বন্ধ করার পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
৩ ঘণ্টা আগে