১২ ইনিংসে ৫ ফিফটি, ১৪০.৪১ স্ট্রাইক রেট এবং ৩৬.৬৩ গড়ে ৪০৩ রান। পরিসংখ্যানই বলছে, এবারের বিপিএলে তৌহিদ হৃদয় কতটা দুর্দান্ত ছিলেন। সিলেট স্ট্রাইকার্স ফাইনালে ওঠার পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সেরও। ফাইনালে সিলেট হেরে গেলেও ওই দিনই প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন হৃদয়। তাই এই বিপিএল বিশেষ স্মরণীয় হয়ে থাকছে হৃদয়ের কাছে। গতকাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার জানালেন বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের কথাসহ অনেক কিছু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।
লাইছ ত্বোহা।
প্রশ্ন: আপনার শুরুর গল্পটা দিয়েই শুরু হোক, ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নের বীজটা কীভাবে বুনেছিলেন মনে?
হৃদয়: ক্রিকেট খেলা যখন শুরু করেছি, তখন ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তখন ছিল অ্যাডিকশন (আসক্তি)। এখন তো এটা পেশায় চলে এসেছে। আমি মনে করি, যারা ক্রিকেট খেলে, তারা শুরুতে মনে হয় না জাতীয় দলকে টার্গেট করে। সাধারণত প্রথমে ভালোবেসে খেলা শুরু করে; পরে ধাপে ধাপে এগোয়, লক্ষ্য যখন সামনে আসে, তখন কিছুটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুতে টানা তিন ফিফটির পর আঙুলের চোটে পড়ে নিশ্চয়ই একটা ধাক্কা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন টুর্নামেন্টে এত দূরে আসতে পারবেন?
হৃদয়: যখন চোটে পড়ি, তখন একটু খারাপ লেগেছিল। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। চোটে তো কেউ ইচ্ছা করে পড়ে না। আসলে আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন, এটাই আমি বিশ্বাস করি। যখন যা-ই আসুক না কেন, আমি সব সময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
প্রশ্ন: খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি, এরপরও এমন ব্যাটিং। এর পেছনের গল্পটা কী?
হৃদয়: পেছনের গল্প আসলে তেমন কিছু না। যখন আপনি ব্যর্থ হবেন, খারাপ করবেন, সেখান থেকে ভালো করার ইচ্ছা জাগে। কথায় আছে না, ব্যর্থতা সফলতার চাবিকাঠি। আপনি যখন একের পর এক ব্যর্থ হবেন, তখন কীভাবে আপনি সফল হবেন, ভালো করবেন—এটা একজন মানুষ হিসেবে সবার ভেতরেই কাজ করে। স্বাভাবিকভাবে আমি ওভাবেই চিন্তা করেছি, আমি খারাপ খেলছি, আমার এই জায়গায় ভালো করতে হবে। পরিকল্পনা মাথায় রেখে কাজ করেছি, পদ্ধতি অনুযায়ী এগিয়েছি এবং সেভাবেই চেষ্টা করেছি—অনুশীলন আর মাঠে যখন খেলেছি, তখন সেভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটে আপনি নির্দিষ্ট কাউকে আদর্শ মানেন?
হৃদয়: হ্যাঁ, আছে। মুশফিকুর রহিম ভাইকে আদর্শ মানি। ছোটবেলা থেকেই ওনার খেলা দেখে এবং একই জেলায় (বগুড়া) বড় হয়েছি। খেলা তো অত বুঝতাম না। তখন শুনতাম, আমাদের পাশের বাসার মুশফিক ভাই জাতীয় দলে খেলছেন। তখন ওনার থেকে অনুপ্রেরণা পাই, তখন থেকেই ভালো লাগা-ভালোবাসা শুরু।
প্রশ্ন: বিপিএলে একই দলে মুশফিকের সঙ্গে খেললেন। তাঁর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন?
হৃদয়: দলের সবাই ভালো মানুষ। অবশ্যই বিশেষ কিছু ওনার (মুশফিক) সঙ্গে খেলা। যখন প্রথমবার খেলেছিলাম, তখন বেশি রোমাঞ্চিত ছিলাম। আরও আগে খেলেছি, এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তারপরও একটা আলাদা রোমাঞ্চ কাজ করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে খেলে কেমন লাগল, তিনি কতটা অনুপ্রেরণাদায়ক?
হৃদয়: এটা আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই, সবাই জানে—উনি সব সময় খেলোয়াড়দের সমর্থন করেন, অনেক অনুপ্রেরণা দেন। সব সময় পাশে থাকেন এবং চেষ্টা করেন অনুপ্রেরণা দিতে। একজন অধিনায়ক হিসেবে যা করা দরকার, তিনি সেটাই করেন।
প্রশ্ন: বর্তমান সময়ে নির্দিষ্ট কোনো ক্রিকেটারের খেলা বেশি ভালো লাগে?
হৃদয়: না, ওই রকম না, আমি সব সময় আমার দিকেই ফোকাস থাকি।
প্রশ্ন: হৃদয়ের প্রিয় কোনো শট আছে?
হৃদয়: না, সব শট খেলতেই পছন্দ করি।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের স্বপ্ন সব ক্রিকেটারই বোনেন, অবশেষে আপনার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, নিজের কাছে কেমন লাগছে?
হৃদয়: আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। ভালো করতে পারলে তখন আরও বেশি ভালো লাগবে।
প্রশ্ন: বড় কোনো স্বপ্ন আছে, যেটা পূরণ করতে চান?
হৃদয়: স্বপ্ন তো সবারই থাকে, ক্রিকেটারদেরও থাকে। আমারও স্বপ্ন আছে—ইনশা আল্লাহ, একদিন আমরা বিশ্বকাপ জিতব।
প্রশ্ন: বিপিএলে এর আগে বরিশালের হয়ে খেলেছেন, কিন্তু এবারের টুর্নামেন্ট অন্য বারের চেয়ে আপনার জন্য সেরা মনে হয়েছে কি?
হৃদয়: সব মিলিয়ে আগের চেয়ে একটু ভালো। আমি বলব না যে সেরা। এখনো সেরা হওয়ার অনেক কিছু বাকি আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন। মনে মনে কি কোনো লক্ষ্য ঠিক করেছেন?
হৃদয়: জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি, খুব রোমাঞ্চিত না। আগে যেমন ছিলাম, এখনো তেমনই আছি। সাধারণ চিন্তাভাবনাই করছি। চাওয়ার আসলে কিছু নেই। সবার জন্য সবাই দোয়া করব, এটাই।
প্রশ্ন: আপনার শুরুর গল্পটা দিয়েই শুরু হোক, ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নের বীজটা কীভাবে বুনেছিলেন মনে?
হৃদয়: ক্রিকেট খেলা যখন শুরু করেছি, তখন ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তখন ছিল অ্যাডিকশন (আসক্তি)। এখন তো এটা পেশায় চলে এসেছে। আমি মনে করি, যারা ক্রিকেট খেলে, তারা শুরুতে মনে হয় না জাতীয় দলকে টার্গেট করে। সাধারণত প্রথমে ভালোবেসে খেলা শুরু করে; পরে ধাপে ধাপে এগোয়, লক্ষ্য যখন সামনে আসে, তখন কিছুটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুতে টানা তিন ফিফটির পর আঙুলের চোটে পড়ে নিশ্চয়ই একটা ধাক্কা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন টুর্নামেন্টে এত দূরে আসতে পারবেন?
হৃদয়: যখন চোটে পড়ি, তখন একটু খারাপ লেগেছিল। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। চোটে তো কেউ ইচ্ছা করে পড়ে না। আসলে আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন, এটাই আমি বিশ্বাস করি। যখন যা-ই আসুক না কেন, আমি সব সময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
প্রশ্ন: খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি, এরপরও এমন ব্যাটিং। এর পেছনের গল্পটা কী?
হৃদয়: পেছনের গল্প আসলে তেমন কিছু না। যখন আপনি ব্যর্থ হবেন, খারাপ করবেন, সেখান থেকে ভালো করার ইচ্ছা জাগে। কথায় আছে না, ব্যর্থতা সফলতার চাবিকাঠি। আপনি যখন একের পর এক ব্যর্থ হবেন, তখন কীভাবে আপনি সফল হবেন, ভালো করবেন—এটা একজন মানুষ হিসেবে সবার ভেতরেই কাজ করে। স্বাভাবিকভাবে আমি ওভাবেই চিন্তা করেছি, আমি খারাপ খেলছি, আমার এই জায়গায় ভালো করতে হবে। পরিকল্পনা মাথায় রেখে কাজ করেছি, পদ্ধতি অনুযায়ী এগিয়েছি এবং সেভাবেই চেষ্টা করেছি—অনুশীলন আর মাঠে যখন খেলেছি, তখন সেভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটে আপনি নির্দিষ্ট কাউকে আদর্শ মানেন?
হৃদয়: হ্যাঁ, আছে। মুশফিকুর রহিম ভাইকে আদর্শ মানি। ছোটবেলা থেকেই ওনার খেলা দেখে এবং একই জেলায় (বগুড়া) বড় হয়েছি। খেলা তো অত বুঝতাম না। তখন শুনতাম, আমাদের পাশের বাসার মুশফিক ভাই জাতীয় দলে খেলছেন। তখন ওনার থেকে অনুপ্রেরণা পাই, তখন থেকেই ভালো লাগা-ভালোবাসা শুরু।
প্রশ্ন: বিপিএলে একই দলে মুশফিকের সঙ্গে খেললেন। তাঁর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন?
হৃদয়: দলের সবাই ভালো মানুষ। অবশ্যই বিশেষ কিছু ওনার (মুশফিক) সঙ্গে খেলা। যখন প্রথমবার খেলেছিলাম, তখন বেশি রোমাঞ্চিত ছিলাম। আরও আগে খেলেছি, এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তারপরও একটা আলাদা রোমাঞ্চ কাজ করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে খেলে কেমন লাগল, তিনি কতটা অনুপ্রেরণাদায়ক?
হৃদয়: এটা আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই, সবাই জানে—উনি সব সময় খেলোয়াড়দের সমর্থন করেন, অনেক অনুপ্রেরণা দেন। সব সময় পাশে থাকেন এবং চেষ্টা করেন অনুপ্রেরণা দিতে। একজন অধিনায়ক হিসেবে যা করা দরকার, তিনি সেটাই করেন।
প্রশ্ন: বর্তমান সময়ে নির্দিষ্ট কোনো ক্রিকেটারের খেলা বেশি ভালো লাগে?
হৃদয়: না, ওই রকম না, আমি সব সময় আমার দিকেই ফোকাস থাকি।
প্রশ্ন: হৃদয়ের প্রিয় কোনো শট আছে?
হৃদয়: না, সব শট খেলতেই পছন্দ করি।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের স্বপ্ন সব ক্রিকেটারই বোনেন, অবশেষে আপনার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, নিজের কাছে কেমন লাগছে?
হৃদয়: আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। ভালো করতে পারলে তখন আরও বেশি ভালো লাগবে।
প্রশ্ন: বড় কোনো স্বপ্ন আছে, যেটা পূরণ করতে চান?
হৃদয়: স্বপ্ন তো সবারই থাকে, ক্রিকেটারদেরও থাকে। আমারও স্বপ্ন আছে—ইনশা আল্লাহ, একদিন আমরা বিশ্বকাপ জিতব।
প্রশ্ন: বিপিএলে এর আগে বরিশালের হয়ে খেলেছেন, কিন্তু এবারের টুর্নামেন্ট অন্য বারের চেয়ে আপনার জন্য সেরা মনে হয়েছে কি?
হৃদয়: সব মিলিয়ে আগের চেয়ে একটু ভালো। আমি বলব না যে সেরা। এখনো সেরা হওয়ার অনেক কিছু বাকি আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন। মনে মনে কি কোনো লক্ষ্য ঠিক করেছেন?
হৃদয়: জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি, খুব রোমাঞ্চিত না। আগে যেমন ছিলাম, এখনো তেমনই আছি। সাধারণ চিন্তাভাবনাই করছি। চাওয়ার আসলে কিছু নেই। সবার জন্য সবাই দোয়া করব, এটাই।
যে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ৮ দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে, সেই প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩২ দলকে নিয়ে। ফুটবলের জন্য যেটিকে ‘নতুন যুগে’র সূচনা বলছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
৯ মিনিট আগেচীনে গত মাসে আর্চারি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের তিরন্দাজদের। র্যাঙ্কিং বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে গেলেও কেউই উঠতে পারেননি কোয়ার্টার ফাইনালে। সেই হতাশা ভুলে এশিয়া কাপ আর্চারির দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের তিরন্দাজদের পদকের মঞ্চে দেখতে চান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ।
১৯ মিনিট আগেগ্যালারিতে ২০ হাজারেরও বেশি দর্শক। জাতীয় দলের ম্যাচে সবশেষ এমন দৃশ্য কবে দেখা গেছে তা মনে করাটাই মুশকিল ছিল। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে তারা এসেছিল, সেটা পূরণ হয়নি। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলে।
২৯ মিনিট আগেচতুর্থ ইনিংসে প্রোটিয়াদের জয়ের লক্ষ্য ২৮২। খুব বড় নয়! কিন্তু এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেসারদের দাপটের মুখে আগের তিন ইনিংসে যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছেন ব্যাটাররা, সেই হিসেবে এই লক্ষ্য শুধু ‘বড়’ই নয়, একরকম দুরতিক্রম্যও! সেই লক্ষ্য তাড়ায় যেভাবে ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ পেরিয়ে এগিয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগে