নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের কাছ থেকে মিলল দাপুটে ফুটবলের প্রতিচ্ছবি। ২ গোলে এগিয়ে থেকে অনেকটাই নির্ভার ছিল পিটার বাটলারের দল। সেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে একেবারেই অচেনা। সেটার সুযোগ নিয়ে নেপাল ম্যাচে ফিরে আসে দারুণভাবে। তবে নাটক এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের শেষ মিনিটে তৃষ্ণা রানির গোলে বাংলাদেশ আজ মাঠ ছাড়ে ৩-২ গোলের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে অন্য গোল দুটো করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা ও সিনহা জাহান শিখা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯-১ গোলে জয়ের একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। উমেলা মারমা ও রুপা আক্তারের জায়গায় খেলেন শান্তি মার্দি ও বন্যা খাতুন।
আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় তৃতীয় মিনিটে কর্নার থেকে আসা বল কেড়ে নিতে বক্সের ভেতর সৃষ্টি হয় জটলা। সেখানে নেপাল গোলরক্ষক সুজাতা তামাংকে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মোসাম্মৎ সাগরিকা।
৮ মিনিটে জয়নব বিবি রিতার দারুণ এক পাসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সিনহা জাহান শিখা। একের পর এক আক্রমণে নেপালকে চাপে রাখার সুফল বাংলাদেশ পায় ১৪ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে সাগরিকার পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন মুনকি। দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককেও পরাস্ত করেন তিনি। তাঁর সেই শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন নেপালের গঙ্গা রোকিয়া। কিন্তু পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। উল্টো বল ঠেলে দেন শিখার কাছে। দারুণ এক শটে জাল কাঁপিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন শিখা।
১৯ মিনিটে জয়নবের দূরপাল্লার শটে পা লাগাতে পারেননি সাগরিকা। সুজাতার সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান তিনি। ২৬ মিনিটে সেনু পারিয়ারকে বক্সের খানিকটা সামনে ফাউল করেন পূজা দাস। ফ্রি-কিক থেকে আনিশা রায়ের শট পোস্টে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় নেপাল।
৩৬ মিনিটে শান্তি মার্দির ক্রসে বল পেয়ে দুবারের চেষ্টায় সুজাতাকে টপকাতে ব্যর্থ হন শিখা। তবে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা সাগরিকা কোনো ভুল করেননি। সুজাতার হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বল দ্রুত জালে ফেলেন তিনি। ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক স্বর্ণা রানি মণ্ডলকে একা পেয়ে যান মিনা দেউবা। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর দূরপাল্লার শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন স্বর্ণা।
বিরতির পর ৫০ মিনিটে মুনকির পাসে সুযোগ পেয়েছিলেন সাগরিকা। কিন্তু গতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। ৫২ মিনিটে স্বপ্না রানির থ্রু বলে গোলরক্ষককে একা পান শিখা। তাঁর শট পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৫৫ মিনিটে দুই দল পড়ে বিপাকে। বাংলাদেশের সাগরিকা ও নেপালের সিমরান রায় জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে। প্রথমে অবশ্য মেজাজ হারিয়ে আঘাত করেন সিমরান। সেটার জবাব দেন সাগরিকাও। রেফারি দুজনকে লাল কার্ড দেখান। দুই দলই পরিণত হয় ১০ জনের দলে।
৭৬ মিনিটে মিনাকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন জয়নব। পেনাল্টি পায় নেপাল। স্পট কিক থেকে কোনাকুনি শটে ব্যবধান কমান আনিশা রায়। এরপর সমতা ফেরাতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। ৮৬ মিনিটে হাইলাইন ডিফেন্সের মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশকে। বাঁ প্রান্ত থেকে পূর্ণিমা রায়ের ক্রসে দারুণ প্লেসমেন্টে নেপালকে সমতায় ফেরান মিনা। যোগ করা সময়ে আবারও মেজাজ হারান মুনকি ও পূর্ণিমা। তাঁদের অবশ্য সতর্ক করে ছেড়ে দেন রেফারি। এরপরই আনিশার ফ্রি-কিক তালুবন্দী করতে গিয়ে প্রায় ভুল করে বসেছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক স্বর্ণা। ম্যাচ যখন ইতি টানছিল ড্রয়ের দিকে, ঠিক তখনই তৃষ্ণার জাদুর পরশ বদলে দিল দৃশ্যপট। ৯০ মিনিটের যোগ করা সময়ের ১২ মিনিটে ডান প্রান্ত ধরে এগিয়ে যাওয়া উমেলা দারুণ এক ক্রসে বল ঠেলে দেন বক্সের ভেতর। সেই বল জালে পাঠিয়ে নেপাল গোলরক্ষককে কাঁদান তৃষ্ণা। বাংলাদেশও মাঠ ছাড়ে জয়ের আনন্দ নিয়ে।
দিনের অন্য ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে ভুটান। পরশু তাদের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের কাছ থেকে মিলল দাপুটে ফুটবলের প্রতিচ্ছবি। ২ গোলে এগিয়ে থেকে অনেকটাই নির্ভার ছিল পিটার বাটলারের দল। সেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে একেবারেই অচেনা। সেটার সুযোগ নিয়ে নেপাল ম্যাচে ফিরে আসে দারুণভাবে। তবে নাটক এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের শেষ মিনিটে তৃষ্ণা রানির গোলে বাংলাদেশ আজ মাঠ ছাড়ে ৩-২ গোলের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে অন্য গোল দুটো করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা ও সিনহা জাহান শিখা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯-১ গোলে জয়ের একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। উমেলা মারমা ও রুপা আক্তারের জায়গায় খেলেন শান্তি মার্দি ও বন্যা খাতুন।
আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় তৃতীয় মিনিটে কর্নার থেকে আসা বল কেড়ে নিতে বক্সের ভেতর সৃষ্টি হয় জটলা। সেখানে নেপাল গোলরক্ষক সুজাতা তামাংকে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মোসাম্মৎ সাগরিকা।
৮ মিনিটে জয়নব বিবি রিতার দারুণ এক পাসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সিনহা জাহান শিখা। একের পর এক আক্রমণে নেপালকে চাপে রাখার সুফল বাংলাদেশ পায় ১৪ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে সাগরিকার পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন মুনকি। দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককেও পরাস্ত করেন তিনি। তাঁর সেই শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন নেপালের গঙ্গা রোকিয়া। কিন্তু পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। উল্টো বল ঠেলে দেন শিখার কাছে। দারুণ এক শটে জাল কাঁপিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন শিখা।
১৯ মিনিটে জয়নবের দূরপাল্লার শটে পা লাগাতে পারেননি সাগরিকা। সুজাতার সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান তিনি। ২৬ মিনিটে সেনু পারিয়ারকে বক্সের খানিকটা সামনে ফাউল করেন পূজা দাস। ফ্রি-কিক থেকে আনিশা রায়ের শট পোস্টে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় নেপাল।
৩৬ মিনিটে শান্তি মার্দির ক্রসে বল পেয়ে দুবারের চেষ্টায় সুজাতাকে টপকাতে ব্যর্থ হন শিখা। তবে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা সাগরিকা কোনো ভুল করেননি। সুজাতার হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বল দ্রুত জালে ফেলেন তিনি। ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক স্বর্ণা রানি মণ্ডলকে একা পেয়ে যান মিনা দেউবা। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর দূরপাল্লার শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন স্বর্ণা।
বিরতির পর ৫০ মিনিটে মুনকির পাসে সুযোগ পেয়েছিলেন সাগরিকা। কিন্তু গতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। ৫২ মিনিটে স্বপ্না রানির থ্রু বলে গোলরক্ষককে একা পান শিখা। তাঁর শট পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৫৫ মিনিটে দুই দল পড়ে বিপাকে। বাংলাদেশের সাগরিকা ও নেপালের সিমরান রায় জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে। প্রথমে অবশ্য মেজাজ হারিয়ে আঘাত করেন সিমরান। সেটার জবাব দেন সাগরিকাও। রেফারি দুজনকে লাল কার্ড দেখান। দুই দলই পরিণত হয় ১০ জনের দলে।
৭৬ মিনিটে মিনাকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন জয়নব। পেনাল্টি পায় নেপাল। স্পট কিক থেকে কোনাকুনি শটে ব্যবধান কমান আনিশা রায়। এরপর সমতা ফেরাতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। ৮৬ মিনিটে হাইলাইন ডিফেন্সের মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশকে। বাঁ প্রান্ত থেকে পূর্ণিমা রায়ের ক্রসে দারুণ প্লেসমেন্টে নেপালকে সমতায় ফেরান মিনা। যোগ করা সময়ে আবারও মেজাজ হারান মুনকি ও পূর্ণিমা। তাঁদের অবশ্য সতর্ক করে ছেড়ে দেন রেফারি। এরপরই আনিশার ফ্রি-কিক তালুবন্দী করতে গিয়ে প্রায় ভুল করে বসেছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক স্বর্ণা। ম্যাচ যখন ইতি টানছিল ড্রয়ের দিকে, ঠিক তখনই তৃষ্ণার জাদুর পরশ বদলে দিল দৃশ্যপট। ৯০ মিনিটের যোগ করা সময়ের ১২ মিনিটে ডান প্রান্ত ধরে এগিয়ে যাওয়া উমেলা দারুণ এক ক্রসে বল ঠেলে দেন বক্সের ভেতর। সেই বল জালে পাঠিয়ে নেপাল গোলরক্ষককে কাঁদান তৃষ্ণা। বাংলাদেশও মাঠ ছাড়ে জয়ের আনন্দ নিয়ে।
দিনের অন্য ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে ভুটান। পরশু তাদের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
ইয়ানিক সিনারের শেষ সার্ভটি ফেরানোর চেষ্টা করেও নেট পার করতে পারলেন না কার্লোস আলকারাস। তাতেই উইম্বলডন পেল নতুন রাজা। প্রথম সেট পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে গতকাল ৪-৬,৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে জিতলেন সিনার। ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লামে এটিই কোনো ইতালিয়ান খেলোয়াড়ের প্রথম
৫ ঘণ্টা আগেপ্রথমার্ধে ছিল একচেটিয়া আধিপত্য। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারায় বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই গোলে এগিয়ে থাকার পরও হিমশিমকে নেপালকে সামলাতে। নেপালও সমতায় ফিরে আসে দারুণভাবে। শেষ মিনিটে তৃষ্ণা রানীর গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। জয়ে খুশি হলেও ফুটবলারদের পারফরম্যান্স তৃপ্তি দিচ্ছে না বাংলাদেশ
৬ ঘণ্টা আগেলর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম তিন দিনের খেলা এগোচ্ছিল প্রথাগত টেস্ট মেজাজেই। দুই দলই খেলতে থাকে সমান তালে। কিন্তু আজ চতুর্থ দিনে এসে হঠাৎ ঘুরে যায় ম্যাচের গতিপথ। ভারতের আগুনে বোলিংয়ে ২০০ রানও করতে পারল না ইংলিশরা।
৭ ঘণ্টা আগে২০১৭ সালে ডাম্বুলাতেই তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে ৯০ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেটি ছিল ওয়ানডেতে। সংস্করণ ভিন্ন হলেও সেই ডাম্বুলাতে আজ শ্রীলঙ্কাকে আবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ৮৩ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ।
৭ ঘণ্টা আগে