ম্যাচের আগের দৃশ্য। ন্যু ক্যাম্পের আশপাশে বার্সেলোনার রাস্তায় সাদা জার্সি পরে হাজারো মানুষের মিছিল। এমন দৃশ্যে পড়ন্ত বিকেলে থতমত খেয়েছে বার্সেলোনাবাসী। পরে রাতের আলোয় খেয়েছে ধাক্কা! বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পকে নিজেদের ‘হোম ভেন্যু’ বানিয়ে জয়টা যেন রীতিমতো ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন আইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্টের এই ৩০ হাজার দর্শক।
দর্শকেরা কীভাবে জয় ছিনিয়ে নেয়—প্রশ্নটা কি আসছে না? যদি এসে থাকে, তাহলে সেই উত্তরটা দেওয়া হবে একটু পরেই। এবার আসা যাক বার্সেলোনার সমর্থকদের দিকে। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ইউরোপা লিগে ‘অধঃপতনের’ পর প্রথম লেগে ড্র করে পরের লেগে প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করা জয়কে যেন রীতিমতো অভ্যাসই বানিয়ে ফেলেছিল জাভি হার্নান্দেজের দল।
কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রাংকফুর্টের মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর এবারও তাই হবে ভেবে বেশ রকম যেন নিশ্চিন্তেই ছিলেন বার্সা সমর্থকেরা। এমনকি অনেকে ইংল্যান্ডের টিকিটও কিনেছিলেন এই ভেবে যে সেমিফাইনালে লড়তে হবে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে। কেউ কেউ আবার বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে জার্মান অতিথিদের হাতে তুলে দিলেন ম্যাচের টিকিটও। কিন্তু কে জানত জার্মান লিগের মাঝারি মানের দল ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে নিজ মাঠে ৩-২ গোলে বিধ্বস্ত হবে বার্সা!
আবার ফিরে আসা যাক ফ্রাংকফুর্টের সমর্থকদের কাছে। কেন এই প্রসঙ্গ, সেটা বার্সা কোচ জাভির মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘আমি কমপক্ষে ৭০-৮০ হাজার সমর্থক আশা করেছিলাম। কিন্তু এ রকম না। ক্লাব খতিয়ে দেখছে, কীভাবে এটা হলো।’ বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোর কৌতূহল, ‘বার্সার মাঠে এত জার্মান সমর্থক কীভাবে এল তাতে আমি বিস্মিত!’
গতকাল রাতে সত্যিকার পার্থক্য গড়েছেন জার্মানির এই সমর্থকেরাই। নিজ মাঠে বার্সা ফুটবলাররা শুনলেন দুয়ো, ফ্রাংকফুর্টের ফুটবলাররা পেলেন ভিনদেশে ঘরের ছোঁয়া। নিজ সমর্থকদের সমর্থনে ৬৭ মিনিটের বার্সার জালে গুনে গুনে তিন গোল দিল ফ্রাংকফুর্ট। স্বাগতিক ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার উপহার দেওয়া পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটা ৪ মিনিটে।
টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত বার্সা যখন চেষ্টা করছে জেগে ওঠার, তখন ৩৬ মিনিটে ফিলিপ কোস্টিচের পাস থেকে ব্যবধান বড় করেন রাফায়েল বোর। দ্বিতীয় গোলের জোগানদাতা কোস্টিচই শেষে স্বাগতিকদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন ৬৭ মিনিটের গোলে।
বার্সা যদিও জাগল, কিন্তু ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে গেছে। ৮৪ মিনিটে সার্জিও বুস্কেটস ব্যবধান কমালেন ঠিকই, কিন্তু সেই গোল বাতিল করে দিয়েছে ভিএআর প্রযুক্তি। সেই বুস্কেটসেই অতিরিক্ত সময়ে একটা গোল শোধ দিলেন। দ্বিতীয় গোলটা এল শেষ বাঁশি বাজার একদম অন্তিম মুহূর্তের আগে, মেম্পিস ডেপাইয়ের পেনাল্টি গোল থেকে।
টানা জয় আর তুলনামূলক কম শক্তির প্রতিপক্ষ পেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন কি না বার্সা ফুটবলাররা, সেটা জানা যায়নি। নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি বলেই হেরেছে তাঁর দল, এমনটাই মন্তব্য কোচ জাভির। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি, ভালো করতে পারিনি। এটা ভীষণ হতাশার। আমরা ভেবেছিলাম এই প্রতিযোগিতায় আমাদের সত্যি একটা আশা আছে। তবে ফ্রাংকফুর্টকে অভিনন্দন, তারা আসলেই এই জয়ের প্রাপ্য।’
ম্যাচের আগের দৃশ্য। ন্যু ক্যাম্পের আশপাশে বার্সেলোনার রাস্তায় সাদা জার্সি পরে হাজারো মানুষের মিছিল। এমন দৃশ্যে পড়ন্ত বিকেলে থতমত খেয়েছে বার্সেলোনাবাসী। পরে রাতের আলোয় খেয়েছে ধাক্কা! বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পকে নিজেদের ‘হোম ভেন্যু’ বানিয়ে জয়টা যেন রীতিমতো ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন আইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্টের এই ৩০ হাজার দর্শক।
দর্শকেরা কীভাবে জয় ছিনিয়ে নেয়—প্রশ্নটা কি আসছে না? যদি এসে থাকে, তাহলে সেই উত্তরটা দেওয়া হবে একটু পরেই। এবার আসা যাক বার্সেলোনার সমর্থকদের দিকে। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ইউরোপা লিগে ‘অধঃপতনের’ পর প্রথম লেগে ড্র করে পরের লেগে প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করা জয়কে যেন রীতিমতো অভ্যাসই বানিয়ে ফেলেছিল জাভি হার্নান্দেজের দল।
কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রাংকফুর্টের মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর এবারও তাই হবে ভেবে বেশ রকম যেন নিশ্চিন্তেই ছিলেন বার্সা সমর্থকেরা। এমনকি অনেকে ইংল্যান্ডের টিকিটও কিনেছিলেন এই ভেবে যে সেমিফাইনালে লড়তে হবে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে। কেউ কেউ আবার বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে জার্মান অতিথিদের হাতে তুলে দিলেন ম্যাচের টিকিটও। কিন্তু কে জানত জার্মান লিগের মাঝারি মানের দল ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে নিজ মাঠে ৩-২ গোলে বিধ্বস্ত হবে বার্সা!
আবার ফিরে আসা যাক ফ্রাংকফুর্টের সমর্থকদের কাছে। কেন এই প্রসঙ্গ, সেটা বার্সা কোচ জাভির মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘আমি কমপক্ষে ৭০-৮০ হাজার সমর্থক আশা করেছিলাম। কিন্তু এ রকম না। ক্লাব খতিয়ে দেখছে, কীভাবে এটা হলো।’ বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোর কৌতূহল, ‘বার্সার মাঠে এত জার্মান সমর্থক কীভাবে এল তাতে আমি বিস্মিত!’
গতকাল রাতে সত্যিকার পার্থক্য গড়েছেন জার্মানির এই সমর্থকেরাই। নিজ মাঠে বার্সা ফুটবলাররা শুনলেন দুয়ো, ফ্রাংকফুর্টের ফুটবলাররা পেলেন ভিনদেশে ঘরের ছোঁয়া। নিজ সমর্থকদের সমর্থনে ৬৭ মিনিটের বার্সার জালে গুনে গুনে তিন গোল দিল ফ্রাংকফুর্ট। স্বাগতিক ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার উপহার দেওয়া পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটা ৪ মিনিটে।
টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত বার্সা যখন চেষ্টা করছে জেগে ওঠার, তখন ৩৬ মিনিটে ফিলিপ কোস্টিচের পাস থেকে ব্যবধান বড় করেন রাফায়েল বোর। দ্বিতীয় গোলের জোগানদাতা কোস্টিচই শেষে স্বাগতিকদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন ৬৭ মিনিটের গোলে।
বার্সা যদিও জাগল, কিন্তু ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে গেছে। ৮৪ মিনিটে সার্জিও বুস্কেটস ব্যবধান কমালেন ঠিকই, কিন্তু সেই গোল বাতিল করে দিয়েছে ভিএআর প্রযুক্তি। সেই বুস্কেটসেই অতিরিক্ত সময়ে একটা গোল শোধ দিলেন। দ্বিতীয় গোলটা এল শেষ বাঁশি বাজার একদম অন্তিম মুহূর্তের আগে, মেম্পিস ডেপাইয়ের পেনাল্টি গোল থেকে।
টানা জয় আর তুলনামূলক কম শক্তির প্রতিপক্ষ পেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন কি না বার্সা ফুটবলাররা, সেটা জানা যায়নি। নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি বলেই হেরেছে তাঁর দল, এমনটাই মন্তব্য কোচ জাভির। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি, ভালো করতে পারিনি। এটা ভীষণ হতাশার। আমরা ভেবেছিলাম এই প্রতিযোগিতায় আমাদের সত্যি একটা আশা আছে। তবে ফ্রাংকফুর্টকে অভিনন্দন, তারা আসলেই এই জয়ের প্রাপ্য।’
ব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফি উঠবে কার হাতে? তা জানা যাবে সেপ্টেম্বরে। মৌসুম যেহেতু শেষ, তাই এ নিয়ে আলোচনা বেড়ে গেছে। তবে দুটি নামই শোনা যাচ্ছে বেশি—পিএসজির ওসমান দেম্বেলে ও বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল। দেম্বেলেকে বেশ ভালোভাবেই চেনা কিলিয়ান এমবাপ্পের। গত মৌসুমেও একসঙ্গে পিএসজিতে খেলেছেন তারা।
৮ ঘণ্টা আগেএশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আজ ঢাকায় আসছে সিঙ্গাপুর ফুটবল দল। রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের। তবে এর আগে দলে যোগ ফারহান জুলকিফলি। গতি, ড্রিবলিং ও প্লেমেকিং সক্ষমতা দিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে ২২ বছর বয়সী প্রতিভাবান এই উইঙ্গারের। জাতীয় দলের হয়ে
৯ ঘণ্টা আগেদুজন একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। খেলা বাদে একসঙ্গে খুব একটা দেখাও যায় না। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এসেছেন বরাবর। লিওনেল মেসিকে ভালো লাগার এটাই কারণ বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের কাছে গত মাসে প্রথম ম্যাচ হেরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ঐতিহাসিক এই জয়ে মুহাম্মদ ওয়াসিম ছিলেন। ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পুরস্কার পেলেন আমিরাত অধিনায়ক।
১২ ঘণ্টা আগে