Ajker Patrika

সাধ্যের সবটুকু দিয়েও ফিরতে পারলাম না, বিদায়বেলায় অশ্রুসিক্ত আগুয়েরো

সাধ্যের সবটুকু দিয়েও ফিরতে পারলাম না, বিদায়বেলায় অশ্রুসিক্ত আগুয়েরো

৩৩ বছর বয়সেই থেমে যাবেন, হয়তো ভাবেননি তাঁকে অপছন্দ করা মানুষটিও! কিন্তু নিয়তির কাছে হার মানতেই হলো সার্জিও আগুয়েরোকে। হৃদযন্ত্রের স্পন্দনজনিত জটিলতায় সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

ন্যু ক্যাম্পে আজ আগুয়েরোর বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বার্সা ক্লাব সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা। তারকা স্ট্রাইকারের বিদায়ী ভাষণের সাক্ষী হতে আসেন ক্লাব সংশ্লিষ্ট অনেকেই। ম্যানচেস্টার থেকে উড়ে এসেছেন প্রিয় গুরু পেপ গার্দিওলাও।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই করতালি দিয়ে আগুয়েরোকে সম্মান জানান সবাই। তখনই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি। এরপরেই দেন বুট জোড়া তুলে রাখার ঘোষণা। বলেন, ‘এটা খুব কঠিন মুহূর্ত। দেড় মাস আগে আমার স্বাস্থ্যগত যে সমস্যা হয়েছিল, মূলত সেটির কারণেই সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছে।’

গত জুনে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতা আগুয়েরো আরও বলেন, ‘চিকিৎসাকর্মীরা তাঁদের সেরাটাই দিয়েছেন। (সব পর্যালোচনা করে) বলেছেন, খেলা ছেড়ে দেওয়াই ভালো হবে। সবাইকে বলতে চাই, আমি সাধ্যের সবটুকু দিয়েও ফেরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারলাম না।’

বার্সা সভাপতি আগুয়েরোর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘তুমি ছিলে বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড়। একজন জাত গোলদাতা। আমরা তোমাকে আরও আগে এখানে (বার্সায়) আনতে চেয়েছিলাম, যখন তুমি আতলেতিকোতে খেলতে। জীবনের নতুন ধাপেও সফল হও। শুভকামনা।’

প্রিয় শিষ্যের বিদায়ী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন পেপ গার্দিওলাএবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ফ্রি ট্রান্সফারে বার্সেলোনা যোগ দেওয়া আগুয়েরো শুরুতেই চোটে পড়েন। ওই চোট কাটিয়ে দ্রুতই বার্সার শুরুর একাদশে জায়গা করে নেন। ক্লাবটির হয়ে স্প্যানিশ লা লিগায় চারটি এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে একটি ম্যাচ খেলেন তিনি। একমাত্র গোলটি তিনি ‘এল ক্ল্যাসিকোয়’ বদলি নেমে।

এরপরই বাধে বিপত্তি। ন্যু ক্যাম্পে গত ৩০ অক্টোবর আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন আগুয়েরো। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, হৃদযন্ত্রের স্পন্দন জটিলতা সংক্রান্ত অ্যারিথমিয়া রোগে ভুগছেন তিনি। অবসরের গুঞ্জন ওঠে তখন থেকে। সেই গুঞ্জনটাই আজ সত্যি করে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিলেন আগুয়েরো। 

এক নজরে আগুয়েরো

পুরো নাম : সার্জিও লিওনেল আগুয়েরো দেল কাস্টিয়ো
ডাক নাম : কুন
জন্ম : ২ জুন ১৯৮৮
জন্মস্থান : কিলমেস, বুয়েন্স আয়ার্স

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

আর্জেন্টিনা (২০০৬-বর্তমান)
ম্যাচ ১০১, গোল ৪১, অ্যাসিস্ট ১৯

ক্লাব ক্যারিয়ার 

ম্যাচ ৬৬৩, গোল ৩৭৯, অ্যাসিস্ট ১১৮

কোন ক্লাবে কেমন 

ইনদেপেনদিয়েন্তে (২০০৩-২০০৬)
ম্যাচ ৩৮, গোল ১৮

আতলেতিকো মাদ্রিদ (২০০৬-২০১১)
ম্যাচ ২৩০, গোল ১০০, অ্যাসিস্ট ৪৫

ম্যানচেস্টার সিটি (২০১১-২০২১)
ম্যাচ ৩৯০, গোল ২৬০, অ্যাসিস্ট ৭৩

বার্সেলোনা (২০২১-বর্তমান)
ম্যাচ ৫, গোল ১

ব্যক্তিগত অর্জন 

• গোল্ডেন বয় ২০০৭
• বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলার ২০০৯
• প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন বুট ২০১৪-১৫
• প্রিমিয়ার লিগে মাসসেরা ৭ বার
• ডন ব্যালন অ্যাওয়ার্ড ২০০৭-০৮
• ফুটবল সমর্থক ফেডারেশনের সেরা ২০১৪
• ম্যানচেস্টার সিটির মৌসুমসেরা ২ বার

দলীয় অর্জন 

• কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন ২০২১
• অলিম্পিক সোনা ২০০৮
• প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ২০১২, ২০১৪, ২০১৮, ২০১৯, ২০২১
• উয়েফা ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন ২০১০
• উয়েফা সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন ২০১০

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রোহিতের কাছে ছক্কার রেকর্ড হারিয়ে কী বললেন আফ্রিদি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩২
রোহিত শর্মা ও শহিদ আফ্রিদি। ফাইল ছবি
রোহিত শর্মা ও শহিদ আফ্রিদি। ফাইল ছবি

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।

সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। সে সিরিজে ৩৯৮ ম্যাচে ৩৫১ ছক্কা মারা আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে যান রোহিত। ২৭৯ ওয়ানডে শেষে এই মারকুটে ব্যাটারের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৩৫৫ ছক্কা।

রোহিতের ছক্কার রেকর্ড প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য। এই রেকর্ড এখন আরও উন্নত হয়েছে। আমি খুশি যে, একজন খেলোয়াড়, যাঁকে আমি সব সময় পছন্দ করি, তিনি এই রেকর্ড ভেঙেছেন।’

কোনো রেকর্ডই স্থায়ী বলে মনে করেন না আফ্রিদি, ‘আমার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড প্রায় ১৮ বছর ধরে টিকে ছিল। কিন্তু সেটা ঠিকই ভেঙেছে। একজন খেলোয়াড় এসে রেকর্ড গড়ে আবার আরেকজন সেই রেকর্ড ভাঙে। ক্রিকেট আসলে এমনই।’

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একই দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় রোহিত সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে আফ্রিদির। তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে আমার একমাত্র আইপিএল মৌসুমে ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলেছি। সেবার রোহিতকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলাম। সেই সময় আমার তাঁকে পছন্দ হয়েছিল। দলীয় অনুশীলনে আমি তাঁকে ব্যাট করতে দেখেছি। তাঁর ক্লাস আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি জানতাম যে, একদিন রোহিত ভারতের হয়ে খেলবেন। দারুণ একজন ব্যাটার হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকল্প টুর্নামেন্টের কথা ভাবছে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।

গত অক্টোবরে বিসিবির পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে সব ধরনের লিগ বর্জন করেছেন ৪৫ ক্লাবের সংগঠকরা। তাই কয়েকদফা পিছিয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেও রাজি করাতে পারেনি বিসিবি। সবশেষ ১২ ক্লাব নিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু মাঠ প্রস্তুত না থাকায় আরও তিন দিন পেছানো হয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর দিনক্ষণ। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে প্রতিযোগিতার পরবর্তী আসর। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ২০ দলের মধ্যে আটটি লিগ বর্জন করেছে। তবে বিসিবির সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ মনে করেন, ক্রিকেটারদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত ক্লাবগুলোর। যেসব ক্লাব লিগে অংশ নেবে না তাদের বিরুদ্ধে সিসিডিএমের বাইলজ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে ফারুক বলেন, ‘একটা ব্যাপার স্পষ্ঠ। যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তারাই এখন লিগ বর্জনে সোচ্চার। প্রতিবাদের ভাষা অনেক আছে। তাই বলে ক্রিকেটকে বন্ধ করা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। দেশে গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলা। লিগ না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ক্রিকেটাররা। সে কারণেই ক্রিকেটারদের স্বার্থে খেলা মাঠে গড়ানো দরকার। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বোর্ড বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাফুফের সঙ্গে যুক্ত হলো বিএসআরএম

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিএসআরএম আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিএসআরএম আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।

চুক্তির আওতায় বাফুফের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে সম্পৃক্ত হবে বিএসআরএম। এই তালিকায় আছে বাফুফের কোচেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম, টেকনিক্যাল প্রোগাম এবং এলিট একাডেমি নিয়ে বিভিন্ন কাজ। প্রথম ৫ বছর বিএসআরএম থেকে এক ধরণের আর্থিক সুবিধা পাবে বাফুফে। এই পর্বের কার্যক্রম মূল্যায়নের পর দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক মুল্যায়ন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএসআরএম অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত...অতীতেও জড়িত ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও আশা করি থাকবে। বিএসআরএমের তিনটা কোন ভ্যালুস-শক্তি, নিরাপত্তা এবং স্থায়ীত্ব-আমি মনে করি বাফুফেও একই কোর ভ্যালু তাদের সাথে শেয়ার করে।’

ফাহাদ করিম বলেন, ‘বিএসআরএম আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ফেডারেশনের বোর্ডে বা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে তাদের লোগো থাকবে। স্পেসিফিক কিছু বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে তাদের লোগোও থাকবে। এখানে তাদের শর্ত স্টিল বা নির্মাণ সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এটা অনুসরণ করি যেমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত করি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে হারানোয় ৭ লাখ করে বুঝে পেলেন হামজা-জামালরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে
১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে

২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির। সেই জয়ের পুরস্কার বুঝে পেল হামজা চৌধুরী-জামাল ভূঁইয়ারা।

এশিয়ান কাপ বাচাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ড শেষেই নিশ্চিত হয়–মূল পর্বে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। এরপরও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল হাভিয়ের কাভরেরার দল। জয়খরা কাটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল বাংলাদেশ। এবার আর হতাশ হতে হয়নি। বহু আকাঙ্খিত এই জয়ের পর ২ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন সদ্য পদত্যাগ করা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

২২ দিন পর আজ সে অর্থ বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনে সংস্থাটির পরিচালক প্রশিক্ষক লাবণী চামকার কাছ থেকে চেক বুঝে নেন অধিনায়ক জামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান এবং বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।

ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সে ম্যাচের স্কোয়াডে থাকা ২৩ ফুটবলার, কোচ কাবরেরা, ম্যানেজার আমের প্রত্যেকে ৭ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছেন কোচিং স্টাফের বাকি ৫ সদস্য।

বোনাস প্রসঙ্গে আমের বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে ৪০ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। ভারত ম্যাচের আগে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজন ক্যাম্পে ছিল। দলের অংশ হওয়ায় তাদের নামও তালিকায় ছিল। আজ আমরা এনএসসি থেকে ৩০ জনের চেক পেয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত