Ajker Patrika

জামালকে দেখে আফসোস হয় পাকিস্তানি অধিনায়কের

আপডেট : ০২ জুলাই ২০২১, ১৯: ৫৭
জামালকে দেখে আফসোস হয় পাকিস্তানি অধিনায়কের

পাকিস্তান জাতীয় দলে হাসান বশিরের অভিষেকের এক বছর পর বাংলাদেশের জার্সি পরেছেন জামাল ভূঁইয়া। দুজনেই একসঙ্গে খেলেছেন, বেড়ে উঠেছেন ডেনমার্কে। জামাল এখন বাংলাদেশ ফুটবলের বিজ্ঞাপন আর হাসানের দেশ পাকিস্তান ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে। দেশটিকে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। পাকিস্তান ফুটবলের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর বন্ধু জামালের সাফল্য দেখে নিজের দুঃখ লুকাতে পারেননি দেশটির জাতীয় দলের এই অধিনায়ক।

তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে গত এপ্রিলে পাকিস্তানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে ফিফা, যে কারণে আগামী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে না পারার সম্ভাবনাই বেশি পাকিস্তানের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দ্রুত ফেরার কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। জাতীয় দলে খেলতে না পারায় ফুটবলারদের মাঝে হতাশা তৈরি হয়েছে বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজকে জানিয়েছেন হাসান বশির।

২০১২ সালে অভিষেকের পর খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি হাসান। পরের বছর নেপালের বিপক্ষে সাফে অভিষেকের পর ৫১টি ম্যাচ খেলেছেন জামাল। বন্ধুর সাফল্য ও নিজেদের খেলতে না পারা তাঁকে কষ্ট দেয় বলে নিউজকে জানিয়েছেন হাসান, ‘বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়ে কত ম্যাচ খেলেছে সে বিষয়ে জামালের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে জানিয়েছে, আমার আর ইউসুফ বাটের অভিষেকের এক বছর পর জাতীয় দলে খেলে ৬০-৭০টি ম্যাচ খেলেছে। আমি হিসাব করে দেখলাম, আমি মাত্র ২০-২১টি ম্যাচ খেলেছি। সত্যি বলতে, বিষয়টি লজ্জার, অপমানের ও আফসোসের। সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।’

শুধু জাতীয় দলেরই নয়, ঘরোয়া লিগে খেলা ফুটবলাররা আর্থিক অনটনে আছেন বলে জানিয়েছেন হাসান। অনেকে ছাঁটাই হয়েছেন ক্লাব থেকে। ডেনমার্কের ঘরোয়া লিগে খেলা হাসানের আর্থিক অভাব নেই, তবে পাকিস্তানি সতীর্থদের অভাব তাঁকে পীড়া দেয়। বলেছেন, ‘আমি কয়েকজন ফুটবলারকে জানি, যাঁরা জীবনে শুধু ফুটবলই খেলেছেন। এই খেলাটার ওপর তাঁদের জীবিকা, পরিবারের জীবনধারণ সবকিছু নির্ভর করে। আমি জানি না পাকিস্তানের ফুটবল কবে স্বাভাবিক হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত