নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিন বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আছেন হাভিয়ের কাবরেরা। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েন তিনি। বাংলাদেশের ডাগআউটে কাবরেরা বাদে ৩০ ম্যাচ দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নেই আর কারও। সেই রেকর্ড নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কিন্তু সেখানে জোয়ার বয়ে যায় ‘হা-হা’ প্রতিক্রিয়ার। গতকাল পর্যন্ত সেই পোস্টে ২৭ হাজার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ২০ হাজারই ছিল হা-হা। এ ছাড়া রয়েছে তির্যক মন্তব্যের ছড়াছড়ি।
ভারত ম্যাচের পর বেশির ভাগ সমর্থকের মনেই কাবরেরাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। কেউ কেউ আবার তাঁকে বরখাস্ত করারও দাবি তুলছেন। কারণ, জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে বাংলাদেশ শিলংয়ে পা রাখলেও শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয়েছে গোলশূন্য ড্র নিয়ে। হামজা চৌধুরীর অভিষেক জয়ে রাঙাতে না পেরে কাবরেরার মধ্যেও হতাশা কাজ করেছে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। আমি ঠিক জানি না, কত, ৪-৫টা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা কোনোটাই কাজে লাগাতে পারিনি।’
কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতার পেছনে কাবরেরার ভুলকেই বড় করে দেখছেন জাতীয় দলের সাবেক ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি। আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, কিছু কৌশলগত জায়গায় সে ভুল করেছে। শুরুতেই সে স্ট্রাইকার ছাড়া খেলতে নেমেছে। খেলায় সুযোগ তৈরি হয়েছে বটে, কিন্তু গোল করার জন্য তো স্ট্রাইকার দরকার। তাই এটা একটা বড় ভুল ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে যে বদলগুলো এনেছিল, সেখানে হয়তো জামাল ও আল আমিনকে খেলাতে পারত। ওই সময়টায় মোটামুটি ভারতই দাপট দেখিয়েছে। হামজার সঙ্গে জামালকে রাখতে পারলে আমরা হয়তো বল পজেশন বেশি রাখতে পারতাম বা আক্রমণে যেতে পারতাম।’ কাবরেরা সমর্থকদের সমালোচনায় ভুল কিছু দেখছেন না এমিলি, ‘ভুল করলে সমালোচনা তো হবেই। যে ভুলগুলো ছিল, সেটা শুধু সমর্থক নয়, সবার চোখেই পড়েছে। বিকল্প থাকার পরও যদি তা কাজে না লাগানো হয়, তাহলে তো সেসব চোখে পড়বেই। ভারতের মাটি থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে আসতে পারলে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার একটা বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হতো।’
ভারত ম্যাচের জন্য ইতালিপ্রবাসী ফাহামিদুল ইসলামকে প্রাথমিক দলে সুযোগ করে দিয়েছিলেন কাবরেরা। কিন্তু সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্পের পর চূড়ান্ত দলে জায়গা পাননি ফাহামিদুল। তাঁকে যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা আদর্শ নয় বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক ও গোলকিপিং কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘ফাহমিদুলকে যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা আমার কাছে অনুচিত বলেই মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা হচ্ছে, সেটা ফুটবলের ক্রেজ আছে বলেই হচ্ছে। কাবরেরার সঙ্গে আমি দুই বছর কাজ করেছি। তিনি বেশ নিষ্ঠার সঙ্গেই কাজ করে থাকেন। কোচ হিসেবে তাঁর (কাবরেরা) পারফরম্যান্স কেমন, সেটা দেখার জন্য বাফুফে ন্যাশনাল টিম কমিটি আছে। এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমি তাঁকে সম্মান করি। সবারই তাঁকে সম্মান করা উচিত।’
কাবরেরা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে দায়িত্বে থাকার রেকর্ড গড়েছেন ঠিকই, কিন্তু সমর্থকদের মুখে খুব একটা হাসি ফোটাতে পারেননি। ৩০ ম্যাচের মধ্যে কেবল আটটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছেন তিনি। সেরা সাফল্য বলতে গেলে ২০২৩ সালে সাফের সেমিফাইনাল খেলা। বাফুফের সঙ্গে তাঁর চুক্তি আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্যেই শেষ হবে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। কাবরেরা বাংলাদেশকে মূল পর্বে নিয়ে যেতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আছেন হাভিয়ের কাবরেরা। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েন তিনি। বাংলাদেশের ডাগআউটে কাবরেরা বাদে ৩০ ম্যাচ দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নেই আর কারও। সেই রেকর্ড নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কিন্তু সেখানে জোয়ার বয়ে যায় ‘হা-হা’ প্রতিক্রিয়ার। গতকাল পর্যন্ত সেই পোস্টে ২৭ হাজার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ২০ হাজারই ছিল হা-হা। এ ছাড়া রয়েছে তির্যক মন্তব্যের ছড়াছড়ি।
ভারত ম্যাচের পর বেশির ভাগ সমর্থকের মনেই কাবরেরাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। কেউ কেউ আবার তাঁকে বরখাস্ত করারও দাবি তুলছেন। কারণ, জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে বাংলাদেশ শিলংয়ে পা রাখলেও শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয়েছে গোলশূন্য ড্র নিয়ে। হামজা চৌধুরীর অভিষেক জয়ে রাঙাতে না পেরে কাবরেরার মধ্যেও হতাশা কাজ করেছে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। আমি ঠিক জানি না, কত, ৪-৫টা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা কোনোটাই কাজে লাগাতে পারিনি।’
কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতার পেছনে কাবরেরার ভুলকেই বড় করে দেখছেন জাতীয় দলের সাবেক ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি। আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, কিছু কৌশলগত জায়গায় সে ভুল করেছে। শুরুতেই সে স্ট্রাইকার ছাড়া খেলতে নেমেছে। খেলায় সুযোগ তৈরি হয়েছে বটে, কিন্তু গোল করার জন্য তো স্ট্রাইকার দরকার। তাই এটা একটা বড় ভুল ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে যে বদলগুলো এনেছিল, সেখানে হয়তো জামাল ও আল আমিনকে খেলাতে পারত। ওই সময়টায় মোটামুটি ভারতই দাপট দেখিয়েছে। হামজার সঙ্গে জামালকে রাখতে পারলে আমরা হয়তো বল পজেশন বেশি রাখতে পারতাম বা আক্রমণে যেতে পারতাম।’ কাবরেরা সমর্থকদের সমালোচনায় ভুল কিছু দেখছেন না এমিলি, ‘ভুল করলে সমালোচনা তো হবেই। যে ভুলগুলো ছিল, সেটা শুধু সমর্থক নয়, সবার চোখেই পড়েছে। বিকল্প থাকার পরও যদি তা কাজে না লাগানো হয়, তাহলে তো সেসব চোখে পড়বেই। ভারতের মাটি থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে আসতে পারলে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার একটা বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হতো।’
ভারত ম্যাচের জন্য ইতালিপ্রবাসী ফাহামিদুল ইসলামকে প্রাথমিক দলে সুযোগ করে দিয়েছিলেন কাবরেরা। কিন্তু সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্পের পর চূড়ান্ত দলে জায়গা পাননি ফাহামিদুল। তাঁকে যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা আদর্শ নয় বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক ও গোলকিপিং কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘ফাহমিদুলকে যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা আমার কাছে অনুচিত বলেই মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা হচ্ছে, সেটা ফুটবলের ক্রেজ আছে বলেই হচ্ছে। কাবরেরার সঙ্গে আমি দুই বছর কাজ করেছি। তিনি বেশ নিষ্ঠার সঙ্গেই কাজ করে থাকেন। কোচ হিসেবে তাঁর (কাবরেরা) পারফরম্যান্স কেমন, সেটা দেখার জন্য বাফুফে ন্যাশনাল টিম কমিটি আছে। এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমি তাঁকে সম্মান করি। সবারই তাঁকে সম্মান করা উচিত।’
কাবরেরা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে দায়িত্বে থাকার রেকর্ড গড়েছেন ঠিকই, কিন্তু সমর্থকদের মুখে খুব একটা হাসি ফোটাতে পারেননি। ৩০ ম্যাচের মধ্যে কেবল আটটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছেন তিনি। সেরা সাফল্য বলতে গেলে ২০২৩ সালে সাফের সেমিফাইনাল খেলা। বাফুফের সঙ্গে তাঁর চুক্তি আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্যেই শেষ হবে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। কাবরেরা বাংলাদেশকে মূল পর্বে নিয়ে যেতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
প্রতিপক্ষের সামনে গিয়ে বুনো উদ্যাপন করতে লিওনেল মেসিকে তেমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে। খেলোয়াড়েরা তাঁদের নিজস্ব ধরনে যেভাবে উদযাপন করেন, মেসিও প্রায়ই করেন এমন কিছু। আর্জেন্টিনার এই বিশ্বজয়ী ফুটবলারকে গতকাল দেখা গেল ভিন্ন রূপে।
৩ মিনিট আগেমাত্র ৮ রানের লক্ষ্য। হাতে ১০ উইকেট। তার চেয়েও বড় কথা কখনো ম্যাচের আড়াই দিনের বেশি খেলা বাকি। অতি অস্বাভাবিক কোনো কিছু না ঘটলে কোনো দলের হারার কথা নয়। বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে ঘটেওনি আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু। তিন দিনের মধ্যেই জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ড।
১ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গতকালের হারটা ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে ধরলে আজিজুল হাকিম তামিম-ইকবাল হোসেন ইমনদের টুর্নামেন্টটা কাটছে দুর্দান্ত। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালের টিকিট কেটেছেন বাংলাদেশের যুবারা।
৩ ঘণ্টা আগেইনগে সরেনসেনের নামটা এই প্রজন্মের সাঁতারপ্রেমীদের মনে থাকার কথা নয়। ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিকে ডেনিশ এই সাঁতারু যখন ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন, তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। অলিম্পিক গেমসের সাঁতারের ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে জেতা সে ব্রোঞ্জটাই খুদে এই সাঁতারুকে অনন্য উচ্চতায় তুলে দিয়েছিল। হয়েছিলেন অলিম্পিকের
৩ ঘণ্টা আগে