নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার প্রস্তাব এর আগেও কয়েকবার পেয়েছেন সমিত সোম। কিন্তু কখনোই সবুজ সংকেত দেননি। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে হামজা চৌধুরীকে খেলতে দেখার পর বদল আসে তাঁর ভাবনায়। নিজেকে বলতে শুরু করেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা যদি পারেন, তাহলে আমি কেন নয়।’
সমিত পেরেছেন বাংলাদেশি হতে। ফিফা থেকে তাঁকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এখন কেবল বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষা। সব ঠিক থাকলে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অভিষেক হবে তাঁর। তবে এখনই নিজেকে দলের অংশ হিসেবে মনে করছেন কানাডা প্রবাসী এই ফুটবলার।
গত ৫ মে বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার মাত্র একদিনের মতো ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি থেকে ছাড়পত্র পান সমিত। যা বেশ অপ্রত্যাশিতই। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমিত বলেন, ‘যে ভালোবাসা ও সমর্থন পাচ্ছি, সেটা খুবই ভালো লাগছে। তারা (বাংলাদেশ) ফুটবলের জন্য সত্যিই পাগল। তাই আমি খুব আপন মনে করছি। নিজেকে এখনই দল ও দেশের অংশ মনে হচ্ছে।’
সমিত কানাডায় জন্ম নিলেও তাঁর বাবা-মা দুজনে বাংলাদেশি। তিনি বলেন, ‘এটি এমন কিছু যার জন্য আমি গর্বিত। আমার বাবার দিকের আত্মীয়রা এখনো সেখানে থাকেন। আমার বাবা-মা সেখান থেকেই এসেছেন। ছোটবেলা থেকে আমি এই সংস্কৃতিতেই বড় হয়েছি। তাই এটি আমার জন্য রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা, যার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’
কানাডায় বেড়ে ওঠা, সেখানেই ফুটবলের হাতেখড়ি। ২০২৩ সাল থেকে মাঠ কাঁপিয়ে যাচ্ছেন কাভালরি এফসির হয়ে। কানাডা জাতীয় দলের হয়ে দুটো ম্যাচও (বারমুডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে)। তবু কেন বাংলাদেশকে বেছে নিলেন?
উত্তরে সমিত বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ফুটবলের ভিন্ন এক জগতে নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানানোর এটাই সঠিক সময় ও সঠিক সুযোগ। কানাডার হয়ে খেলতে আমি যে সুযোগগুলো পেয়েছি, সেজন্য আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। যখন দল পরিবর্তনের সময় এল তখন মনে হলো নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাচিয়ে দেখার এটাই সঠিক সময়।’
ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখলেও তা পূরণ করতে পারেননি হামজা৷ তবে তাঁর বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সমিতকেও। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘হামজার মতো খেলোয়াড় যে মানদণ্ড তৈরি করে দিয়েছে, এতেই বোঝা যায় তারা (বাফুফে) কেমন খেলোয়াড় চাচ্ছে। আর এটা আমার জন্য কিছুটা বাড়তি অনুপ্রেরণার ছিল। তাই নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কেন নয়? কেন আমি খেলব না?’
বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর শুভেচ্ছায় ভাসছেন সমিত। এমনকি কানাডায় থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তাঁর খেলা দেখছেন মাঠে গিয়েছে। দিচ্ছেন সমর্থনও। সমিত বলেন, ‘এটি আমাকে ভীষণ গর্বিত করে তোলে। মজার বিষয় হলো, এখন টরন্টো বা ক্যালগারির মতো জায়গা থেকেও মানুষ খেলা দেখতে আসে। এটি আমার জন্য একেবারেই নতুন এক অভিজ্ঞতা এবং কিছুটা ভিন্ন অনুভূতি দিচ্ছে। তবে খুবই দারুণ, যা সবসময় মনে রাখব আমি।’
সমিতের চোখ এখন বাংলাদেশকে এশিয়ান কাপে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের আন্তর্জাতিক ফুটবলের সঙ্গে আমি অভ্যস্ত নই। যেখানে কোনো কিছু অর্জনের লক্ষ্যে খেলতে হয়। এখানে ভিন্ন চাপ থাকে, খেলার ধরনটাও ভিন্ন। এই ভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক ফুটবলের চ্যালেঞ্জ নিতে ও এএফসি বাছাইয়ের জন্য লড়াই করতে মুখিয়ে আছি।’
বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার প্রস্তাব এর আগেও কয়েকবার পেয়েছেন সমিত সোম। কিন্তু কখনোই সবুজ সংকেত দেননি। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে হামজা চৌধুরীকে খেলতে দেখার পর বদল আসে তাঁর ভাবনায়। নিজেকে বলতে শুরু করেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা যদি পারেন, তাহলে আমি কেন নয়।’
সমিত পেরেছেন বাংলাদেশি হতে। ফিফা থেকে তাঁকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এখন কেবল বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষা। সব ঠিক থাকলে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অভিষেক হবে তাঁর। তবে এখনই নিজেকে দলের অংশ হিসেবে মনে করছেন কানাডা প্রবাসী এই ফুটবলার।
গত ৫ মে বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার মাত্র একদিনের মতো ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি থেকে ছাড়পত্র পান সমিত। যা বেশ অপ্রত্যাশিতই। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমিত বলেন, ‘যে ভালোবাসা ও সমর্থন পাচ্ছি, সেটা খুবই ভালো লাগছে। তারা (বাংলাদেশ) ফুটবলের জন্য সত্যিই পাগল। তাই আমি খুব আপন মনে করছি। নিজেকে এখনই দল ও দেশের অংশ মনে হচ্ছে।’
সমিত কানাডায় জন্ম নিলেও তাঁর বাবা-মা দুজনে বাংলাদেশি। তিনি বলেন, ‘এটি এমন কিছু যার জন্য আমি গর্বিত। আমার বাবার দিকের আত্মীয়রা এখনো সেখানে থাকেন। আমার বাবা-মা সেখান থেকেই এসেছেন। ছোটবেলা থেকে আমি এই সংস্কৃতিতেই বড় হয়েছি। তাই এটি আমার জন্য রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা, যার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’
কানাডায় বেড়ে ওঠা, সেখানেই ফুটবলের হাতেখড়ি। ২০২৩ সাল থেকে মাঠ কাঁপিয়ে যাচ্ছেন কাভালরি এফসির হয়ে। কানাডা জাতীয় দলের হয়ে দুটো ম্যাচও (বারমুডা ও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে)। তবু কেন বাংলাদেশকে বেছে নিলেন?
উত্তরে সমিত বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ফুটবলের ভিন্ন এক জগতে নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানানোর এটাই সঠিক সময় ও সঠিক সুযোগ। কানাডার হয়ে খেলতে আমি যে সুযোগগুলো পেয়েছি, সেজন্য আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। যখন দল পরিবর্তনের সময় এল তখন মনে হলো নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাচিয়ে দেখার এটাই সঠিক সময়।’
ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখলেও তা পূরণ করতে পারেননি হামজা৷ তবে তাঁর বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সমিতকেও। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘হামজার মতো খেলোয়াড় যে মানদণ্ড তৈরি করে দিয়েছে, এতেই বোঝা যায় তারা (বাফুফে) কেমন খেলোয়াড় চাচ্ছে। আর এটা আমার জন্য কিছুটা বাড়তি অনুপ্রেরণার ছিল। তাই নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কেন নয়? কেন আমি খেলব না?’
বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর শুভেচ্ছায় ভাসছেন সমিত। এমনকি কানাডায় থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তাঁর খেলা দেখছেন মাঠে গিয়েছে। দিচ্ছেন সমর্থনও। সমিত বলেন, ‘এটি আমাকে ভীষণ গর্বিত করে তোলে। মজার বিষয় হলো, এখন টরন্টো বা ক্যালগারির মতো জায়গা থেকেও মানুষ খেলা দেখতে আসে। এটি আমার জন্য একেবারেই নতুন এক অভিজ্ঞতা এবং কিছুটা ভিন্ন অনুভূতি দিচ্ছে। তবে খুবই দারুণ, যা সবসময় মনে রাখব আমি।’
সমিতের চোখ এখন বাংলাদেশকে এশিয়ান কাপে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের আন্তর্জাতিক ফুটবলের সঙ্গে আমি অভ্যস্ত নই। যেখানে কোনো কিছু অর্জনের লক্ষ্যে খেলতে হয়। এখানে ভিন্ন চাপ থাকে, খেলার ধরনটাও ভিন্ন। এই ভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক ফুটবলের চ্যালেঞ্জ নিতে ও এএফসি বাছাইয়ের জন্য লড়াই করতে মুখিয়ে আছি।’
মেয়েদের ফিফা বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেন। আজ ২০২৫ মেয়েদের ইউরোর ফাইনালও জিতলে বিশ্বের দ্বিতীয় দল হিসেবে টানা বিশ্বকাপ ও ইউরোর শিরোপা জিতবে তারা। মেয়েদের ফুটবলে বিরল এই কীর্তি আছে কেবল জার্মান মেয়েদেরই। ২০০৭ ও ২০০৯ সালে টানা এই দুটি শিরোপা জিতেছিল তারা। আজ মেয়েদের ইউরোর ফাইনালে ডিফেন্ডিং
৪০ মিনিট আগেহেডিংলি ও এজবাস্টন টেস্টে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন শুবমান গিল। লর্ডসে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে হাসেনি তাঁর ব্যাট। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম ইনিংসে করেন ১২ রান। ভারতের নবাগত টেস্ট অধিনায়ক হয়তো ভাবলেন, এভাবে আর কত! দলের প্রয়োজনের সময় ঠিকই জ্বলে উঠলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় এখন যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ‘সোনার হরিণ’। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তো উইন্ডিজকে নাজেহাল করেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার পছন্দের ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেরে উঠছে না অজিদের সঙ্গে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি সিরিজে ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়রা সাত ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে
২ ঘণ্টা আগেবয়স ৩৮ বছর পেরোলেও লিওনেল মেসিকে দেখে সেটা যে বোঝার উপায় নেই। গোলের পর গোল করে চলেছেন। সতীর্থদের দিয়েও করাচ্ছেন গোল। ছন্দে থাকা এই মেসিকে আজ পেল না ইন্টার মায়ামি। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি না থাকার অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেল মায়ামি।
২ ঘণ্টা আগে