নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আফগানিস্তানকে ২১৫ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আনন্দটা প্রায় মাটি হওয়ার উপক্রম হয়ে উঠেছিল। ৪৫ রানে শেষ বাংলাদেশের ৬ উইকেট। সাজঘরে ফিরে গেছেন অভিজ্ঞ সব ব্যাটার। প্রায় ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দুই তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব যেভাবে দলকে জেতালেন সেটার বিশেষণ এক কথায় অবিশ্বাস্য।
আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে মিরাজ-আফিফের রেকর্ড ১৭৪ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে দল জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। আফগানদের বিপক্ষে এই প্রথম রান তাড়া করে জিতল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তামিম ইকবালের দল। আগামী পরশু একই ভেন্যুতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নাজিবুল্লাহ জাদ্রানের হাফসেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে দলীয় সংগ্রহ দুশো ছাড়ায় আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এ ছাড়া রহমত শাহ ৩৪, অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদি ২৮, মোহাম্মদ নবী ২০, ইব্রাহিম জাদ্রান ১৯ ও গুলবাদিন নাইব ১৭ রানে আউট হন। মোস্তাফিজদের দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ইনিংস লম্বা করার সুযোগ পাননি তাঁরা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোস্তফিজ। দুটি করে শিকার তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম। তাদের দারুণ বোলিংয়ে ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় আফগানরা। বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রেখেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা ২১৫ রানকেই পাহাড়সম করে তোলেন। রান তাড়ায় আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু সিনিয়রদের।
২৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারাতে হয় দলকে। ৪৫ রানে বাজে শট খেলে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আউট হওয়া ব্যাটারদের মধ্যে কেবল সাকিব (১০) দুই অংক ছুঁয়েছেন। এর মধ্যে চারটি শিকার ফজলহক ফারুকির। এরপরই ত্রাণকর্তারূপে হাজির হন মিরাজ ও আফিফ। দুজনই অপরাজিত থেকে ২২ গজ ছেড়েছেন। ১২০ বলে মিরাজ ৮১ রান করেন। আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৫ বলে ৯৩ রান।
মিরাজ-আফিফের জুটিটা সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ। তাঁরা ভাঙেন ইমরুল কায়েস ও সাইফউদ্দিনের ১২৯ রানের জুটি। আফগানরা আর কিছু রান করলে হয়তো বিশ্ব রেকর্ডই গড়ে ফেলতেন বাংলাদেশের দুই তরুণ ব্যাটার। মাত্র ৪ রানের জন্য জস বাটলার-আদিল রশিদের রেকর্ডটা ভাঙতে পারেননি।
ওয়ানডেতে ৭ম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি
জুটি রান দল ভেন্যু তারিখ
বাটলার-রশিদ ১৭৭ ইংল্যান্ড বার্মিংহাম ৯ জুন ২০১৫
আফিফ-মিরাজ ১৭৪* বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাটলার-ওক্স ১৩৮ ইংল্যান্ড নটিংহাম ২১ জুন ২০১৬
ফ্লাওয়ার-স্ট্রিক ১৩০ জিম্বাবুয়ে হারারে ৭ অক্টোবর ২০০১
ইমরুল-সাইফ ১২৭ বাংলাদেশ মিরপুর ২১ অক্টোবর ২০১৮
আফগানিস্তানকে ২১৫ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আনন্দটা প্রায় মাটি হওয়ার উপক্রম হয়ে উঠেছিল। ৪৫ রানে শেষ বাংলাদেশের ৬ উইকেট। সাজঘরে ফিরে গেছেন অভিজ্ঞ সব ব্যাটার। প্রায় ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দুই তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব যেভাবে দলকে জেতালেন সেটার বিশেষণ এক কথায় অবিশ্বাস্য।
আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে মিরাজ-আফিফের রেকর্ড ১৭৪ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে দল জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। আফগানদের বিপক্ষে এই প্রথম রান তাড়া করে জিতল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তামিম ইকবালের দল। আগামী পরশু একই ভেন্যুতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নাজিবুল্লাহ জাদ্রানের হাফসেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে দলীয় সংগ্রহ দুশো ছাড়ায় আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এ ছাড়া রহমত শাহ ৩৪, অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদি ২৮, মোহাম্মদ নবী ২০, ইব্রাহিম জাদ্রান ১৯ ও গুলবাদিন নাইব ১৭ রানে আউট হন। মোস্তাফিজদের দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ইনিংস লম্বা করার সুযোগ পাননি তাঁরা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোস্তফিজ। দুটি করে শিকার তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম। তাদের দারুণ বোলিংয়ে ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় আফগানরা। বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রেখেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা ২১৫ রানকেই পাহাড়সম করে তোলেন। রান তাড়ায় আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু সিনিয়রদের।
২৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারাতে হয় দলকে। ৪৫ রানে বাজে শট খেলে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আউট হওয়া ব্যাটারদের মধ্যে কেবল সাকিব (১০) দুই অংক ছুঁয়েছেন। এর মধ্যে চারটি শিকার ফজলহক ফারুকির। এরপরই ত্রাণকর্তারূপে হাজির হন মিরাজ ও আফিফ। দুজনই অপরাজিত থেকে ২২ গজ ছেড়েছেন। ১২০ বলে মিরাজ ৮১ রান করেন। আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৫ বলে ৯৩ রান।
মিরাজ-আফিফের জুটিটা সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ। তাঁরা ভাঙেন ইমরুল কায়েস ও সাইফউদ্দিনের ১২৯ রানের জুটি। আফগানরা আর কিছু রান করলে হয়তো বিশ্ব রেকর্ডই গড়ে ফেলতেন বাংলাদেশের দুই তরুণ ব্যাটার। মাত্র ৪ রানের জন্য জস বাটলার-আদিল রশিদের রেকর্ডটা ভাঙতে পারেননি।
ওয়ানডেতে ৭ম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি
জুটি রান দল ভেন্যু তারিখ
বাটলার-রশিদ ১৭৭ ইংল্যান্ড বার্মিংহাম ৯ জুন ২০১৫
আফিফ-মিরাজ ১৭৪* বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাটলার-ওক্স ১৩৮ ইংল্যান্ড নটিংহাম ২১ জুন ২০১৬
ফ্লাওয়ার-স্ট্রিক ১৩০ জিম্বাবুয়ে হারারে ৭ অক্টোবর ২০০১
ইমরুল-সাইফ ১২৭ বাংলাদেশ মিরপুর ২১ অক্টোবর ২০১৮
প্রতিপক্ষের সামনে গিয়ে বুনো উদ্যাপন করতে লিওনেল মেসিকে তেমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে। খেলোয়াড়েরা তাঁদের নিজস্ব ধরনে যেভাবে উদযাপন করেন, মেসিও প্রায়ই করেন এমন কিছু। আর্জেন্টিনার এই বিশ্বজয়ী ফুটবলারকে গতকাল দেখা গেল ভিন্ন রূপে।
৩ মিনিট আগেমাত্র ৮ রানের লক্ষ্য। হাতে ১০ উইকেট। তার চেয়েও বড় কথা কখনো ম্যাচের আড়াই দিনের বেশি খেলা বাকি। অতি অস্বাভাবিক কোনো কিছু না ঘটলে কোনো দলের হারার কথা নয়। বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে ঘটেওনি আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু। তিন দিনের মধ্যেই জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ড।
১ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গতকালের হারটা ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে ধরলে আজিজুল হাকিম তামিম-ইকবাল হোসেন ইমনদের টুর্নামেন্টটা কাটছে দুর্দান্ত। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালের টিকিট কেটেছেন বাংলাদেশের যুবারা।
৩ ঘণ্টা আগেইনগে সরেনসেনের নামটা এই প্রজন্মের সাঁতারপ্রেমীদের মনে থাকার কথা নয়। ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিকে ডেনিশ এই সাঁতারু যখন ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন, তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। অলিম্পিক গেমসের সাঁতারের ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে জেতা সে ব্রোঞ্জটাই খুদে এই সাঁতারুকে অনন্য উচ্চতায় তুলে দিয়েছিল। হয়েছিলেন অলিম্পিকের
৩ ঘণ্টা আগে