ক্রীড়া ডেস্ক
স্কোরবোর্ডে যখন আফগানিস্তানের ১৯০ রান, তখন ম্যাচের ফল অর্ধেক তো সেখানেই অনুমেয়। কারণ, টসের সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কথায় বোঝা গেছে, ২৪০-২৫০ রানের লক্ষ্য হলেও তাড়া করে জেতা সম্ভব। কিন্তু দলটা যখন বাংলাদেশ, ওয়ানডেতে যাদের ভয়াবহ দুঃসময় চলছে তখন কোনো স্কোরই যে নিরাপদ না।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গত রাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৯ রান ছিল বাংলাদেশের স্কোর। হাতে যখন ৫ উইকেট আর শেষ ১৬৬ বলে ৯২ রান দরকার, তখন ম্যাচের পাল্লা তো মিরাজের দলের দিকেই ভারী। উইকেট যতই কঠিন হোক, যত উইকেটই পড়ুক, ওভারপ্রতি ৩.৩৩ রানরেটে বাকি পথ পাড়ি দেওয়া তো অসম্ভব নয়। কিন্তু সে সময়ই নামে ভয়াবহ ধস। ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে শেষ মিরাজের দল। ৮১ রানে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তান সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা একেবারে নতুন নয়। ৮ অক্টোবর আবুধাবিতে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ খেলেছে ২৯৩ বল। যার মধ্যে ১৬৯ বলই খেলেছে ডট। একই মাঠে বাংলাদেশ গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সর্বসাকল্যে খেলেছে ১৭১ বল। সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিকরা নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন। ৮১ রানে হারের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ বলতে গিয়ে পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার বলেন, ‘স্কিল ও মানসিক দুই জায়গাতেই সমস্যা আমাদের ক্রিকেটারদের। প্রচুর চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু মানসিক বাধা কাজ করছে। বোলারকে না খেলে বল খেলতে হবে। ভালো বলে সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক রোটেট করলে বোলার চাপে পড়ে।’
প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের মধ্যে ৮ উইকেটই তুলে নিয়েছেন রশিদ খান। যার মধ্যে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৮.৩ ওভার বোলিং করে খরচ করেন ১৭ রান। দিয়েছেন দুই ওভার মেডেন। খেলোয়াড়ি জীবনে লেগস্পিনার হওয়ায় আরেক লেগস্পিনার রশিদ খানের বোলিংয়ের ধরন ভালোই বুঝতে পারেন মুশতাক। রশিদকে নিয়ে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ বলেন, ‘আমি যেটা পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম, রশিদের বিরুদ্ধে খেলে তারা (বাংলাদেশি ব্যাটাররা)। রশিদের বলের বিরুদ্ধে নয়। বল খুব বেশি ঘুরায় না সে (রশিদ)। অভিজ্ঞ ও উইকেট টেকিং বোলার রশিদ। তার বিপক্ষে খেলা তাই চ্যালেঞ্জিং।’
আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ খোয়ানোর পর মিরাজ ব্যাটিং ধসকেই দায়ী করেছেন। এখন তারা নামবে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ। তবে একটা ম্যাচ এখনো বাকি। তারপর আরও এক সিরিজ আছে আমাদের। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, সেই ব্যাপারে ভাবতে হবে।’ আবুধাবিতে পরশু সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এই সিরিজের পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে আতিথেয়তা দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ১৮, ২১ ও ২৩ অক্টোবর মিরপুরে হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তিন ওয়ানডে। ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে এখন বাংলাদেশ। ৯৪, ৮৮ ও ৮০ পয়েন্ট নিয়ে সাত, আট ও নয় নম্বরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এ বছর বাংলাদেশ ৭ ওয়ানডে খেলে কেবল একবারই ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে। ভয়াবহ ব্যাটিংয়ের আরও নজির রয়েছে মিরাজ, জাকের, তানজিদ হাসান তামিমদের বাংলাদেশ। এ বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম—এই ৭ উইকেট দ্রুততম পড়ার লজ্জাজনক রেকর্ডটি এখন বাংলাদেশের। তবে গতকাল ৫ উইকেট নিয়েও রশিদ খান ম্যাচসেরা হতে পারেননি। ১৪০ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৯৫ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ইবরাহিম জাদরান।
স্কোরবোর্ডে যখন আফগানিস্তানের ১৯০ রান, তখন ম্যাচের ফল অর্ধেক তো সেখানেই অনুমেয়। কারণ, টসের সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কথায় বোঝা গেছে, ২৪০-২৫০ রানের লক্ষ্য হলেও তাড়া করে জেতা সম্ভব। কিন্তু দলটা যখন বাংলাদেশ, ওয়ানডেতে যাদের ভয়াবহ দুঃসময় চলছে তখন কোনো স্কোরই যে নিরাপদ না।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গত রাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৯ রান ছিল বাংলাদেশের স্কোর। হাতে যখন ৫ উইকেট আর শেষ ১৬৬ বলে ৯২ রান দরকার, তখন ম্যাচের পাল্লা তো মিরাজের দলের দিকেই ভারী। উইকেট যতই কঠিন হোক, যত উইকেটই পড়ুক, ওভারপ্রতি ৩.৩৩ রানরেটে বাকি পথ পাড়ি দেওয়া তো অসম্ভব নয়। কিন্তু সে সময়ই নামে ভয়াবহ ধস। ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে শেষ মিরাজের দল। ৮১ রানে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তান সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা একেবারে নতুন নয়। ৮ অক্টোবর আবুধাবিতে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ খেলেছে ২৯৩ বল। যার মধ্যে ১৬৯ বলই খেলেছে ডট। একই মাঠে বাংলাদেশ গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সর্বসাকল্যে খেলেছে ১৭১ বল। সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিকরা নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন। ৮১ রানে হারের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ বলতে গিয়ে পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার বলেন, ‘স্কিল ও মানসিক দুই জায়গাতেই সমস্যা আমাদের ক্রিকেটারদের। প্রচুর চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু মানসিক বাধা কাজ করছে। বোলারকে না খেলে বল খেলতে হবে। ভালো বলে সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক রোটেট করলে বোলার চাপে পড়ে।’
প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের মধ্যে ৮ উইকেটই তুলে নিয়েছেন রশিদ খান। যার মধ্যে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৮.৩ ওভার বোলিং করে খরচ করেন ১৭ রান। দিয়েছেন দুই ওভার মেডেন। খেলোয়াড়ি জীবনে লেগস্পিনার হওয়ায় আরেক লেগস্পিনার রশিদ খানের বোলিংয়ের ধরন ভালোই বুঝতে পারেন মুশতাক। রশিদকে নিয়ে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ বলেন, ‘আমি যেটা পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম, রশিদের বিরুদ্ধে খেলে তারা (বাংলাদেশি ব্যাটাররা)। রশিদের বলের বিরুদ্ধে নয়। বল খুব বেশি ঘুরায় না সে (রশিদ)। অভিজ্ঞ ও উইকেট টেকিং বোলার রশিদ। তার বিপক্ষে খেলা তাই চ্যালেঞ্জিং।’
আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ খোয়ানোর পর মিরাজ ব্যাটিং ধসকেই দায়ী করেছেন। এখন তারা নামবে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ। তবে একটা ম্যাচ এখনো বাকি। তারপর আরও এক সিরিজ আছে আমাদের। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, সেই ব্যাপারে ভাবতে হবে।’ আবুধাবিতে পরশু সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এই সিরিজের পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে আতিথেয়তা দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ১৮, ২১ ও ২৩ অক্টোবর মিরপুরে হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তিন ওয়ানডে। ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে এখন বাংলাদেশ। ৯৪, ৮৮ ও ৮০ পয়েন্ট নিয়ে সাত, আট ও নয় নম্বরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এ বছর বাংলাদেশ ৭ ওয়ানডে খেলে কেবল একবারই ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে। ভয়াবহ ব্যাটিংয়ের আরও নজির রয়েছে মিরাজ, জাকের, তানজিদ হাসান তামিমদের বাংলাদেশ। এ বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম—এই ৭ উইকেট দ্রুততম পড়ার লজ্জাজনক রেকর্ডটি এখন বাংলাদেশের। তবে গতকাল ৫ উইকেট নিয়েও রশিদ খান ম্যাচসেরা হতে পারেননি। ১৪০ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৯৫ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ইবরাহিম জাদরান।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ধবলধোলাই হওয়ার খুব কাছাকাছি এসে পড়েছিল বাংলাদেশ। এই অবস্থায় করণীয় ছিল একটাই—নিজেদের নিংড়ে দিয়ে খেলা। কিন্তু বাংলাদেশ দলের বাজে এই সিরিজের শেষটাও হলো বাজেভাবে। কাল ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৭.১ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে ২০০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের বিপক্ষে আজ একমাত্র গোলটি এসেছে রাকিব হোসেনের পা থেকে। গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও গোল করেছিলেন তিনি। দুটো ম্যাচই রাকিবকে শেষ করতে হয়েছে আক্ষেপ নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ যে জয়ের স্বাদ পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাজে সময় পার করছে সুইডেন। সেই বাজে সময়কে আরও দীর্ঘ করে সবশেষ ম্যাচে কসোভোর কাছে ১–০ গোলে হেরেছে সুইডিশরা। এই হারে কপাল পুড়ল দলটির প্রধান কোচ ইয়ন ডাল টমাসনের।
৪ ঘণ্টা আগেরাকিব হোসেন গোল পেয়েই যাবেন, এমন আভাস মিলছিল। হংকং তখন ১০ জন নিয়ে খেলছে। বাংলাদেশের আক্রমণের সামনে কোনোভাবে দাঁড়াতে পারছিল না হংকং। একের পর এক চাপে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় তাদের রক্ষণ। ৮৫ মিনিটে ফাহামিদুল ইসলামের অ্যাসিস্ট থেকে বল জালে ফেলতে আর কোনো ভুল করেননি রাকিব। বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপর বসে ফাহামিদুলক
৪ ঘণ্টা আগে