রানা আব্বাস
ঢাকা: ৪৩ দিনের নিউজিল্যান্ড সফর শেষে ঢাকায় এলেও নিজের বাসাতেও আসতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ এপ্রিল দলের সঙ্গে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই ধরেছেন ভারতের ফ্লাইট। হোটেলে ঘরবন্দী কোয়ারেন্টিন, জৈব সুরক্ষাবলয়ের কষ্টের জীবন, আইপিএলে দুর্দান্ত খেলার তাড়না আর করোনাভীতি—এক মাসের ভারত সফরটা এবার কঠিনই ছিল মোস্তাফিজের।
কঠিন এই সফরটা মোস্তাফিজকে সহজ করে দিয়েছেন একজন। তিনি সামিয়া পারভীন শিমু, বাঁহাতি পেসারের স্ত্রী। বিদেশ দূরে থাক, দেশে খেলা হলেও মোস্তাফিজ তাঁর স্ত্রীকে হোটেলে সাধারণত আনেন না। কেন? একবার এই প্রশ্নের বেশ মজার এক উত্তর মিলেছিল ফিজের কাছে, ‘সোনারগাঁও হোটেলে একবার ওকে নিয়ে এসেছিলাম। আমি এসির তাপমাত্রা একেবারেই কমিয়ে ঘুমাতে পছন্দ করি। শীতল ঘরে আবার ওর সমস্যা। ঠান্ডাই লেগে গেল। এরপর থেকে হোটেলে সে আর আসতে চায় না!’
কিছুটা রসিকতার সুরেই গল্পটা বলা। আসল কারণটা হচ্ছে, মোস্তাফিজ খেলায় পূর্ণ মনোযোগ রাখতেই টিম হোটেলে পরিবারের কাউকে রাখতে চান না। এবার আইপিএলে হয়েছে উল্টো। খেলায় যেন মনোযোগ ঠিক থাকে, সে কারণেই সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়েছেন তিনি। আইপিএল–অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে মোস্তাফিজ বলছিলেন, ‘লম্বা নিউজিল্যান্ড সফরের পরই আইপিএল। টানা জৈব সুরক্ষাবলয়ে থেকে হাঁপিয়েই উঠেছিলাম। এটা যদি চলতে থাকত, মানসিক অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। শুনেছি মানুষ আত্মহত্যার চিন্তা করে এমন পরিস্থিতিতে। মানসিকভাবে ভালো থাকতেই ভাবলাম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাই।’
স্ত্রী শিমুকে নিয়ে যে বড় উপকার হয়েছে, সেটি অকপটেই বলছেন মোস্তাফিজ, ‘ও ছিল বলে রক্ষা! এভাবে মাঠ আর ঘর করে কত দিন পারা যায়! আর ভারতের যে দুটি শহরে থেকেছি, দুটিতেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। চারদিক থেকে আসা ভীতিকর সব খবরে মনটা খারাপ হয়েছে। এখানে ও (স্ত্রী) আমাকে নানাভাবে সহায়তা করেছে। সে সঙ্গে ছিল বলেই মনটা ভালো থেকেছে।’
মন ভালো থাকার ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে মাঠের পারফরম্যান্সে। রাজস্থান রয়্যালসের প্রতিটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ৭ ম্যাচে ৮.২৯ ইকোনমিতে ৮ উইকেট। চারটি ম্যাচে ইকোনমি রেট ১০–এর ওপরে গেলেও তিনটি ম্যাচে আবার দুর্দান্ত মোস্তাফিজকেই দেখা গেছে। বিশেষ করে ২ মে তাঁর পুরোনো দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২০ রানে ৩ উইকেট আবারও আলোচনায় এনেছে ফিজকে। স্টক ডেলিভারির (সাধারণ লেংথ বল) সঙ্গে বিষ মেশানো স্লোয়ারগুলো (কাটার) নিয়মিত অস্বস্তিতে ফেলেছে ব্যাটসম্যানদের। মোস্তাফিজ নিজেই জানালেন, নতুন এক স্লোয়ার কাজে লাগিয়েছেন এই আইপিএলে। ‘এই ভ্যারিয়েশনটা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বেশ কার্যকর দেখলাম। মাঝে মাঝে একটু রান বেশি দিয়েছি। তবে সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টটা খারাপ যায়নি। আফসোস, যখনই ভালো খেলতে শুরু করলাম, তখনই থমকে গেল সব’—ফোনে বলছিলেন মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজের অবশ্য টুর্নামেন্টের পুরোটা খেলাও হতো না। বিসিবি তাঁকে ছুটিই দিয়েছিল ১৮ মে পর্যন্ত। মোস্তাফিজ দেশে ফেরার আগে হয়তো খেলতে পারতেন আর পাঁচটি ম্যাচ। তবে যে সাত ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করলেন এভাবে, ‘রাজস্থান দল আমার পারফরম্যান্সে খুশি। এবারের আইপিএল তো শেষই। আশা করি এই পারফরম্যান্স আমাকে আগামীবার আবারও দল পেতে সহায়তা করবে।’
ঢাকা: ৪৩ দিনের নিউজিল্যান্ড সফর শেষে ঢাকায় এলেও নিজের বাসাতেও আসতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ এপ্রিল দলের সঙ্গে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই ধরেছেন ভারতের ফ্লাইট। হোটেলে ঘরবন্দী কোয়ারেন্টিন, জৈব সুরক্ষাবলয়ের কষ্টের জীবন, আইপিএলে দুর্দান্ত খেলার তাড়না আর করোনাভীতি—এক মাসের ভারত সফরটা এবার কঠিনই ছিল মোস্তাফিজের।
কঠিন এই সফরটা মোস্তাফিজকে সহজ করে দিয়েছেন একজন। তিনি সামিয়া পারভীন শিমু, বাঁহাতি পেসারের স্ত্রী। বিদেশ দূরে থাক, দেশে খেলা হলেও মোস্তাফিজ তাঁর স্ত্রীকে হোটেলে সাধারণত আনেন না। কেন? একবার এই প্রশ্নের বেশ মজার এক উত্তর মিলেছিল ফিজের কাছে, ‘সোনারগাঁও হোটেলে একবার ওকে নিয়ে এসেছিলাম। আমি এসির তাপমাত্রা একেবারেই কমিয়ে ঘুমাতে পছন্দ করি। শীতল ঘরে আবার ওর সমস্যা। ঠান্ডাই লেগে গেল। এরপর থেকে হোটেলে সে আর আসতে চায় না!’
কিছুটা রসিকতার সুরেই গল্পটা বলা। আসল কারণটা হচ্ছে, মোস্তাফিজ খেলায় পূর্ণ মনোযোগ রাখতেই টিম হোটেলে পরিবারের কাউকে রাখতে চান না। এবার আইপিএলে হয়েছে উল্টো। খেলায় যেন মনোযোগ ঠিক থাকে, সে কারণেই সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়েছেন তিনি। আইপিএল–অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে মোস্তাফিজ বলছিলেন, ‘লম্বা নিউজিল্যান্ড সফরের পরই আইপিএল। টানা জৈব সুরক্ষাবলয়ে থেকে হাঁপিয়েই উঠেছিলাম। এটা যদি চলতে থাকত, মানসিক অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। শুনেছি মানুষ আত্মহত্যার চিন্তা করে এমন পরিস্থিতিতে। মানসিকভাবে ভালো থাকতেই ভাবলাম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাই।’
স্ত্রী শিমুকে নিয়ে যে বড় উপকার হয়েছে, সেটি অকপটেই বলছেন মোস্তাফিজ, ‘ও ছিল বলে রক্ষা! এভাবে মাঠ আর ঘর করে কত দিন পারা যায়! আর ভারতের যে দুটি শহরে থেকেছি, দুটিতেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। চারদিক থেকে আসা ভীতিকর সব খবরে মনটা খারাপ হয়েছে। এখানে ও (স্ত্রী) আমাকে নানাভাবে সহায়তা করেছে। সে সঙ্গে ছিল বলেই মনটা ভালো থেকেছে।’
মন ভালো থাকার ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে মাঠের পারফরম্যান্সে। রাজস্থান রয়্যালসের প্রতিটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ৭ ম্যাচে ৮.২৯ ইকোনমিতে ৮ উইকেট। চারটি ম্যাচে ইকোনমি রেট ১০–এর ওপরে গেলেও তিনটি ম্যাচে আবার দুর্দান্ত মোস্তাফিজকেই দেখা গেছে। বিশেষ করে ২ মে তাঁর পুরোনো দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২০ রানে ৩ উইকেট আবারও আলোচনায় এনেছে ফিজকে। স্টক ডেলিভারির (সাধারণ লেংথ বল) সঙ্গে বিষ মেশানো স্লোয়ারগুলো (কাটার) নিয়মিত অস্বস্তিতে ফেলেছে ব্যাটসম্যানদের। মোস্তাফিজ নিজেই জানালেন, নতুন এক স্লোয়ার কাজে লাগিয়েছেন এই আইপিএলে। ‘এই ভ্যারিয়েশনটা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বেশ কার্যকর দেখলাম। মাঝে মাঝে একটু রান বেশি দিয়েছি। তবে সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টটা খারাপ যায়নি। আফসোস, যখনই ভালো খেলতে শুরু করলাম, তখনই থমকে গেল সব’—ফোনে বলছিলেন মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজের অবশ্য টুর্নামেন্টের পুরোটা খেলাও হতো না। বিসিবি তাঁকে ছুটিই দিয়েছিল ১৮ মে পর্যন্ত। মোস্তাফিজ দেশে ফেরার আগে হয়তো খেলতে পারতেন আর পাঁচটি ম্যাচ। তবে যে সাত ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করলেন এভাবে, ‘রাজস্থান দল আমার পারফরম্যান্সে খুশি। এবারের আইপিএল তো শেষই। আশা করি এই পারফরম্যান্স আমাকে আগামীবার আবারও দল পেতে সহায়তা করবে।’
শামীম হোসেন পাটোয়ারী ক্যাচ ধরার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উদযাপন শুরু। অন্যদিকে আহমেদ দানিয়াল হতাশায় ব্যাটটা রাখলেন নিজের হেলমেটের ওপর। সিরিজে সমতায় ফেরার এত কাছাকাছি গিয়েও পারল না পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর পাকিস্তানকে ধুয়ে দিয়েছেন রমিজ রাজা।
৩৩ মিনিট আগেমিরপুরের উইকেট নিয়ে ধোঁয়াশা তো নতুন কিছু নয়। ব্যাটারদের ‘বধ্যভূমি’ নামে পরিচিত এই স্টেডিয়ামের উইকেট হঠাৎ করেই ব্যাটিংবান্ধব হয়ে ওঠে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বোলাররা ছড়ি ঘোরান এই মাঠে। এবারের বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজেও দেখা যাচ্ছে তেমন কিছুই।
১ ঘণ্টা আগেওল্ড ট্রাফোর্ডের রেকর্ডটা ভারতের জন্য মোটেও সুখকর নয়। এখানে ৯টি টেস্ট খেলেছে ভারত। জিততে পারেনি একটিতেও। ৪ টিতে হার। ৫টি টেস্ট হয়েছে ড্র। ৩ ম্যাচ শেষে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ভারত যখন ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে, তখন চতুর্থ টেস্টটি তারা খেলতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টারের এই ভেন্যুতেই।
১ ঘণ্টা আগেজ্যামাইকার পতাকায় মোড়ানো স্মারক ব্যাট-বল রাখা আন্দ্রে রাসেলের সামনে। ডাগআউট থেকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসে মাঝখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন তিনি। এই তারকা অলরাউন্ডারের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। উপলক্ষটা যে রাসেলের বিদায়, সেটা আর না বললেও চলছে।
২ ঘণ্টা আগে