ওমর ফারুক, ঢাকা
কাগিসো রাবাদাকে ফিরিয়ে তাঁর সেই চিরচেনা উদ্যাপন—দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে উড়তে শুরু করলেন তাসকিন আহমেদ। দুই হাত যেন তাঁর দুরন্ত ইগলের দুটি ডানা, যে শিকার তুলে ক্ষিপ্রগতিতে উড়ে চলে। সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে গতকাল তাসকিন এভাবেই উড়লেন।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পেয়েছেন ৫ উইকেট। প্রথমটি ছিল আট বছর আগে। তাসকিনকে দিয়ে আরেকটি অপেক্ষাও ফুরিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফরকারী পেসারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সর্বশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা, ২০১২ সালে। এমন অর্জনের পর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি তাসকিন—৫ উইকেট পেয়ে যখন মাটিতে চুমু এঁকে দিলেন, দূর থেকেই স্পষ্ট হলো তাঁর ছলছল আঁখি।
গত দুই বছরে দেখা মিলেছে অন্য তাসকিনের। আট বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা তাঁর আরও উজ্জ্বল হতে পারত, যদি লম্বা সময়ে চোটের সঙ্গে না লড়তে হতো। পারফরম্যান্সও ওঠানামা করেছে অনেকবার। কিন্তু ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে নিজেকে একেবারেই বদলে ফেলেছেন তাসকিন। খোলস বদলে আবির্ভূত হয়েছেন নতুনভাবে। ‘তাসকিন ২.০’ দেখে এখন সবাই মুগ্ধ, আইপিএলের দল পর্যন্ত তাঁর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। জাতীয় দলের স্বার্থে বাংলাদেশ পেসার অবশ্য লোভনীয় এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। গতকাল প্রোটিয়াদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর বুঝিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে তিনি কতটা উন্মুখ। তাঁর ভেতরে এখন তীব্র হয়ে উঠেছে সাফল্যের ক্ষুধা।
২০১৪ সালে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেকটা ছিল রঙিন, মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। পরের তিন সিরিজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখায় পরের বছর বিশ্বকাপ দলে জায়গা পান তাসকিন। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট, যেটি ছিল দলের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর পথটা আর মসৃণ থাকেনি, তাঁর পিছু নেয় চোট। ২০১৭ সালের পর চার বছর বাংলাদেশ দলের বাইরে ছিলেন তাসকিন।
নিজেকে ফিরে পেতে গত দুটি বছর তাসকিনের পরিশ্রম শুধু মুগ্ধ নয়, আপনাকে অবাকও করবে। করোনার সময় যখন পুরো দুনিয়া স্থবির, তখন একক প্রচেষ্টায় ফিটনেস অনুশীলন তো করেছেনই, মেন্টাল হেলথ বা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করেছেন গভীরভাবে। ব্যক্তিজীবন কিংবা খেলোয়াড়ি জীবন—দুটিতেই কঠিন শৃঙ্খলা এসেছে তাঁর। সেটির ফলও মিলেছে। ক্যারিয়ার থেকে অনেকটা সময় হারিয়ে যাওয়ার আফসোস ভুলে তিনি ফিরছেন আরও পরিণত হয়ে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তাসকিনের গতির সঙ্গে বৈচিত্র্যে যে ঘাটতি ছিল, সেটাও অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন। ওটিস গিবসনের পর এখন অ্যালান ডোনাল্ডের সান্নিধ্যে বোলিংয়ের ধার কতটা বাড়িয়েছেন, এই সফরেই বোঝা যাচ্ছে। ৩ ওয়ানডেতে ৮ উইকেট তুলে দলের সেরা বোলার তাসকিনই। তাঁর বেশির ভাগ বল ছিল লাইন ও লেংথ ঠিক রেখে। গুড আর ব্যাক অব লেংথ থেকে উঠে আসা তাসকিনের বলগুলো প্রোটিয়া ব্যাটারদের যেভাবে ভুগিয়েছে, সেটি দেখা ছিল বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য বড় প্রশান্তির।
গতকাল ইনিংস বিরতিতে তাসকিন নিজের সাফল্য নিয়ে বলেছেন, ‘আমি প্রক্রিয়া ও মৌলিক বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করেছি। লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছি। গত দেড় বছর যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি, সেটি কাজে দিয়েছে।’
অবশ্য সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশ দলের নতুন পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ড আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাসকিন-শরীফুলদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশের পেস বোলিং বিশ্বসেরা হতে পারে। তবে এর জন্য শিষ্যদের প্রতি তাঁর পরামর্শ ছিল আরও আক্রমণাত্মক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠতে। তাসকিন যে সেটা হতে পেরেছেন, তা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভালোভাবেই করে দেখিয়েছেন।
কাগিসো রাবাদাকে ফিরিয়ে তাঁর সেই চিরচেনা উদ্যাপন—দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে উড়তে শুরু করলেন তাসকিন আহমেদ। দুই হাত যেন তাঁর দুরন্ত ইগলের দুটি ডানা, যে শিকার তুলে ক্ষিপ্রগতিতে উড়ে চলে। সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে গতকাল তাসকিন এভাবেই উড়লেন।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পেয়েছেন ৫ উইকেট। প্রথমটি ছিল আট বছর আগে। তাসকিনকে দিয়ে আরেকটি অপেক্ষাও ফুরিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফরকারী পেসারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সর্বশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা, ২০১২ সালে। এমন অর্জনের পর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি তাসকিন—৫ উইকেট পেয়ে যখন মাটিতে চুমু এঁকে দিলেন, দূর থেকেই স্পষ্ট হলো তাঁর ছলছল আঁখি।
গত দুই বছরে দেখা মিলেছে অন্য তাসকিনের। আট বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা তাঁর আরও উজ্জ্বল হতে পারত, যদি লম্বা সময়ে চোটের সঙ্গে না লড়তে হতো। পারফরম্যান্সও ওঠানামা করেছে অনেকবার। কিন্তু ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে নিজেকে একেবারেই বদলে ফেলেছেন তাসকিন। খোলস বদলে আবির্ভূত হয়েছেন নতুনভাবে। ‘তাসকিন ২.০’ দেখে এখন সবাই মুগ্ধ, আইপিএলের দল পর্যন্ত তাঁর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। জাতীয় দলের স্বার্থে বাংলাদেশ পেসার অবশ্য লোভনীয় এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। গতকাল প্রোটিয়াদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর বুঝিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে তিনি কতটা উন্মুখ। তাঁর ভেতরে এখন তীব্র হয়ে উঠেছে সাফল্যের ক্ষুধা।
২০১৪ সালে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেকটা ছিল রঙিন, মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। পরের তিন সিরিজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখায় পরের বছর বিশ্বকাপ দলে জায়গা পান তাসকিন। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট, যেটি ছিল দলের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর পথটা আর মসৃণ থাকেনি, তাঁর পিছু নেয় চোট। ২০১৭ সালের পর চার বছর বাংলাদেশ দলের বাইরে ছিলেন তাসকিন।
নিজেকে ফিরে পেতে গত দুটি বছর তাসকিনের পরিশ্রম শুধু মুগ্ধ নয়, আপনাকে অবাকও করবে। করোনার সময় যখন পুরো দুনিয়া স্থবির, তখন একক প্রচেষ্টায় ফিটনেস অনুশীলন তো করেছেনই, মেন্টাল হেলথ বা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করেছেন গভীরভাবে। ব্যক্তিজীবন কিংবা খেলোয়াড়ি জীবন—দুটিতেই কঠিন শৃঙ্খলা এসেছে তাঁর। সেটির ফলও মিলেছে। ক্যারিয়ার থেকে অনেকটা সময় হারিয়ে যাওয়ার আফসোস ভুলে তিনি ফিরছেন আরও পরিণত হয়ে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তাসকিনের গতির সঙ্গে বৈচিত্র্যে যে ঘাটতি ছিল, সেটাও অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন। ওটিস গিবসনের পর এখন অ্যালান ডোনাল্ডের সান্নিধ্যে বোলিংয়ের ধার কতটা বাড়িয়েছেন, এই সফরেই বোঝা যাচ্ছে। ৩ ওয়ানডেতে ৮ উইকেট তুলে দলের সেরা বোলার তাসকিনই। তাঁর বেশির ভাগ বল ছিল লাইন ও লেংথ ঠিক রেখে। গুড আর ব্যাক অব লেংথ থেকে উঠে আসা তাসকিনের বলগুলো প্রোটিয়া ব্যাটারদের যেভাবে ভুগিয়েছে, সেটি দেখা ছিল বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য বড় প্রশান্তির।
গতকাল ইনিংস বিরতিতে তাসকিন নিজের সাফল্য নিয়ে বলেছেন, ‘আমি প্রক্রিয়া ও মৌলিক বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করেছি। লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছি। গত দেড় বছর যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি, সেটি কাজে দিয়েছে।’
অবশ্য সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশ দলের নতুন পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ড আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাসকিন-শরীফুলদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশের পেস বোলিং বিশ্বসেরা হতে পারে। তবে এর জন্য শিষ্যদের প্রতি তাঁর পরামর্শ ছিল আরও আক্রমণাত্মক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠতে। তাসকিন যে সেটা হতে পেরেছেন, তা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভালোভাবেই করে দেখিয়েছেন।
ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে পার করছে দুঃসময়। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে তারাও যেন হালে পানি পায়। সিলেট টেস্টে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা ৮২ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশের।
৭ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। ৮২ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে কাটা পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে দিন শেষে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
৮ ঘণ্টা আগেটেস্টে প্রথম দিনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনটাই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ফলে আজ দ্বিতীয় দিনও তারা শেষ করেছে পিছিয়ে থেকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয়-মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিকেরা।
৯ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে কাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকেরা। মুমিনুল হক ১৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৩ রানে ফেরেন সাদমান
১০ ঘণ্টা আগে