Ajker Patrika

প্রতিপক্ষ কে তা না ভেবে স্বাভাবিক খেলাটা খেলুক

শাহরিয়ার নাফীস
প্রতিপক্ষ কে তা  না ভেবে স্বাভাবিক খেলাটা খেলুক

প্রথম ম্যাচটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরে যাওয়ায় আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। এই ম্যাচে জয় না এলে হিসাবটা কঠিনই হয়ে যাবে আমাদের। অবশ্য শুধু এই ম্যাচ নয়, আমাদের কাছে এখন প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আমরা বাংলাদেশের যে ধরনের ব্যাটিং দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে এটি ঠিকই আছে। আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক সেই ব্যাটিংটাই চাই। ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে আমরা যদি এই কন্ডিশনে ১৬০-১৭০ করতে পারি, তাহলে দারুণ কিছু হবে।

আমার কাছে সবচেয়ে বড় ভাবনার বিষয় ফিল্ডিং। ফিল্ডিংটা দুর্দান্ত করতে হবে। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্যাচ ফসকে গেলে পুনরায় ম্যাচে ফিরে আসা কঠিন হয়ে যায়। বোলিং বিভাগে চোখ রাখলে দেখছি–সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসানরা দারুণ বোলিং করছে। কিন্তু আমরা এখনো মোস্তাফিজুর রহমানের সেরা বোলিংটা পাইনি। আজকের ম্যাচে মোস্তাফিজের সেরা ছন্দে ফেরাটা খুবই জরুরি। 
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে তিন-চার মাস ধরে আমি একটি নেতিবাচক প্রচার দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে যাঁরা কর্মকর্তা আছেন, বোর্ড প্রেসিডেন্ট থেকে পরিচালক–তাঁরা কিন্তু ক্রিকেটারদের অভিভাবক। তাঁরা বিভিন্ন কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটা বিষয় দেখছি, দুই-তিন-চার মাস ধরে একটি নেতিবাচক ক্যাম্পেইন হয়েছে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। দল যখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতল তখন অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেছেন। প্রশংসার বদলে প্রশ্ন তুলেছেন, এই উইকেটে জিতে কী লাভ? তারপর যখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতল, তখনো প্রশংসার চেয়ে সমালোচনাই বেশি করেছি আমরা। আমার কাছে মনে হয়েছে, ইচ্ছে করেই ক্রিকেটারদের সমালোচনা বেশি করা হয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবে ক্রিকেটাররা একটু মনঃক্ষুণ্ন।

সমর্থকদের কাছে আমার একটাই চাওয়া, খেলোয়াড়দের সমালোচনা করুন, সমস্যা নেই। খেলোয়াড়েরা ভালো খেললে ভালোবাসা পাবে, খারাপ খেললে সমালোচনা হবে। কিন্তু তাদের হেয় করা, অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক না। খেলোয়াড়েরা ইচ্ছে করে খারাপ খেলে না। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করে। আর খারাপ খেললে খেলোয়াড়দের চেয়ে খারাপ বেশি কারও লাগে না।

মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব নিয়েও অনেকে নানা কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব, মাহমুদউল্লাহ দারুণ অধিনায়ক। তার অধিনায়কত্ব ঠিকঠাকই হচ্ছে। মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগই আমি দেখি না। ওই দিন বোলার বদলানো নিয়ে কথা হচ্ছে। আফিফ হোসেনের বলে লিটন দাস ক্যাচটি ধরতে পারলে তখন কিন্তু সবাই বলত মাহমুদউল্লাহর চেয়ে ভালো ক্যাপ্টেন আর হয় না। এখন ক্যাচ মিস হওয়ায় মাহমুদউল্লাহ খারাপ অধিনায়ক হয়ে গেল?

আশা করি খেলোয়াড়ে সবকিছু ভুলে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের উজাড় করে দেবে। ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ভয়ংকর দল। তাদের এমন কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে বরাবরের মতো বাংলাদেশ নিয়ে আমি আশাবাদী। মাহমুদউল্লাহ-সাকিবরা যদি প্রতিপক্ষ কে সেটি না ভেবে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা ঠিকঠাক খেলতে পারে, তাহলে যেকোনো দলকেই হারাতে পারে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটা আবার আমাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সেই ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাবে বাংলাদেশ, সেই আশাতেই টিভির পর্দার সামনে বসব আজ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত