ঘরের বাইরে খেলতে গেলে বাংলাদেশ কেন খাবি খায় তা বহুল চর্চিত বিষয়। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহদের ভরাডুবির পর আবারও সামনে আসতে শুরু করেছে সেই সব সমস্যা। বাংলাদেশে খেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ভরাডুবির কারণগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা।
টেন স্পোর্টসের ম্যাচ বিশ্লেষণী এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, মিসবাহ-উল-হক, ওয়াহাব রিয়াজের মতো ক্রিকেটাররা। ঘরের মাঠে স্পিন উইকেট, অফস্পিনে বেশি নির্ভরতা, পেসারদের গুরুত্ব না দেওয়ার মতো বিষয়গুলোর কারণেই বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ সব ম্যাচ হেরেছে বলে মত পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারদের।
সর্ব প্রথমে বিসিবির কর্মকর্তাদের ধুয়ে দিয়েছেন কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। সাবেক বাঁহাতি পেসার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের দর্শক এমনকি ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত মনে করে তারা সবাই একেকজন বিশেষজ্ঞ। আমি বলব, আপনারা উদ্ভট। আপনারা ক্রিকেট চালাতে পারেন, কিন্তু ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন না। আপনাদের বোর্ডে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে, শুধু কোচ নিয়োগ দিলেই চলবে না।’
মিসবাহ-উল-হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিশ্চিতভাবে পেস ও বাউন্সে খাবি খায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গতিমান বোলারের ১৪০ কিলোমিটারের বলে ব্যাক অব লেংথ, বাউন্সে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা বোঝা হয়ে গেছে। আরেকটি বিষয় হলো, বাংলাদেশ খুব বেশি অফ স্পিনারদের ওপর নির্ভরশীল। লেগ স্পিনাররা সুযোগ পান না বলেই চলে। গুগলি, লেগ স্পিন ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারে না বলাই যায়। লেগ স্পিনার না-ই থাকতে পারে, কিন্তু স্পিনার তৈরি করতে তো কাজ করতে হবে। লেগ স্পিনাররা যেকোনো পিচেই ভালো করতে পারে।’
মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পেসার ওয়াহাব রিয়াজ, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষা দেখে মনে হয়নি তারা জেতার জন্য খেলছে। অনেকটা জোর করে খেলেছে। বিশ্বকাপ ভালো হয়নি, অনেক ম্যাচ হেরেছে—এমনটা হতেই পারে। কিন্তু ব্যাটারদের দেখে মনে হয়েছে তারা শুধু আসা-যাওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে। কেউ উইকেটে থাকার জন্য আসেনি। ১৪০ কিলোমিটার গতির বলে কীভাবে আক্রমণ করতে হয়, সেই টেকনিকেও ঘাটতি ছিল।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মিসবাহ, রিয়াজ দুজনেরই। সেই অভিজ্ঞতা থেকে রিয়াজ বলেছেন, ‘প্রায় সব দলেই একাধিক স্পিনার। পেসার খুব কম দেখা যায়। বাংলাদেশের পেসার ব্যাটারি খুবই সীমাবদ্ধ। আগে যিনি অধিনায়ক ছিলেন, সেই মাশরাফি বিন মর্তুজা দলকে খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে রেখেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এর বাইরে সবাইকে খুব উদ্ভট লেগেছে।’
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের সেরা দশে ছয়জনই লেগ স্পিনার। খুব দ্রুতই লেগ স্পিনারদের নিয়ে বিসিবিকে কাজ করার পরামর্শ দিলেন ওয়াসিম, ‘বাংলাদেশকে লেগ স্পিনারদের নিয়ে কাজ করতে হবে। তাদের উৎসাহ দিতে হবে। ভুল থেকে তাদের শিখতে হবে। বাংলাদেশের খেলার ধরনটাই আমার চোখে লেগেছে। খেলায় হার-জিত থাকবেই, তাই বলে ৭০, ৭৩ রান করে অলআউট হতে হবে! বিশ্বকাপে দল যেভাবে খেলেছে সেটা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই লজ্জার।’
ঘরের বাইরে খেলতে গেলে বাংলাদেশ কেন খাবি খায় তা বহুল চর্চিত বিষয়। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহদের ভরাডুবির পর আবারও সামনে আসতে শুরু করেছে সেই সব সমস্যা। বাংলাদেশে খেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ভরাডুবির কারণগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা।
টেন স্পোর্টসের ম্যাচ বিশ্লেষণী এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, মিসবাহ-উল-হক, ওয়াহাব রিয়াজের মতো ক্রিকেটাররা। ঘরের মাঠে স্পিন উইকেট, অফস্পিনে বেশি নির্ভরতা, পেসারদের গুরুত্ব না দেওয়ার মতো বিষয়গুলোর কারণেই বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ সব ম্যাচ হেরেছে বলে মত পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারদের।
সর্ব প্রথমে বিসিবির কর্মকর্তাদের ধুয়ে দিয়েছেন কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। সাবেক বাঁহাতি পেসার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের দর্শক এমনকি ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত মনে করে তারা সবাই একেকজন বিশেষজ্ঞ। আমি বলব, আপনারা উদ্ভট। আপনারা ক্রিকেট চালাতে পারেন, কিন্তু ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন না। আপনাদের বোর্ডে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে, শুধু কোচ নিয়োগ দিলেই চলবে না।’
মিসবাহ-উল-হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিশ্চিতভাবে পেস ও বাউন্সে খাবি খায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গতিমান বোলারের ১৪০ কিলোমিটারের বলে ব্যাক অব লেংথ, বাউন্সে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা বোঝা হয়ে গেছে। আরেকটি বিষয় হলো, বাংলাদেশ খুব বেশি অফ স্পিনারদের ওপর নির্ভরশীল। লেগ স্পিনাররা সুযোগ পান না বলেই চলে। গুগলি, লেগ স্পিন ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারে না বলাই যায়। লেগ স্পিনার না-ই থাকতে পারে, কিন্তু স্পিনার তৈরি করতে তো কাজ করতে হবে। লেগ স্পিনাররা যেকোনো পিচেই ভালো করতে পারে।’
মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পেসার ওয়াহাব রিয়াজ, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষা দেখে মনে হয়নি তারা জেতার জন্য খেলছে। অনেকটা জোর করে খেলেছে। বিশ্বকাপ ভালো হয়নি, অনেক ম্যাচ হেরেছে—এমনটা হতেই পারে। কিন্তু ব্যাটারদের দেখে মনে হয়েছে তারা শুধু আসা-যাওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে। কেউ উইকেটে থাকার জন্য আসেনি। ১৪০ কিলোমিটার গতির বলে কীভাবে আক্রমণ করতে হয়, সেই টেকনিকেও ঘাটতি ছিল।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মিসবাহ, রিয়াজ দুজনেরই। সেই অভিজ্ঞতা থেকে রিয়াজ বলেছেন, ‘প্রায় সব দলেই একাধিক স্পিনার। পেসার খুব কম দেখা যায়। বাংলাদেশের পেসার ব্যাটারি খুবই সীমাবদ্ধ। আগে যিনি অধিনায়ক ছিলেন, সেই মাশরাফি বিন মর্তুজা দলকে খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে রেখেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এর বাইরে সবাইকে খুব উদ্ভট লেগেছে।’
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের সেরা দশে ছয়জনই লেগ স্পিনার। খুব দ্রুতই লেগ স্পিনারদের নিয়ে বিসিবিকে কাজ করার পরামর্শ দিলেন ওয়াসিম, ‘বাংলাদেশকে লেগ স্পিনারদের নিয়ে কাজ করতে হবে। তাদের উৎসাহ দিতে হবে। ভুল থেকে তাদের শিখতে হবে। বাংলাদেশের খেলার ধরনটাই আমার চোখে লেগেছে। খেলায় হার-জিত থাকবেই, তাই বলে ৭০, ৭৩ রান করে অলআউট হতে হবে! বিশ্বকাপে দল যেভাবে খেলেছে সেটা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই লজ্জার।’
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে উন্মাদনার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছেই। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর অনেক প্রবাসী ফুটবলার এখন আলোচনায়। কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের পাশাপাশি এবার কিউবা মিচেলকে খেলানোর চেষ্টায় রয়েছে বাফুফে।
৯ ঘণ্টা আগেআগামীকাল (২০ এপ্রিল) সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এ ভোগান্তির অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সরাসরি দেখানোর
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছে। আগামীকাল ঢাকা থেকে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দেবেন যুবারা। সফরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
১০ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর থেকে আগ্রহ বেড়েছে ফুটবল নিয়ে। প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করছে সমর্থকদের। হামজার প্রভাব শুধু ফুটবলেই নয় পড়েছে অন্যান্য খেলাতেও। দেশের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নিতে সকল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে
১১ ঘণ্টা আগে