নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম ঘরের বাইরে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই সংস্করণেই সিরিজ হেরেছে তারা। তিন বছর আগের ইংল্যান্ড সফরে তবু ধবলধোলাই এড়িয়েছিল। এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেটিও পারেনি কোহলি-রাহুলরা।
টেস্টে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে লোকেশ রাহুলের দল। উড়তে থাকা একটা দলের এমন ভরাডুবি! কোচ রাহুল দ্রাবিড় এমন ভরাডুবির পেছনে কারণ হিসেবে দেখছেন মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করতে না পারা। দলের ভারসাম্যের বিষয়টিও সামনে এনেছেন দ্রাবিড়, ‘আমরা ধারাটা বুঝি। কিন্তু ওই ধারা এগিয়ে নেওয়ার মতো ভারসাম্যও তো দলে থাকতে হবে। আমাদের দলে ভারসাম্য আনতে পারে,৬-৮ নম্বর পজিশনে অলরাউন্ড অপশনগুলো দিতে পারে, এমন বেশ কিছু খেলোয়াড়কেই নির্বাচন করার সুযোগ পাইনি আমরা। আশা করছি, ওরা যখন ফেরত আসবে, আমাদের দলের গভীরতা আরও বাড়বে। আমরা একটু ভিন্নভাবে খেলার সুযোগ পাব।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুটিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি ভারত। শেষটিতে তবু জয়ের একটা সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। প্রথম দুই ম্যাচের হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘প্রথম দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯৬ আর ২৮৭ রান করেছিল। দুই ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ তম ওভারের ওই সময়টায় আমাদের ম্যাচ জেতার জন্য তাড়া করতে হতো। আমরা এটা করতে পারিনি। কারণ, ওই সময়ে কিছু বাজে শট খেলেছি। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে আমরা ‘স্মার্ট’ ক্রিকেট খেলতে পারিনি।’’
শুধু মাঠের ক্রিকেটে নয়, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে থেকে মাঠের বাইরেও বেশ কঠিন সময় পার করছে ভারতীয় ক্রিকেট। জল বেশি ঘোলা হয়েছে বিশ্বকাপের পর কোহলির কাছ থেকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার পর। কোহলির জায়গায় রোহিত শর্মার কাঁধে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া। সেই রোহিত চোটে পড়ায় ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্বে অনভিজ্ঞ লোকেশ রাহুলকে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।
গত তিন মাসে ভারতীয় ক্রিকেট অস্থিতিশীল এক সময় পার করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর টেস্টের অধিনায়কত্বও ছেড়েছেন কোহলি। এখনো চূড়ান্ত হয়নি কোহলি পরবর্তী ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। এই সবকিছুর প্রভাব পড়েছে মাঠের ক্রিকেটে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি সিরিজে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং—তিন বিভাগ মিলিয়ে একটা দল হয়ে খেলতে পারেনি ভারত। যেটার মূল্য দিতে হয়েছে দুই সিরিজেই অসহায় আত্মসমর্পণ করে।
এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সময়মতো ব্রেক-থ্রু না দিতে পারা ভুগিয়েছে ভারতকে। এর প্রভাব পড়েছে ম্যাচের ফলে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কোচ দ্রাবিড়ের মূল্যায়ন, ‘মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের উইকেট নেওয়ার দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমরাও বুঝতে পারছি, খেলার এই পর্যায়ে—মাঝের ওভারে উইকেট নেওয়ার দক্ষতায় আমরা পিছিয়ে আছি। এটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। স্পিনারদেরই তখন বড় ভূমিকা পালন করতে হয়; তবে পেসাররাও কীভাবে কাজে আসতে পারে, কী ধরনের বল আমরা করব, এসব নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে আমাদের।’
ঘরে ও ঘরের বাইরে তিন সংস্করণেই সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের দুর্দান্ত দলে পরিণত করেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগেও হয়তো এমন ফল তাদের কল্পনাতেও ছিল না। দারুণ ছন্দে থাকা দলটার কোথায় যেন সুরটা কেটে গেছে। কোচ দ্রাবিড়ের সামনে তাই বড় চ্যালেঞ্জ দলকে আবার কক্ষপথে ফিরিয়ে আনার। সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার তাই বলছেন, ‘আশা করি লোকে বলবে না সে (দ্রাবিড়) একজন ওভার রেটেড কোচ, তাকেই এটি প্রমাণ করতে হবে। রবি শাস্ত্রীর জায়গাটি তাকেই পূরণ করতে হবে। তার সামনে অনেক বড় দায়িত্ব আছে, দেখা যাক সে কেমন করে।’
এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম ঘরের বাইরে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই সংস্করণেই সিরিজ হেরেছে তারা। তিন বছর আগের ইংল্যান্ড সফরে তবু ধবলধোলাই এড়িয়েছিল। এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেটিও পারেনি কোহলি-রাহুলরা।
টেস্টে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে লোকেশ রাহুলের দল। উড়তে থাকা একটা দলের এমন ভরাডুবি! কোচ রাহুল দ্রাবিড় এমন ভরাডুবির পেছনে কারণ হিসেবে দেখছেন মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করতে না পারা। দলের ভারসাম্যের বিষয়টিও সামনে এনেছেন দ্রাবিড়, ‘আমরা ধারাটা বুঝি। কিন্তু ওই ধারা এগিয়ে নেওয়ার মতো ভারসাম্যও তো দলে থাকতে হবে। আমাদের দলে ভারসাম্য আনতে পারে,৬-৮ নম্বর পজিশনে অলরাউন্ড অপশনগুলো দিতে পারে, এমন বেশ কিছু খেলোয়াড়কেই নির্বাচন করার সুযোগ পাইনি আমরা। আশা করছি, ওরা যখন ফেরত আসবে, আমাদের দলের গভীরতা আরও বাড়বে। আমরা একটু ভিন্নভাবে খেলার সুযোগ পাব।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুটিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি ভারত। শেষটিতে তবু জয়ের একটা সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। প্রথম দুই ম্যাচের হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘প্রথম দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯৬ আর ২৮৭ রান করেছিল। দুই ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ তম ওভারের ওই সময়টায় আমাদের ম্যাচ জেতার জন্য তাড়া করতে হতো। আমরা এটা করতে পারিনি। কারণ, ওই সময়ে কিছু বাজে শট খেলেছি। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে আমরা ‘স্মার্ট’ ক্রিকেট খেলতে পারিনি।’’
শুধু মাঠের ক্রিকেটে নয়, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে থেকে মাঠের বাইরেও বেশ কঠিন সময় পার করছে ভারতীয় ক্রিকেট। জল বেশি ঘোলা হয়েছে বিশ্বকাপের পর কোহলির কাছ থেকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার পর। কোহলির জায়গায় রোহিত শর্মার কাঁধে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া। সেই রোহিত চোটে পড়ায় ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্বে অনভিজ্ঞ লোকেশ রাহুলকে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।
গত তিন মাসে ভারতীয় ক্রিকেট অস্থিতিশীল এক সময় পার করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর টেস্টের অধিনায়কত্বও ছেড়েছেন কোহলি। এখনো চূড়ান্ত হয়নি কোহলি পরবর্তী ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। এই সবকিছুর প্রভাব পড়েছে মাঠের ক্রিকেটে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি সিরিজে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং—তিন বিভাগ মিলিয়ে একটা দল হয়ে খেলতে পারেনি ভারত। যেটার মূল্য দিতে হয়েছে দুই সিরিজেই অসহায় আত্মসমর্পণ করে।
এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সময়মতো ব্রেক-থ্রু না দিতে পারা ভুগিয়েছে ভারতকে। এর প্রভাব পড়েছে ম্যাচের ফলে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কোচ দ্রাবিড়ের মূল্যায়ন, ‘মাঝের ওভারগুলোয় আমাদের উইকেট নেওয়ার দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমরাও বুঝতে পারছি, খেলার এই পর্যায়ে—মাঝের ওভারে উইকেট নেওয়ার দক্ষতায় আমরা পিছিয়ে আছি। এটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। স্পিনারদেরই তখন বড় ভূমিকা পালন করতে হয়; তবে পেসাররাও কীভাবে কাজে আসতে পারে, কী ধরনের বল আমরা করব, এসব নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে আমাদের।’
ঘরে ও ঘরের বাইরে তিন সংস্করণেই সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের দুর্দান্ত দলে পরিণত করেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগেও হয়তো এমন ফল তাদের কল্পনাতেও ছিল না। দারুণ ছন্দে থাকা দলটার কোথায় যেন সুরটা কেটে গেছে। কোচ দ্রাবিড়ের সামনে তাই বড় চ্যালেঞ্জ দলকে আবার কক্ষপথে ফিরিয়ে আনার। সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার তাই বলছেন, ‘আশা করি লোকে বলবে না সে (দ্রাবিড়) একজন ওভার রেটেড কোচ, তাকেই এটি প্রমাণ করতে হবে। রবি শাস্ত্রীর জায়গাটি তাকেই পূরণ করতে হবে। তার সামনে অনেক বড় দায়িত্ব আছে, দেখা যাক সে কেমন করে।’
লাফ দিয়ে আকাশ ছোঁয়া যদি সম্ভব হতো, হয়তো সেটাও করে ফেলতেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। পোল ভল্টে বিস্ময় জাগিয়ে তোলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন এই সুইডিশ অ্যাথলেট। গতকাল গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড। হাঙ্গেরির গ্রাঁ প্রিতে ৬ দশমিক ২৯ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখালেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেসকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় মিরপুরে ক্রিকেটারদের আলস্য আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ও স্ট্রেংথ ট্রেইনার নাথান কেলির কাছে এসবের গুরুত্ব নেই। গুমোট আবহাওয়া হোক বা গরম, কাজের বেলায় তিনি একচুল ছাড় দেন না—এটাই বোঝা গেছে শেষ এক সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্পে।
৪ ঘণ্টা আগেইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার তোড়জোড় চলছে। ১৫ আগস্ট থেকে পর্দা উঠবে লা লিগার ৯৫তম মৌসুমের। বার্সেলোনা নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। জাবি আলোনসোকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা রিয়াল মাদ্রিদও চায় আধিপত্য ফেরাতে। সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমে লা লিগায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা বিষয়াদি নিয়েই এই উপস
৮ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ম্যাচের পরপরই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে হামজা চৌধুরী খেলবেন তো। সে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো। যদিও হামজাকে দলে রেখেই ২৪ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
৮ ঘণ্টা আগে