ক্রীড়া ডেস্ক
এটা কেবল একটা ক্যাপ নয়। এ যেন এক জীবনের সারসংক্ষেপ—ঘাম, কষ্ট, গর্ব আর ইতিহাসের গায়ে লেখা নাম। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের কাছে ‘ব্যাগি গ্রিন’ তাই শুধু ক্যাপ নয়, একটা অদৃশ্য মুকুট। সেই মুকুটটাই হারিয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্রিজটন টেস্টে টস করতে নামার সময় ব্যাপারটা বোঝা যায়, অন্য একটি ক্যাপ পরে নেমেছেন তিনি। পরে জানা যায়, কামিন্সের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনা যখনই হোক, এই একটি ক্যাপ নিয়ে যেন রীতিমতো হইচই পড়ে গেল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও ব্যাপক নিউজ। প্রশ্ন জাগতে পারে এই একটা ক্যাপে কী আছে? একজন অজি অধিনায়কের ব্যাগি গ্রিন হারিয়ে ফেলা যেন ব্যক্তিগত নয়, গোটা দেশের ক্রিকেট ঐতিহ্যের ক্ষত। কামিন্সই বলেছেন, ‘এটা আমার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস ছিল।’ সেটি খুঁজে পেতে প্রশাসনের সহায়তাও চেয়েছেন।
ব্যাগি গ্রিন নামটা এসেছে এর রং ও ঢিলেঢালা ডিজাইন থেকে। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের সদস্যরা এই ক্যাপ পান অভিষেক ম্যাচে। যে মুহূর্তে কারও মাথায় এই সবুজ ক্যাপ ওঠে, সে মুহূর্তেই তিনি প্রবেশ করেন এক শতবর্ষী মর্যাদার চক্রে—যেখানে আছেন ডন ব্র্যাডম্যান, শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিং কিংবা স্টিভ ওয়াহরা। ধারণা করা হয় ১৯০৮ সালের দিকে ব্যবহার শুরু হয়। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁদের অভিষেক টুপি হিসেবে দেওয়া হয়।
এই ক্যাপ অনেক সময় ধোয়া হয় না। ফেটে গেলে সেলাইও করা হয় না। ক্রিকেটাররা বিশ্বাস করেন—ঘামের দাগ, রোদে পোড়া রং, এমনকি ছেঁড়া সেলাই—সবই ক্যারিয়ারের চিহ্ন। স্টিভ ওয়াহ তাঁর ক্যাপের রং এতটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল যে সবুজ থেকে প্রায় ধূসর দেখাত, তবুও তিনি সেটা পরিবর্তন করেননি। রিকি পন্টিং সেলাই ছেঁড়া ক্যাপেই খেলেছেন বছরের পর বছর।
কেন এত আবেগ জড়িয়ে? ব্যাগি গ্রিন মানেই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব, দেশের পতাকা বুকে নিয়ে খেলা। স্টিভ ওয়াহ একে বলেছিলেন, ‘জাতীয় একতার প্রতীক’। কেউ বলেন, এটা মাটি থেকে উঠে আসা পরিশ্রমের গল্প। শুধু খেলোয়াড়রা নন, ভক্তদের কাছেও এটি রীতিমতো ‘পবিত্র’ প্রতীক। ব্যাগি গ্রিন পরা মানেই ইতিহাসের অংশ হওয়া, যার মূল্য কোনো ট্রফির চেয়েও বেশি কখনো কখনো!
হারিয়ে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া নয়। কামিন্স তাঁর ক্যাপটি হারিয়েছেন হয়তো সফরকালে বা লাগেজ জটিলতায়। কিন্তু এটি হারিয়ে যাওয়া মানেই গৌরব হারিয়ে যাওয়া নয়। বরং এই ঘটনা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিল—এই ক্যাপ কেবল পোশাক নয়, এটা আবেগ ও আত্মপরিচয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কামিন্সকে নতুন ব্যাগি গ্রিন দিতে পারে। কিন্তু হয়তো কামিন্স নিজেও চান না সেটা—কারণ পুরোনো ক্যাপের প্রতিটি ভাঁজে, প্রতিটি দাগে লুকিয়ে ছিল একেকটা স্মৃতি গল্প। তবে নতুন তো আর প্রথম নয়।
কামিন্সের টেস্ট অভিষেক হয় ২০১১ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তাঁকে ব্যাগি গ্রিন তুলে দেন সেসময়ের অধিনায়ক রিকি পন্টিং।
এটা কেবল একটা ক্যাপ নয়। এ যেন এক জীবনের সারসংক্ষেপ—ঘাম, কষ্ট, গর্ব আর ইতিহাসের গায়ে লেখা নাম। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের কাছে ‘ব্যাগি গ্রিন’ তাই শুধু ক্যাপ নয়, একটা অদৃশ্য মুকুট। সেই মুকুটটাই হারিয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্রিজটন টেস্টে টস করতে নামার সময় ব্যাপারটা বোঝা যায়, অন্য একটি ক্যাপ পরে নেমেছেন তিনি। পরে জানা যায়, কামিন্সের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনা যখনই হোক, এই একটি ক্যাপ নিয়ে যেন রীতিমতো হইচই পড়ে গেল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও ব্যাপক নিউজ। প্রশ্ন জাগতে পারে এই একটা ক্যাপে কী আছে? একজন অজি অধিনায়কের ব্যাগি গ্রিন হারিয়ে ফেলা যেন ব্যক্তিগত নয়, গোটা দেশের ক্রিকেট ঐতিহ্যের ক্ষত। কামিন্সই বলেছেন, ‘এটা আমার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস ছিল।’ সেটি খুঁজে পেতে প্রশাসনের সহায়তাও চেয়েছেন।
ব্যাগি গ্রিন নামটা এসেছে এর রং ও ঢিলেঢালা ডিজাইন থেকে। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের সদস্যরা এই ক্যাপ পান অভিষেক ম্যাচে। যে মুহূর্তে কারও মাথায় এই সবুজ ক্যাপ ওঠে, সে মুহূর্তেই তিনি প্রবেশ করেন এক শতবর্ষী মর্যাদার চক্রে—যেখানে আছেন ডন ব্র্যাডম্যান, শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিং কিংবা স্টিভ ওয়াহরা। ধারণা করা হয় ১৯০৮ সালের দিকে ব্যবহার শুরু হয়। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁদের অভিষেক টুপি হিসেবে দেওয়া হয়।
এই ক্যাপ অনেক সময় ধোয়া হয় না। ফেটে গেলে সেলাইও করা হয় না। ক্রিকেটাররা বিশ্বাস করেন—ঘামের দাগ, রোদে পোড়া রং, এমনকি ছেঁড়া সেলাই—সবই ক্যারিয়ারের চিহ্ন। স্টিভ ওয়াহ তাঁর ক্যাপের রং এতটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল যে সবুজ থেকে প্রায় ধূসর দেখাত, তবুও তিনি সেটা পরিবর্তন করেননি। রিকি পন্টিং সেলাই ছেঁড়া ক্যাপেই খেলেছেন বছরের পর বছর।
কেন এত আবেগ জড়িয়ে? ব্যাগি গ্রিন মানেই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব, দেশের পতাকা বুকে নিয়ে খেলা। স্টিভ ওয়াহ একে বলেছিলেন, ‘জাতীয় একতার প্রতীক’। কেউ বলেন, এটা মাটি থেকে উঠে আসা পরিশ্রমের গল্প। শুধু খেলোয়াড়রা নন, ভক্তদের কাছেও এটি রীতিমতো ‘পবিত্র’ প্রতীক। ব্যাগি গ্রিন পরা মানেই ইতিহাসের অংশ হওয়া, যার মূল্য কোনো ট্রফির চেয়েও বেশি কখনো কখনো!
হারিয়ে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া নয়। কামিন্স তাঁর ক্যাপটি হারিয়েছেন হয়তো সফরকালে বা লাগেজ জটিলতায়। কিন্তু এটি হারিয়ে যাওয়া মানেই গৌরব হারিয়ে যাওয়া নয়। বরং এই ঘটনা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিল—এই ক্যাপ কেবল পোশাক নয়, এটা আবেগ ও আত্মপরিচয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কামিন্সকে নতুন ব্যাগি গ্রিন দিতে পারে। কিন্তু হয়তো কামিন্স নিজেও চান না সেটা—কারণ পুরোনো ক্যাপের প্রতিটি ভাঁজে, প্রতিটি দাগে লুকিয়ে ছিল একেকটা স্মৃতি গল্প। তবে নতুন তো আর প্রথম নয়।
কামিন্সের টেস্ট অভিষেক হয় ২০১১ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তাঁকে ব্যাগি গ্রিন তুলে দেন সেসময়ের অধিনায়ক রিকি পন্টিং।
মাত্র ১৯৩ রানের ছোটখাটো লক্ষ্য—যাকে রান তাড়া নয়, বরং শেষ কাজটা সেরে ফেলা বলা যায়। সেই কাজটা করতে পারল না ভারত। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে এ রান তাড়া মামুলি ব্যাপারই হওয়ার কথা ছিল সফরকারীদের। উইকেটের কাঁপুনি, স্নায়ুর চাপ আর ইংলিশ বোলারদের নিখুঁত শিকারবৃত্তি মিলে গুঁড়িয়ে গেল ভারতের জয়ের স্বপ্ন। লর্ডসের
১১ ঘণ্টা আগেসহজ জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে আজ জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। লক্ষ্য তাড়ার শুরুটা অবশ্য সহজ ছিল না। ৩৮ রানে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। চাপে না পড়ে বরং সেখান থেকে ঝোড়ো এক ইনিংস উপহার দেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ফলে ২৫ বল হাতে রেখে ১৪২ রান তাড়া করে প্রোটিয়ারা।
১২ ঘণ্টা আগেগত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। রাজনৈতিক পালাবদলের আগে দেশ ছেড়েছিলেন, তারপর আর দেশে ফেরা হয়নি তাঁর। তারকা অলরাউন্ডারের বাংলাদেশ দলে ফেরার সম্ভাবনাও সেভাবে দেখা মিলছে না। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সাকিবের ফেরার ইস্যু আমিনুল ইসলাম বুলবুল
১২ ঘণ্টা আগেভারতের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছেন মাত্র পাঁচ বছর আগে। বয়সেও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট। কিন্তু এই অল্প সময়েই গিল টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—সব ফরম্যাটে ধারাবাহিকভাবে রান করে যাচ্ছেন, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দলকে জেতাচ্ছেনও।
১৩ ঘণ্টা আগে