বোরহান জাবেদ, ঢাকা
আইপিএলের সৌজন্যে বরুণ চক্রবর্তী নামটার সঙ্গে পরিচয় থাকার কথা আপনার। গত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ১৮ উইকেট পেয়েছিলেন বরুণ। পাদপ্রদীপের আলোয় আসার সেই শুরু। এই মৌসুমে এরই মধ্যে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আরব আমিরাতে গত সোমবার রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সুসংবাদও কদিন আগেই পেয়েছেন বরুণ। মাত্র তিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেই সুযোগ পেয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপ দলে। এখন পর্যন্ত বরুণের ক্যারিয়ারের চিত্রটা এমনই। অথচ তিনি ১৭ বছর বয়সে ক্রিকেটই ছেড়ে দিয়েছিলেন! বরুণ ক্রিকেট ছাড়তে চাইলেও ক্রিকেট যে তাঁকে ছাড়তে পারেনি।
বরুণের ক্রিকেটীয় জীবনের শুরু ১৩ বছর বয়সে। তবে এখনকার মতো লেগ স্পিনার হিসেবে নয়, একজন উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে। পরের চার বছরও এই পরিচয়েই খেলেছেন। বরুণের জীবনটা মোড় নেয় এর পরের গল্পে।
বয়সভিত্তিক দলগুলোতে কোনোভাবে জায়গা মিলছিল না। বরুণকে হতাশা চেপে ধরাই স্বাভাবিক ছিল। অনেকটা হতাশা থেকেই ক্রিকেটীয় জীবনের ইতি টেনে দেন তিনি। মন দেন পড়াশোনায়। চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষা শেষ করেন। পাঁচ বছরের শিক্ষাজীবন শেষে ফ্রিল্যান্স স্থপতি হিসেবে কর্মজীবনও শুরু করে দিয়েছিলেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই পেশাতেই ছিলেন।
কিন্তু অস্থিমজ্জায় অনেক আগেই ঢুকে গেছে ক্রিকেট! সেটা আর ছাড়তে পারলেন কই? নাকি নিজের গল্পটা একটু অন্যভাবে লিখতে চেয়েছিলেন বরুণ! সব ছেড়ে আবার ফিরে এলেন ক্রিকেটে। যোগ দিলেন তামিলনাড়ুর ক্রমবেস্ট ক্রিকেট ক্লাবে। এবার বরুণের পরিচয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তবে বাদ সাধে চোট। হাঁটুর চোটে দুই ম্যাচ খেলার পরই ছিটকে যান ছয় মাসের জন্য।
সেই চোটটাই সাপে বর হয়েছে বরুণের। পাল্টে দিয়েছে তাঁর জীবনের পুরো গল্পটাই। বরুণ এবার বনে যান স্পিনারে। স্পিন অস্ত্রগুলো আরও শাণিত করতে নিজের ইচ্ছাতেই দ্বিতীয় বিভাগ থেকে খেলেন চতুর্থ বিভাগে। ৭ ম্যাচে নেন ৩১ উইকেট। সেখান থেকে সুযোগ পান তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে (টিএনপিএল)। তারপর চেন্নাই সুপার কিংসের নেট বোলার থেকে সোজা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলে। তবে ভাগ্য বোধ হয় আরেকবার বরুণের পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল।
পাঞ্জাবের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামেন কলকাতার বিপক্ষে। নিজের প্রথম ওভারে সুনীল নারাইনের হাতে বেধড়ক পিটুনি খেয়ে দেন ২৫ রান। আইপিএল অভিষেকে এটিই কোনো বোলারের সবচেয়ে খরুচে ওভার। ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। শুরুটাই ‘শেষ’ হয়ে যায় বরুণের! পাঞ্জাবের হয়ে পুরো মৌসুমে এই একটা ম্যাচই খেলতে পারেন। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে চোটে পড়ে এক বছরের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান।
পরের মৌসুমে সেই কলকাতায় সুযোগ মেলে বরুণের। এক বছর চোটে বাইরে থাকার পর তিনি নিজেও ভাবেননি এভাবে সুযোগ পাবেন। কে জানে, নিয়তিই হয়তো সব ঠিক করে রেখেছিল। যে নারাইনের হাতে মার খেয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার হুমকিতে পড়েছিল, তাঁর সঙ্গেই জুটি বেঁধে গুগলি কিংবা ক্যারম বলের ধাঁধায় ব্যাটসম্যানকে বোকা বানিয়েছেন।
স্পিন ভেলকিতে এখন নিয়মিতই ব্যাটসম্যানের ওপর ছরি ঘুরিয়ে যাচ্ছেন একসময় ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া বরুণ। এত কিছুর পরও বলার মতো কোনো উচ্ছ্বাস নেই বরুণের মাঝে। নিজের দায়িত্বটা ঠিকঠাক করাতেই যেন তাঁর সব উচ্ছ্বাস লুকিয়ে। সোমবার বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচের হার্শা ভোগলের একটা টুইটে তাঁর জীবন মিলিয়ে নেওয়া যায়। ক্রিকেটের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার লিখেছেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই ঠান্ডা মাথার কাউকে দেখতে পছন্দ করেন। বড় ব্যাটসম্যানের উইকেট পাওয়ার পর বরুণ চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া দেখে সে রকমই মনে হয়। যেন বলতে চায়, আমি একজন বোলার, এটা আমার কাজ, এমন বড় কোনো ব্যাপার না। তাকে বল করতে দেখা আনন্দের।’
বরুণের সেদিনের বোলিং নিয়ে হার্শা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের খুব কম দলই এই ম্যাচের বরুণের বোলিংয়ের ভিডিও ফুটেজ চাইবে যে সে কেমন বোলার।’ এই যে তাঁকে নিয়ে এত প্রশংসা, বরুণের এই এগিয়ে যাওয়ার গল্প যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়!
আইপিএলের সৌজন্যে বরুণ চক্রবর্তী নামটার সঙ্গে পরিচয় থাকার কথা আপনার। গত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ১৮ উইকেট পেয়েছিলেন বরুণ। পাদপ্রদীপের আলোয় আসার সেই শুরু। এই মৌসুমে এরই মধ্যে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আরব আমিরাতে গত সোমবার রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সুসংবাদও কদিন আগেই পেয়েছেন বরুণ। মাত্র তিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেই সুযোগ পেয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপ দলে। এখন পর্যন্ত বরুণের ক্যারিয়ারের চিত্রটা এমনই। অথচ তিনি ১৭ বছর বয়সে ক্রিকেটই ছেড়ে দিয়েছিলেন! বরুণ ক্রিকেট ছাড়তে চাইলেও ক্রিকেট যে তাঁকে ছাড়তে পারেনি।
বরুণের ক্রিকেটীয় জীবনের শুরু ১৩ বছর বয়সে। তবে এখনকার মতো লেগ স্পিনার হিসেবে নয়, একজন উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে। পরের চার বছরও এই পরিচয়েই খেলেছেন। বরুণের জীবনটা মোড় নেয় এর পরের গল্পে।
বয়সভিত্তিক দলগুলোতে কোনোভাবে জায়গা মিলছিল না। বরুণকে হতাশা চেপে ধরাই স্বাভাবিক ছিল। অনেকটা হতাশা থেকেই ক্রিকেটীয় জীবনের ইতি টেনে দেন তিনি। মন দেন পড়াশোনায়। চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষা শেষ করেন। পাঁচ বছরের শিক্ষাজীবন শেষে ফ্রিল্যান্স স্থপতি হিসেবে কর্মজীবনও শুরু করে দিয়েছিলেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই পেশাতেই ছিলেন।
কিন্তু অস্থিমজ্জায় অনেক আগেই ঢুকে গেছে ক্রিকেট! সেটা আর ছাড়তে পারলেন কই? নাকি নিজের গল্পটা একটু অন্যভাবে লিখতে চেয়েছিলেন বরুণ! সব ছেড়ে আবার ফিরে এলেন ক্রিকেটে। যোগ দিলেন তামিলনাড়ুর ক্রমবেস্ট ক্রিকেট ক্লাবে। এবার বরুণের পরিচয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তবে বাদ সাধে চোট। হাঁটুর চোটে দুই ম্যাচ খেলার পরই ছিটকে যান ছয় মাসের জন্য।
সেই চোটটাই সাপে বর হয়েছে বরুণের। পাল্টে দিয়েছে তাঁর জীবনের পুরো গল্পটাই। বরুণ এবার বনে যান স্পিনারে। স্পিন অস্ত্রগুলো আরও শাণিত করতে নিজের ইচ্ছাতেই দ্বিতীয় বিভাগ থেকে খেলেন চতুর্থ বিভাগে। ৭ ম্যাচে নেন ৩১ উইকেট। সেখান থেকে সুযোগ পান তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে (টিএনপিএল)। তারপর চেন্নাই সুপার কিংসের নেট বোলার থেকে সোজা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলে। তবে ভাগ্য বোধ হয় আরেকবার বরুণের পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল।
পাঞ্জাবের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামেন কলকাতার বিপক্ষে। নিজের প্রথম ওভারে সুনীল নারাইনের হাতে বেধড়ক পিটুনি খেয়ে দেন ২৫ রান। আইপিএল অভিষেকে এটিই কোনো বোলারের সবচেয়ে খরুচে ওভার। ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। শুরুটাই ‘শেষ’ হয়ে যায় বরুণের! পাঞ্জাবের হয়ে পুরো মৌসুমে এই একটা ম্যাচই খেলতে পারেন। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে চোটে পড়ে এক বছরের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান।
পরের মৌসুমে সেই কলকাতায় সুযোগ মেলে বরুণের। এক বছর চোটে বাইরে থাকার পর তিনি নিজেও ভাবেননি এভাবে সুযোগ পাবেন। কে জানে, নিয়তিই হয়তো সব ঠিক করে রেখেছিল। যে নারাইনের হাতে মার খেয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার হুমকিতে পড়েছিল, তাঁর সঙ্গেই জুটি বেঁধে গুগলি কিংবা ক্যারম বলের ধাঁধায় ব্যাটসম্যানকে বোকা বানিয়েছেন।
স্পিন ভেলকিতে এখন নিয়মিতই ব্যাটসম্যানের ওপর ছরি ঘুরিয়ে যাচ্ছেন একসময় ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া বরুণ। এত কিছুর পরও বলার মতো কোনো উচ্ছ্বাস নেই বরুণের মাঝে। নিজের দায়িত্বটা ঠিকঠাক করাতেই যেন তাঁর সব উচ্ছ্বাস লুকিয়ে। সোমবার বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচের হার্শা ভোগলের একটা টুইটে তাঁর জীবন মিলিয়ে নেওয়া যায়। ক্রিকেটের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার লিখেছেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই ঠান্ডা মাথার কাউকে দেখতে পছন্দ করেন। বড় ব্যাটসম্যানের উইকেট পাওয়ার পর বরুণ চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া দেখে সে রকমই মনে হয়। যেন বলতে চায়, আমি একজন বোলার, এটা আমার কাজ, এমন বড় কোনো ব্যাপার না। তাকে বল করতে দেখা আনন্দের।’
বরুণের সেদিনের বোলিং নিয়ে হার্শা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের খুব কম দলই এই ম্যাচের বরুণের বোলিংয়ের ভিডিও ফুটেজ চাইবে যে সে কেমন বোলার।’ এই যে তাঁকে নিয়ে এত প্রশংসা, বরুণের এই এগিয়ে যাওয়ার গল্প যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়!
অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে যুক্ত হয়েছে ময়মনসিংহ দল। আজ পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান মিঠু। মিঠু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগকে (এন
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ নারী ফুটবলে এখন আলোচিত মুখ ঋতুপর্ণা চাকমা। তাঁর ফুটবল নৈপুণ্যে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে নারী এশিয়ান কাপে। এরপর উঠে আসে তাঁর পারিবারিক জীবনের সংগ্রামের গল্প। তাঁকে নতুন বাড়ি উপহার দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৪ ঘণ্টা আগেঅ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ঘটেছে অনেক আলোচিত ঘটনা। মাঠের ক্রিকেট তো বটেই, এর বাইরেও অনেক ঘটনায় হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। যার মধ্যে একটি ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটারের শাস্তির দাবি করছেন বেন ডাকেটের শৈশবের কোচ।
৮ ঘণ্টা আগেওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। জিতেছে পাকিস্তান। ম্যাচসেরা অবশ্য তিনি হতে পারেননি, হয়েছেন অভিষিক্ত হাসান নওয়াজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৮০ রান টপকে যেতে নওয়াজ খেলেছেন ৫৪ বলে হার না মানা ৬৩ রানের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে রান তাড়া করার নিজেদের নতুন...
৯ ঘণ্টা আগে