ক্রীড়া ডেস্ক
পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যখন ১৩৫ রান উঠল, তাদের ভক্ত-সমর্থকেরা জয়ের আশা হয়তো তেমন একটা করেননি। দুবাইয়ের পিচ যতই ধীর গতির হোক, এত কম রান ডিফেন্ড করতে পাকিস্তানকে করতে হতো বিশেষ কিছুই। সালমান আলী আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সেটা করে দেখিয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
টস জিতে গত রাতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী অনিক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ১০.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৪৯ রান। এমন অবস্থা থেকে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তুলতে পারে সালমানের দল। সেটাও সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে। ১ ও ৩ রানের সময় দুবার জীবন পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। যেখানে শাহিনের ১ রানের সময় কাভারে নুরুল হাসান সোহান যে ক্যাচটা মিস করেছেন, সেটা একটু কঠিন ছিল। সেই ওভারেরই (১২তম ওভার) চতুর্থ বলে শেখ মেহেদী হাসান যে ক্যাচ ছেড়েছেন, এমন ক্যাচ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটে ড্রপ করা খুবই দৃষ্টিকটু। শাহিন দুবারই জীবন পেয়েছেন রিশাদের বলে।
মোহাম্মদ নাওয়াজও জীবন পেয়েছেন গত রাতে। তাসকিন আহমেদকে আপার কাট করে চার মারতে গিয়ে নাওয়াজ ডিপ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। কিন্তু ইমন সেই ক্যাচ মিস করে চার বানিয়ে দিয়েছেন। শূন্য রানে জীবন পাওয়া নাওয়াজ করেছেন ২৫ রান। আর দুবার জীবন পাওয়া শাহিন আউট হয়েছেন ১৯ রান করে। বাসিত আলীর মতে, বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তুলতে পেরেছে পাকিস্তান। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ শেষে বাসিত বলেন, ‘১৩৫ রান হওয়ার পেছনে হারিস, নাওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহিন শাহ আফ্রিদির চেয়ে কৃতিত্ব দিতে হবে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। নাওয়াজ আর শাহিনের যে ক্যাচগুলো ছেড়েছে, সেগুলো তাদের (বাংলাদেশ) ভুগিয়েছে।’
১৩৬ রানের লক্ষ্যে নেমে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই বরং নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদিকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লে (প্রথম ৬ ওভার) বাংলাদেশ শেষ করে ৩ উইকেটে ৩৬ রানে। যার মধ্যে সাইফ হাসানকে যে ডেলিভারিতে হারিস রউফ আউট করেছেন, সেটা দারুণ ছিল। একটা পর্যায়ে ২০ বলে ৩৯ রানের সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ এসে পড়ে। হাতে তখন ৪ উইকেট। সেই অবস্থায় শামীম হোসেন পাটোয়ারী রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে শাহিনকে উইকেট উপহার দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে আটকে যায় বাংলাদেশ।
১১ রানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের ২০২৫ এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা হলো না। এখানে বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই দায় দেখছেন বাসিত। পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘১৩৫ রানের লক্ষ্য ছিল। তবে বাজে ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। লিটন দাস যে নেই, এটা তারা (বাংলাদেশ) জানত। তবু বড় শট খেলে পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান করতে চেয়েছিল। বাজে শট খেলেছে তারা।’
এবারের এশিয়া কাপে মুড়ি-মুড়কির মতো ক্যাচ ড্রপ হচ্ছে। ভারত সর্বোচ্চ ১২ ক্যাচ মিস করেছে এখন পর্যন্ত। ১১ ক্যাচ মিস করে এই তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে বাংলাদেশ ও হংকং। যেখানে পরশু বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে পাঁচ ক্যাচ মিস করেছিল ভারত। একগাদা ক্যাচ ড্রপের ব্যাখ্যায় ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী সেদিন ‘রিং অব ফায়ার’-এর কথা উল্লেখ করেছিলেন। বরুণের মতে এটার কারণে যে আলোর সৃষ্টি হয়, তাতে ফিল্ডাররা বিভ্রান্ত হয়ে বলের নাগাল পান না।
দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। ‘রিং অব ফায়ার’-এর প্রসঙ্গ এলে সিমন্স বলেন, ‘আমি জানি না। রিং অব ফায়ার ক্যাচ মিসে একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু আজ (গতকাল) যে ক্যাচ মিস হয়েছে, সেগুলো একটাও রিং অব ফায়ারের আলোর কারণে হয়নি।’
বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হচ্ছে। পরশু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুবাইয়ে। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে খেলতে উন্মুখ পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান।
পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যখন ১৩৫ রান উঠল, তাদের ভক্ত-সমর্থকেরা জয়ের আশা হয়তো তেমন একটা করেননি। দুবাইয়ের পিচ যতই ধীর গতির হোক, এত কম রান ডিফেন্ড করতে পাকিস্তানকে করতে হতো বিশেষ কিছুই। সালমান আলী আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সেটা করে দেখিয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
টস জিতে গত রাতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী অনিক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ১০.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৪৯ রান। এমন অবস্থা থেকে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তুলতে পারে সালমানের দল। সেটাও সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে। ১ ও ৩ রানের সময় দুবার জীবন পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। যেখানে শাহিনের ১ রানের সময় কাভারে নুরুল হাসান সোহান যে ক্যাচটা মিস করেছেন, সেটা একটু কঠিন ছিল। সেই ওভারেরই (১২তম ওভার) চতুর্থ বলে শেখ মেহেদী হাসান যে ক্যাচ ছেড়েছেন, এমন ক্যাচ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটে ড্রপ করা খুবই দৃষ্টিকটু। শাহিন দুবারই জীবন পেয়েছেন রিশাদের বলে।
মোহাম্মদ নাওয়াজও জীবন পেয়েছেন গত রাতে। তাসকিন আহমেদকে আপার কাট করে চার মারতে গিয়ে নাওয়াজ ডিপ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। কিন্তু ইমন সেই ক্যাচ মিস করে চার বানিয়ে দিয়েছেন। শূন্য রানে জীবন পাওয়া নাওয়াজ করেছেন ২৫ রান। আর দুবার জীবন পাওয়া শাহিন আউট হয়েছেন ১৯ রান করে। বাসিত আলীর মতে, বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তুলতে পেরেছে পাকিস্তান। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ শেষে বাসিত বলেন, ‘১৩৫ রান হওয়ার পেছনে হারিস, নাওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহিন শাহ আফ্রিদির চেয়ে কৃতিত্ব দিতে হবে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। নাওয়াজ আর শাহিনের যে ক্যাচগুলো ছেড়েছে, সেগুলো তাদের (বাংলাদেশ) ভুগিয়েছে।’
১৩৬ রানের লক্ষ্যে নেমে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই বরং নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদিকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লে (প্রথম ৬ ওভার) বাংলাদেশ শেষ করে ৩ উইকেটে ৩৬ রানে। যার মধ্যে সাইফ হাসানকে যে ডেলিভারিতে হারিস রউফ আউট করেছেন, সেটা দারুণ ছিল। একটা পর্যায়ে ২০ বলে ৩৯ রানের সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ এসে পড়ে। হাতে তখন ৪ উইকেট। সেই অবস্থায় শামীম হোসেন পাটোয়ারী রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে শাহিনকে উইকেট উপহার দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে আটকে যায় বাংলাদেশ।
১১ রানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের ২০২৫ এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা হলো না। এখানে বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই দায় দেখছেন বাসিত। পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘১৩৫ রানের লক্ষ্য ছিল। তবে বাজে ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। লিটন দাস যে নেই, এটা তারা (বাংলাদেশ) জানত। তবু বড় শট খেলে পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান করতে চেয়েছিল। বাজে শট খেলেছে তারা।’
এবারের এশিয়া কাপে মুড়ি-মুড়কির মতো ক্যাচ ড্রপ হচ্ছে। ভারত সর্বোচ্চ ১২ ক্যাচ মিস করেছে এখন পর্যন্ত। ১১ ক্যাচ মিস করে এই তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে বাংলাদেশ ও হংকং। যেখানে পরশু বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে পাঁচ ক্যাচ মিস করেছিল ভারত। একগাদা ক্যাচ ড্রপের ব্যাখ্যায় ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী সেদিন ‘রিং অব ফায়ার’-এর কথা উল্লেখ করেছিলেন। বরুণের মতে এটার কারণে যে আলোর সৃষ্টি হয়, তাতে ফিল্ডাররা বিভ্রান্ত হয়ে বলের নাগাল পান না।
দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। ‘রিং অব ফায়ার’-এর প্রসঙ্গ এলে সিমন্স বলেন, ‘আমি জানি না। রিং অব ফায়ার ক্যাচ মিসে একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু আজ (গতকাল) যে ক্যাচ মিস হয়েছে, সেগুলো একটাও রিং অব ফায়ারের আলোর কারণে হয়নি।’
বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হচ্ছে। পরশু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুবাইয়ে। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে খেলতে উন্মুখ পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান।
কারিয়ারে প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন মারুফা আক্তার। বিশেষ করে, নতুন বলে তাঁকে খেলতে ব্যাটারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের যখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই, তখন মারুফাকে নিয়ে দূর হলো দুশ্চিন্তা।
৮ ঘণ্টা আগেনতুন যুগের ওয়ানডে শুরুটা ভারতের জন্য হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতোই। পার্থে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ওয়ানডেতে এমনিতেই দফায় দফায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। উপরন্তু সেই ম্যাচ ডাকওয়ার্থ লুইস অ্যান্ড স্টার্ন (ডিএলএস) ভারত ৭ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। হেরে শুবমান গিল এমন এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন
৯ ঘণ্টা আগেমিরপুরের পিচে যতই কালো জাদু থাকুক, সেই পিচে ২০৭ রান করে চোখ বুজে থাকার কোনো উপায় নেই। উপরন্তু সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের উদ্বোধনী জুটিতে যখন ৫১ রান আসে, তখন দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আপনাআপনি। কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁর লেগস্পিন ভেলকিতে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে কুপোকাত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডটা মোটেও সুখকর নয় মেহেদী হাসান মিরাজের। তাঁর নেতৃত্বে ১১ ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল দুটি ম্যাচ। পরিসংখ্যানগত হিসাব বাদ দিলেও তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে ভরাডুবির পর আরও বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগে