ক্রীড়া ডেস্ক
বোলিং-ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ গতকাল নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানদের রান যেখানে সহজে ২০০ ছাড়াতে পারত, তার চেয়েও কমে ১৯০ রানে আটকে দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজ বাঁচানোর এমন দারুণ সুযোগ হেলায় হারাল বাংলাদেশ।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গতকাল টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ১৯০ রানে আটকে গেছে আফগানিস্তান। এই মাঠে ওয়ানডেতে প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর। ১৯১ রান তাড়া করতে নেমে ২২.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৯ রান ছিল বাংলাদেশের। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে শেষ ১৬৬ বলে ৯২ রান বাংলাদেশ কেন, নামিবিয়া-আয়ারল্যান্ডও হেসেখেলে তাড়া করে জিততে পারবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যেভাবে হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে, গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে শেষ মিরাজের দল।
বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার পরও ১২৯ বল বাকি ছিল। আফগানদের কাছে গত রাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ রানের লজ্জাজনক হারে মিরাজ ব্যাটারদেরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, আমাদের ব্যাটাররা যথেষ্ট দায়িত্ব নিচ্ছে না। ব্যাটিংয়ে আমাদের উন্নতি দরকার। যদি ওয়ানডেতে রান করতে না পারি, তাহলে আমরা টিকে থাকতে পারব না।’
আফগানিস্তান মূলত ৯ উইকেট পড়াতেই গতকাল আউট হয়েছে। কারণ, রহমত শাহ মাঝে চোটে পড়েছিলেন। ৯ উইকেট পড়ার পর ফের ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু ১ বল মোকাবিলা করেই হুইলচেয়ারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। আফগানদের ৯ উইকেটের মধ্যে মিরাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব। মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১ উইকেট। আর যে রানআউট হয়েছে, সেটা তানজিদ হাসান তামিম ডিপ মিড উইকেট থেকে ডিরেক্ট থ্রোতে স্টাম্প ভেঙেছেন। বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমার মতে বোলিংটা ভালোই হয়েছে।’
৫০ ওভারে ১৯১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১০.২ ওভারে ৪ উইকেটে ৫০ রানে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। চারটির মধ্যে আজমতউল্লাহ ওমরজাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত যে রানআউট হয়েছেন দুই রান নিতে গিয়ে, সেটা ব্যাখ্যাতীত। সাইফ হাসান চার-ছক্কা মারার পর অপ্রয়োজনীয় আপার কাট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয়-জাকের আলী অনিক ২৯ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটিটাও ভেঙেছে হৃদয়ের দোষে। রশিদ খানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন হৃদয়। এই রশিদের কাছেই এরপর নাকানিচুবানি খেয়েছে বাংলাদেশ। ৮.৩ ওভারে ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আফগান এই লেগস্পিনার। দুই ওভার মেডেনও দিয়েছেন। একটা ক্যাচও ধরেন শর্ট কাভারে। যেখানে নাঙ্গেলিয়া খারোতের বলে জাকের ক্যাচিং অনুশীলন করিয়েছেন রশিদকে।
মিরাজ বারবার গতকাল তাই বাজে ব্যাটিংয়ের কথাই উল্লেখ করেছেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের এই রান তাড়া করে সহজে জেতা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা আজ (গতকাল) জঘন্য ব্যাটিং করেছি। সতীর্থদের বলেছিলাম টপ অর্ডারে জুটি দরকার। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারিনি। আমরা জুটি গড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু দায়িত্ব তো নিতে হবে। সমস্যা সেখানেই।’
এ বছর বাংলাদেশ ৭ ওয়ানডে খেলে কেবল একবারই ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে। আর গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যে ভয়াবহ ধস হয়েছে বাংলাদেশের, সেটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা না। এ বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম—এই ৭ উইকেট দ্রুততম পড়ার লজ্জাজনক রেকর্ডটি এখন বাংলাদেশের।
বোলিং-ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ গতকাল নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানদের রান যেখানে সহজে ২০০ ছাড়াতে পারত, তার চেয়েও কমে ১৯০ রানে আটকে দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজ বাঁচানোর এমন দারুণ সুযোগ হেলায় হারাল বাংলাদেশ।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গতকাল টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ১৯০ রানে আটকে গেছে আফগানিস্তান। এই মাঠে ওয়ানডেতে প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর। ১৯১ রান তাড়া করতে নেমে ২২.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৯ রান ছিল বাংলাদেশের। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে শেষ ১৬৬ বলে ৯২ রান বাংলাদেশ কেন, নামিবিয়া-আয়ারল্যান্ডও হেসেখেলে তাড়া করে জিততে পারবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যেভাবে হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে, গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে শেষ মিরাজের দল।
বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার পরও ১২৯ বল বাকি ছিল। আফগানদের কাছে গত রাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ রানের লজ্জাজনক হারে মিরাজ ব্যাটারদেরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, আমাদের ব্যাটাররা যথেষ্ট দায়িত্ব নিচ্ছে না। ব্যাটিংয়ে আমাদের উন্নতি দরকার। যদি ওয়ানডেতে রান করতে না পারি, তাহলে আমরা টিকে থাকতে পারব না।’
আফগানিস্তান মূলত ৯ উইকেট পড়াতেই গতকাল আউট হয়েছে। কারণ, রহমত শাহ মাঝে চোটে পড়েছিলেন। ৯ উইকেট পড়ার পর ফের ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু ১ বল মোকাবিলা করেই হুইলচেয়ারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। আফগানদের ৯ উইকেটের মধ্যে মিরাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব। মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১ উইকেট। আর যে রানআউট হয়েছে, সেটা তানজিদ হাসান তামিম ডিপ মিড উইকেট থেকে ডিরেক্ট থ্রোতে স্টাম্প ভেঙেছেন। বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমার মতে বোলিংটা ভালোই হয়েছে।’
৫০ ওভারে ১৯১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১০.২ ওভারে ৪ উইকেটে ৫০ রানে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। চারটির মধ্যে আজমতউল্লাহ ওমরজাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত যে রানআউট হয়েছেন দুই রান নিতে গিয়ে, সেটা ব্যাখ্যাতীত। সাইফ হাসান চার-ছক্কা মারার পর অপ্রয়োজনীয় আপার কাট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয়-জাকের আলী অনিক ২৯ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটিটাও ভেঙেছে হৃদয়ের দোষে। রশিদ খানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন হৃদয়। এই রশিদের কাছেই এরপর নাকানিচুবানি খেয়েছে বাংলাদেশ। ৮.৩ ওভারে ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আফগান এই লেগস্পিনার। দুই ওভার মেডেনও দিয়েছেন। একটা ক্যাচও ধরেন শর্ট কাভারে। যেখানে নাঙ্গেলিয়া খারোতের বলে জাকের ক্যাচিং অনুশীলন করিয়েছেন রশিদকে।
মিরাজ বারবার গতকাল তাই বাজে ব্যাটিংয়ের কথাই উল্লেখ করেছেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের এই রান তাড়া করে সহজে জেতা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা আজ (গতকাল) জঘন্য ব্যাটিং করেছি। সতীর্থদের বলেছিলাম টপ অর্ডারে জুটি দরকার। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারিনি। আমরা জুটি গড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু দায়িত্ব তো নিতে হবে। সমস্যা সেখানেই।’
এ বছর বাংলাদেশ ৭ ওয়ানডে খেলে কেবল একবারই ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে। আর গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যে ভয়াবহ ধস হয়েছে বাংলাদেশের, সেটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা না। এ বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম—এই ৭ উইকেট দ্রুততম পড়ার লজ্জাজনক রেকর্ডটি এখন বাংলাদেশের।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ধবলধোলাই হওয়ার খুব কাছাকাছি এসে পড়েছিল বাংলাদেশ। এই অবস্থায় করণীয় ছিল একটাই—নিজেদের নিংড়ে দিয়ে খেলা। কিন্তু বাংলাদেশ দলের বাজে এই সিরিজের শেষটাও হলো বাজেভাবে। কাল ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৭.১ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে ২০০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের বিপক্ষে আজ একমাত্র গোলটি এসেছে রাকিব হোসেনের পা থেকে। গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও গোল করেছিলেন তিনি। দুটো ম্যাচই রাকিবকে শেষ করতে হয়েছে আক্ষেপ নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ যে জয়ের স্বাদ পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাজে সময় পার করছে সুইডেন। সেই বাজে সময়কে আরও দীর্ঘ করে সবশেষ ম্যাচে কসোভোর কাছে ১–০ গোলে হেরেছে সুইডিশরা। এই হারে কপাল পুড়ল দলটির প্রধান কোচ ইয়ন ডাল টমাসনের।
৪ ঘণ্টা আগেরাকিব হোসেন গোল পেয়েই যাবেন, এমন আভাস মিলছিল। হংকং তখন ১০ জন নিয়ে খেলছে। বাংলাদেশের আক্রমণের সামনে কোনোভাবে দাঁড়াতে পারছিল না হংকং। একের পর এক চাপে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় তাদের রক্ষণ। ৮৫ মিনিটে ফাহামিদুল ইসলামের অ্যাসিস্ট থেকে বল জালে ফেলতে আর কোনো ভুল করেননি রাকিব। বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপর বসে ফাহামিদুলক
৪ ঘণ্টা আগে