নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুন থেকেই বিপিএল আয়োজন নিয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছিল। বোর্ড তখন বলেছিল, ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (আইএমজি)-এর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হচ্ছে। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও চুক্তিটা হয়নি। এবার আর সময় নষ্ট করতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্বাচনের পর নতুনভাবে গঠিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এখন চায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্তত পাঁচটি দল নিয়ে বিপিএল করতে। ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া বিপিএল এর আগে কখনোই ৫ দল নিয়ে হয়নি।
আজ বিকেলে সভা শেষে মিরপুরে সাংবাদিকদের বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিপিএল গভর্নিং বডির নতুন দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। আজকের সভায় প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে—এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপিএল করব কি করব না। শেষ বোর্ড সভায় এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ধরেছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়টাকে। নতুনভাবে শুরু হচ্ছে এবারের বিপিএল। আগের দলগুলোর চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। আগামীকালই পত্রিকায় ইওআই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা দশটা রিজিওনের নাম বলেছি, তবে এবার সময় কম। তাই অন্তত পাঁচটা দল নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। বলছি না ছয় বা সাতটা দল হবে না, কিন্তু আমাদের প্রাধান্য পাঁচটি দল নিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করা। আগের বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে যে সব সমস্যা হয়েছিল, এবার আমরা কঠোর থাকব। ফাইনান্সিয়াল দিক ঠিক না থাকলে, কিংবা ম্যানেজমেন্ট দুর্বল হলে, বড় গ্রুপ হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে না। ফাইনান্স আর ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট—দুটোই এবার কঠোরভাবে যাচাই করা হবে।’
গত কয়েকদিনে শোনা গিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি আইএমজি নাকি বিপিএলে কাজ করতে আগ্রহী নয়। তবে মিঠু সেটি সরাসরি নাকচ করে দেন, ‘এই খবরটা ভুল। আইএমজির সঙ্গে আমাদের আলোচনা এগোচ্ছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। কয়েক দিনের মধ্যেই সই হয়ে যাবে। শুধু এবার সময় স্বল্পতার কারণে তাদের কাজের পরিসর কিছুটা ছোট হবে। সাত মাসের কাজ এবার দুই মাসে করতে হবে। ছোট পরিসরে আয়োজন করা চ্যালেঞ্জ, কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।’
মিঠুর ভাষায়, ‘আমাদের উইন্ডোটা বিশ্বকাপের আগেই। এটা ক্রিকেটারদের জন্য প্রস্তুতির সুযোগও হবে। যারা বিপিএলে ভালো করবে, তারাই বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাবে। আর জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের জন্যও ম্যাচ প্র্যাকটিসের চমৎকার সময় এটা। প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড এই বিষয়টা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—ক্রিকেট চালু রাখতে হবে, আর জাতীয় দলকেও সহায়তা করতে হবে।’
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের বিপিএলে অন্তত একটি ভেন্যু বাড়ানো হবে বলেও জানান মিঠু, ‘ভেন্যু বাড়ানোর কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। লজিস্টিকস, মিডিয়া, ফ্যাসিলিটিজ—সব যাচাই করতে টিম রাজশাহী যাচ্ছে। এরপর খুলনা ও বরিশালও দেখা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে আরও একটা ভেন্যু যুক্ত করতে চাই।’
মিঠু বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ফাইন্যান্সিয়াল সক্ষমতা আইএমজি ও বিসিবি যৌথভাবে দেখবে। তারা আইপিএলের সঙ্গে বহু বছর কাজ করেছে, তাই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব আমরা। ভুলগুলো যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটাই লক্ষ্য। বলা যায়, এবারের বিপিএল এক ধরনের রিলঞ্চ—নতুনভাবে শুরু।’
সরকারের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে, তাই ডিসেম্বর-জানুয়ারির এই সময়টায় বিপিএল আয়োজনের জন্য আমরা সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছি। নিরাপত্তা ও অন্যান্য দিক থেকেও সরকারের সহযোগিতা থাকবে।’
পাঁচ দল হলে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সুযোগ কমবে কি না—এমন প্রশ্নে মিঠুর উত্তর, ‘এখনই কিছু নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, সেটাই করা হবে। প্রয়োজনে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৪ থেকে ৩–এ নামানোও যেতে পারে। আমরা প্রস্তাবের জন্য উন্মুক্ত।’
জুন থেকেই বিপিএল আয়োজন নিয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছিল। বোর্ড তখন বলেছিল, ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (আইএমজি)-এর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হচ্ছে। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও চুক্তিটা হয়নি। এবার আর সময় নষ্ট করতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্বাচনের পর নতুনভাবে গঠিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এখন চায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্তত পাঁচটি দল নিয়ে বিপিএল করতে। ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া বিপিএল এর আগে কখনোই ৫ দল নিয়ে হয়নি।
আজ বিকেলে সভা শেষে মিরপুরে সাংবাদিকদের বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিপিএল গভর্নিং বডির নতুন দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। আজকের সভায় প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে—এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপিএল করব কি করব না। শেষ বোর্ড সভায় এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ধরেছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়টাকে। নতুনভাবে শুরু হচ্ছে এবারের বিপিএল। আগের দলগুলোর চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। আগামীকালই পত্রিকায় ইওআই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা দশটা রিজিওনের নাম বলেছি, তবে এবার সময় কম। তাই অন্তত পাঁচটা দল নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। বলছি না ছয় বা সাতটা দল হবে না, কিন্তু আমাদের প্রাধান্য পাঁচটি দল নিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করা। আগের বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে যে সব সমস্যা হয়েছিল, এবার আমরা কঠোর থাকব। ফাইনান্সিয়াল দিক ঠিক না থাকলে, কিংবা ম্যানেজমেন্ট দুর্বল হলে, বড় গ্রুপ হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে না। ফাইনান্স আর ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট—দুটোই এবার কঠোরভাবে যাচাই করা হবে।’
গত কয়েকদিনে শোনা গিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি আইএমজি নাকি বিপিএলে কাজ করতে আগ্রহী নয়। তবে মিঠু সেটি সরাসরি নাকচ করে দেন, ‘এই খবরটা ভুল। আইএমজির সঙ্গে আমাদের আলোচনা এগোচ্ছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। কয়েক দিনের মধ্যেই সই হয়ে যাবে। শুধু এবার সময় স্বল্পতার কারণে তাদের কাজের পরিসর কিছুটা ছোট হবে। সাত মাসের কাজ এবার দুই মাসে করতে হবে। ছোট পরিসরে আয়োজন করা চ্যালেঞ্জ, কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।’
মিঠুর ভাষায়, ‘আমাদের উইন্ডোটা বিশ্বকাপের আগেই। এটা ক্রিকেটারদের জন্য প্রস্তুতির সুযোগও হবে। যারা বিপিএলে ভালো করবে, তারাই বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাবে। আর জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের জন্যও ম্যাচ প্র্যাকটিসের চমৎকার সময় এটা। প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড এই বিষয়টা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—ক্রিকেট চালু রাখতে হবে, আর জাতীয় দলকেও সহায়তা করতে হবে।’
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের বিপিএলে অন্তত একটি ভেন্যু বাড়ানো হবে বলেও জানান মিঠু, ‘ভেন্যু বাড়ানোর কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। লজিস্টিকস, মিডিয়া, ফ্যাসিলিটিজ—সব যাচাই করতে টিম রাজশাহী যাচ্ছে। এরপর খুলনা ও বরিশালও দেখা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে আরও একটা ভেন্যু যুক্ত করতে চাই।’
মিঠু বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ফাইন্যান্সিয়াল সক্ষমতা আইএমজি ও বিসিবি যৌথভাবে দেখবে। তারা আইপিএলের সঙ্গে বহু বছর কাজ করেছে, তাই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব আমরা। ভুলগুলো যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটাই লক্ষ্য। বলা যায়, এবারের বিপিএল এক ধরনের রিলঞ্চ—নতুনভাবে শুরু।’
সরকারের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে, তাই ডিসেম্বর-জানুয়ারির এই সময়টায় বিপিএল আয়োজনের জন্য আমরা সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছি। নিরাপত্তা ও অন্যান্য দিক থেকেও সরকারের সহযোগিতা থাকবে।’
পাঁচ দল হলে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সুযোগ কমবে কি না—এমন প্রশ্নে মিঠুর উত্তর, ‘এখনই কিছু নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, সেটাই করা হবে। প্রয়োজনে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৪ থেকে ৩–এ নামানোও যেতে পারে। আমরা প্রস্তাবের জন্য উন্মুক্ত।’
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ধবলধোলাই হওয়ার খুব কাছাকাছি এসে পড়েছিল বাংলাদেশ। এই অবস্থায় করণীয় ছিল একটাই—নিজেদের নিংড়ে দিয়ে খেলা। কিন্তু বাংলাদেশ দলের বাজে এই সিরিজের শেষটাও হলো বাজেভাবে। কাল ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৭.১ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে ২০০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
৭ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের বিপক্ষে আজ একমাত্র গোলটি এসেছে রাকিব হোসেনের পা থেকে। গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও গোল করেছিলেন তিনি। দুটো ম্যাচই রাকিবকে শেষ করতে হয়েছে আক্ষেপ নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ যে জয়ের স্বাদ পায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাজে সময় পার করছে সুইডেন। সেই বাজে সময়কে আরও দীর্ঘ করে সবশেষ ম্যাচে কসোভোর কাছে ১–০ গোলে হেরেছে সুইডিশরা। এই হারে কপাল পুড়ল দলটির প্রধান কোচ ইয়ন ডাল টমাসনের।
৯ ঘণ্টা আগেরাকিব হোসেন গোল পেয়েই যাবেন, এমন আভাস মিলছিল। হংকং তখন ১০ জন নিয়ে খেলছে। বাংলাদেশের আক্রমণের সামনে কোনোভাবে দাঁড়াতে পারছিল না হংকং। একের পর এক চাপে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় তাদের রক্ষণ। ৮৫ মিনিটে ফাহামিদুল ইসলামের অ্যাসিস্ট থেকে বল জালে ফেলতে আর কোনো ভুল করেননি রাকিব। বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপর বসে ফাহামিদুলক
৯ ঘণ্টা আগে