নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোচ সনাথ জয়াসুরিয়াকে জাদুকর তকমা কি এখনই দেওয়া যায়? অনেকে এমনটা শুনে হয়তো অবাক হবেন। কারণ তিনি তো এখনো স্থায়ীভাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের কোচ হয়ে ওঠেননি। তবে যেভাবে তাঁর জাদুকরী স্পর্শে লঙ্কানরা ক্রিকেটে গত দুই মাস ধরে দুর্দান্ত খেলছে, তাতে ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত এই লঙ্কানের চাকরি পাকা হওয়ার আভাস মিলেছে।
এ বছরের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন ক্রিস সিলভারউড। কে হবেন পরবর্তী প্রধান কোচ, তা নিয়ে ভাবনায় পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। এরই মধ্যে এসএলসি জয়াসুরিয়াকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব দেয় এসএলসি। যেখানে মূল দলের বাইরে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট, তৃণমূল ক্রিকেট দারুণ উন্নতি করতে থাকে জয়াসুরিয়ার অধীনে। সাবেক লঙ্কান এই বাঁহাতি ব্যাটারকে প্রধান কোচের পদে উন্নীত করার ব্যাপারে প্রক্রিয়া এসএলসি শুরু করেছে তখনই। এসএলসির প্রধান নির্বাহী অ্যাশলি ডি সিলভা জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোচের আবেদন চেয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হলেও জয়াসুরিয়া যে মুগ্ধ করেই চলেছেন লঙ্কান ক্রিকেটপ্রেমীদের।
জয়াসুরিয়া অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরুটাই হয়েছে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে। তবে ‘মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’—জয়াসুরিয়া হয়তো এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে ২-০ ব্যবধানে হারায় লঙ্কানরা, যা শ্রীলঙ্কার ২৭ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হলেও মাঠে পাথুম নিশাঙ্কা, চারিথ আসালাঙ্কা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের পারফরম্যান্স দেখে তৎক্ষণাৎ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। শিষ্যদের অনুপ্রাণিত করতে আর কী চাই!পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ওভালে নিশাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের মাঠে টেস্ট জয়ের খরা কাটায় শ্রীলঙ্কা। সবশেষ গতকাল লঙ্কানরা টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছে নিউজিল্যান্ডকে। জয়াসুরিয়ার কোচের চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যাপারে ক্রিকইনফোকে এসএলসির সিইও অ্যাশলে ডি সিলভা ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘আমরা তাঁর সঙ্গে চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। সম্ভবত দু-এক দিনের মধ্যে আপনারা নতুন কিছু শুনবেন।’
জয়াসুরিয়া মূলত গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট পরামর্শকের দায়িত্বে নিয়োগ পেয়েছিলেন এক বছর ভিত্তিতে। সেখানে এক বছর যেতে না যেতেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হয়ে গেলেন তিনি। তাঁর (জয়াসুরিয়া) জাদুর ছোঁয়ায় লঙ্কান ক্রিকেট যে আবারও ফর্মে ফিরে এসেছে, সেটা একসময়ের সতীর্থ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের কথায় প্রমাণ মিলেছে। জয়াসুরিয়ার কোচ হওয়াকে শ্রীলঙ্কার সাফল্যের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ অভিহিত করে ম্যাথুস বলেন, ‘ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসেবে তিনি দুর্দান্ত ছিলেন। বর্তমানে কোচ হিসেবে সেটা ধরে রেখেছেন। সবার সঙ্গে যোগাযোগ অনেক ভালো। সবাইকে স্বাধীনতা দেন। খেলোয়াড়দের তৈরি করার কাজটাও তিনি দারুণভাবে করছেন। তিনি অসাধারণ। আমি তাঁকে শুভকামনা জানাই।’
টি-টোয়েন্টি শুরুর আগেই টি-টোয়েন্টি ঘরানায় ব্যাটিং করতেন জয়াসুরিয়া। নব্বইয়ের দশকে টুকটুক করে খেলার বদলে মারদাঙ্গা ক্রিকেট চালুর অন্যতম কারিগর তিনি। শ্রীলঙ্কার মাতারা এলাকা থেকে উঠে এসেছে, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতেন বলে ‘মাতারা হারিকেন’ উপাধি পেয়েছেন তিনি। সেই জয়াসুরিয়ার এসএলসিতে আসাকে ম্যাথুস যে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলছেন, সেটা তো অমূলক নয়। কারণ ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৫০ ও ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির কারণে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও খেলতে পারবে না এই দ্বীপরাষ্ট্র। এমনকি এ বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লঙ্কানরা বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকেই।
কোচ সনাথ জয়াসুরিয়াকে জাদুকর তকমা কি এখনই দেওয়া যায়? অনেকে এমনটা শুনে হয়তো অবাক হবেন। কারণ তিনি তো এখনো স্থায়ীভাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের কোচ হয়ে ওঠেননি। তবে যেভাবে তাঁর জাদুকরী স্পর্শে লঙ্কানরা ক্রিকেটে গত দুই মাস ধরে দুর্দান্ত খেলছে, তাতে ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত এই লঙ্কানের চাকরি পাকা হওয়ার আভাস মিলেছে।
এ বছরের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন ক্রিস সিলভারউড। কে হবেন পরবর্তী প্রধান কোচ, তা নিয়ে ভাবনায় পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। এরই মধ্যে এসএলসি জয়াসুরিয়াকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব দেয় এসএলসি। যেখানে মূল দলের বাইরে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট, তৃণমূল ক্রিকেট দারুণ উন্নতি করতে থাকে জয়াসুরিয়ার অধীনে। সাবেক লঙ্কান এই বাঁহাতি ব্যাটারকে প্রধান কোচের পদে উন্নীত করার ব্যাপারে প্রক্রিয়া এসএলসি শুরু করেছে তখনই। এসএলসির প্রধান নির্বাহী অ্যাশলি ডি সিলভা জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোচের আবেদন চেয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হলেও জয়াসুরিয়া যে মুগ্ধ করেই চলেছেন লঙ্কান ক্রিকেটপ্রেমীদের।
জয়াসুরিয়া অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরুটাই হয়েছে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে। তবে ‘মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’—জয়াসুরিয়া হয়তো এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে ২-০ ব্যবধানে হারায় লঙ্কানরা, যা শ্রীলঙ্কার ২৭ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হলেও মাঠে পাথুম নিশাঙ্কা, চারিথ আসালাঙ্কা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের পারফরম্যান্স দেখে তৎক্ষণাৎ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। শিষ্যদের অনুপ্রাণিত করতে আর কী চাই!পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ওভালে নিশাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের মাঠে টেস্ট জয়ের খরা কাটায় শ্রীলঙ্কা। সবশেষ গতকাল লঙ্কানরা টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছে নিউজিল্যান্ডকে। জয়াসুরিয়ার কোচের চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যাপারে ক্রিকইনফোকে এসএলসির সিইও অ্যাশলে ডি সিলভা ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘আমরা তাঁর সঙ্গে চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। সম্ভবত দু-এক দিনের মধ্যে আপনারা নতুন কিছু শুনবেন।’
জয়াসুরিয়া মূলত গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট পরামর্শকের দায়িত্বে নিয়োগ পেয়েছিলেন এক বছর ভিত্তিতে। সেখানে এক বছর যেতে না যেতেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হয়ে গেলেন তিনি। তাঁর (জয়াসুরিয়া) জাদুর ছোঁয়ায় লঙ্কান ক্রিকেট যে আবারও ফর্মে ফিরে এসেছে, সেটা একসময়ের সতীর্থ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের কথায় প্রমাণ মিলেছে। জয়াসুরিয়ার কোচ হওয়াকে শ্রীলঙ্কার সাফল্যের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ অভিহিত করে ম্যাথুস বলেন, ‘ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসেবে তিনি দুর্দান্ত ছিলেন। বর্তমানে কোচ হিসেবে সেটা ধরে রেখেছেন। সবার সঙ্গে যোগাযোগ অনেক ভালো। সবাইকে স্বাধীনতা দেন। খেলোয়াড়দের তৈরি করার কাজটাও তিনি দারুণভাবে করছেন। তিনি অসাধারণ। আমি তাঁকে শুভকামনা জানাই।’
টি-টোয়েন্টি শুরুর আগেই টি-টোয়েন্টি ঘরানায় ব্যাটিং করতেন জয়াসুরিয়া। নব্বইয়ের দশকে টুকটুক করে খেলার বদলে মারদাঙ্গা ক্রিকেট চালুর অন্যতম কারিগর তিনি। শ্রীলঙ্কার মাতারা এলাকা থেকে উঠে এসেছে, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতেন বলে ‘মাতারা হারিকেন’ উপাধি পেয়েছেন তিনি। সেই জয়াসুরিয়ার এসএলসিতে আসাকে ম্যাথুস যে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলছেন, সেটা তো অমূলক নয়। কারণ ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৫০ ও ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির কারণে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও খেলতে পারবে না এই দ্বীপরাষ্ট্র। এমনকি এ বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লঙ্কানরা বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমিনুল ইসলাম বুলবুল ঘোষণা দিয়েছিলেন—বিসিবির কার্যক্রমে গতি আনতে কিছু বিভাগ এবং সাংগঠনিক কাঠামোয় রদবদল করবেন। এবার সেই ঘোষণার বাস্তব রূপ দেখা গেল।
২ মিনিট আগেজিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গতকালের হারটা ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে ধরলে আজিজুল হাকিম তামিম-ইকবাল হোসেন ইমনদের টুর্নামেন্টটা কাটছে দুর্দান্ত। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালের টিকিট কেটেছেন বাংলাদেশের যুবারা।
৪৩ মিনিট আগেইনগে সরেনসেনের নামটা এই প্রজন্মের সাঁতারপ্রেমীদের মনে থাকার কথা নয়। ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিকে ডেনিশ এই সাঁতারু যখন ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন, তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। অলিম্পিক গেমসের সাঁতারের ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে জেতা সে ব্রোঞ্জটাই খুদে এই সাঁতারুকে অনন্য উচ্চতায় তুলে দিয়েছিল। হয়েছিলেন অলিম্পিকের
১ ঘণ্টা আগেদারুণ এক মৌসুম কাটানোর পর গালাতাসারাই এবার ভিক্টর ওসিমেনকে কিনেই নিল। নাপোলি থেকে গত মৌসুমে ধারে তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাইয়ে এসেছিলেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। দলকে লিগ শিরোপা জেতানোর পথে ৩০ ম্যাচে ২৬ গোল করেন তিনি। সুফল পেয়ে এবার তাঁর সঙ্গে স্থায়ীভাবে চুক্তি করল তুর্কি চ্যাম্পিয়নরা।
১ ঘণ্টা আগে