আম্পায়ার সৈকতকে বিসিবিতে ফেরাতে কথা বলবেন বুলবুল

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চলাকালে মোহামেডানের ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় ফিল্ডিংয়ের সময় একটি আউট নিয়ে তর্কে জড়িয়েছিলেন ফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে। সেই ঘটনার পর সৈকত হতাশা প্রকাশ করেছিলেন আম্পায়ার্স বিভাগের কাছে। শেষ পর্যন্ত বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেন এই আম্পায়ার। এবার তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

বিসিবিতে যখন সৈকত ছিলেন, তখন আম্পায়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পেতেন তিনি। তখন বিসিবি সভাপতি ছিলেন ফারুক আহমেদ। ফারুক অপসারিত হওয়ার পর বোর্ড প্রধানের চেয়ারে ৩০ মে বসেন বুলবুল। যোগদানের পরদিনই তিনি বোর্ডের সকল নারী-পুরুষ আম্পায়ারদের সঙ্গে বুলবুল বসেছিলেন এক কক্ষে। যেখানে ছিলেন সৈকতও।

বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগে সৈকতের ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে বুলবুলকে। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নতুন বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সৈকত আমাদের জন্য একটা সম্পদ। আমি যখন আইসিসিতে কাজ করতাম, তখনো তার কাজ দেখে গর্ব হতো। সে এখন আইসিসির টিউটর হিসেবেও কাজ করছে। আমাদের প্যানেলে এখন গাজী সোহেল, ম্যাক সুমন, মোরশেদ আলী খান সুমন, মুকুল, তানভীর, জেসি, মিশু। সবারই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো পারফরম্যান্স আছে। আমি যখন আইসিসিতে ছিলাম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে, তাদের প্রতিবেদনগুলো পড়তাম। খুব ভালো লাগত। তাই সৈকতের মতো একজন নীতিবান মানুষকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করব।’

আম্পায়ার্স বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট বুলবুল। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নতুন বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আম্পায়ারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ইফতেখার রহমান মিঠু দারুণ কাজ করছেন। তিনি নিজেও ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। আম্পায়ারিং বিভাগ দুই বছর আগেও ছিল সবচেয়ে খারাপ। তবে এখন গর্ব করার মতো অনেক কিছুই হচ্ছে সেখানে। তবে আমরা যারা বোর্ডে আছি, আমরা যদি ক্লাবের সুযোগ-সুবিধা দেখতে হস্তক্ষেপ কম করি বা না করি, আম্পায়ারদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিই, এলিট প্যানেলে একজন সৈকত কেন, আমাদের আরও এলিট প্যানেলের আম্পায়ার আসবে। আমাদের আইসিসির ম্যাচ রেফারি নেই। তবে আম্পায়ারিং নিয়ে এখন খুব ভালো কাজ হচ্ছে।’

আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র আম্পায়ার সৈকত। আইসিসি ইভেন্টে তিনি তো আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেনই। এমনকি দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও তাঁকে দেখা যায়। ২০২৪-২৫ মৌসুমের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে যশস্বী জয়সওয়ালের আউট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন সৈকত।