Ajker Patrika

আশা কম বলেই বাংলাদেশকে নিয়ে বেশি আশা

হাবিবুল বাশার সুমন
আপডেট : ০১ জুন ২০২৪, ১৫: ৫৬
আশা কম বলেই বাংলাদেশকে নিয়ে বেশি আশা

ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা মানেই আমার চোখে ভেসে ওঠে সাদা বালু, নীল পানি। হা হা। সুন্দর সব ক্রিকেট মাঠ। ছবি বা সেলফি তুলতে গেলে কোনো জায়গা খুঁজতে হয় না। যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তুললেই হয়ে যায়!

ক্রিকেটীয় দিক চিন্তা করলে ক্যারিবীয় দ্বীপগুলোয় আমাদের খুব ভালো স্মৃতি আছে। দু-একটি সিরিজ ছাড়া ওখানে আমাদের ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা ভালো। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। জ্যামাইকা, বার্বাডোজ ছাড়া বাকি দ্বীপগুলোয় কিন্তু বাংলাদেশের মতো কন্ডিশন। ৮০, ৯০ দশক, এমনকি ২০০০-এর শুরুতে ব্যাপারটা অন্যরকম ছিল। এখনো বার্বাডোজের উইকেটগুলো পেস ও বাউন্সি। তবে ২০১০ সালের পর বাকি সব জায়গার উইকেট, কন্ডিশনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমার মনে হয়, ওখানে বাংলাদেশ ভালো করবে। কন্ডিশন আমাদের অনুকূলে থাকবে আরকি।

তবে এই বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি আলোচনা প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মতো অচেনা কন্ডিশনে আয়োজিত হওয়ায়। টুর্নামেন্টে আমাদের যাত্রা কত দূর হবে, ডালাস-নিউইয়র্কের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সেটা ঠিক করে দেবে, তা মনে হয় না। একটা ইতিবাচক দিক বাংলাদেশের জন্য যে, কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হেরেছি, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি, তাই।

ডালাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচটা হলে কন্ডিশন সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পাওয়া যেত। আইসিসির ড্রপ-ইন উইকেট, কেউ জানি না এটা কেমন আচরণ করবে। কিছুটা তো পার্থক্য থাকবেই। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা—এই মুহূর্তে তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব। আমরা এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী নই। আমরা এখনো ভালো দল। তবে এ দুই সিরিজে মনে হয়েছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। যুক্তরাষ্ট্র সিরিজে যেটা দেখা গেছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করে গেলে আত্মবিশ্বাস পাব।

এই দলে দু-একজন ছাড়া সবাই বিশ্বকাপ খেলেছে। সবাই মোটামুটি কমবেশি অভিজ্ঞ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তো অনেক খেলেছে। দলটা অতীতে ভালো খেলেছে। সঠিক সময়ে মোমেন্টাম পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রতি আশা কম বলেই মনে হচ্ছে বেশি আশা। বাকিটা দেখা যাক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত