আজকের পত্রিকা ডেস্ক

কয়েক মাসের মধ্যে আবার সেই সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ দল। গত জুনে এখানেই বাংলাদেশ খেলেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ। এ মাঠে নেপাল আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল। আবার এই আর্নস ভেলে স্টেডিয়ামেই ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে না পেরে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা মিলে গিয়েছিল মাঠঘেঁষা সুনীল ক্যারিবীয় সাগরে।
কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ দল আবারও সেন্ট ভিনসেন্টে, যখন লিটন-মিরাজদের হৃদয়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১০ বছর পর ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হওয়ার ক্ষত। ওয়ানডে ভুলে এখন তাঁদের মনোযোগ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে, যেটি শুরু হচ্ছে কাল সোমবার ভোর ৬টায়। সেন্ট ভিনসেন্টেই হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আর এই সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস, যাঁর সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক সমালোচনা। নিজের সর্বশেষ সাত ওয়ানডে ইনিংসের একটিতেও দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি লিটন। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত চোট কাটিয়ে ঠিক সময় মাঠে নামতে না পারায় ছন্দ হারিয়ে ফেলা লিটনের অধিনায়কত্ব পরখ করে দেখতে চাইছে বিসিবি।
লিটন যখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, সৌম্য সরকার তখন দারুণ ফর্মে। গত শুক্রবার সেন্ট ভিনসেন্টে পৌঁছেই ফ্লাডলাইটের আলোয় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। দলের প্রস্তুতি শেষে সৌম্য সরকার বলেন, ‘ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামব আমরা। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে ফল আমাদের পক্ষেই আসবে।’ কদিন আগে গায়ানায় রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার সুবাদে ক্যারিবীয় কন্ডিশন অনেকটা মুখস্থ হয়ে গেছে সৌম্যর। টুর্নামেন্টের ফাইনালে ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। সৌম্য আশাবাদী, এই অভিজ্ঞতা কাজে দেবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে, ‘এখানকার কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। যারা ২০ ওভার ভালো খেলবে, তারাই জিতবে।’
ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সৌম্য। সেন্ট ভিনসেন্টের মাঠটি বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট পরিচিত, বেশ পয়মন্তও বটে। গত ২০ বছরে এখানে তারা তিন সংস্করণ মিলিয়ে খেলেছে ৭টা ম্যাচ। গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখা গিয়েছিল কিংসটাউনের এই উইকেট কতটা স্পিনসহায়ক আর মন্থর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখা গেছে, এখানে বেশির ভাগ ম্যাচই লো স্কোরিং। বাংলাদেশ ১০৬ রান করেও নেপালকে হারিয়েছিল এ মাঠে। আবার আফগানদের হারাতে পারেনি ১১৪ রানের লক্ষ্য পেয়েও। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই সিরিজে উইকেটের আচরণ আমূল পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কমই।

যদি সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট স্পিনারদের হাত বাড়িয়েই দেয়, বাংলাদেশকে ভালো কিছু করতে আশাবাদী করবে। স্পিন বিভাগ সামলাতে দলে আছেন শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদের মতো পরীক্ষিত স্পিনাররা। ১৪ টি-টোয়েন্টিতে ২১ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব আল হাসান এই সংস্করণকে বিদায় জানিয়েছেন। এখন তরুণ স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
অবশ্য স্পিনাররা হতাশ করেছেন সেন্ট কিটসে হওয়া ওয়ানডে সিরিজে। হাই স্কোরিং ম্যাচে করেছেন ব্যয়বহুল বোলিং। তাতে বৃথা গেছে ব্যাটারদের চেষ্টা। সৌম্য আশাবাদী, তাঁদের বোলাররা ছন্দ ফিরে পাবেন, ‘বোলাররা এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে। ওয়ানডেতে আমাদের ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে রান করেছে, যেটা ইতিবাচক দিক। বোলারদের যদিও কঠিন সময় গেছে। এবার আমাদের বোলিং আক্রমণ ছন্দে ফিরবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে বাংলাদেশ একাধিক টেস্ট জিতেছে, ওয়ানডেও জিতেছে। কিন্তু ক্যারিবীয় দ্বীপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কখনোই টি-টোয়েন্টি জেতেনি বাংলাদেশ। সেই অচলায়তন ভাঙতে এই সিরিজে বোলিং, ব্যাটিং—দুটিতেই সমান দ্যুতি ছড়াতে হবে লিটন-মিরাজদের।

কয়েক মাসের মধ্যে আবার সেই সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ দল। গত জুনে এখানেই বাংলাদেশ খেলেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ। এ মাঠে নেপাল আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল। আবার এই আর্নস ভেলে স্টেডিয়ামেই ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে না পেরে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা মিলে গিয়েছিল মাঠঘেঁষা সুনীল ক্যারিবীয় সাগরে।
কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ দল আবারও সেন্ট ভিনসেন্টে, যখন লিটন-মিরাজদের হৃদয়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১০ বছর পর ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হওয়ার ক্ষত। ওয়ানডে ভুলে এখন তাঁদের মনোযোগ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে, যেটি শুরু হচ্ছে কাল সোমবার ভোর ৬টায়। সেন্ট ভিনসেন্টেই হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আর এই সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস, যাঁর সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক সমালোচনা। নিজের সর্বশেষ সাত ওয়ানডে ইনিংসের একটিতেও দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি লিটন। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত চোট কাটিয়ে ঠিক সময় মাঠে নামতে না পারায় ছন্দ হারিয়ে ফেলা লিটনের অধিনায়কত্ব পরখ করে দেখতে চাইছে বিসিবি।
লিটন যখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, সৌম্য সরকার তখন দারুণ ফর্মে। গত শুক্রবার সেন্ট ভিনসেন্টে পৌঁছেই ফ্লাডলাইটের আলোয় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। দলের প্রস্তুতি শেষে সৌম্য সরকার বলেন, ‘ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামব আমরা। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে ফল আমাদের পক্ষেই আসবে।’ কদিন আগে গায়ানায় রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার সুবাদে ক্যারিবীয় কন্ডিশন অনেকটা মুখস্থ হয়ে গেছে সৌম্যর। টুর্নামেন্টের ফাইনালে ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। সৌম্য আশাবাদী, এই অভিজ্ঞতা কাজে দেবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে, ‘এখানকার কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। যারা ২০ ওভার ভালো খেলবে, তারাই জিতবে।’
ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সৌম্য। সেন্ট ভিনসেন্টের মাঠটি বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট পরিচিত, বেশ পয়মন্তও বটে। গত ২০ বছরে এখানে তারা তিন সংস্করণ মিলিয়ে খেলেছে ৭টা ম্যাচ। গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখা গিয়েছিল কিংসটাউনের এই উইকেট কতটা স্পিনসহায়ক আর মন্থর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখা গেছে, এখানে বেশির ভাগ ম্যাচই লো স্কোরিং। বাংলাদেশ ১০৬ রান করেও নেপালকে হারিয়েছিল এ মাঠে। আবার আফগানদের হারাতে পারেনি ১১৪ রানের লক্ষ্য পেয়েও। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই সিরিজে উইকেটের আচরণ আমূল পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কমই।

যদি সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট স্পিনারদের হাত বাড়িয়েই দেয়, বাংলাদেশকে ভালো কিছু করতে আশাবাদী করবে। স্পিন বিভাগ সামলাতে দলে আছেন শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদের মতো পরীক্ষিত স্পিনাররা। ১৪ টি-টোয়েন্টিতে ২১ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব আল হাসান এই সংস্করণকে বিদায় জানিয়েছেন। এখন তরুণ স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
অবশ্য স্পিনাররা হতাশ করেছেন সেন্ট কিটসে হওয়া ওয়ানডে সিরিজে। হাই স্কোরিং ম্যাচে করেছেন ব্যয়বহুল বোলিং। তাতে বৃথা গেছে ব্যাটারদের চেষ্টা। সৌম্য আশাবাদী, তাঁদের বোলাররা ছন্দ ফিরে পাবেন, ‘বোলাররা এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে। ওয়ানডেতে আমাদের ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে রান করেছে, যেটা ইতিবাচক দিক। বোলারদের যদিও কঠিন সময় গেছে। এবার আমাদের বোলিং আক্রমণ ছন্দে ফিরবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে বাংলাদেশ একাধিক টেস্ট জিতেছে, ওয়ানডেও জিতেছে। কিন্তু ক্যারিবীয় দ্বীপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কখনোই টি-টোয়েন্টি জেতেনি বাংলাদেশ। সেই অচলায়তন ভাঙতে এই সিরিজে বোলিং, ব্যাটিং—দুটিতেই সমান দ্যুতি ছড়াতে হবে লিটন-মিরাজদের।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ নামবে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে।
১১ মিনিট আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার কেবল এক মাস পেরিয়েছে। মরুর বুকে সেই এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মতো প্রতিপক্ষ। এবার এশিয়া কাপের আরেক ‘ভার্সন’-এ তাদেরকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তা-ও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
১ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা—সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ নামবে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। আজ রয়েছে আরও দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বেলা ২টা ১৫ মিনিটে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। রাতে খেলতে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা।এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সন্ধ্যা ৬টা
সরাসরি
টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
ভারত-অস্ট্রেলিয়া
বেলা ২টা ১৫ মিনিট
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ২
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা
রাত ৯ টা
সরাসরি
পিটিভি স্পোর্টস

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ নামবে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। আজ রয়েছে আরও দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বেলা ২টা ১৫ মিনিটে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। রাতে খেলতে নামছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা।এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
ক্রিকেট খেলা সরাসরি
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সন্ধ্যা ৬টা
সরাসরি
টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
ভারত-অস্ট্রেলিয়া
বেলা ২টা ১৫ মিনিট
সরাসরি
স্টার স্পোর্টস ২
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা
রাত ৯ টা
সরাসরি
পিটিভি স্পোর্টস


কয়েক মাসের মধ্যে আবার সেই সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ দল। গত জুনে এখানেই বাংলাদেশ খেলেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ। এ মাঠে নেপাল আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল। আবার এই আর্নস ভেলে স্টেডিয়ামেই ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে না পেরে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা মিলে
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার কেবল এক মাস পেরিয়েছে। মরুর বুকে সেই এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মতো প্রতিপক্ষ। এবার এশিয়া কাপের আরেক ‘ভার্সন’-এ তাদেরকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তা-ও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
১ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা—সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

নতুন এই এশিয়া কাপের নাম ‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স’। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আজ নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রুপিংটা করা হয়েছে হুবহু গত মাসে আমিরাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় দলের এশিয়া কাপের মতো করে। কাতারে হতে যাওয়া ‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স’ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে আট দল। যাদের মধ্যে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান খেলবে ‘এ’ দল নিয়ে। হংকং, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত—এই তিন দলের মূল দল খেলবে টুর্নামেন্টে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। এই এশিয়া কাপেও এক গ্রুপে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত ও ওমান।
১৪ নভেম্বর পাকিস্তান-ওমান ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায় শুরু হবে এই ম্যাচ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হংকংয়ের বিপক্ষে। ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে ১৭ ও ১৯ নভেম্বর। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দুটি বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে।
আট দলের এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ হবে কাতারে। গ্রুপ পর্ব শেষে দুটি সেমিফাইনালই হবে ২১ নভেম্বর। প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে। সেদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে খেলবে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল হবে ২৩ নভেম্বর। টুর্নামেন্টটি হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স’ টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সূচি
প্রতিপক্ষ তারিখ ম্যাচ শুরু (বাংলাদেশ সময়)
হংকং ১৫ নভেম্বর বেলা ১২টা ৩০ মিনিট
আফগানিস্তান ১৭ নভেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিট
শ্রীলঙ্কা ১৯ নভেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিট

নতুন এই এশিয়া কাপের নাম ‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স’। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আজ নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রুপিংটা করা হয়েছে হুবহু গত মাসে আমিরাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় দলের এশিয়া কাপের মতো করে। কাতারে হতে যাওয়া ‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স’ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে আট দল। যাদের মধ্যে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান খেলবে ‘এ’ দল নিয়ে। হংকং, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত—এই তিন দলের মূল দল খেলবে টুর্নামেন্টে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। এই এশিয়া কাপেও এক গ্রুপে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত ও ওমান।
১৪ নভেম্বর পাকিস্তান-ওমান ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায় শুরু হবে এই ম্যাচ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হংকংয়ের বিপক্ষে। ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে ১৭ ও ১৯ নভেম্বর। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দুটি বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে।
আট দলের এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ হবে কাতারে। গ্রুপ পর্ব শেষে দুটি সেমিফাইনালই হবে ২১ নভেম্বর। প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে। সেদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে খেলবে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল হবে ২৩ নভেম্বর। টুর্নামেন্টটি হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স’ টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সূচি
প্রতিপক্ষ তারিখ ম্যাচ শুরু (বাংলাদেশ সময়)
হংকং ১৫ নভেম্বর বেলা ১২টা ৩০ মিনিট
আফগানিস্তান ১৭ নভেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিট
শ্রীলঙ্কা ১৯ নভেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিট


কয়েক মাসের মধ্যে আবার সেই সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ দল। গত জুনে এখানেই বাংলাদেশ খেলেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ। এ মাঠে নেপাল আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল। আবার এই আর্নস ভেলে স্টেডিয়ামেই ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে না পেরে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা মিলে
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ নামবে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে।
১১ মিনিট আগে
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তা-ও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
১ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা—সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তাও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
ডাগআউটে বসে থাকা ভারতের অন্য নারী ক্রিকেটাররাও মাঠে ঢুকে জেমিমা রদ্রিগেজ ও আমানজতের উদ্যাপনের শামিল হয়েছেন। সে সময় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও রদ্রিগেজের চোখে ঝরছিল পানি। এই অশ্রু তো দুঃখের নয়। আনন্দের অশ্রু। বিশেষ করে ম্যাচসেরা জেমিমা যেন নিজের আবেগই সামলাতে পারছিলেন না। ম্যাচ শেষে বাবা ইভান রদ্রিগেজকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন জেমিমা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ভাইরাল। কথা বলবেন কী করে! পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘মা, বাবা, কোচ ও যাঁরা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত মাসটা সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। স্বপ্নের মতো লাগছে সব।’
ওপেনিং বা টপ অর্ডারে ব্যাটিং যে জেমিমা কোনো দিন করেননি, তা নয়। তবে বেশির ভাগ সময় তিনি ব্যাটিং করেন পাঁচ নম্বরে। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে গতকাল সেমিফাইনালে হয়তো পাঁচেই ব্যাটিং করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর ব্যাটিং অর্ডার বদলে যায় বলে জানিয়েছেন জেমিমা। তিন নম্বরে নেমে ১৩৪ বলে ১৪ চারে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ফিফটি-সেঞ্চুরির কথা না ভেবে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে কীভাবে জেতা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলেন জেমিমা। ম্যাচ শেষে ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘তিন নম্বরে যে ব্যাটিং করতে হবে, সেটা আগে জানতাম না। গোসল করছিলাম তখন। দলের সবাইকে বললাম যেন আমাকে জানায় কী হয়েছে। মাঠে নামার ৫ মিনিট আগে জানলাম, আমাকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে হবে। শুধু আমিই না। আগে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ম্যাচ হারের পর সবাই চেয়েছিলাম আজ (গতকাল) জিততে। আজ ফিফটি বা সেঞ্চুরি নিয়ে চিন্তা করিনি। ভারতকে জেতানোর কথা ভেবেছিলাম।’
ভাগ্যও গতকাল পক্ষে ছিল ম্যাচসেরা জেমিমার। ৬০, ৮২, ১০৬—অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা তাঁকে তিনবার জীবন দিয়েছেন। যাঁর মধ্যে ৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে তুলে মারেন জেমিমা। মিড অফে তাহলিয়া ম্যাকগ্রা সহজতম ক্যাচ হাতছাড়া করেন। ১০৬ রানে জেমিমা আউট হলে ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়ত। ৪০ বলে ৫৫ রান দরকার হতো স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ভারতকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন জেমিমা। ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪১ রান করে ফেলে স্বাগতিকেরা। ৫ উইকেটের জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ভারত। রোববার ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারত খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তাও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
ডাগআউটে বসে থাকা ভারতের অন্য নারী ক্রিকেটাররাও মাঠে ঢুকে জেমিমা রদ্রিগেজ ও আমানজতের উদ্যাপনের শামিল হয়েছেন। সে সময় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও রদ্রিগেজের চোখে ঝরছিল পানি। এই অশ্রু তো দুঃখের নয়। আনন্দের অশ্রু। বিশেষ করে ম্যাচসেরা জেমিমা যেন নিজের আবেগই সামলাতে পারছিলেন না। ম্যাচ শেষে বাবা ইভান রদ্রিগেজকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন জেমিমা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ভাইরাল। কথা বলবেন কী করে! পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘মা, বাবা, কোচ ও যাঁরা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত মাসটা সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। স্বপ্নের মতো লাগছে সব।’
ওপেনিং বা টপ অর্ডারে ব্যাটিং যে জেমিমা কোনো দিন করেননি, তা নয়। তবে বেশির ভাগ সময় তিনি ব্যাটিং করেন পাঁচ নম্বরে। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে গতকাল সেমিফাইনালে হয়তো পাঁচেই ব্যাটিং করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর ব্যাটিং অর্ডার বদলে যায় বলে জানিয়েছেন জেমিমা। তিন নম্বরে নেমে ১৩৪ বলে ১৪ চারে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ফিফটি-সেঞ্চুরির কথা না ভেবে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে কীভাবে জেতা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলেন জেমিমা। ম্যাচ শেষে ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘তিন নম্বরে যে ব্যাটিং করতে হবে, সেটা আগে জানতাম না। গোসল করছিলাম তখন। দলের সবাইকে বললাম যেন আমাকে জানায় কী হয়েছে। মাঠে নামার ৫ মিনিট আগে জানলাম, আমাকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে হবে। শুধু আমিই না। আগে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ম্যাচ হারের পর সবাই চেয়েছিলাম আজ (গতকাল) জিততে। আজ ফিফটি বা সেঞ্চুরি নিয়ে চিন্তা করিনি। ভারতকে জেতানোর কথা ভেবেছিলাম।’
ভাগ্যও গতকাল পক্ষে ছিল ম্যাচসেরা জেমিমার। ৬০, ৮২, ১০৬—অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা তাঁকে তিনবার জীবন দিয়েছেন। যাঁর মধ্যে ৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে তুলে মারেন জেমিমা। মিড অফে তাহলিয়া ম্যাকগ্রা সহজতম ক্যাচ হাতছাড়া করেন। ১০৬ রানে জেমিমা আউট হলে ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়ত। ৪০ বলে ৫৫ রান দরকার হতো স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ভারতকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন জেমিমা। ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪১ রান করে ফেলে স্বাগতিকেরা। ৫ উইকেটের জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ভারত। রোববার ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারত খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।


কয়েক মাসের মধ্যে আবার সেই সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ দল। গত জুনে এখানেই বাংলাদেশ খেলেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ। এ মাঠে নেপাল আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল। আবার এই আর্নস ভেলে স্টেডিয়ামেই ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে না পেরে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা মিলে
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ নামবে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে।
১১ মিনিট আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার কেবল এক মাস পেরিয়েছে। মরুর বুকে সেই এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মতো প্রতিপক্ষ। এবার এশিয়া কাপের আরেক ‘ভার্সন’-এ তাদেরকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা—সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা, সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের কাছে ছিল ‘গোলকধাঁধা’, সে সংস্করণে হঠাৎ ভালো খেলতে শুরু করল বাংলাদেশ। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পরও ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এরপর পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানকেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের মরুর বুকে ৩-০ ব্যবধানে করেছে ধবলধোলাই। বাংলাদেশের সামনে যখন টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি, তখনই ধাক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুইয়েছেন লিটন দাস-সাইফ হাসানরা। প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর গানের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে বাংলাদেশের প্রশ্ন হতে পারে, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে!’
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স বলার মতো ছিল না। তারা নেপালের কাছে সিরিজ হেরে এসেছিল। তাহলে কি মিরপুরের উইকেটে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে মেকি আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসেছে লিটন-তানজিদ তামিমদের? টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ হারল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-ব্যর্থতায়। হঠাৎ ধসের রোগ আবারও জেঁকে বসেছে দলে। সেট ব্যাটাররা কোথায় খেলা শেষ করে আসবেন তা না, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে চাপ বাড়াচ্ছেন।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর লিটন দাস কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করার সময় শামীম যেভাবে বোল্ড হয়েছিলেন, সেটা লিটনের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল। সেই ম্যাচে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১৪৯ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল লোয়ার অর্ডারে তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদের ব্যাটিংয়ে। ৩৩ রান করে সেদিনের সর্বোচ্চ স্কোরার তানজিম সাকিব সংবাদ সম্মেলনে একজন স্বীকৃত ব্যাটারের অভাব বোধ করছিলেন। পরশু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যা করেছেন, সেটা ব্যাখ্যাতীত। ১৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে হেরেছে ১৪ রানে।
টস জিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে একটা পর্যায়ে যেখানে ২০০ রান হওয়ার কথা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, সেখান থেকে তারা আটকে যায় ১৪৯ রানে। সিরিজ খোয়ানোর পর লিটন-তানজিদ তামিম বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। পাশাপাশি নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে লিটন বলেন, ‘গত দু-তিনটি সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। বোলাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’ বারবার জীবন পেয়েও সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ১৮ বলে ৩৩ রানের সমীকরণ যখন স্বাগতিকদের, সে মুহূর্তে তানজিদ তামিম আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইনিংস। আত্মসমালোচনা করে তামিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আসলে উইকেট যা ছিল, সেট ব্যাটারকেই খেলা শেষ করতে হবে। বল ব্যাটে সেভাবে আসছিল না। নতুন ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন।’
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে পরশু একাদশ নির্বাচনেও তালগোল পাকিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানদের বিপক্ষে নিশ্চিত হার থেকে দুবার বাঁচানো নুরুল হাসান সোহানকে বসিয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলানো হয়েছে জাকের আলী অনিককে। ১৭ বলে ১৮ রান করে নায়ক হওয়ার সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন জাকের। অফসাইডের বল লেগসাইডে টানতে গিয়ে বারবার পরাস্ত হওয়ার পরও টেকনিকে কোনো পরিবর্তন নেই। অফফর্মের কারণে একাদশেও নিয়মিত নন। অথচ গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ, তখন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছিলেন জাকের। এক বছরের মধ্যে জাকের নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, বাংলাদেশের কাছেও কেমন অচেনা লাগছে বড্ড পরিচিত হয়ে ওঠা টি-টোয়েন্টি। আজ চট্টগ্রামে ধবলধোলাই না এড়ানো গেলে বিশ্বকাপের আগে ভালো একটা ধাক্কা লাগবে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে।

ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা, সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের কাছে ছিল ‘গোলকধাঁধা’, সে সংস্করণে হঠাৎ ভালো খেলতে শুরু করল বাংলাদেশ। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পরও ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এরপর পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানকেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের মরুর বুকে ৩-০ ব্যবধানে করেছে ধবলধোলাই। বাংলাদেশের সামনে যখন টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি, তখনই ধাক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুইয়েছেন লিটন দাস-সাইফ হাসানরা। প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর গানের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে বাংলাদেশের প্রশ্ন হতে পারে, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে!’
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স বলার মতো ছিল না। তারা নেপালের কাছে সিরিজ হেরে এসেছিল। তাহলে কি মিরপুরের উইকেটে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে মেকি আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসেছে লিটন-তানজিদ তামিমদের? টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ হারল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-ব্যর্থতায়। হঠাৎ ধসের রোগ আবারও জেঁকে বসেছে দলে। সেট ব্যাটাররা কোথায় খেলা শেষ করে আসবেন তা না, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে চাপ বাড়াচ্ছেন।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর লিটন দাস কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করার সময় শামীম যেভাবে বোল্ড হয়েছিলেন, সেটা লিটনের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল। সেই ম্যাচে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১৪৯ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল লোয়ার অর্ডারে তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদের ব্যাটিংয়ে। ৩৩ রান করে সেদিনের সর্বোচ্চ স্কোরার তানজিম সাকিব সংবাদ সম্মেলনে একজন স্বীকৃত ব্যাটারের অভাব বোধ করছিলেন। পরশু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যা করেছেন, সেটা ব্যাখ্যাতীত। ১৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে হেরেছে ১৪ রানে।
টস জিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে একটা পর্যায়ে যেখানে ২০০ রান হওয়ার কথা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, সেখান থেকে তারা আটকে যায় ১৪৯ রানে। সিরিজ খোয়ানোর পর লিটন-তানজিদ তামিম বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। পাশাপাশি নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে লিটন বলেন, ‘গত দু-তিনটি সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। বোলাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’ বারবার জীবন পেয়েও সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ১৮ বলে ৩৩ রানের সমীকরণ যখন স্বাগতিকদের, সে মুহূর্তে তানজিদ তামিম আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইনিংস। আত্মসমালোচনা করে তামিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আসলে উইকেট যা ছিল, সেট ব্যাটারকেই খেলা শেষ করতে হবে। বল ব্যাটে সেভাবে আসছিল না। নতুন ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন।’
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে পরশু একাদশ নির্বাচনেও তালগোল পাকিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানদের বিপক্ষে নিশ্চিত হার থেকে দুবার বাঁচানো নুরুল হাসান সোহানকে বসিয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলানো হয়েছে জাকের আলী অনিককে। ১৭ বলে ১৮ রান করে নায়ক হওয়ার সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন জাকের। অফসাইডের বল লেগসাইডে টানতে গিয়ে বারবার পরাস্ত হওয়ার পরও টেকনিকে কোনো পরিবর্তন নেই। অফফর্মের কারণে একাদশেও নিয়মিত নন। অথচ গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ, তখন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছিলেন জাকের। এক বছরের মধ্যে জাকের নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, বাংলাদেশের কাছেও কেমন অচেনা লাগছে বড্ড পরিচিত হয়ে ওঠা টি-টোয়েন্টি। আজ চট্টগ্রামে ধবলধোলাই না এড়ানো গেলে বিশ্বকাপের আগে ভালো একটা ধাক্কা লাগবে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে।


কয়েক মাসের মধ্যে আবার সেই সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ দল। গত জুনে এখানেই বাংলাদেশ খেলেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ। এ মাঠে নেপাল আর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল। আবার এই আর্নস ভেলে স্টেডিয়ামেই ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে না পেরে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা মিলে
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ নামবে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে।
১১ মিনিট আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার কেবল এক মাস পেরিয়েছে। মরুর বুকে সেই এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মতো প্রতিপক্ষ। এবার এশিয়া কাপের আরেক ‘ভার্সন’-এ তাদেরকেই পাচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তা-ও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
১ ঘণ্টা আগে