ক্রীড়া ডেস্ক

মুশফিকময় হয়েই থাকল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরিতে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচ জিতে সেটা ইতিহাসটা আরও একটু সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের নাম উঠে গেছে ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো কিংবদন্তিদের পাশে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৪ বলে ১০৬ রান করেন মুশফিক। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে টেস্ট ইতিহাসের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন। বাংলাদেশ ২১৭ রানে ম্যাচ জেতায় মুশফিক বসেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশে। টেস্ট ইতিহাসের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে জয় পাওয়া অষ্টম ক্রিকেটার এখন তিনি। মুশফিকের আগে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন গর্ডন গ্রিনিজ, ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, গ্রায়েম স্মিথ, হাশিম আমলা, জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার।
আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা আজ পঞ্চম দিনে যেভাবে মাটি কামড়ে ব্যাটিং করছিলেন, সেটা অনেকটা প্রাগৈতিহাসিককালের টেস্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মুশফিকের শততম টেস্টে জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা হলেও প্রতিপক্ষের শেষ ৪ উইকেট ফেলতে বাংলাদেশকে শেষ দিনে ৫৯.৩ ওভার বোলিং করতে হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের ২১৭ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন,‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ আমাকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এত দূর পর্যন্ত এসেছি (১০০ টেস্ট খেলেছি)। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলাটা গর্বের মনে করছি। সতীর্থদের সঙ্গে এমন দারুণ মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে।’
২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১৮ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হয়। বেবি ফেসের সেই মুশফিক দেখতে দেখতে ২০ বছর পার করে ফেলেছেন। আজ ১০০ টেস্ট খেলার পরও তাঁর মনে হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটা তাঁর অভিষেক ম্যাচ। আইরিশদের বিপক্ষে ২১৭ রানে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, ‘প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। মনে হচ্ছিল যেন ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ খেলছি। আরও খেলতে চাই।’
টেস্ট ইতিহাসের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলেছেন ৮৪ ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে ১১ ক্রিকেটার শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। সেই ১১ ক্রিকেটারের মধ্যে মাইকেল কলিন কাউড্রে, জাভেদ মিয়াঁদাদ, অ্যালেক স্টুয়ার্ট—এই ত্রয়ীই শুধু জয় পাননি। তাঁদের শততম টেস্টে সেঞ্চুরির ম্যাচগুলোতে দল ড্র করেছে।
শততম টেস্টে যাঁরা সেঞ্চুরি করেছেন, সেই ম্যাচগুলোর কী ফল
ব্যাটার ম্যাচ ফল সাল
কলিন কাউড্রে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ড্র ১৯৬৮
জাভেদ মিয়াঁদাদ পাকিস্তান-ভারত ড্র ১৯৮৯
গর্ডন গ্রিনিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস ও ৩২ রানে জয়ী ১৯৯০
অ্যালেক স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্র ২০০০
ইনজামাম উল হক পাকিস্তান-ভারত পাকিস্তান ১৬৮ রানে জয়ী ২০০৫
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী ২০০৬
গ্রায়েম স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১২ রানে জয়ী ২০১২
হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১১৮ রানে জয়ী ২০১৭
জো রুট ইংল্যান্ড-ভারত ইংল্যান্ড ২২৭ রানে জয়ী ২০২১
ডেভিড ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১৮২ রানে জয়ী ২০২২
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশ ২০২৫

মুশফিকময় হয়েই থাকল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরিতে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচ জিতে সেটা ইতিহাসটা আরও একটু সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের নাম উঠে গেছে ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো কিংবদন্তিদের পাশে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৪ বলে ১০৬ রান করেন মুশফিক। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে টেস্ট ইতিহাসের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন। বাংলাদেশ ২১৭ রানে ম্যাচ জেতায় মুশফিক বসেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশে। টেস্ট ইতিহাসের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে জয় পাওয়া অষ্টম ক্রিকেটার এখন তিনি। মুশফিকের আগে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন গর্ডন গ্রিনিজ, ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, গ্রায়েম স্মিথ, হাশিম আমলা, জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার।
আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা আজ পঞ্চম দিনে যেভাবে মাটি কামড়ে ব্যাটিং করছিলেন, সেটা অনেকটা প্রাগৈতিহাসিককালের টেস্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মুশফিকের শততম টেস্টে জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা হলেও প্রতিপক্ষের শেষ ৪ উইকেট ফেলতে বাংলাদেশকে শেষ দিনে ৫৯.৩ ওভার বোলিং করতে হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের ২১৭ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন,‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ আমাকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এত দূর পর্যন্ত এসেছি (১০০ টেস্ট খেলেছি)। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলাটা গর্বের মনে করছি। সতীর্থদের সঙ্গে এমন দারুণ মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে।’
২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১৮ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হয়। বেবি ফেসের সেই মুশফিক দেখতে দেখতে ২০ বছর পার করে ফেলেছেন। আজ ১০০ টেস্ট খেলার পরও তাঁর মনে হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটা তাঁর অভিষেক ম্যাচ। আইরিশদের বিপক্ষে ২১৭ রানে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, ‘প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। মনে হচ্ছিল যেন ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ খেলছি। আরও খেলতে চাই।’
টেস্ট ইতিহাসের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলেছেন ৮৪ ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে ১১ ক্রিকেটার শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। সেই ১১ ক্রিকেটারের মধ্যে মাইকেল কলিন কাউড্রে, জাভেদ মিয়াঁদাদ, অ্যালেক স্টুয়ার্ট—এই ত্রয়ীই শুধু জয় পাননি। তাঁদের শততম টেস্টে সেঞ্চুরির ম্যাচগুলোতে দল ড্র করেছে।
শততম টেস্টে যাঁরা সেঞ্চুরি করেছেন, সেই ম্যাচগুলোর কী ফল
ব্যাটার ম্যাচ ফল সাল
কলিন কাউড্রে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ড্র ১৯৬৮
জাভেদ মিয়াঁদাদ পাকিস্তান-ভারত ড্র ১৯৮৯
গর্ডন গ্রিনিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস ও ৩২ রানে জয়ী ১৯৯০
অ্যালেক স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্র ২০০০
ইনজামাম উল হক পাকিস্তান-ভারত পাকিস্তান ১৬৮ রানে জয়ী ২০০৫
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী ২০০৬
গ্রায়েম স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১২ রানে জয়ী ২০১২
হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১১৮ রানে জয়ী ২০১৭
জো রুট ইংল্যান্ড-ভারত ইংল্যান্ড ২২৭ রানে জয়ী ২০২১
ডেভিড ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১৮২ রানে জয়ী ২০২২
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশ ২০২৫
ক্রীড়া ডেস্ক

মুশফিকময় হয়েই থাকল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরিতে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচ জিতে সেটা ইতিহাসটা আরও একটু সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের নাম উঠে গেছে ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো কিংবদন্তিদের পাশে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৪ বলে ১০৬ রান করেন মুশফিক। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে টেস্ট ইতিহাসের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন। বাংলাদেশ ২১৭ রানে ম্যাচ জেতায় মুশফিক বসেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশে। টেস্ট ইতিহাসের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে জয় পাওয়া অষ্টম ক্রিকেটার এখন তিনি। মুশফিকের আগে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন গর্ডন গ্রিনিজ, ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, গ্রায়েম স্মিথ, হাশিম আমলা, জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার।
আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা আজ পঞ্চম দিনে যেভাবে মাটি কামড়ে ব্যাটিং করছিলেন, সেটা অনেকটা প্রাগৈতিহাসিককালের টেস্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মুশফিকের শততম টেস্টে জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা হলেও প্রতিপক্ষের শেষ ৪ উইকেট ফেলতে বাংলাদেশকে শেষ দিনে ৫৯.৩ ওভার বোলিং করতে হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের ২১৭ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন,‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ আমাকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এত দূর পর্যন্ত এসেছি (১০০ টেস্ট খেলেছি)। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলাটা গর্বের মনে করছি। সতীর্থদের সঙ্গে এমন দারুণ মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে।’
২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১৮ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হয়। বেবি ফেসের সেই মুশফিক দেখতে দেখতে ২০ বছর পার করে ফেলেছেন। আজ ১০০ টেস্ট খেলার পরও তাঁর মনে হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটা তাঁর অভিষেক ম্যাচ। আইরিশদের বিপক্ষে ২১৭ রানে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, ‘প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। মনে হচ্ছিল যেন ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ খেলছি। আরও খেলতে চাই।’
টেস্ট ইতিহাসের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলেছেন ৮৪ ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে ১১ ক্রিকেটার শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। সেই ১১ ক্রিকেটারের মধ্যে মাইকেল কলিন কাউড্রে, জাভেদ মিয়াঁদাদ, অ্যালেক স্টুয়ার্ট—এই ত্রয়ীই শুধু জয় পাননি। তাঁদের শততম টেস্টে সেঞ্চুরির ম্যাচগুলোতে দল ড্র করেছে।
শততম টেস্টে যাঁরা সেঞ্চুরি করেছেন, সেই ম্যাচগুলোর কী ফল
ব্যাটার ম্যাচ ফল সাল
কলিন কাউড্রে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ড্র ১৯৬৮
জাভেদ মিয়াঁদাদ পাকিস্তান-ভারত ড্র ১৯৮৯
গর্ডন গ্রিনিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস ও ৩২ রানে জয়ী ১৯৯০
অ্যালেক স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্র ২০০০
ইনজামাম উল হক পাকিস্তান-ভারত পাকিস্তান ১৬৮ রানে জয়ী ২০০৫
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী ২০০৬
গ্রায়েম স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১২ রানে জয়ী ২০১২
হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১১৮ রানে জয়ী ২০১৭
জো রুট ইংল্যান্ড-ভারত ইংল্যান্ড ২২৭ রানে জয়ী ২০২১
ডেভিড ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১৮২ রানে জয়ী ২০২২
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশ ২০২৫

মুশফিকময় হয়েই থাকল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরিতে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচ জিতে সেটা ইতিহাসটা আরও একটু সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের নাম উঠে গেছে ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো কিংবদন্তিদের পাশে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৪ বলে ১০৬ রান করেন মুশফিক। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে টেস্ট ইতিহাসের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন। বাংলাদেশ ২১৭ রানে ম্যাচ জেতায় মুশফিক বসেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশে। টেস্ট ইতিহাসের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে জয় পাওয়া অষ্টম ক্রিকেটার এখন তিনি। মুশফিকের আগে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন গর্ডন গ্রিনিজ, ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, গ্রায়েম স্মিথ, হাশিম আমলা, জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার।
আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা আজ পঞ্চম দিনে যেভাবে মাটি কামড়ে ব্যাটিং করছিলেন, সেটা অনেকটা প্রাগৈতিহাসিককালের টেস্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মুশফিকের শততম টেস্টে জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা হলেও প্রতিপক্ষের শেষ ৪ উইকেট ফেলতে বাংলাদেশকে শেষ দিনে ৫৯.৩ ওভার বোলিং করতে হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের ২১৭ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন,‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ আমাকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এত দূর পর্যন্ত এসেছি (১০০ টেস্ট খেলেছি)। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলাটা গর্বের মনে করছি। সতীর্থদের সঙ্গে এমন দারুণ মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে।’
২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১৮ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হয়। বেবি ফেসের সেই মুশফিক দেখতে দেখতে ২০ বছর পার করে ফেলেছেন। আজ ১০০ টেস্ট খেলার পরও তাঁর মনে হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটা তাঁর অভিষেক ম্যাচ। আইরিশদের বিপক্ষে ২১৭ রানে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, ‘প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। মনে হচ্ছিল যেন ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ খেলছি। আরও খেলতে চাই।’
টেস্ট ইতিহাসের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলেছেন ৮৪ ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে ১১ ক্রিকেটার শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। সেই ১১ ক্রিকেটারের মধ্যে মাইকেল কলিন কাউড্রে, জাভেদ মিয়াঁদাদ, অ্যালেক স্টুয়ার্ট—এই ত্রয়ীই শুধু জয় পাননি। তাঁদের শততম টেস্টে সেঞ্চুরির ম্যাচগুলোতে দল ড্র করেছে।
শততম টেস্টে যাঁরা সেঞ্চুরি করেছেন, সেই ম্যাচগুলোর কী ফল
ব্যাটার ম্যাচ ফল সাল
কলিন কাউড্রে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ড্র ১৯৬৮
জাভেদ মিয়াঁদাদ পাকিস্তান-ভারত ড্র ১৯৮৯
গর্ডন গ্রিনিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস ও ৩২ রানে জয়ী ১৯৯০
অ্যালেক স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্র ২০০০
ইনজামাম উল হক পাকিস্তান-ভারত পাকিস্তান ১৬৮ রানে জয়ী ২০০৫
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী ২০০৬
গ্রায়েম স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১২ রানে জয়ী ২০১২
হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১১৮ রানে জয়ী ২০১৭
জো রুট ইংল্যান্ড-ভারত ইংল্যান্ড ২২৭ রানে জয়ী ২০২১
ডেভিড ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১৮২ রানে জয়ী ২০২২
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশ ২০২৫

সাকিব আল হাসানকে টপকে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে তাইজুল ইসলামের দরকার ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে নিয়েছেন ২৫০ উইকেট। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনারের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা পরিচিতি পেয়েছে মুশফিকের টেস্ট নামে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট মুশফিকুর রহিম খেলতে নেমেছেন এই টেস্টেই। সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়।
৩ ঘণ্টা আগে
পেশাগত ক্যারিয়ার তো বটেই। মানুষের জীবনপ্রদীপও নিভে যায় একটা সময়। কার কখন মৃত্যুর ডাক আসবে, সেটা জানেন কেবল সৃষ্টিকর্তায়। গত কদিন ধরে অসুস্থ থাকা সাবেক পাকিস্তানি আম্পায়ার খিজির হায়াত চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা শুরু থেকেই মুশফিকময়। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সাকিব আল হাসানকে টপকে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে তাইজুল ইসলামের দরকার ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে নিয়েছেন ২৫০ উইকেট। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনারের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে তাইজুল বসেছেন সাকিবের পাশে। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাইজুল ৪ উইকেট নিয়েছেন। উইকেটে আঁঠার মতো লেগে থাকা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে (২১) ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাইজুল। দুই ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার।
শুধু তাইজুলই নয়, আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে টেস্টে অভিষেক হওয়া হাসান মুরাদও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। আয়ারল্যান্ডের ৪০ উইকেটের মধ্যে ২৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাঁরা (তাইজুল-মুরাদ)। মুরাদ নিয়েছেন ১২ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ২১৭ রানে জিতে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। মিরপুরে আজ পঞ্চম দিনে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘মুরাদ ও তাইজুলের বোলিংয়ে আমি ইমপ্রেসড। দলের জন্য যেভাবে তারা অবদান রেখেছে, তাতে ভীষণ খুশি।’
৫০৯ রানের লক্ষ্যে নেমে আয়ারল্যান্ড গতকাল ৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। আজ পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা হলেও প্রতিপক্ষের শেষ ৪ উইকেট ফেলতে বাংলাদেশকে ৫৯.৩ ওভার বোলিং করতে হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ১১৪তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে গ্যাভিন হোয়ে ও ম্যাথু হামফ্রিজকে ফিরিয়ে আইরিশদের ইনিংসের ইতি টানেন মুরাদ। আয়ারল্যান্ডের দৃঢ় মানসিকতার ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে শান্তকেও। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন,‘আয়ারল্যান্ড দলকে অভিনন্দন জানাই। এমন কন্ডিশনে দারুণ ব্যাটিং করেছে তারা।’
সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টেস্টে যে এক ইনিংস ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল, বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। মাহমুদুল হাসান জয় (১৭১), শান্ত (১০০) সেঞ্চুরি করেছিলেন। মিরপুরে এবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম (১০৬) ও লিটন দাস (১২৮)। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৭৬ রান। ২১১ রানে এগিয়ে থাকার পরও ফের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকেরা ব্যাটিং করেছে। এবার তারা ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে।
বড় ইনিংস খেলার যে পরিকল্পনা ছিল শান্তদের, সেটাতে তাঁরা সফল। আজ শান্ত দ্বিতীয় টেস্টে ২১৭ রানে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই সিরিজ (আয়ারল্যান্ড সিরিজ) শুরুর আগে আমাদের দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। আমরা পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পেরেছি। আমরা আরও টেস্ট খেলতে চাই। ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ। আমরা ম্যাচ হারলেও দারুণভাবে সমর্থন দিয়ে যান তাঁরা।’

সাকিব আল হাসানকে টপকে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে তাইজুল ইসলামের দরকার ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে নিয়েছেন ২৫০ উইকেট। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনারের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে তাইজুল বসেছেন সাকিবের পাশে। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাইজুল ৪ উইকেট নিয়েছেন। উইকেটে আঁঠার মতো লেগে থাকা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে (২১) ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাইজুল। দুই ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার।
শুধু তাইজুলই নয়, আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে টেস্টে অভিষেক হওয়া হাসান মুরাদও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। আয়ারল্যান্ডের ৪০ উইকেটের মধ্যে ২৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাঁরা (তাইজুল-মুরাদ)। মুরাদ নিয়েছেন ১২ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ২১৭ রানে জিতে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। মিরপুরে আজ পঞ্চম দিনে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘মুরাদ ও তাইজুলের বোলিংয়ে আমি ইমপ্রেসড। দলের জন্য যেভাবে তারা অবদান রেখেছে, তাতে ভীষণ খুশি।’
৫০৯ রানের লক্ষ্যে নেমে আয়ারল্যান্ড গতকাল ৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। আজ পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা হলেও প্রতিপক্ষের শেষ ৪ উইকেট ফেলতে বাংলাদেশকে ৫৯.৩ ওভার বোলিং করতে হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ১১৪তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে গ্যাভিন হোয়ে ও ম্যাথু হামফ্রিজকে ফিরিয়ে আইরিশদের ইনিংসের ইতি টানেন মুরাদ। আয়ারল্যান্ডের দৃঢ় মানসিকতার ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে শান্তকেও। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন,‘আয়ারল্যান্ড দলকে অভিনন্দন জানাই। এমন কন্ডিশনে দারুণ ব্যাটিং করেছে তারা।’
সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টেস্টে যে এক ইনিংস ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল, বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। মাহমুদুল হাসান জয় (১৭১), শান্ত (১০০) সেঞ্চুরি করেছিলেন। মিরপুরে এবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম (১০৬) ও লিটন দাস (১২৮)। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৭৬ রান। ২১১ রানে এগিয়ে থাকার পরও ফের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকেরা ব্যাটিং করেছে। এবার তারা ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে।
বড় ইনিংস খেলার যে পরিকল্পনা ছিল শান্তদের, সেটাতে তাঁরা সফল। আজ শান্ত দ্বিতীয় টেস্টে ২১৭ রানে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই সিরিজ (আয়ারল্যান্ড সিরিজ) শুরুর আগে আমাদের দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। আমরা পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পেরেছি। আমরা আরও টেস্ট খেলতে চাই। ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ। আমরা ম্যাচ হারলেও দারুণভাবে সমর্থন দিয়ে যান তাঁরা।’

মুশফিকময় হয়েই থাকল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরিতে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচ জিতে সেটা ইতিহাসটা আরও একটু সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা পরিচিতি পেয়েছে মুশফিকের টেস্ট নামে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট মুশফিকুর রহিম খেলতে নেমেছেন এই টেস্টেই। সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়।
৩ ঘণ্টা আগে
পেশাগত ক্যারিয়ার তো বটেই। মানুষের জীবনপ্রদীপও নিভে যায় একটা সময়। কার কখন মৃত্যুর ডাক আসবে, সেটা জানেন কেবল সৃষ্টিকর্তায়। গত কদিন ধরে অসুস্থ থাকা সাবেক পাকিস্তানি আম্পায়ার খিজির হায়াত চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা শুরু থেকেই মুশফিকময়। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা পরিচিতি পেয়েছে মুশফিকের টেস্ট নামে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট মুশফিকুর রহিম খেলতে নেমেছেন এই টেস্টেই। সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। বাকি ছিল শুধু জয়টাই। স্মরণীয় সেই জয়টা বাংলাদেশ আজ পেয়েছে পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতির পরে।
প্রথম চার দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। ৫০৯ রানের লক্ষ্যে নেমে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান তোলার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ কত দ্রুত শেষ করতে পারে, সেটাই ছিল দেখার অপেক্ষা। বেলা সাড়ে ১১টায় লাঞ্চ দিলেও সেটা দেওয়া হয়েছে ১১টা ৫০ মিনিটে। কিন্তু আইরিশ ব্যাটাররা যেভাবে তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন, তাতে লাঞ্চেও এল না বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত জয়। অবশেষে এল সেই মুহূর্ত। ২১৭ রানে জিতে আয়ারল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে আয়ারল্যান্ড। তাইজুল-মিরাজ-হাসান মুরাদদের ঘূর্ণি জাদুতেও উইকেট ফেলা যাচ্ছিল না আইরিশদের। দিনের খেলা শুরুর পর ১৪তম ওভারে গিয়ে উইকেট পায় বাংলাদেশ। উইকেটে আঠার মতো লেগে থাকা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে (২১) ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাইজুল। ইনিংসের ৬৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাকব্রাইনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলের কারণে আউট হয়ে যান ম্যাকব্রাইন। ৫৩ বলে ৩ চারে করেন ২১ রান। সপ্তম উইকেটে ম্যাকব্রাইন-কার্টিস ক্যাম্ফার গড়েন ১০৫ বলে ২৬ রানের জুটি।
ম্যাকব্রাইনের বিদায়ে আয়ারল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৬৭.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জর্ডান নিল ও ক্যাম্ফার একটু হাত খুলে খেলতে থাকেন। অষ্টম উইকেটে ৮৫ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন নিল-ক্যাম্ফার। ৮২তম ওভারের তৃতীয় বলে নিলকে (৩০) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ।
অষ্টম উইকেটের জুটি ভাঙার পরও দেয়াল হয়ে আছেন কার্টিস ক্যাম্ফার। নবম উইকেটে গ্যাভিন হোয়ে ও ক্যাম্ফার ১৯১ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েছেন। মিরাজ-তাইজুল-মুরাদদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন তাঁরা (হোয়ে-ক্যাম্ফার)। ১১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হোয়েকে (৩৭) এলবিডব্লু করে জুটি ভাঙেন মুরাদ। এরপর সেই ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু হামফ্রিজকে (০) বোল্ড করে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের ইতি টানেন মুরাদ।
মুরাদের জোড়া ধাক্কায় ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যাম্ফার। ২৫৯ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। তাইজুল, মুরাদ ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ ও খালেদ। বাংলাদেশের ২১৭ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন তাইজুল।
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিতে (১০৬) স্বাগতিকেরা প্রথম ইনিংসে ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ রানে গুটিয়ে যায়। সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন দাসও। ইনিংস সর্বোচ্চ ১২৮ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। আয়ারল্যান্ডের অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ১০৯ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেস্টে এটা তাঁর সেরা বোলিং।
আয়ারল্যান্ড এরপর তাদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে গেছে। প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশ ফের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন মুমিনুল হক। এই ইনিংসে মুশফিক ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। দুই ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নিয়ে টেস্টে ২৫০ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এই তালিকায় তিন ও চারে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ রফিক টেস্টে নিয়েছেন ২১০ ও ১০০ উইকেট।

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা পরিচিতি পেয়েছে মুশফিকের টেস্ট নামে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট মুশফিকুর রহিম খেলতে নেমেছেন এই টেস্টেই। সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। বাকি ছিল শুধু জয়টাই। স্মরণীয় সেই জয়টা বাংলাদেশ আজ পেয়েছে পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতির পরে।
প্রথম চার দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। ৫০৯ রানের লক্ষ্যে নেমে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান তোলার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ কত দ্রুত শেষ করতে পারে, সেটাই ছিল দেখার অপেক্ষা। বেলা সাড়ে ১১টায় লাঞ্চ দিলেও সেটা দেওয়া হয়েছে ১১টা ৫০ মিনিটে। কিন্তু আইরিশ ব্যাটাররা যেভাবে তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন, তাতে লাঞ্চেও এল না বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত জয়। অবশেষে এল সেই মুহূর্ত। ২১৭ রানে জিতে আয়ারল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে আয়ারল্যান্ড। তাইজুল-মিরাজ-হাসান মুরাদদের ঘূর্ণি জাদুতেও উইকেট ফেলা যাচ্ছিল না আইরিশদের। দিনের খেলা শুরুর পর ১৪তম ওভারে গিয়ে উইকেট পায় বাংলাদেশ। উইকেটে আঠার মতো লেগে থাকা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে (২১) ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাইজুল। ইনিংসের ৬৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাকব্রাইনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলের কারণে আউট হয়ে যান ম্যাকব্রাইন। ৫৩ বলে ৩ চারে করেন ২১ রান। সপ্তম উইকেটে ম্যাকব্রাইন-কার্টিস ক্যাম্ফার গড়েন ১০৫ বলে ২৬ রানের জুটি।
ম্যাকব্রাইনের বিদায়ে আয়ারল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৬৭.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জর্ডান নিল ও ক্যাম্ফার একটু হাত খুলে খেলতে থাকেন। অষ্টম উইকেটে ৮৫ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন নিল-ক্যাম্ফার। ৮২তম ওভারের তৃতীয় বলে নিলকে (৩০) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ।
অষ্টম উইকেটের জুটি ভাঙার পরও দেয়াল হয়ে আছেন কার্টিস ক্যাম্ফার। নবম উইকেটে গ্যাভিন হোয়ে ও ক্যাম্ফার ১৯১ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েছেন। মিরাজ-তাইজুল-মুরাদদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন তাঁরা (হোয়ে-ক্যাম্ফার)। ১১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হোয়েকে (৩৭) এলবিডব্লু করে জুটি ভাঙেন মুরাদ। এরপর সেই ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু হামফ্রিজকে (০) বোল্ড করে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের ইতি টানেন মুরাদ।
মুরাদের জোড়া ধাক্কায় ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে গুটিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যাম্ফার। ২৫৯ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। তাইজুল, মুরাদ ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ ও খালেদ। বাংলাদেশের ২১৭ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকের হাতে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন তাইজুল।
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিতে (১০৬) স্বাগতিকেরা প্রথম ইনিংসে ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ রানে গুটিয়ে যায়। সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন দাসও। ইনিংস সর্বোচ্চ ১২৮ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। আয়ারল্যান্ডের অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ১০৯ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেস্টে এটা তাঁর সেরা বোলিং।
আয়ারল্যান্ড এরপর তাদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে গেছে। প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশ ফের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন মুমিনুল হক। এই ইনিংসে মুশফিক ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। দুই ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নিয়ে টেস্টে ২৫০ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এই তালিকায় তিন ও চারে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ রফিক টেস্টে নিয়েছেন ২১০ ও ১০০ উইকেট।

মুশফিকময় হয়েই থাকল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরিতে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচ জিতে সেটা ইতিহাসটা আরও একটু সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সাকিব আল হাসানকে টপকে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে তাইজুল ইসলামের দরকার ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে নিয়েছেন ২৫০ উইকেট। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনারের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ
১ ঘণ্টা আগে
পেশাগত ক্যারিয়ার তো বটেই। মানুষের জীবনপ্রদীপও নিভে যায় একটা সময়। কার কখন মৃত্যুর ডাক আসবে, সেটা জানেন কেবল সৃষ্টিকর্তায়। গত কদিন ধরে অসুস্থ থাকা সাবেক পাকিস্তানি আম্পায়ার খিজির হায়াত চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা শুরু থেকেই মুশফিকময়। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পেশাগত ক্যারিয়ার তো বটেই। মানুষের জীবনপ্রদীপও নিভে যায় একটা সময়। কার কখন মৃত্যুর ডাক আসবে, সেটা জানেন কেবল সৃষ্টিকর্তায়। গত কদিন ধরে অসুস্থ থাকা সাবেক পাকিস্তানি আম্পায়ার খিজির হায়াত চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
লাহোরে আজ ৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন হায়াত। পরিবারের সূত্রে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও সুপার। ১৯৭০-এর দশকে তিনি আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছিলেন পাকিস্তান রেলওয়েজের হয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে সততা ও ধারাবাহিকতার সঙ্গে আম্পায়ারিং করে অনেক সুনাম কুড়িয়েছিলেন।
আম্পায়ার হায়াতের মৃত্যুতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) শোক প্রকাশ করেছে। হায়াতের আম্পায়ারিং পুরো বিশ্বজুড়েই প্রশংসিত হয়েছিল। তাঁর আম্পায়ারিংকে সম্মান জানিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বলেন, ‘খিজির হায়াতের অবদানের জন্য তাঁর প্রতি ক্রিকেট আম্পায়ারিং সব সময় কৃতজ্ঞ থাকবে। তাঁর লিগ্যাসি আম্পায়াররা ভবিষ্যতেও ধরে রাখবেন ও দীর্ঘদিন স্মরণে রাখবেন।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হায়াত ৯১ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৩৪ টেস্ট ও ৫৭ ওয়ানডে। তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। লাহোরে ১৯৮০ সালে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে টেস্টে তাঁর আম্পায়ারিং শুরু। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সবশেষ আম্পায়ারিং করেছেন ১৯৯৬ সালে। ২৯ বছর আগে শেখুপুরায় সেই টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ তিনি আম্পায়ারিং করেছেন ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। শিয়ালকোটে সেবার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। আম্পায়ারিং ছাড়ার পর খিজির পিসিবিতে যোগ দিয়েছিলেন। বোর্ডে তিনি জেনারেল ম্যানেজার, আম্পায়ার ও রেফারি হিসেবে কাজ করেছিলেন।

পেশাগত ক্যারিয়ার তো বটেই। মানুষের জীবনপ্রদীপও নিভে যায় একটা সময়। কার কখন মৃত্যুর ডাক আসবে, সেটা জানেন কেবল সৃষ্টিকর্তায়। গত কদিন ধরে অসুস্থ থাকা সাবেক পাকিস্তানি আম্পায়ার খিজির হায়াত চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
লাহোরে আজ ৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন হায়াত। পরিবারের সূত্রে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও সুপার। ১৯৭০-এর দশকে তিনি আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছিলেন পাকিস্তান রেলওয়েজের হয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে সততা ও ধারাবাহিকতার সঙ্গে আম্পায়ারিং করে অনেক সুনাম কুড়িয়েছিলেন।
আম্পায়ার হায়াতের মৃত্যুতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) শোক প্রকাশ করেছে। হায়াতের আম্পায়ারিং পুরো বিশ্বজুড়েই প্রশংসিত হয়েছিল। তাঁর আম্পায়ারিংকে সম্মান জানিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বলেন, ‘খিজির হায়াতের অবদানের জন্য তাঁর প্রতি ক্রিকেট আম্পায়ারিং সব সময় কৃতজ্ঞ থাকবে। তাঁর লিগ্যাসি আম্পায়াররা ভবিষ্যতেও ধরে রাখবেন ও দীর্ঘদিন স্মরণে রাখবেন।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হায়াত ৯১ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৩৪ টেস্ট ও ৫৭ ওয়ানডে। তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। লাহোরে ১৯৮০ সালে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে টেস্টে তাঁর আম্পায়ারিং শুরু। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সবশেষ আম্পায়ারিং করেছেন ১৯৯৬ সালে। ২৯ বছর আগে শেখুপুরায় সেই টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ তিনি আম্পায়ারিং করেছেন ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। শিয়ালকোটে সেবার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। আম্পায়ারিং ছাড়ার পর খিজির পিসিবিতে যোগ দিয়েছিলেন। বোর্ডে তিনি জেনারেল ম্যানেজার, আম্পায়ার ও রেফারি হিসেবে কাজ করেছিলেন।

মুশফিকময় হয়েই থাকল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরিতে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচ জিতে সেটা ইতিহাসটা আরও একটু সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সাকিব আল হাসানকে টপকে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে তাইজুল ইসলামের দরকার ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে নিয়েছেন ২৫০ উইকেট। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনারের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা পরিচিতি পেয়েছে মুশফিকের টেস্ট নামে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট মুশফিকুর রহিম খেলতে নেমেছেন এই টেস্টেই। সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা শুরু থেকেই মুশফিকময়। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা শুরু থেকেই মুশফিকময়। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। জয় পেতে আর মাত্র অল্প কিছুক্ষণের অপেক্ষা বাংলাদেশের।
প্রথম চার দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। ৫০৯ রানের লক্ষ্যে নেমে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান তোলার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ কত দ্রুত শেষ করতে পারে, সেটাই ছিল দেখার অপেক্ষা। সকাল সাড়ে ১১টায় লাঞ্চ দিলেও সেটা দেওয়া হয়েছে ১১টা ৫০ মিনিটে। কিন্তু আইরিশ ব্যাটাররা যেভাবে তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন, তাতে লাঞ্চেও এল না বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত জয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৬৩ রানে পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেল বাংলাদেশ। সফরকারীদের জিততে এখনো ২৪৬ রান করতে হবে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে আয়ারল্যান্ড। তাইজুল-মিরাজ-হাসান মুরাদদের ঘূর্ণি জাদুতেও উইকেট ফেলা যাচ্ছিল না আইরিশদের। দিনের খেলা শুরুর পর ১৪তম ওভারে গিয়ে উইকেট পায় বাংলাদেশ। উইকেটে আঁঠার মতো লেগে থাকা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে (২১) ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাইজুল। ইনিংসের ৬৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাকব্রাইনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলের কারণে আউট হয়ে যান ম্যাকব্রাইন। ৫৩ বলে ৩ চারে করেন ২১ রান। সপ্তম উইকেটে ম্যাকব্রাইন-কার্টিস কাম্ফার গড়েন ১০৫ বলে ২৬ রানের জুটি।
ম্যাকব্রাইনের বিদায়ে আয়ারল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৬৭.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জর্ডান নিল ও ক্যাম্ফার একটু হাত খুলে খেলতে থাকেন। অষ্টম উইকেটে ৮৫ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন নিল-ক্যাম্ফার। ৮২তম ওভারের তৃতীয় বলে নিলকে (৩০) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ। অষ্টম উইকেটের জুটি ভাঙার পরও দেয়াল হয়ে আছেন কার্টিস কাম্ফার। নবম উইকেটে গ্যাভিন হোয়ের সঙ্গে এরই মধ্যে ২৬ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন ক্যাম্ফার। ৬৩ ও ১৮ রানে ব্যাটিং করছেন ক্যাম্ফার ও হোয়ে।

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা শুরু থেকেই মুশফিকময়। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। জয় পেতে আর মাত্র অল্প কিছুক্ষণের অপেক্ষা বাংলাদেশের।
প্রথম চার দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। ৫০৯ রানের লক্ষ্যে নেমে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান তোলার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ কত দ্রুত শেষ করতে পারে, সেটাই ছিল দেখার অপেক্ষা। সকাল সাড়ে ১১টায় লাঞ্চ দিলেও সেটা দেওয়া হয়েছে ১১টা ৫০ মিনিটে। কিন্তু আইরিশ ব্যাটাররা যেভাবে তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন, তাতে লাঞ্চেও এল না বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত জয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৬৩ রানে পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেল বাংলাদেশ। সফরকারীদের জিততে এখনো ২৪৬ রান করতে হবে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে আয়ারল্যান্ড। তাইজুল-মিরাজ-হাসান মুরাদদের ঘূর্ণি জাদুতেও উইকেট ফেলা যাচ্ছিল না আইরিশদের। দিনের খেলা শুরুর পর ১৪তম ওভারে গিয়ে উইকেট পায় বাংলাদেশ। উইকেটে আঁঠার মতো লেগে থাকা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে (২১) ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাইজুল। ইনিংসের ৬৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাকব্রাইনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলের কারণে আউট হয়ে যান ম্যাকব্রাইন। ৫৩ বলে ৩ চারে করেন ২১ রান। সপ্তম উইকেটে ম্যাকব্রাইন-কার্টিস কাম্ফার গড়েন ১০৫ বলে ২৬ রানের জুটি।
ম্যাকব্রাইনের বিদায়ে আয়ারল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৬৭.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জর্ডান নিল ও ক্যাম্ফার একটু হাত খুলে খেলতে থাকেন। অষ্টম উইকেটে ৮৫ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন নিল-ক্যাম্ফার। ৮২তম ওভারের তৃতীয় বলে নিলকে (৩০) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ। অষ্টম উইকেটের জুটি ভাঙার পরও দেয়াল হয়ে আছেন কার্টিস কাম্ফার। নবম উইকেটে গ্যাভিন হোয়ের সঙ্গে এরই মধ্যে ২৬ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন ক্যাম্ফার। ৬৩ ও ১৮ রানে ব্যাটিং করছেন ক্যাম্ফার ও হোয়ে।

মুশফিকময় হয়েই থাকল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরিতে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। ম্যাচ জিতে সেটা ইতিহাসটা আরও একটু সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সাকিব আল হাসানকে টপকে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে তাইজুল ইসলামের দরকার ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে নিয়েছেন ২৫০ উইকেট। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনারের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা পরিচিতি পেয়েছে মুশফিকের টেস্ট নামে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট মুশফিকুর রহিম খেলতে নেমেছেন এই টেস্টেই। সেঞ্চুরি করে নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়।
৩ ঘণ্টা আগে
পেশাগত ক্যারিয়ার তো বটেই। মানুষের জীবনপ্রদীপও নিভে যায় একটা সময়। কার কখন মৃত্যুর ডাক আসবে, সেটা জানেন কেবল সৃষ্টিকর্তায়। গত কদিন ধরে অসুস্থ থাকা সাবেক পাকিস্তানি আম্পায়ার খিজির হায়াত চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
৩ ঘণ্টা আগে