Ajker Patrika

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের খেলা দেখে বিরক্ত ওয়াকার

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ২২
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের খেলা দেখে বিরক্ত ওয়াকার

অস্ট্রেলিয়ার মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট জয় হয়ে গেছে সোনার হরিণ। ১৯৯৫ সালে সিডনিতে ওয়াসিম আকরামের নেতৃত্বে পাকিস্তান টেস্ট জেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের মাঠে। এরপর মিসবাহ উল হক, আজহার আলির নেতৃত্বে পাকিস্তান দল অস্ট্রেলিয়া সফর করলেও টেস্টে কোনো জয় আসেনি। ২৮ বছর ধরে সেই ডেডলক ভাঙতে পারেননি কয়েকদিন আগে পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক শান মাসুদও।  

পার্থে গত ১৪ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট। তবে মাসুদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। পার্থ টেস্ট শেষ হয়ে গেছে চার দিনে। চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৮৯ রানে। ৩৬০ রানে হেরে পাকিস্তান এবারের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করেছে। রানের হিসেবে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে এটা পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে পরাজয়। সর্বোচ্চ ৪৯১ রানে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৪ সালে হেরেছিল পাকিস্তান। 

৩৬০ রানে হারা ম্যাচে পাকিস্তান যে বেশিরভাগটাই হেরে বসে আছে তাদের প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে। পার্থে টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৮৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংস সর্বোচ্চ ১৬৪ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ভেঙে দিয়েছেন বেশ কিছু রেকর্ড। ক্যারিয়ারে শেষ টেস্ট সিরিজ খেলা ওয়ার্নার বেশ কয়েকবার বেঁচে গেছেন পাকিস্তানের ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাতের সুযোগ নিয়ে। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পরশু মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। দ্বিতীয় টেস্টের আগে ক্রিকইনফোর ‘অ্যারাউন্ড দ্য ক্রিকেট’ শোতে প্রথম টেস্ট নিয়ে কথা বলেন ওয়াকার ইউনিস। পাকিস্তানি পেসারের ভাষ্য, ‘পার্থে প্রথম টেস্ট ম্যাচ দেখাটা ছিল বিরক্তকর। আমাদের কাছে সুযোগ এসেছিল ম্যাচে ফেরার। তবে সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। পাকিস্তান যখন অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে আসে, তখন তাঁদের নিখুত ফিল্ডিংয়ের নিশ্চয়তা দিতে হবে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের সুযোগ দিলে তা দুহাত ভরে লুফে নেবে ও স্কোরটা আরও করবে। পার্থে আমরা যেমনটা দেখেছি।’

পার্থে দুই ইনিংস মিলে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ উইকেট ফেলতে পেরেছে পাকিস্তান। ১৫টির ১৫টিই পেয়েছেন পেসাররা। এর মধ্যে অভিষিক্ত আমির জামাল নিয়েছেন ৭ উইকেট, এর মধ্যে প্রথম ইনিংসেই নেন ৬ উইকেট। বাকি ৮ উইকেটের ৫টি নিয়েছেন খুররম শেহজাদ। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ নিয়েছেন ২ ও ১ উইকেট। যার মধ্যে শাহিন ৪৫.২ ওভার বোলিংয়ে খরচ করেছেন ১৭২ রান। দলের অন্যতম সেরা পেসারের এমন পারফরম্যান্সে ওয়াকার বলেন,  ‘আমি নিশ্চিত না, তার সঙ্গে ভুল কী হচ্ছে। যদি সে ফিট না থাকে, যদি তার কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তার খেলা থেকে দূরে থাকা উচিত। সমস্যার সমাধান করা উচিত। যদি এভাবে চালিয়ে যায়, তাহলে সে মিডিয়াম পেসার হয়ে যাবে। ঘণ্টায় ১৪৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে সে বোলিং করতে পারত ও সুইং করতে পারত। এখন যেটা দেখতে পাচ্ছি, তার বলে সুইং আছে। তবে তার পেস কমে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩ আগস্ট বিমানবন্দরে বাধা পান তাপস, হাসিনাকে অনুরোধ করেন অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে—অডিও ফাঁস

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করল শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন চাননি সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ

ছাত্র-জনতার মিছিলের মুখে পড়েন এক মন্ত্রী

কক্সবাজারে পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠকের খবর, ‘গুজব’ বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত